পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্যাকরণের PDF

বাংলা ব্যাকরণের ব‌ই ও প্রশ্নোত্তরের PDF এই পোস্টে থাকবে বিভিন্ন ধরনের পিডিএফ, যা SLST বাংলা বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের কাজে লাগবে। আমার নিজের SLST ব্যাচের যে সব মক টেস্ট আগে নিয়েছি তার প্রশ্নোত্তর যেমন থাকবে, তেমনি থাকবে ব্যাকরণের হারিয়ে যাওয়া কিছু ভালো ব‌ইয়ের সংগ্রহ। আমার কাছে যত প্রয়োজনীয় পিডিএফ আছে, সব‌ই এই পোস্টে ধীরে ধীরে শেয়ার করবো। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে আমার হাতে ভালো পিডিএফ এলে আমি এখানে তা শেয়ার করবো। পরবর্তী সময়ে আর‌ও নতুন পিডিএফ তৈরি করলে সেগুলিও এখানে পাওয়া যাবে।  উপরে টাইটেলের ডানদিকে অবস্থিত শেয়ার বাটনটি প্রেস করে সবাইকে এই পোস্টটি শেয়ার করুন। ডাউনলোড করা পিডিএফ শেয়ার করার পরিবর্তে পোস্টের লিংক শেয়ার করুন। সবাই নিজের প্রয়োজনীয় অংশটি নিজেই ডাউনলোড করে নেবে। Click on the links below to download. বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা শিক্ষা (ব‌ই)   এই ব‌ইটি অনেক পুরোনো একটি ব‌ই। এখানে ব্যাকরণের বহু জটিল বিষয় ভালো করে আলোচনা করা আছে। বিশেষত প্রত্যয়ের আলোচনা খুব‌ই বিস্তারিত।   SLST Bengali Mock Question and Answer 2   আমার তৈরি করা প্রশ্ন ও উত্তরের সেট। এতে ৫০ট

সন্ধি বিচ্ছেদ | সন্ধি বিচ্ছেদের তালিকা

সন্ধি বিচ্ছেদ: উদাহরণ ইতিপূর্বে আমরা স্বরসন্ধি ,  ব্যঞ্জনসন্ধি ও  বিসর্গসন্ধির      বিস্তারিত আলোচনা পৃথক ভাবে করেছি। এই তিনটি অধ্যায়ে সূত্রের পাশাপাশি কিছু উদাহরণ‌ও দেওয়া হয়েছে।  কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার পরীক্ষার্থী ও ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এই পোস্টে আলাদা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিবিচ্ছেদের উদাহরণ একত্রিত করে প্রকাশ করা হলো। এখানে সন্ধিববদ্ধ শব্দগুলি বর্ণানুক্রমে সাজানো হলো, যাতে সহজেই প্রয়োজনীয় সন্ধিবিচ্ছেদটি খুঁজে পাওয়া যায়। এই তালিকায় আপনার প্রয়োজনীয় সন্ধিবিচ্ছেদটি খুঁজে না পেলে কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানান, আমি উত্তর দেবো। ADVERTISEMENT সন্ধি বিচ্ছেদের তালিকা অক্ষৌহিণী ----- অক্ষ + ঊহিনী অখিলেশ ------- অখিল + ঈশ অজন্ত ----------- অচ্ + অন্ত অত‌এব --------- অতঃ + এব অদ্যাবধি  ------- অদ্য + অবধি অধমর্ণ ---------- অধম + ঋণ অধ্যাদেশ ------- অধি + আদেশ অন্বয় ------------ অনু + অয় অন্বেষণ --------- অনু + এষণ অবচ্ছেদ -------- অব + ছেদ অবিন্ধন --------- অপ্ + ইন্ধন অবেক্ষণ -------- অব + ঈক্ষণ অব্জ 

বিসর্গ সন্ধির সূত্র ও উদাহরণ | Bisargo sondhi

বিসর্গ সন্ধি কাকে বলে? বিসর্গের সঙ্গে স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনির মিলনে যে সন্ধি হয়, তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। যেমন: মনঃ + কামনা = মনস্কামনা ( বিসর্গ + ব্যঞ্জন) প্রাতঃ + আশ = প্রাতরাশ ( বিসর্গ + স্বর ) বিসর্গ সন্ধিতে বিসর্গের পূর্ববর্তী স্বরধ্বনিটিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  বিসর্গ আসলে কী ? বিসর্গ একটি ব‍্যঞ্জন। এটি একটি আশ্রয়স্থানভাগী ব্যঞ্জন। অর্থাৎ, এই ব‍্যঞ্জন‌টি পূর্ববর্তী স্বরের আশ্রয় ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না। যেমন: অঃ, আঃ, ইঃ, উঃ ইত্যাদি। বিসর্গের উচ্চারণ অনেকটা হ্-এর মতো। সংস্কৃত ভাষায় র্ এবং স্ ধ্বনিদুটি অনেক সময় বিসর্গে পরিণত হয়। এই কারণে বিসর্গ দুই প্রকার: র-জাত বিসর্গ ও স-জাত বিসর্গ। উদাহরণ-স্বরূপ বলা যায়, মনঃ শব্দের বিসর্গটি স-জাত। কারণ সংস্কৃতে 'মনস্' শব্দের 'স্'-টি বিসর্গে রূপান্তরিত হয়েছে। আবার দুঃ উপসর্গের বিসর্গ‌টি এসেছে 'দুর্' উপসর্গ থেকে। তাই এটি র-জাত বিসর্গ। র-জাত ও স-জাত বিসর্গের ধর্ম অনেকাংশেই আলাদা। তাই সন্ধিতেও এই দুই প্রকার বিসর্গ আলাদা ভূমিকা পালন করে। ADVERTISEMENT সন্ধিতে বিসর্গের পরিবর্তন বা রূপান্তর সন্ধিতে যু

ঝাড়খণ্ডি উপভাষা: বাকঁড়ি

বাঁকড়ি-ঝাড়খণ্ডি উপভাষার সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত সাহিত্যিক বিভাস রায়চৌধুরীর একটি গল্প বা উপন্যাসে পড়েছিলাম গল্পের একটি চরিত্র বাঁকুড়ার রাণীবাঁধ অঞ্চলের কথ্য উপভাষাটির মাধুর্যে নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করছে। বলা বাহুল্য এই মুগ্ধতা আসলে সাহিত্যিকের নিজের‌ই‌। ওখানে লেখক যে উপভাষাটির কথা বলেছেন সেটি আসলে বাঁকড়ি উপভাষা। বাঁকুড়ার পূর্ব ও উত্তর ভাগ বাদ দিয়ে সমগ্র জেলা এমনকি জেলা সদরেও এই উপভাষাটিই চলে। বাঁকুড়ার এই অঞ্চলের মানুষ আজ‌ও মাতৃভাষা বিসর্জন দিয়ে মান্য বাংলাকে কথোপকথনের কাজে ব্যবহার করা শুরু করেনি।    Advertisement আমরা জানি, বিস্তীর্ণ ভূখণ্ড জুড়ে প্রচলিত কোনো ভাষার আঞ্চলিক রূপভেদগুলিকে বলে উপভাষা। উপভাষা কোনো আলাদা ভাষা নয়, দুটি উপভাষার মধ্যে উচ্চারণগত ও গঠনগত পার্থক্য থাকলেও তা এতটা বেশি নয় যে তাদের আলাদা ভাষা রূপে গণ্য করতে হবে। এখন মজার ব্যাপার হল একটি উপভাষাও যদি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রচলিত থাকে তাহলে এলাকাভেদে একটি তার মধ্যেও অনেক পার্থক্য দেখা যায়। যেমন, বর্ধমান ও হাওড়া, উভয় জেলার উপভাষা রাঢ়ি হলেও দুই জেলার মৌখিক ভাষায় অল্পবিস্তর ফারাক দ

বাক্য রচনা : নিয়ম ও উদাহরণ | বাক্য রচনা pdf | Bakya rachana in Bengali | Bakko rochona | বাক্য গঠন

বাক্য রচনা বাক্য রচনা করার নিয়ম বাক্য রচনা করা ছোটোদের ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি চর্চা। ছোটোবেলায় সুন্দর সুন্দর বাক্য রচনা করতে পারলে বড়ো হয়ে শুদ্ধ ও সুন্দর ভাষায় বড়ো বড়ো উত্তর ও প্রবন্ধ লেখা সহজ হয়ে যাবে। তাই ছোটোদের বাক্য রচনার বিষয়টিকে কখনোই কম গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন না। আসুন জেনে নিই ভালো বাক্য-রচনা করার কয়েকটি উপায়। বাক্য রচনা pdf ডাউনলোড করতে এবং তালিকা দেখতে নিচের দিকে যান। ১: বাক্য রচনা যেন দায়সারা না হয়। দায়সারা বাক্য রচনা করলে বাক্যটি ব্যাকরণগত ভাবে শুদ্ধ হলেও তাতে পুরো নম্বর দেওয়া হবে না। তার কারণ, বাক্য রচনা একটি দক্ষতামূলক কাজ। তাই বাক্য রচনা করার সময় খেয়াল রাখতে হবে একটি বাক্যে কমপক্ষে ৫-৬টি শব্দ যেন অবশ্যই থাকে। অল্প বয়সে বড় আকারের বাক্য রচনা করার অভ্যাস গড়ে তুললে পরবর্তী জীবনে দীর্ঘ রচনা লেখা অনেক সহজ হয়ে উঠবে।  ২: বাক্যের ভাবটি একেবারে সাদামাটা হলে বাক্য সুন্দর হয় না। বাক্যের ভাবটিই তার আসল সৌন্দর্য। তাই বাক্যের মধ্যে শিশুমনের উপযুক্ত মহৎ ধারণা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মানবিক চেতনা, সুকুমার প্রবৃত্তি, সমাজবোধ ইত্যাদির প্রকাশ ঘটা বা

১২৫+ নির্ভুল সমার্থক শব্দ | সমার্থক শব্দের নির্ভরযোগ্য তালিকা | Samarthok shabdo

সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ কাকে বলে ভাষায় ব্যবহৃত যে শব্দগুলি এক‌ই বা প্রায় একই অর্থ প্রকাশ করে, তাদের সাধারণ ভাবে সমার্থক শব্দ বলা হয়। মনে রাখতে হবে, সমার্থক শব্দগুলির অর্থ মোটামুটি এক হলেও এরা প্রত্যেকে আলাদা শব্দ এবং অনেক সময় এদের মধ্যে অর্থের সূক্ষ্ম পার্থক্য দেখা যায়। যেমন: সংগ্রাম ও যুদ্ধ সমার্থক শব্দ হলেও সংগ্রাম শব্দে কিছুটা মহত্ত্ব প্রকাশ পায়, যুদ্ধ শব্দটি সে তুলনায় নেতিবাচক। সমার্থক শব্দ শিক্ষার গুরুত্ব ভাষা শিক্ষায় সমার্থক শব্দের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা যাকে সাধারণ ভাবে 'ওয়ার্ড স্টক' বা শব্দভাণ্ডারের শক্তি বলি, তা বৃদ্ধি পায় সমার্থক শব্দের চর্চার মাধ্যমে। ভালো রচনা লেখার জন্য বিভিন্ন শব্দের সমার্থক শব্দ জানা ভালো। সমার্থক শব্দ জানলে এক‌ই শব্দকে বার বার ব্যবহার করতে হয় না।  সমার্থক শব্দগুলি মোটামুটি এক‌ই অর্থ বহন করলেও অনেক সময় এদের মধ্যে অর্থের সূক্ষ্ম পার্থক্য থাকে। সমার্থক শব্দের চর্চা করলে কোন ক্ষেত্রে কোন সমার্থক শব্দটি ব্যবহার করা উচিত হবে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সমার্থক শব্দের ব‌ই  সমার্থক শব্দের তালিকা (বর্ণানুক্রমিক) অনন্য

প্রতিবেদন রচনার নিয়ম | Protibedon rachonar niyom

  প্রতিবেদন কাকে বলে? প্রতি+বেদন= প্রতিবেদন। বেদন কথার অর্থ জ্ঞাপন, প্রতি উপসর্গটি অভিমুখ বোঝায়। অর্থাৎ প্রতিবেদন কথার অন্তর্নিহিত অর্থ হল, নির্দিষ্ট পাঠক-শ্রেণির কথা মাথায় রেখে তাঁদের অভিমুখে কিছু জ্ঞাপন করা। সাধারণ ভাবে প্রতিবেদন বলতে আমরা খবরের কাগজের আর্টিকেল বুঝি, কিন্তু খবরের কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদন ছাড়াও আর‌ও নানা ধরনের প্রতিবেদন হতে পারে। যেমন: গবেষণা-প্রতিবেদন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়ভিত্তিক প্রতিবেদন, তদন্ত-প্রতিবেদন প্রভৃতি। তবে পরীক্ষার্থীদের কাছে সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের গুরুত্ব বেশি। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন মূলত দুই ধরনের হয়।  ১: সংবাদ-প্রতিবেদন ২: সম্পাদকীয় প্রতিবেদন প্রতিবেদন রচনার উদ্দেশ্য প্রতিবেদন একটি উদ্দেশ্যমূলক রচনা। বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য বিভিন্ন হয়। সংবাদ প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য সংবাদ পরিবেশন করা, সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য সংবাদ বিশ্লেষণের মাধ্যমে জনমত গঠন করা। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বাইরে আরও যে সব প্রতিবেদন আছে, তাদের প্রত্যেকের উদ্দেশ্য সুনির্দিষ্ট রয়েছে। যেমন: গবেষণা প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য হল গবেষণার বিবরণ ও ফলাফল

ক্রিয়ার ভাব | Kriyar bhab in Bengali

 ক্রিয়ার ভাব কাকে বলে সমাপিকা ক্রিয়ার গঠন যে বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হল ক্রিয়ার ভাব। সমাপিকা ক্রিয়ার কাজটি কী প্রকারে সম্পাদিত হচ্ছে এবং ক্রিয়া বিষয়ে বক্তার মনোভাব কী, তা বোঝার উপায়কেই ক্রিয়ার ভাব বলে।  ক্রিয়ার ভাবের দ্বারা বক্তার মনোভাবটি স্পষ্ট হয়। যেমন: বক্তা যদি বলে "আজ আমাদের স্কুল ছুটি।" তাহলে বোঝা যাচ্ছে বক্তা একটি ঘটনার বর্ণনা দিতে চাইছে। অপরদিকে বক্তা যদি বলে "তুমি কাল আমার বাড়ি যেও।" তাহলে বক্তার মনোভাবে অনুরোধ ধরা পড়ছে। এই পার্থক্যটি স্পষ্ট হয় ভাবের দ্বারা বা সহজ ভাষায় বললে দুটি বাক্যের মধ্যে এই পার্থক্যটিই ভাব। ক্রিয়ার ভাব কত প্রকার? ভাব কত প্রকার তা বলার আগে জানিয়ে রাখি: পৃথিবীর সব ভাষায় ভাবের সংখ্যা সমান নয়। এর কারণ এই নয় যে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মনোভাবের প্রকারভেদ সমান নয়। এর কারণ এই যে, সব ভাষায় সব ভাবের জন্য আলাদা আলাদা  ক্রিয়ারূপ পাওয়া যায় না। কোনো ভাষায় কোনো একটি ভাবের জন্য আলাদা ক্রিয়ারূপ না পাওয়া গেলে সেই ভাবটি ঐ ভাষার ব্যাকরণে আলোচিত হবে না, এটাই স্বাভাবিক।   যেমন: সংস্কৃত