পোস্টগুলি

2022 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অকর্মক ক্রিয়ার উদাহরণ

ছবি
 অকর্মক ক্রিয়ার সংজ্ঞা ও উদাহরণ যে ক্রিয়া সম্পাদনের জন্য কোন‌ও কর্মের প্রয়োজন নেই, কর্ম ছাড়াই ক্রিয়াটি সম্পাদিত হয়, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। নিচে অকর্মক ক্রিয়ার বেশ কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো। ১: ছেলেটি হাঁটছে। (হাঁটতে কর্ম লাগে না। যদি প্রশ্ন করা হয় "ছেলেটি কী হাঁটছে?" উত্তর পাওয়া যাবে না। ২: লোকটি হাসছে।  ৩: আমি ঘুমাচ্ছিলাম। ৪: গাছটি বড় হচ্ছে। ("গাছটি কী বড় হচ্ছে?" উত্তর নেই। মনে রাখতে হবে: প্রশ্নটি কর্তা 'গাছ' সহ করতে হবে। গাছ কর্তাকে বাদ দিয়ে প্রশ্ন করলে গাছকেই কর্ম মনে হতে পারে। "কী বড় হচ্ছে?" এমন প্রশ্ন করলে উত্তর চলে আসবে "গাছ বড় হচ্ছে।" কিন্তু গাছ তো কর্ম নয়। গাছ কর্ম হলে কর্তা কে? তাই না? ৫: নদী ব‌ইছে। ৬: ছেলেটি গাছে উঠেছে। (ছেলেটি কোথায় উঠেছে? -- উত্তর : গাছে, কিন্তু "ছেলেটি কী উঠেছে?" উত্তর নেই। ৭: আমি ছাদ থেকে নামলাম। ৮: সে বাড়িতে আছে। ৯: আমরা দাঁড়ালাম। ১০: সে দাঁড়িয়ে আছে। ১১: ঘুম থেকে জাগলাম। ১২: ছেলেটি রোজ সাঁতার কাটে। (এখানে "ছেলেটি কী কাটে?" প্রশ্ন করলে ভুল হবে। কারণ 'সা

নামধাতুজ ক্রিয়ার উদাহরণ

ছবি
 নামধাতুজ ক্রিয়া  নামধাতুজ ক্রিয়া বলতে বোঝায় নামধাতু থেকে উৎপন্ন ক্রিয়া। নামধাতু কোনগুলি? নামপদ থেকে যে ধাতুর জন্ম হয়। এখানে আমরা বেশ কিছু নামধাতুজ ক্রিয়ার উদাহরণ ও কোন শব্দ থেকে নামধাতুটি এসেছে, তার তালিকা তুলে ধরলাম। ১: লোকটাকে ঠেঙিয়েছে।-√ঠ্যাঙা ধাতু - 'ঠ্যাঙা' শব্দ থেকে। ২: ছেলেটা ঝাঁপাচ্ছে। √ঝাঁপা ধাতু <ঝাঁপ শব্দ। ৩: উত্তরিলা বিভীষণ। √উত্তর ধাতু <উত্তর শব্দ। ৪: উজলিল দশদিশ। √উজল ধাতু <উজল (উজ্জ্বল) শব্দ। ৫: চোরে আমার ব্যাগটা হাতিয়েছে। √হাতা ধাতু <হাত শব্দ। ৬: ঘরটা ঝাঁটাও/ঝেঁটিয়ে বিদেয় কর। √ঝাঁটা ধাতু < ঝাঁটা শব্দ। ৭: রঙ দিয়ে রাঙাও। √রাঙা ধাতু <রাঙা শব্দ। ৮: আর্দ্রিল মহীরে। - √আর্দ্র ধাতু <আর্দ্র (মানে ভেজা) শব্দ। ৯: অন্ধকারে হাতড়াচ্ছে। √হাতড়া ধাতু < হাত শব্দ। ১০: কপালটা দুখাচ্ছে (ঝাড়খণ্ডী উপভাষা) - √দুখা ধাতু < দুখ (দুঃখ) শব্দ। ১১: নর্দমাটা গঁধাচ্ছে (ঝাড়খণ্ডী উপভাষা) - √গঁধা ধাতু < গন্ধ শব্দ। ১২: কাপড় শুকাচ্ছে। √শুকা (শুখা) ধাতু < শুখা (শুষ্ক) শব্দ। ব্যাকরণ শেখার জন্য আমার দুটি ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন। সাবস্ক্রাইব করা

প্রযোজক ক্রিয়ার উদাহরণ

ছবি
 প্রযোজক ক্রিয়া কাকে বলে ও উদাহরণ  যে ক্রিয়ার দ্বারা অন্যকে কাজ করানো বোঝায়, তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে।  বাংলা ব্যাকরণে প্রযোজক ক্রিয়ার মাত্র কয়েকটি উদাহরণ‌ই প্রচলিত, কিন্তু এর বাইরেও অনেক উদাহরণ বাংলা ভাষায় রয়েছে। এগুলি সম্পর্কে আমরা সাধারণত সচেতন থাকি না। এখানে প্রযোজক ক্রিয়ার এমন কিছু উদাহরণ তুলে ধরলাম, যেগুলি সচরাচর প্রযোজক ক্রিয়া বলে আমাদের মনে হয় না।  অনন্য-বাংলা SLST and TET মনে রাখবে: অধিকাংশ উদাহরণ একটি ক্রিয়ার কালে দেওয়া হয়েছে। এই ক্রিয়াগুলির ক্রিয়ার কাল ও পুরুষ বদলে দিলেও প্রযোজক ক্রিয়াই হবে।  ১: একটা গান শোনাও। ২: এত কথা শুনিও না। ৩: বিষয়টা আমাকে ভাবাচ্ছে। ৪: ঢাক বাজাও। ৫: বাবা ছেলেকে সাইকেল শেখাচ্ছেন। ৬: মিষ্টি আনাও।  ৭: ঘুড়ি ওড়াচ্ছি। ৮: মাস্টারমশাই পড়াচ্ছেন। ৯: ঘুম থেকে ওঠাও/ওঠাল/ওঠাব। ১০: আগুন জ্বালো। ১১: আগুন নেভাও। ১২: কাপড়গুলো জলে ডোবাও। আমায় ডুবাইলি রে। ১৩: ছেলেকে খেলাচ্ছে।  ১৪: ওকে দাঁড় করাও।  ১৫: ছেলেকে ঘুম পাড়াও।  ১৬: ওকে একটু মনে করাও।  ১৭: আমাকে এক

ণিচ্ ও সন্ প্রত্যয়

ছবি
 ণিচ্ ও সন্ প্রত্যয় সম্পর্কে ধারণা  সংস্কৃত প্রত্যয়ের মধ্যে ণিচ্ ও সন্ প্রত্যয় সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেক ধোঁয়াশা আছে। আজকের পোস্টে এই দুই প্রত্যয় সম্পর্কে আলোচনা করবো। ণিচ্ প্রত্যয় ণিচ্ প্রত্যয় একটি ধাত্ববয়ব প্রত্যয়। এই প্রত্যয়টি ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রযোজক ধাতু গঠন করে। যেমন: √জ্ঞা ধাতুর সঙ্গে ণিচ্ প্রত্যয় যোগ করলে নতুন ধাতু পাওয়া যাবে √জ্ঞাপি। জ্ঞা ধাতুর অর্থ নিজে জানা, জ্ঞাপি ধাতুর অর্থ অন্যকে জানানো।  সন্ প্রত্যয়  সন্ প্রত্যয়‌ও একটি ধাত্ববয়ব প্রত্যয়। ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন ধাতু তৈরি করা এই ধাতুর‌ও কাজ। সন্ প্রত্যয় যে ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হবে, নতুন ধাতুটি সেই কাজ করার ইচ্ছা করা বোঝাবে। যেমন: √জ্ঞা + সন্ = √জিজ্ঞাস্ । জিজ্ঞাস্ ধাতুর অর্থ জানার ইচ্ছা করা‌। জিজ্ঞাস্ ধাতুর সঙ্গে অ প্রত্যয় যোগে তৈরি হয় জিজ্ঞাস (হসন্ত নেই) শব্দ। জিজ্ঞাস শব্দে আ (স্ত্রী বাচক প্রত্যয়) যুক্ত হয়ে তৈরি হয় 'জিজ্ঞাসা' শব্দ।  নিচের ভিডিওটি দেখলে বিষয়টি আর‌ও স্পষ্ট হবে। আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন ব্যাকরণ ও SLST BENGALI বিষয়ের পড়াশোনা করার জন্য।

ভাষা সম্প্রদায় কাকে বলে

 ভাষা সম্প্রদায়  ভাষা হল এমন এক সাংকেতিক ধ্বনিময় ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে একটি গোষ্ঠীর মানুষ নিজেদের মধ্যে ভাবের বিনিময় করে। ভাষার এই সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে প্রতিটি ভাষা একটি গোষ্ঠীর মানুষ ব্যবহার করে থাকে। একটি নির্দিষ্ট ভাষাকে নিজেদের প্রথম ভাষা হিসেবে ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীকে বলা হয় ভাষা সম্প্রদায়। ভাষা-সম্প্রদায় সম্পর্কে আর‌ও কিছু বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো। একটি ভাষা সম্প্রদায়ের মানুষ সাধারণত একটিই ভৌগোলিক অঞ্চলের বাসিন্দা হয়। তবে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। যেমন ইংরেজি ভাষাকে প্রথম ভাষা হিসেবে ব্যবহার করে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ। তাই অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার মানুষ ভৌগোলিক ভাবে ভিন্ন অঞ্চলের অধিবাসী হয়েও এক‌ই ভাষা-সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়া ভাষার সঙ্গে সংস্কৃতির যোগ ঘনিষ্ঠ হয় বলে এক‌ই ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।  Contact for SLST BENGALI ONLINE COACHING 89188585

কোন কারকে অনুসর্গ ব্যবহৃত হয় না

 কোন কারকে অনুসর্গের ব্যবহার নেই? আমরা জানি, বিভক্তি ও অনুসর্গের প্রয়োগ অনুসারে কারক দুই প্রকার: বিভক্তি-প্রধান ও অনুসর্গ-প্রধান। তবে বিভক্তি-প্রধান কারকেও অনুসর্গের ব্যবহার মাঝে মাঝে হয়, আবার অনুসর্গ-প্রধান কারকেও বিভক্তির ব্যবহার বিরল নয়। যেমন: অধিকরণ কারক বিভক্তি-প্রধান হলেও এতে 'মধ্যে' , 'ভিতরে' প্রভৃতি অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বাংলায় একটি বিভক্তি-প্রধান কারক এমন আছে, যাতে অনুসর্গের ব্যবহার কখনোই দেখা যায় না। সেই কারকটি হল কর্ম কারক। বাংলা কর্ম কারকে 'কে' , 'রে' প্রভৃতি বিভক্তির ব্যবহার হয়, অথবা শূন্য বিভক্তির ব্যবহার হয়। এই কারকে অনুসর্গের ব্যবহার দেখা যায় না বললেই চলে।

বর্গান্তর কাকে বলে

 বর্গান্তর কী ভাষায় ব্যবহৃত দুটি প্রধান পদ হল বিশেষ্য ও বিশেষণ। আমরা পদ পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশেষ্য থেকে বিশেষণ এবং বিশেষণ থেকে বিশেষ্য পদ গঠন করি। যেমন 'মাঠ' থেকে 'মেঠো', 'জল' থেকে 'জলীয়'। এখানে পদটির রূপ বদলে যাচ্ছে। কিন্তু বর্গান্তর সম্পূর্ণ অন্য জিনিস।  বর্গান্তরে পদের চেহারার কোনো পরিবর্তন হয় না, অথচ পদটি এক পদ থেকে অন্য পদে পরিণত হয়। সহজ ভাষায় বলা যায়: একটি বিশেষ্য পদ বিশেষণ রূপে ও বিশেষণ পদ বিশেষ্য রূপে ব্যবহৃত হলে তাকে বলা হয় বর্গান্তর। বোঝার জন্য নিচের দুটি উদাহরণ মন দিয়ে পড়ে ব্যাখ্যাটি পড়ুন। যেমন: ১: সে খুব ভালো ছেলে। -- ভালো পদটি সাধারণ ভাবে বিশেষণ পদ এবং এখানে বিশেষণ পদ রূপেই ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু ২: আমি তোমার ভালো চাই। -- 'ভালো' এখানে বিশেষ্য পদ। অর্থাৎ 'ভালো' পদটি এখানে বিশেষ্য রূপে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা বলতে পারি দ্বিতীয় উদাহরণে 'ভালো' পদটির বর্গান্তর ঘটেছে। মনে রাখতে হবে: প্রথম উদাহরণে বর্

ন্যূনতম শব্দজোড় কাকে বলে

 ন্যূনতম শব্দজোড়  'ন্যূনতম' কথার অর্থ হল সবচেয়ে কম (Minimum)। ধ্বনিতত্ত্ব আলোচনার সময় কোনো ভাষার একটি ধ্বনিকে মূল ধ্বনি (বা ধ্বনিমূল) হিসেবে স্বীকার করা হবে কিনা, তা যাচাই করার একটি বিশেষ পদ্ধতি আছে। এই প্রসঙ্গেই 'ন্যূনতম শব্দজোড়'-এর ধারণাটি কাজে লাগে। আসুন জেনে নেই ন্যূনতম শব্দজোড় কাকে বলে। দুটি শব্দের মধ্যে একটিমাত্র ধ্বনি বাদ দিয়ে বাকি সবকটি ধ্বনি এক এবং এক‌ই ক্রমে সজ্জিত হলে, ওই শব্দজোড়াকে বলে ন্যূনতম শব্দজোড়। সহজ ভাষায় বলা যায়: একটিমাত্র ধ্বনির পার্থক্য আছে, এমন একজোড়া শব্দকে বলে ন্যূনতম শব্দজোড়।  এই একটিমাত্র ধ্বনি স্বর‌ও হতে পারে, ব্যঞ্জন‌ও হতে পারে। বিষয়টিকে উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক। উদাহরণ ১: কাল , খাল । এই দুটি শব্দ একটি ন্যূনতম শব্দজোড়। কারণ এই দুটি শব্দের মধ্যে একটি ছাড়া আর সব ধ্বনিই এক। বর্ণ বিশ্লেষণ করলে পাই --- ক্ + আ + ল্ + (অ) , খ্ + আ + ল্ + (অ) -- দেখা যাচ্ছে শুধু ক্ ও খ্ ধ্বনি দুটি আলাদা, আর সব‌ই এক।  উদাহরণ ২: স

বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে | অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে

 বিভাজ্য ও অবিভাজ্য ধ্বনি  ধ্বনি প্রাথমিক ভাবে দুই প্রকার: বিভাজ্য ধ্বনি ও অবিভাজ্য ধ্বনি। বিভাজ্য ধ্বনি: যে ধ্বনিকে আলাদা করে ভেঙে দেখানো যায়, তাকে বিভাজ্য ধ্বনি বলে।  যেমন: কমল = ক্ + অ + ম্ + অ + ল্ + অ । এখানে দেখা যাচ্ছে 'কমল' শব্দটিকে ভাঙলে ছটি ধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে। এই ছটি ধ্বনি বিভাজ্য ধ্বনির উদাহরণ। সমস্ত স্বর ও ব্যঞ্জন ধ্বনিই বিভাজ্য ধ্বনি। বিভাজ্য ধ্বনি দুই প্রকার: স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি। বিভাজ্য ধ্বনিগুলি পাশাপাশি বসে ধ্বনিগুচ্ছ গঠন করে। এই ধ্বনিগুচ্ছ যখন অর্থ বহন করে, তখন তৈরি হয় শব্দ। অবিভাজ্য ধ্বনি: যে ধ্বনিকে বিভাজ্য ধ্বনির মতো আলাদা করে দেখানো যায় না, তাকে অবিভাজ্য ধ্বনি বলে। যেমন সুর, দৈর্ঘ্য, যতি প্রভৃতি। অবিভাজ্য ধ্বনি বিভাজ্য ধ্বনির মতো পরিস্ফুট নয়। 

খণ্ডস্বর কাকে বলে | অর্ধস্বর কাকে বলে

 খণ্ডস্বর খণ্ডস্বর মানে অর্ধস্বর। কোনো স্বরধ্বনি যখন রুদ্ধ দলের শেষে থাকে, তখন তাকে বলে খণ্ড স্বর বা অর্ধস্বর। এই ধরনের স্বরের উচ্চারণ পুরোপুরি স্বরের মতো হয় না, খানিকটা ব্যঞ্জনের বৈশিষ্ট্য মিশে যায়। নিচে উদাহরণ সহ সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা পড়ুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন। যেমন: খাই শব্দের 'ই' একটি খণ্ডস্বর। অনুরূপ ভাবে 'যাও' শব্দের 'ও', 'নেই' শব্দের 'ই', 'ব‌উ' শব্দের 'উ' খণ্ডস্বর বা অর্ধস্বর। নিয়ম অনুযায়ী দেখতে গেলে এই স্বরগুলিকে হস্ চিহ্ন যোগে লেখা উচিত, যেমন ই্, উ্ প্রভৃতি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা করা হয় না। মনে রাখতে হবে: ই, উ এর স্বাভাবিক উচ্চারণ হলে এগুলি পূর্ণ স্বর। যেমন ইতি, ইহা, মণি, উল, কাকু প্রভৃতি শব্দের মধ্যে যে ই, উ স্বরগুলো আছে, তারা পূর্ণ স্বর। পূর্ণ স্বরকে লম্বা করে টেনে উচ্চারণ করা যাবে। যেমন: কাকুউউউউ, বা উউউউউল। খণ্ডস্বরকে টেনে উচ্চারণ করা যাবে না। যেমন: 'ব‌ই' শব্দের উচ্চারণ ব‌ইইইইইইই ক

প্রমিত ভাষা ও উপভাষার মধ্যে পার্থক্য

 প্রমিত ভাষা বা মান্য ভাষা ও উপভাষার পার্থক্য প্রমিত ভাষা কাকে বলে তা আমরা আগেই আলোচনা করেছি। এখন জেনে নেবো এর সঙ্গে উপভাষার পার্থক্য কোথায়। তবে এই পার্থক্য আলোচনা করার আগে জেন  নিতে হবে যে প্রমিত ভাষাও একটি উপভাষা। কিন্তু সাধারণ উপভাষা ও প্রমিত উপভাষার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে। নিচে পার্থক্যগুলি আলোচনা করা হলো। ১: প্রমিত ভাষা একটি ভাষাভাষী অঞ্চলে সর্বজন-ব্যবহার্য। উপভাষা কোনও ভাষাভাষী অঞ্চলের মধ্যে ক্ষুদ্রতর একটি অঞ্চলেই ব্যবহারের যোগ্য। ২: প্রমিত ভাষা শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উপভাষা শিক্ষার মাধ্যম রূপে ব্যবহৃত হয় না। ৩: প্রমিত ভাষায় অধিকাংশ সাহিত্য রচিত হয়। আঞ্চলিক সাহিত্যে উপভাষা স্থান পেলেও শুধুমাত্র উপভাষাতেই রচিত সাহিত্যের সংখ্যা নগণ্য।  ৪: সরকারি কাজকর্ম প্রমিত ভাষায় নির্বাহিত হয়। আঞ্চলিক ভাষায় সরকারি কাজ হয় না। ৫: প্রমিত ভাষার কথ্য ও লেখ্য, উভয় রূপ‌ই গুরুত্বপূর্ণ। উপভাষার কথ্য রূপটিই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখ

মান্য চলিত ভাষা কাকে বলে

 মান্য বা প্রমিত বাংলা ভাষা প্রত্যেক বড়ো ভাষার‌ই একাধিক উপভাষা থাকে। কিন্তু ভাষাকে সকলের কাছে সমান ভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সব ভাষার‌ই একটি সর্বজনগ্রাহ্য মান্য রূপ থাকা দরকার। সাধারণ ভাবে কোন‌ও ভাষার যে রূপটি ওই ভাষাভাষী সমস্ত মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং শিক্ষা ও সাহিত্য-চর্চার প্রধান মাধ্যম রূপে ব্যবহৃত হয়, তাকেই বলে ওই ভাষার মান্য বা প্রমিত রূপ। বাংলা ভাষার‌ও একটি মান্য বা প্রমিত রূপ আছে। একে বলা হয় মান্য চলিত বাংলা বা প্রমিত বাংলা। এই উপভাষাটি গড়ে উঠেছে মূলত রাঢ়ি উপভাষাকে ভিত্তি। করে। সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায়: সমস্ত বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বাংলা ভাষার যে উপভাষাকে প্রামাণ্য বাংলা ভাষা হিসেবে গণ্য করেন এবং যে উপভাষায় বাংলাভাষী মানুষের শিক্ষা ও সাহিত্য-চর্চার কাজ নির্বাহিত হয়, তাকেই বলে মান্য চলিত বাংলা বা প্রমিত বাংলা। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখার জন্য ইউটিউবে আমার চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন Ananya Pathak, তাহলেই চ্যানেল