পোস্টগুলি

পদ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সংখ্যা ও পূরণবাচক বিশেষণ | সংখ্যাবাচক শব্দ ও পূরণবাচক শব্দ | Sonkha bachok o puran bachak biseshon

সংখ্যাবাচক ও পূরণবাচক শব্দের পার্থক্য বিশেষণ অধ্যায়ে সংখ্যাবাচক ও পূরণবাচক শব্দ নিয়ে আমরা সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি। কিন্তু এই দুই শব্দ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে দেখেছি। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার প্রয়োজন অনুভব করলাম। প্রথমেই বলে রাখা দরকার, এই দুটি শব্দ নিয়ে বিভ্রান্তির দুটি বড়ো কারণ রয়েছে। আর সেই কারণ দুটি হলো, এরা উভয়েই বিশেষণ এবং এই দুই শব্দের‌ই জন্ম হয়েছে সংখ্যা থেকে। তাই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য প্রথমেই আমরা বুঝে নেবো সংখ্যাবাচক ও পূরণবাচক শব্দ কাকে বলে এবং এদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়। তার পর তুলনামূলক উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি আর‌ও স্পষ্ট করে নেবো। সংখ্যাবাচক শব্দ - কাকে বলে  যে বিশেষণ পদগুলি মূলত বিশেষ্য পদের সংখ্যা বোঝায়, তাদের সংখ্যাবাচক শব্দ বলে।  সংখ্যাবাচক শব্দের উদাহরণ: পাঁচটি কলম, একশো লোক, সাড়ে তিনখানা আপেল, আধখানা চাঁদ, বেলা স‌ওয়া দশটা, প্রভৃতি। সংখ্যা শব্দের শ্রেণিবিভাগ ১: গণনা সংখ্যাশব্দ - কাকে বলে? যে সংখ্যাশব্দগুলি গণনার কাজে ব্যবহার করা হয়, অর্থাৎ পূর্ণ সংখ্যার মান প্রকাশ করে, তাদের বলা হয় গণনা সংখ্যাশব্দ।

পদ চেনার উপায়

ছবি
পদ চেনার সহজ উপায় পদ কথার অর্থ হল বাক্যে ব্যবহৃত শব্দ বা ধাতু। বাক্যে ব্যবহারের আগে কোনো ধ্বনিগুচ্ছকেই পদ বলা যায় না। কোনটি কী পদ তা চিনতে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। এই পোস্টে সেই সমস্যার সমাধানের জন্য কয়েকটি সহজ নিয়ম বলবো। এই নিয়মগুলি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে পদ চিনতে আর সমস্যা হবে না। বিশেষ্য পদ চেনার উপায় মনে রাখতে হবে, বিশেষ্য ও সর্বনাম আলাদা পদ নয়, এ দুটি কার্যত এক‌ই জিনিস। বিশেষ্যের পরিবর্তে সর্বনাম ব্যবহার করা যায়। ১: যে কোনো নাম অবশ্যই বিশেষ্য হবে। ২: যা আমরা পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করতে পারি তা বিশেষ্য হবে। ৩: যে পদকে বাক্যের উদ্দেশ্য রূপে ব্যবহার করা যাবে, সেটি বিশেষ্য বা সর্বনাম হবে। সর্বনাম চেনা সহজ, সর্বনাম না হলে অবশ্যই বিশেষ্য হবে। ৪: যে পদকে বাক্যে কোনো না কোনো কারক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে সেটি অবশ্যই বিশেষ্য অথবা সর্বনাম পদ হবে।  ৫: 'তা' ও 'ত্ব' প্রত্যয় যোগে যত পদ গঠিত হয়, যেমন: সততা, সরলতা, ভীরুতা, কাপুরুষতা, ঋজুতা, ঘনত্ব, বিশেষত্ব, মহত্ত্ব, এগুলি সব‌ই বিশেষ্য। ৬: বিশেষ্য পদের সাথে একটি ক্রিয়াপদ যোগ করে

পদ পরিবর্তন | ২৫০+ নির্ভুল পদান্তর

পদ পরিবর্তন | Pad paribartan   সরাসরি পদান্তরের তালিকা দেখুন   শব্দ ও পদ অধ‍্যায়ে আমরা জেনেছি পদ কী । আমরা জানি, বাক‍্যে ব‍্যবহৃত শব্দ বা ধাতুকে পদ বলে। কিন্তু প্রথাগত ভাবে আমরা একটিমাত্র শব্দের‌ই পদ পরিবর্তন করে এসেছি ছোটোবেলা থেকে। আমরা কি তবে ভুল করেছি? না, আমরা ভুল করিনি।  এমনিতে ব্যাকরণের নিয়মে বাক‍্যের মধ‍্যে ব‍্যবহৃত না হ‌ওয়া পর্যন্ত কোনো শব্দের পদ-পরিচয় স্পষ্ট হয় না। অর্থাৎ সেটি  বিশেষ‍্য হবে না বিশেষণ হবে, তা নিশ্চিত জানা যায় না। কিন্তু তা না গেলেও প্রতিটি শব্দের‌ই একটা মোটামুটি পদপরিচয় আছে। যেমন: জল, মাটি, মানুষ, মন, সুখ, জন্ম, বায়ু প্রভৃতি পদগুলি সাধারণত বিশেষ‍্য রূপেই কাজ করে এবং জলীয়, মেটে, মানুষিক, মানসিক, সুখী প্রভৃতি পদগুলি বিশেষণ রূপে ব্যবহৃত হয়।তাই আমরা সাধারণ ভাবে যে পদান্তর করি, তা সমধিক পরিচিত অর্থের ভিত্তিতে করি। পদ পরিবর্তন বলতে বিশেষ্য শব্দের বিশেষণ রূপ এবং বিশেষণ শব্দের বিশেষ্য রূপ গড়ে তোলা বোঝায়। পদান্তর ও বর্গান্তরের পার্থক্য   প্রসঙ্গত একটি কথা বলে রাখি: একটি বিশেষ্য পদ যখন বিশেষণ রূপে বা বিশেষণ পদ বিশেষ্য রূপে ব্যবহৃত হয়, তখন তাকে বর্গান্তর

অব‍্যয় পদ কাকে বলে ও শ্রেণিবিভাগ | অব্যয় পদ

ছবি
এই পোস্টে যা আছে অব্যয় পদের সংজ্ঞা ও ধারণা অনন্বয়ী অব্যয় ও তার শ্রেণিবিভাগ পদান্বয়ী অব্যয় ও তার শ্রেণিবিভাগ সমুচ্চয়ী অব্যয় ও তার শ্রেণিবিভাগ ধ্বন্যাত্মক অব্যয় ধ্বন্যাত্মক অব্যয় ও অনুকার শব্দের পার্থক্য SLST Bengali Preparation Guide অব‍্যয়ের সংজ্ঞা ও ধারণা সংস্কৃতে অব‍্যয় বলতে বোঝায়, যে পদের ব‍্যয় বা পরিবর্তন নেই। অর্থাৎ, ক্রিয়ার কাল , কর্তার পুরুষ, লিঙ্গ, বচন পাল্টে গেলেও যে পদের রূপ বদলাবে না, কোনো বিভক্তি‌ও গ্রহণ করবে না, তাকে অব‍্যয় বলে। কিন্তু বাাংলা ব‍্যাকরণে অব‍্যয়ের এই  সংজ্ঞাটি গ্রহণ করার অসুবিধা আছে। কারণ বা‌ংলায় অব‍্যয় রূপে যে পদগুলি গণ‍্য হয় তারা অনেকেই বিভক্তি-যোগে তৈরি হয়, আবার এমন অনেক পদ আছে, যাদের কোনো পরিবর্তন হয় না, তবু তারা অব্যয় নয়। তবু ছোটদের এই সংজ্ঞাটিই শেখানো উচিত।  অব্যয় পদ কাকে বলে অব‍্যয়ের সংজ্ঞায় ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বাক‍্যগত উক্তিকে এবং বাক‍্যস্থ পদগুলির পারস্পরিক সম্বন্ধকে স্থান, কাল, পাত্র ও প্রকার বিষয়ে পরিস্ফুট করে দেয় যে পদগুলি, তাদের অব‍্যয় বলে।  অব‍্যয়ের এই সংজ্ঞাটি থেকে আমরা বলতে পারি, অব‍্য

ক্রিয়া পদ | ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ ও ধারণা

ছবি
এই অধ্যায়ে যা আছে ক্রিয়াপদের ধারণা, ক্রিয়াপদ কাকে বলে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার উদাহরণ সহ পরিচয় সকর্মক ক্রিয়া, অকর্মক ক্রিয়া, এককর্মক ক্রিয়া ও দ্বিকর্মক ক্রিয়া যৌগিক ক্রিয়া  যুক্ত ক্রিয়া নামধাতুজ ক্রিয়া প্রযোজক ক্রিয়া পঙ্গু ক্রিয়া অকর্তৃক ক্রিয়া বাংলা ক্রিয়াপদের গঠন। Advertisement ক্রিয়াপদ কাকে বলে আগের অধ‍্যায়ে ধাতুর আলোচনার পর আমাদের পক্ষে ক্রিয়াপদের আলোচনা অনেক সহজ হয়ে গেছে। আজকের আলোচনায় আমরা ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ বা প্রকারভেদ‌গুলি জেনে নেবো এবং বিভিন্ন প্রকার ক্রিয়াপদের গঠন সম্পর্কে জানব। তার আগে আসুন জেনে নিই ক্রিয়া কাকে বলে।   যে পদের দ্বারা কোনো কাজ করা বা হ‌ওয়া (আপনাআপনি হ‌ওয়া) বোঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে।  [ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ক্রিয়ার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, যে বিধেয়ের দ্বারা বাক‍্যের উদ্দেশ্য কোনো কাজ করছে বোঝায়, সেই বিধেয়কে ক্রিয়া বলে। তাঁর এই সংজ্ঞাতে অসমাপিকা ক্রিয়ার ধারণাটি বাদ গেছে, কারণ অসমাপিকা ক্রিয়া বিধেয় রূপে কাজ করে না। যাইহোক, ভাষাচার্যের মতে বাংলা বাক‍্যে ক্রিয়াপদ না থাকলেও চলে। যেমন : "ঈশ্বর পরম দয়ালু।

ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সংজ্ঞা, ধারণা ও প্রকারভেদ

ছবি
ধাতুর সংজ্ঞা ও শ্রেণিবিভাগ ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ নির্ধারণ করার আগে আমরা এর ধারণাটি একটু স্পষ্ট করে নেবো। আমরা জানি বাক‍্যের মধ‍্যে শব্দ ও ধাতুগুলিই রূপান্তরিত হয়ে পদ রূপে ব‍্যবহৃত হয়। শব্দ ও পদ বিষয়ে আলোচনা করার সময় আমরা এই বিষয়টি উল্লেখ করেছি। কিন্তু তখন শব্দ সম্পর্কে আলোচনা করলেও ধাতু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি নি। তখন শুধু বলেছি ধাতু হল "ক্রিয়াপদের মূল ও অপরিবর্তনশীল অংশ।" এখন আমরা ধাতুর অপরিবর্তনশীল‌তা বলতে আসলে কী বোঝায় সেটি প্রথমে বুঝে নেবো নতুবা সংজ্ঞাটি স্পষ্ট হবে না।  আমরা জানি, ধাতু থেকে ক্রিয়াপদের জন্ম হয়। উদাহরণ হিসেবে আমরা একটি কাজ নিচ্ছি-- খেলা। খেলা কাজটি ধরে কয়েকটি ক্রিয়া পদ গঠন করে দেখি:  খেলি, খেলিতেছি, খেলো, খেলেন, খেলিব, খেলে, খেলিয়াছিল, খেলিতে থাকিব, খেলিয়া, খেলিতে** ইত‍্যাদি।  ধাতু সম্পর্কে ভালো ভাবে জানর জন্য নিচের ভিডিওটি অবশ্যই দেখুন। তার পর নিচের আলোচনাটি পড়ুন। [**ধাতু ও ক্রিয়াপদ এবং ক্রিয়ার কাল আলোচনার সময় চলিত ভাষায় উদাহরণ দিতে নেই, তাতে ধারণা তৈরিতে বড় বিপত্তি হয়। কারণ চলিতে ক্রিয়ার সংক্ষ