পোস্টগুলি

শব্দার্থতত্ত্ব লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আক্ষরিক অর্থ কী | আভিধানিক অর্থ কী

আক্ষরিক অর্থ 'আক্ষরিক' কথাটিকে ভাঙলে একটি শব্দ ও একটি প্রত্যয় পাবো: অক্ষর + ইক (ষ্ণিক)। প্রত্যয় অনুযায়ী কথাটির অর্থ হয়: অক্ষর বিষয়ক, অক্ষর অনুসারে, অক্ষর থেকে প্রাপ্ত ইত্যাদি। শব্দের অর্থ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। প্রতিটি শব্দের একটি প্রাথমিক সোজা অর্থ থাকে। আক্ষরিক অর্থ বলতে বোঝায় কোনো শব্দের মূল, প্রাথমিক অর্থ বা সবচেয়ে সরল অর্থটি। কিন্তু আমরা শব্দকে সব সময় তার মূল অর্থে ব্যবহার করি না। যেমন: যদি বলা হয়, "আজ না হোক কাল তুমি সাফল্য পাবেই।" তাহলে 'আজ' বলতে নিকট ভবিষ্যৎ ও 'কাল' বলতে 'দূর ভবিষ্যৎ' বোঝানো হচ্ছে। অথচ 'আজ' বলতে 'অদ্য' ও 'কাল' বলতে 'কল্য' বোঝায়। এই অদ্য ও কল্য হল 'আজ' ও 'কাল' শব্দের আক্ষরিক অর্থ। আক্ষরিক অর্থের অপর নাম আভিধানিক অর্থ। আভিধানিক = অভিধান + ইক (ষ্ণিক)। অভিধানে বা ডিকশনারিতে যে অর্থ দেওয়া থাকে, তাকে আভিধানিক অর্থ বলে। আক্ষরিক অর্থের বিপরীত ধারণা হল ব্যঞ্জনার্থ। আক্ষরিক অর্থ ও ব্যঞ্জনার্থের কিছু উদাহরণ উনি আমাদের গ্রামের মাথা। -- মাথা শব্দের আক্ষরিক অর্থ শির

শব্দের অর্থ পরিবর্তন | শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা

শব্দার্থ পরিবর্তন কাকে বলে ও কয় প্রকার       কোনো শব্দ ভাষায় বহুদিন ব্যবহৃত হলে একদিকে যেমন ভাষায় জীর্ণতা আসে অন্যদিকে তেমনি মানসিক কারণ বা বহিঃপ্রভাবের ফলে অর্থে অনাবশ্যক বস্তুর সঞ্চয় জমে তাকে পৃথুলতাও দান করে। অর্থাৎ ভাষায় অনেক শব্দই চিরকাল একই অর্থে ব্যবহৃত হয় না , অর্থের পরিবর্তন হয়ে যায়। এইভাবে, ভাষায় ব্যবহৃত শব্দের আদি অর্থ কালক্রমে নানা ভাবে বিবর্তিত হয়ে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থে উপনীত হবার প্রক্রিয়াকে বলে শব্দার্থ পরিবর্তন।  শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা কটি, এ সম্পর্কে নানা মত থাকলেও একে মোটামুটি পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। যথা - ১) অর্থপ্রসার বা অর্থ বিস্তার ২) অর্থসংকোচন ৩) অর্থসংশ্লেষ বা অর্থসংক্রম ৪) অর্থের উৎকর্ষ বা অর্থোন্নতি ৫) অর্থের অপকর্ষ বা অর্থাবনতি। শব্দার্থ পরিবর্তনের বিভিন্ন ধারা ১. অর্থবিস্তার বা অর্থপ্রসার  যদি কোনো শব্দ প্রথমে কোনো সংকীর্ণ ভাব বা সীমাবদ্ধ বস্তু কে বোঝায় এবং কিছুকাল পরে ব্যাপক ভাব বা অধিকতর বস্তুকে বোঝায় তবে সেই প্রক্রিয়াকে অর্থবিস্তার বা অর্থপ্রসার বলে।  অর্থ বিস্তারের উদাহরণ শব্দ  -  মূল অর্থ  - পরিবর্তিত অর্থ ১. বর্ষ - বর্ষাকা

সাধিত শব্দ কাকে বলে

সাধিত শব্দ কাকে বলে ও সাধিত শব্দ কত প্রকার আলোচক: অনন্য পাঠক 'সাধিত' কথার আক্ষরিক অর্থ হল যাকে সাধন করা হয়েছে বা গঠন করা হয়েছে। এই আক্ষরিক অর্থ থেকেই বোঝা যায় যে সাধিত শব্দগুলি এমন শব্দ, যাদের তৈরি করা হয়েছে। সাধিত শব্দকে বিভিন্ন ভাবে তৈরি করা যায়। যেমন:  ১: উপসর্গ, ধাতু ও প্রত্যয়ের যোগে। ২: ধাতু ও প্রত্যয়ের যোগে। ৩: উপসর্গ ও শব্দের যোগে। ৪: শব্দ ও শব্দের যোগে। ৫: শব্দ ও প্রত্যয়ের যোগে। সাধিত শব্দ কাকে বলে, এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলবো: যে শব্দকে ভাঙলে একাধিক অর্থপূর্ণ অংশ পাওয়া যায়, তাদের সাধিত শব্দ বলে। অন্য ভাবে বলা যায়: যে শব্দগুলি একাধিক অর্থপূর্ণ অংশের যোগে গঠিত হয়েছে, তাদের সাধিত ধাতু বলে। যদিও দুটি সংজ্ঞাই ঠিক, তবুও নিচে কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানাবেন কোন সংজ্ঞাটি আপনার মতে একটু বেশি ভালো, প্রথমটি না দ্বিতীয়টি।  সাধিত শব্দের উদাহরণ উপকার = উপ + √কৃ + অ (উপসর্গ+ধাতু+প্রত্যয়) হিমালয় = হিম + আলয় (শব্দ+শব্দ) রামায়ণ = রাম + অয়ন (শব্দ+প্রত্যয়) চলন্ত = √চল্ + অন্ত (ধাতু + প্রত্যয়) উপবন = উপ + বন (উপসর্গ+শব্দ) সাধিত শব্দ কত প্রকার সাধিত শব্দকে অর্থে

ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বলতে কী বোঝায়

ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কাকে বলে আলোচক: অনন্য পাঠক   স্কুল সার্ভিস কমিশন বাংলা বিষয়ের কোচিংয়ের জন্য নিচের লিংকে টাচ করুন। SLST Bengali Preparation Guide 'ব্যুৎপত্তি' কথার অর্থ হল শব্দের জন্ম বা উৎপত্তি (ব্যুৎপত্তি = বি + উৎপত্তি)। একটি শব্দ জন্মের সময় যে অর্থে ব্যবহৃত হত, পরবর্তী কালে তার সেই অর্থ অনেক সময় বদলে যায়। যেমন: সন্দেশ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল সংবাদ, বর্তমান অর্থ মিষ্টান্ন-বিশেষ। মৌলিক শব্দের ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করা যায় না, ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করা যায় শুধুমাত্র সাধিত শব্দের । সাধিত শব্দের ব্যুৎপত্তি বলতে সাধারণ ভাবে প্রকৃতি-প্রত্যয় বোঝায়। তাই এক কথায় বলা যায় কোনো সাধিত শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয়গত বা উৎপত্তিগত অর্থকে বা আদি অর্থকে ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বলে।  ব্যুৎপত্তিগত অর্থ জানা প্রয়োজন কেন? আগেই বলেছি সময়ের সাথে সাথে শব্দের অর্থ বদলে যেতে পারে। যে সব শব্দের অর্থ এই ভাবে বদলে গেছে, তাদের মূল অর্থটি বা আদি অর্থটির সঙ্গে বর্তমান অর্থের যোগ খুঁজে বের করার জন্য ব্যুৎপত্তিগত অর্থ জানতে হবে। ব্যুৎপত্তিগত অর্থের বিপরীত কী? ব্যুৎপত্তিগত অর্থের বিপরীতে আছে প্রচলিত