পোস্টগুলি

ক্রিয়া লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্যতিহার কর্তা কাকে বলে

ব্যতিহার কর্তা দু জন কর্তা এক‌ই কাজ পরস্পরের সাথে বিনিময় করলে তাদের বলে ব্যতিহার কর্তা। মনে রাখতে হবে ব্যতিহার কর্তা সব সময় দু জন হবে এবং একে অপরের বিপরীত মুখে কাজ করবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যতিহার কর্তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা নাও বোঝাতে পারে। এই প্রসঙ্গে সহযোগী কর্তা সম্পর্কেও জেনে নেওয়া দরকার। অনেকেই সহযোগী কর্তা ও ব্যতিহার কর্তার মধ্যে গুলিয়ে ফেলেন। যেমন: বাঘে গোরুতে এক ঘাটে জল খায়। -- এখানে বাঘ ও ঘোরুর মধ্যে ক্রিয়ার বিনিময় ঘটছে না, বরং তারা সহযোগিতার মাধ্যমে এক‌ই কাজ করছে। তাই এগুলি সহযোগী কর্তা। নিচে ব্যতিহার কর্তার কিছু উদাহরণ দেওয়া হল। ব্যতিহার কর্তার উদাহরণ  ১: রাজায় রাজায় যুদ্ধ করছে। ২: ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া করছে। ৩: সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি করছে। ৪: মায়ে মেয়ে ঝগড়া করছে। ৫: বাঘে সিংহে লড়াই লেগেছে। ৬: জনে জনে কানাকানি করছে। ৭: নেতায় নেতায় খাওয়াখায়ি লেগেছে। ৮: ছেলেতে মেয়েতে কাড়াকাড়ি করছে।  কারক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

ক্রিয়ার কাল চেনার উপায় | kriyar kal chenar niyom

ছবি
ক্রিয়ার কাল কাকে বলে? সহজ ভাষায় বলা যায়, ক্রিয়া সম্পাদনের সময়কে বলে ক্রিয়ার কাল।  সময় বলতে এখানে তিনটি : বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যৎ। এখন একটা কথা আসতেই পারে-- ক্রিয়ার কাল জানার প্রয়োজন কী? এর উত্তর হবে, ক্রিয়ার কালের উপর বাক‍্যের সমাপিকা ক্রিয়ার গঠন ব‍্যাপক ভাবে নির্ভর করে‌। তাই সমাপিকা ক্রিয়ার গঠন বোঝার জন্য ক্রিয়ার কাল জানতেই হবে। উল্টো দিক থেকে বলতে গেলে ক্রিয়ার কাল জানার জন্য সমাপিকা ক্রিয়ার গঠন জানতে হবে। তাই এই অধ্যায় পড়ার সাথে সাথে  ক্রিয়াপদের বিস্তারিত আলোচনা পড়ে নেওয়া ভালো। ক্রিয়ার কাল নির্ণয় করার জন্য সমাপিকা  ক্রিয়াপদকে সাধু ভাষায় রূপান্তরিত করে নিতে হবে। যেমন: করছি>করিতেছি, করেছি>করিয়াছি, করেছিলাম>করিয়াছিলাম, এইভাবে। তার পর সাধু ভাষার সমাপিকা ক্রিয়াটি দেখেই সাধারণ ভাবে ক্রিয়ার কাল নির্ণয় করা যায়। সহজে ক্রিয়ার কাল নির্ণয় শেখার জন্য নিচের ভিডিওটি অবশ্যই দেখুন। তারপর নিচের আলোচনা পড়ুন। ক্রিয়ার কাল ও ইংরেজি টেনস একসাথে শেখার জন্য নিচের ভিডিওটি দেখুন। বর্তমান কাল  বর্তমান মানে যে সময়টা এখন চলছে। ব‍্যাকরণে বর্

ক্রিয়া পদ | ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ ও ধারণা

ছবি
এই অধ্যায়ে যা আছে ক্রিয়াপদের ধারণা, ক্রিয়াপদ কাকে বলে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার উদাহরণ সহ পরিচয় সকর্মক ক্রিয়া, অকর্মক ক্রিয়া, এককর্মক ক্রিয়া ও দ্বিকর্মক ক্রিয়া যৌগিক ক্রিয়া  যুক্ত ক্রিয়া নামধাতুজ ক্রিয়া প্রযোজক ক্রিয়া পঙ্গু ক্রিয়া অকর্তৃক ক্রিয়া বাংলা ক্রিয়াপদের গঠন। Advertisement ক্রিয়াপদ কাকে বলে আগের অধ‍্যায়ে ধাতুর আলোচনার পর আমাদের পক্ষে ক্রিয়াপদের আলোচনা অনেক সহজ হয়ে গেছে। আজকের আলোচনায় আমরা ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ বা প্রকারভেদ‌গুলি জেনে নেবো এবং বিভিন্ন প্রকার ক্রিয়াপদের গঠন সম্পর্কে জানব। তার আগে আসুন জেনে নিই ক্রিয়া কাকে বলে।   যে পদের দ্বারা কোনো কাজ করা বা হ‌ওয়া (আপনাআপনি হ‌ওয়া) বোঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে।  [ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ক্রিয়ার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, যে বিধেয়ের দ্বারা বাক‍্যের উদ্দেশ্য কোনো কাজ করছে বোঝায়, সেই বিধেয়কে ক্রিয়া বলে। তাঁর এই সংজ্ঞাতে অসমাপিকা ক্রিয়ার ধারণাটি বাদ গেছে, কারণ অসমাপিকা ক্রিয়া বিধেয় রূপে কাজ করে না। যাইহোক, ভাষাচার্যের মতে বাংলা বাক‍্যে ক্রিয়াপদ না থাকলেও চলে। যেমন : "ঈশ্বর পরম দয়ালু।