পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ধ্বনি পরিবর্তনের ১০টি কারণ | Dhoni poribortoner karon in Bengali

ধ্বনি পরিবর্তন কী ভাষায় ব্যবহৃত ধ্বনিগুলি চিরকাল এক রকম থাকে না। এ বৈশিষ্ট্য প্রতিটি ভাষার‌ই নিজস্ব ধর্ম। ভাষা চলমান, ভাষা বিবর্তনশীল, ভাষা প্রাণময়। ভাষার প্রাথমিক উপাদান ধ্বনি, তাই ধ্বনিও স্বাভাবিক ভাবেই বিবর্তনশীল। সময়ের সাথে সাথে ভাষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দের এক বা একাধিক ধ্বনি বদলে যেতে থাকে। এই ঘটনাকে ব্যাকরণের পরিভাষায় ধ্বনি পরিবর্তন বলে। ধ্বনি পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবু আমাদের অনুসন্ধান করে দেখা উচিত ধ্বনির এই বিবর্তন কেন হয়, কেন‌ই বা এই বিবর্তন স্বাভাবিক। আসুন জেনে নিই ধ্বনি পরিবর্তনের প্রধান কারণগুলি। আপনি এই সঙ্গে ধ্বনি পরিবর্তনের ধারাগুলি পড়ে নিতে পারেন। ধ্বনি পরিবর্তনের কারণ উচ্চারণের সুবিধা ধ্বনি পরিবর্তনের সবচেয়ে বড়ো কারণ হলো উচ্চারণের সুবিধা। আমাদের বাগ্‌যন্ত্র স্বভাবতই শ্রমবিমুখ। যখন‌ই কোন‌ও ধ্বনিকে উচ্চারণ করতে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিশ্রম হয়, তখন‌ই আমাদের বাগ্‌যন্ত্র সেই ধ্বনিকে সম্ভব হলে এমন ভাবে বদলে নেয়, যাতে উচ্চারণের শ্রম লাঘব হয়। যেমন একটি উদাহরণ দিই: 'দেশি' শব্দটিতে দুটি স্বর আছে: 'এ' এবং 'ই'। এই স্বর দুটির উ

বাচ্য পরিবর্তন | Bachya Paribartan | বাচ্য পরিবর্তনের নিয়ম ও উদাহরণ

 বাচ্য পরিবর্তন করার নিয়ম ইতিমধ্যে বাচ্য সম্পর্কে দুটি পোস্টে আলোচনা করেছি। একটি হল বাচ্যের বিস্তারিত আলোচনা এবং অন্যটি হল বাচ্য চেনার নিয়ম । এ বার আলোচনা করবো বাচ্য পরিবর্তন করার নিয়ম ও বাচ্য পরিবর্তনের উদাহরণ। প্রথমেই চলুন দেখে নিই কীভাবে কোনো বাক্যকে এক বাচ্য থেকে অন্য বাচ্যে রূপান্তরিত করা যায়। কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য (পরিবর্তন) ১: প্রথমেই দেখে নিতে হবে বাক্যটিতে কর্ম আছে কিনা। কর্ম না থাকলে কর্মবাচ্য করা যাবে না, ভাববাচ্য করতে হবে। যেমন "ছেলেটি সকালবেলা হাঁটতে বেরিয়েছে।" এই বাক্যে কর্ম নেই। তাই এর কর্মবাচ্য হবে না। ২: বাক্যের মধ্যে কর্ম থাকলে কর্মটিকে বাক্যের উদ্দেশ্য স্থানে বা কর্তার স্থানে নিয়ে আসতে হবে, কর্মে বিভক্তি থাকলে সেটি তুলে কর্মের বিভক্তি শূন্য করতে হবে । যেমন: "ক্ষিপ্ত জনতা লোকটিকে প্রহার করেছে।" লোকটি এই বাক্যের কর্ম, তাই কর্মবাচ্য করার জন্য 'লোকটি'-কে বাক্যের উদ্দেশ্য স্থানে আনতে হবে। কর্মবাচ্যের রূপটি হবে: " লোকটি জনতার দ্বারা প্রহৃত হয়েছে।"  -- এখানে 'লোকটি' বাক্যের গোড়ায় চলে এসেছে ও বাক্যের উদ্দে

একটা ভালো ব‌ই

একটা ব‌ই শেখাবে ধনী হবার উপায় "একটা ভালো ব‌ই আপনার জীবন বদলে দিতে পারে।"    আ পনি কি নিজেকে কখনও জিজ্ঞেস করে দেখেছেন যে আপনি কেন ধনী হতে পারেননি? আপনার সন্তানকে ভালো করে পড়াশোনা করার কথা তো সবসময়ই বলেন । অথচ আপনি কি তাকে ধনী হবার উপায় সম্পর্কে কিছু বলেছেন? কী করে বলবেন! আসলে আপনি আপনার সন্তানকে ধনী হবার উপায় সম্পর্কে কিছু শেখাতেই পারবেন না। কারণ আপনি নিজেই তা জানেন না। আপনাকে কখন‌ও আর্থিক পরিকল্পনা করতে শেখানো হয়নি। জানলে তো আপনি নিজেই ধনী হতে পারতেন। আসলে আমরা মধ্যবিত্তরা ধনী হতেই জানি না। ধনী হবার উপায়গুলো আমাদের কাছে অজ্ঞাত রয়ে গেছে। কিছু অল্প সংখ্যক মানুষ এই উপায়গুলি জানেন।  আমি হঠাৎ করেই একটি ব‌ইয়ের কথা শুনলাম এক বন্ধুর কাছে। ব‌ইটার নাম দেখেই আকৃষ্ট হলাম: 'রিচ ড্যাড, পুওর ড্যাড' মানে 'ধনী পিতা ও গরিব পিতা'। নামের নিচেই লেখা: "ধনীরা তাদের সন্তানদের টাকা পয়সার ব্যাপারে কী শেখায়, যা গরিব আর মধ্যবিত্ত শ্রেণি শেখায় না?" মধ্যবিত্ত ও গরিবদের কাছে এ এক বিরাট প্রশ্ন। মূলত এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন লেখক রবার্ট টি কিয়োসাকি। এমাজনে দেখুন অসাধ

ক্ষতিপূরক দীর্ঘীভবন‌ কাকে বলে

 ক্ষতিপূরক দীর্ঘীভবন‌ সাধারণত সমীভবনের ফলে যুক্ত ব্যঞ্জন থেকে সৃষ্ট যুগ্ম ব্যঞ্জনের মধ্যে একটি ব্যঞ্জনধ্বনি লুপ্ত হ‌ওয়ার ফলে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে পূর্ববর্তী হ্রস্ব স্বরটি যদি দীর্ঘ স্বরে পরিণত হয়, তাহলে তাকে বলে ক্ষতিপূরক দীর্ঘীভবন‌।  উদাহরণ দিয়ে বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। চলুন কয়েকটি উদাহরণ বিশ্লেষণ করে দেখি। ক্ষতিপূরক দীর্ঘীভবনের উদাহরণ ভক্ত > ভত্ত > ভাত, অষ্ট > অট্ট > আট, ছত্র > ছত্ত > ছাত, প্রস্তর > পত্থর > পাথর। উপরের উদাহরণগুলির মধ্যে একটিকে বিশ্লেষণ করে দেখাই। ভক্ত থেকে সমীভবনের ফলে ভত্ত হয়েছে। ভত্ত থেকে হয়েছে ভাত। (ভ্+অ+ত্+ত্+অ > ভ্+আ+ত্+অ)। দেখুন 'ভত্ত' শব্দে দুটি ত্ আছে, তাদের মধ্যে 'ভাত' শব্দে একটি লোপ পেয়েছে এবং ভ্-এর পরবর্তী অ স্বরটি আ স্বরে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ ত্ লোপ পেয়ে যে ক্ষতি হলো পূর্ববর্তী হ্রস্ব স্বর অ থেকে দীর্ঘ স্বর আ-তে পরিণত হয়ে সেই ক্ষতি পূরণ করেছে। নাসিক্যীভবনেও এই ক্ষতিপূরক দীর্ঘীভবন‌ ঘটে। যেমন: চন্দ্র > চন্দ > চাঁদ। এখানেও দেখুন ন্ লোপ পেয়েছে এবং চ্-এর পরবর্তী অ স্বরটি আ স্বরে পরি

নাসিক্যীভবন কাকে বলে | Nasikyibhaban o binasikyibhaban

নাসিক্যীভবনের সংজ্ঞা আমরা জানি যে সব ব্যঞ্জনকে উচ্চারণ করার সময় কিছুটা শ্বাসবায়ু নাসাপথে চালিত হয় ও তার ফলে নাসাবিবরে একটি অনুরণন সৃষ্টি হয় তাদের নাসিক্য ব্যঞ্জন বলে। বাংলা বর্ণমালার ঙ, ঞ, ণ, ন, ম এই পাঁচটি ব্যঞ্জন নাসিক্য ব্যঞ্জন, এ ছাড়া অনুস্বরের উচ্চারণ‌ও ঙ এর মতো, তাই এটিও নাসিক্য ব্যঞ্জন। (এদের মধ্যে ণ ও ঞ বাংলায় উচ্চারিত হয় না। শুধু তৎসম শব্দের বানান লেখার জন্য এরা বাংলা বর্ণমালায় আছে।) কোনো শব্দের অন্তর্গত নাসিক্য ব্যঞ্জন লুপ্ত হয়ে পূর্ববর্তী স্বরধ্বনিকে অনুনাসিক করে তুললে তাকে নাসিক্যীভবন বলে। নাসিক্যীভবন হলে এক‌ই সঙ্গে ক্ষতিপূরক দীর্ঘীভবন‌ও হয়। নাসিক্যীভবনের উদাহরণ নাসিক্যীভবনের বহু উদাহরণ বাংলা ভাষায় পাওয়া যায়। যেমন: চন্দ্র >  চাঁদ, দন্ত > দাঁত, কণ্টক > কাঁটা, কম্প > কাঁপ, হংস > হাঁস, বংশ > বাঁশ। নাসিক্যীভবনের উদাহরণ বিশ্লেষণ কম্প > কাঁপ এই উদাহরণটি ভেঙে দেখা যাক। নিচের বিশ্লেষণটি ভালো করে পড়ুন। ক্+অ+ম্+প্+অ > ক্ + আঁ + প্ + অ বিশ্লেষণটি লক্ষ করুন। ম্ ব্যঞ্জন লোপ পেয়েছে। এটি নাসিক্য ব্যঞ্জন। সেই সঙ্গে ম্ -এর পূর্ববর্তী স্বরটি দীর্ঘ হয়ে

না ও নি-এর ব্যবহার

না ও নি ব্যবহারের নিয়ম বাংলা লিখতে গিয়ে অনেক সময়‌ই না আর নি নিয়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। নি-কে আলাদা লিখবো, নাকি একসঙ্গে লিখবো? অর্থাৎ 'দেখিনি' আর 'দেখি নি', কোনটা ঠিক? অপর দিকে 'যাবোনা' আর 'যাবো না', এই দুইয়ের মধ্যে কোনটা ঠিক? বাংলা বানান বিষয়ক কয়েকটি ব‌ইয়ে কোনটি ঠিক, কোনটি ভুল তা বলে দেওয়া আছে, যেমন হায়াৎ মামুদের 'প্রমিত বাংলা লেখার নিয়ম কানুন' বা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'বাংলা কী লিখবেন কেন লিখবেন'। কিন্তু এই ব‌ইগুলিতে লেখকরা কোনো ব্যাকরণগত ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ দেননি। তাই আসুন, আমি এই ব্যাপারটা একটু ভেঙে বুঝিয়ে দিই। পুরাঘটিত বর্তমান কালে ক্রিয়ার হ্যাঁ বাচক রূপ হয় 'খেয়েছি', 'বলেছি', 'বলেছে' ,'খেয়েছেন' প্রভৃতি। এই প্রত্যকটা ক্রিয়ার ভিতর দেখুন একটা করে √আছ্ ধাতুর ক্রিয়া আছে। ওই আছ্-এর বিপরীতে আছে √নাহ্ ধাতু। এটাও পুরাঘটিত বর্তমান ও পুরাঘটিত অতীতের ক্রিয়া গঠন করতে কাজে লাগে। ইতিবাচক ক্রিয়া হলে √আছ্ ধাতু, নেতিবাচক হলে √নাহ্ ধাতু। এই নাহ্ থেকে এসেছে নাই, তা থেকে এসেছে নি। করেছেন-কে যদি &

জেনারেল নলেজের সেরা ব‌ই | Best GK book in Bengali

Best GK Book in Bengali - বাংলায় সেরা জি কে ব‌ই বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হ‌ওয়ার ক্ষেত্রে General Knowledge বা GK একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার জেনারেল নলেজ যদি স্ট্রং হয়, তাহলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আপনি বেশ কয়েক কদম এগিয়ে থাকবেন। এখন প্রশ্ন হলো জেনারেল নলেজ বাড়ানোর উপায় কী? জেনারেল নলেজ বাড়ানোর জন্য অনেক উপায় আছে, যেমন: নিয়মিত খবরের কাগজ ও বিভিন্ন ম্যাগাজিন পড়া, নিয়মিত দূরদর্শনের নিউজ ফলো করা ইত্যাদি। এই সবের পাশাপাশি যেটা অবশ্যই করতে হবে, সেটা হলো জেনারেল নলেজের ভালো ব‌ই অনুসরণ করা। কিন্তু সমস্যা হলো বাংলায় ভালো জেনারেল নলেজের ব‌ই খুঁজে পাওয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। বাংলা ভাষায় অল্প কয়েকটি জেনারেল নলেজ ব‌ই পাওয়া যায়। আমি আমার শিক্ষা জীবনে জেনারেল নলেজের যে সব ব‌ইয়ের সাহায্য কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছি, সেই ব‌ইগুলির আলোচনা করবো এই ব্লগ পোস্টে। এখন থেকে West Bengal SLST পরীক্ষাতেও জেনারেল নলেজ আবশ্যিক বিষয় হয়ে গেছে। তাই এই আলোচনাটি SLST পরীক্ষার্থীদের জন্য‌ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনোরমা ইয়ারবুক বাংলা ভাষায় যতগুলি উন্নত মানের জেনারেল নলেজ ব‌ই প্রক

বর্ণ বিপর্যয় কাকে বলে | ধ্বনি বিপর্যয় কাকে বলে

বিপর্যাস বা বর্ণ বিপর্যয় বা ধ্বনি বিপর্যয় কাকে বলে শব্দের ভিতর দুটি ধ্বনি বা বর্ণ যখন নিজেদের মধ্যে স্থান বিনিময় করে, তখন তাকে বলে বর্ণবিপর্যয় বা ধ্বনি বিপর্যয় বা বিপর্যাস। স্থান বিনিময় বলতে কী বোঝায়? স্থান বিনিময় বলতে বোঝায় রামের জায়গায় শ্যাম এসে বসবে, শ্যামের জায়গায় গিয়ে বসবে রাম। বলা বাহুল্য, এখানে রাম-শ্যামের বদলে থাকবে দুটি ধ্বনি। যেমন: আমরা অনেকেই 'রিক্সা'-র জায়গায় বলি 'রিস্কা' বা 'জানালা'-র জায়গায় 'জালানা'। বর্ণ বিপর্যয়ের অপর নাম ধ্বনি বিপর্যয় বা বিপর্যাস। বর্ণ বিপর্যয়ের উদাহরণ বিশ্লেষণ এখন আসুন, বর্ণ বিপর্যয়ের একখানা উদাহরণকে বর্ণ বিশ্লেষণ করে ভেঙে দেখি সংজ্ঞায় যা বললাম, ব্যাপারটা ব্যাপারটা ঠিক তাই ঘটছে কিনা। পিশাচ > পিচাশ - বর্ণ বিপর্যয়ের এই উদাহরণটিকে ভাঙবো। পিশাচ = প্ + ই + শ্ + আ + চ্ + অ পিচাশ = প্ + ই + চ্ + আ + শ্ + অ লক্ষ করে দেখুন, সব ঠিকঠাক আছে, শুধু শ্ আর চ্ নিজেদের মধ্যে জায়গা বদল করে নিয়েছে, অর্থাৎ শ্-র জায়গায় এসেছে চ্ এবং চ্-এর জায়গায় গেছে শ্। দূরাগত বর্ণ বিপর্যয় বা স্পুনারিজম রেভারেন্ড উ