পোস্টগুলি

বাচ্য লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাচ্য পরিবর্তন | Bachya Paribartan | বাচ্য পরিবর্তনের নিয়ম ও উদাহরণ

 বাচ্য পরিবর্তন করার নিয়ম ইতিমধ্যে বাচ্য সম্পর্কে দুটি পোস্টে আলোচনা করেছি। একটি হল বাচ্যের বিস্তারিত আলোচনা এবং অন্যটি হল বাচ্য চেনার নিয়ম । এ বার আলোচনা করবো বাচ্য পরিবর্তন করার নিয়ম ও বাচ্য পরিবর্তনের উদাহরণ। প্রথমেই চলুন দেখে নিই কীভাবে কোনো বাক্যকে এক বাচ্য থেকে অন্য বাচ্যে রূপান্তরিত করা যায়। কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য (পরিবর্তন) ১: প্রথমেই দেখে নিতে হবে বাক্যটিতে কর্ম আছে কিনা। কর্ম না থাকলে কর্মবাচ্য করা যাবে না, ভাববাচ্য করতে হবে। যেমন "ছেলেটি সকালবেলা হাঁটতে বেরিয়েছে।" এই বাক্যে কর্ম নেই। তাই এর কর্মবাচ্য হবে না। ২: বাক্যের মধ্যে কর্ম থাকলে কর্মটিকে বাক্যের উদ্দেশ্য স্থানে বা কর্তার স্থানে নিয়ে আসতে হবে, কর্মে বিভক্তি থাকলে সেটি তুলে কর্মের বিভক্তি শূন্য করতে হবে । যেমন: "ক্ষিপ্ত জনতা লোকটিকে প্রহার করেছে।" লোকটি এই বাক্যের কর্ম, তাই কর্মবাচ্য করার জন্য 'লোকটি'-কে বাক্যের উদ্দেশ্য স্থানে আনতে হবে। কর্মবাচ্যের রূপটি হবে: " লোকটি জনতার দ্বারা প্রহৃত হয়েছে।"  -- এখানে 'লোকটি' বাক্যের গোড়ায় চলে এসেছে ও বাক্যের উদ্দে

বাচ্য : বিস্তারিত আলোচনা ও শ্রেণিবিভাগ | Bachyo in Bengali

ছবি
 বাচ্যের ধারণা ও সংজ্ঞা বাংলা ব্যাকরণে বাচ্যের ধারণা নিয়ে বহু শিক্ষার্থীর মনে দ্বিধা আছে। প্রচলিত ব‌ইগুলিতে বাচ্যের আলোচনা বিভ্রান্তিকর। সেই বিভ্রান্তি দূর করে বাচ্যের সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আজকের আলোচনা। বাচ্য চেনার উপায় ও বাচ্য পরিবর্তনের নিয়ম আলোচনা দুটিও পড়ে নিন। বাচ্যের আলোচনার শুরুতেই আমরা তিনটি বাক্য নেবো। ১: আমি ব‌ই পড়েছি। ২: ব‌ই আমার দ্বারা পড়া হয়েছে। ৩: আমার ব‌ই-পড়া হয়েছে। আরও পড়ুন: কারক এই বাক্য তিনটির অর্থ একেবারে হুবহু এক, কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য আছে কেবল গঠনে। একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে গঠনের পার্থক্যটিও মূলত ক্রিয়াপদেই সীমাবদ্ধ। অন্য পদগুলি ততটা বদলায়নি। এখন আমরা বাক্য তিনটিকে উদ্দেশ্য ও বিধেয়ে ভেঙে দেখবো। বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন।      ১: আমি | ব‌ই পড়েছি। -- কর্তা 'আমি' এই বাক্যের উদ্দেশ্য     ২: ব‌ই | আমার দ্বারা পড়া হয়েছে। -- কর্ম 'ব‌ই' বাক্যের উদ্দেশ্য রূপে ব্যবহৃত হয়েছে।     ৩: আমার ব‌ই-পড়া | হয়েছে। -- 'আমার ব‌ই পড়া' অংশটি বাক্যের উদ্দেশ্য রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। 

বাচ্য চেনার উপায় | Bachyo chenar niyom

ছবি
■ বাচ‍্য চেনার কৌশল বাচ‍্য চেনার ব‍্যাপারে অনেক ছাত্রছাত্রী সমস‍্যায় পড়ছে। আমার ব্লগে বাচ‍্য নিয়ে আলোচনা করব যথা সময়ে। কিন্তু তার এখনও দেরি আছে। আজ ছাত্রছাত্রীদের জন্য  বাচ‍্য চেনার ১১টি সংক্ষিপ্ত অথচ কার্যকর কৌশল বলছি। বাচ্যের বিস্তারিত আলোচনা করেছি, তার লিংক‌ও নিচে দিলাম।  ১:   ক্রিয়াপদ  যদি কর্তার পুরুষ ধরে হয়, তাহলে অবশ‍্য‌ই কর্তৃবাচ‍্য হবে। মনে রাখবে, জড় পদার্থ‌ও কর্তা হতে পারে। যেমন : সূর্য ওঠে। ২: এককর্মক ক্রিয়ার কর্মে যদি 'কে' বিভক্তি থাকে, তাহলে জানবে সেটি কোনোমতেই কর্মবাচ‍্য বা কর্মকর্তৃবাচ‍্য হবে না। কারণ ওই দুটি বাচ‍্যে কর্মকে কর্তা সাজতে হয় আর কর্তা সাজতে হলে কর্মে শূন্য বিভক্তি‌ দিতে হয়। যেমন: লোকটি প্রহৃত হল। টাকাকড়ি অপহৃত হয়েছে। ব‌ইটি আমার দ্বারা পড়া হয়েছে।  ৩: প্রকৃত কর্তায় দ্বারা/কর্তৃক/দিয়ে অনুসর্গ থাকলে সেটি কর্মবাচ‍্য হ‌ওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। যেমন: কমিটি কর্তৃক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। - কমিটি এখানে আসল কর্তা। ৪: মূল ক্রিয়াটিকে যদি ত/ইত প্রত‍্যয় যোগে বিশেষণে পরিণত করা হয়, (যেমন: পঠিত, ভুক্ত, গৃহীত, বর্জিত, পরিত্যক্ত ইত্যাদ