সম্বোধন পদ কাকে বলে

সম্বোধন পদ


যে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদগুলির সাথে ক্রিয়াপদের সরাসরি সম্পর্ক থাকে না, সেগুলি অকারক নামে পরিচিত। বাংলা ব্যাকরণে দুই ধরনের অকারক পদের উল্লেখ পাওয়া যায়। একটির নাম সম্বন্ধ পদ, অন্যটির নাম সম্বোধন পদ। আজকের আলোচনায় আমরা সম্বোধন পদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। এর সম্পর্কে ভুল ধারণাগুলিও দূর করে নেবো। প্রথমেই জেনে নিই সম্বোধন পদ কাকে বলে।

বাক্যের সূচনায়, বাক্যের শেষে, বা মাঝখানে বাক্যের গতি ভঙ্গ করে, কাউকে ডাকা বা সম্বোধন করা হলে, যে পদটির দ্বারা এই সম্বোধন করা হয়, তাকে সম্বোধন পদ বলে।
নিচে উদাহরণের মাধ্যমে সম্বোধন পদ সম্পর্কে ধারণাটি আরও স্পষ্ট করার চেষ্টা করা হল।

উদাহরণ

১: মা, আমাকে জল দাও। -- এই বাক্যে সম্বোধন পদ 'মা'। এখানে মনে হতে পারে যে, মা তো কর্তা! কারণ মা-ই জল দেবে। কিন্তু তা নয়। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে এই বাক্যের কর্তা 'তুমি' ঊহ্য আছে। এই বাক্যের কর্তা যে 'তুমি', তা বোঝার জন্য ক্রিয়াপদটি লক্ষ করুন। 'দাও' যেখানে ক্রিয়া, কর্তা সেখানে অবশ্যই 'তুমি'। 'মা' কর্তা হলে বর্তমান অনুজ্ঞায় ক্রিয়া হত 'দিক'।

২: ওহে বন্ধু, ধীরে চলো। -- এই বাক্যে সম্বোধন পদ 'বন্ধু'। 'ওহে' পদটি সম্বোধন সূচক অব্যয়।

৩: রে পাষণ্ড, তুই এ কী করেছিস? -- এখানে সম্বোধন পদ 'পাষণ্ড', সম্বোধন সূচক অব্যয় 'রে' এবং বাক্যের কর্তা 'তুই'।

৪: ও ভাই, একটা কথা শোনো। -- 'ভাই' সম্বোধন পদ, 'ও' সম্বোধন সূচক অব্যয়, কর্তা 'তুমি' ঊহ্য আছে।

সম্বোধন পদ সম্পর্কে একটি মনে রাখার মতো কথা হল: সম্বোধন পদ সব সময় বিশেষ্য হয়। সম্বন্ধ পদ সর্বনাম‌ও হতে পারে।

উপরের ২, ৩ ও ৪ নং উদাহরণ থেকে সম্বোধন পদ ও সম্বোধন সূচক অব্যয়ের পার্থক্য আশা করি স্পষ্ট হবে। ইউটিউবে আমার ব্যাকরণের ক্লাস শোনার জন্য ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন অনন্য পাঠক (Ananya Pathak)।  


মন্তব্যসমূহ

আর‌ও পড়ে দেখুন

মিল যুক্ত শব্দ | মিল করে শব্দ লেখ

সাধু ও চলিত ভাষার ৭টি বৈশিষ্ট্য ও রূপান্তর | Sadhu o cholit bhasha

১০০+ সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ | সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দের তালিকা | Samochcharito Vinnarthok shabdo

তৎসম শব্দ কাকে বলে | তৎসম শব্দের তালিকা

ধ্বনি ও বর্ণের মধ্যে পার্থক্য

বিশেষণ পদ - সংজ্ঞা ও শ্রেণিবিভাগ: বিস্তারিত | বিশেষণ কাকে বলে

সূচিপত্র | Bengali Grammar

পদ পরিবর্তন | ২৫০+ নির্ভুল পদান্তর