পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্লুতস্বর কাকে বলে

 প্লুতস্বর ইতিপূর্বে স্বরধ্বনির আলোচনাতে আমরা প্লুতস্বর বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই আলোচনায় প্লুতস্বর কাকে বলে উদাহরণ সহ একটু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। আসুন জেনে নিই প্লুতস্বর কাকে বলে।  প্লুতস্বর কাকে বলে যখন কোনো স্বরধ্বনিকে অতি দীর্ঘ রূপে উচ্চারণ করা হয়, তখন তাকে প্লুতস্বর বলে। যেমন: কাউকে দূর থেকে ডাকার জন্য ব্যবহৃত 'ওহেএএএএএএএ' শব্দে এ স্বরটি প্লুতস্বর। প্লুতস্বরকে লিখে প্রকাশ করার জন্য মূল স্বরটিকে পর পর কয়েকবার লেখা হয়। প্লুতস্বর বিভিন্ন মাত্রার হতে পারে, তবে কখনোই তিন মাত্রার কম নয়। তিন মাত্রার কমে প্লুতস্বর হয় না। যে প্লুতস্বর যত দীর্ঘ উচ্চারিত হয়, তার মাত্রা তত বেশি। প্লুতস্বর কোথায় ব্যবহৃত হয় প্লুতস্বর সাধারণত সঙ্গীতে ও আহ্বানে ব্যবহৃত হয়। সঙ্গীতে এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখার জন্য ইউটিউবে আমার চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন Ananya Pathak, তাহলেই চ্যানেলটি পাবেন।

সংখ্যা বর্ণ কী | বাংলা সংখ্যা বর্ণ কতগুলি | সংখ্যা বর্ণ কয়টি ও কি কি

 সংখ্যা-বর্ণ ও বাংলা সংখ্যা-বর্ণের সংখ্যা 'সংখ্যা বর্ণ' কথাটি শুনে অনেকেই হয়তো ঘাবড়ে যেতে পারেন। ভাবতে পারেন এটা আবার কী? আসলে বিষয়টি যত জটিল ভাবছেন, আদৌ তত জটিল নয়। সমস্ত ভাষাতেই বিভিন্ন ধরনের বর্ণ থাকে। তার মধ্যে প্রধান দুটি হল ধ্বনি-বর্ণ ও সংখ্যা-বর্ণ। বাংলা ভাষায় ধ্বনি-বর্ণ হল স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণগুলি। বিভিন্ন ভাষায় ধ্বনি-বর্ণের সংখ্যা আলাদা হলেও বেশিরভাগ ভাষাতেই সংখ্যা-বর্ণ ১০টি করেই থাকে। বাংলা ভাষাতেও সংখ্যা বর্ণ ১০টি। নিচে সংখ্যা বর্ণের সংজ্ঞা দেওয়া হলো। সংখ্যা বর্ণ কাকে বলে যে বর্ণগুলির দ্বারা কোনো ভাষায় সংখ্যার মান প্রকাশ করা হয়, সেগুলিকে বলা হয় সংখ্যা-বর্ণ।  যেমন: ১, ২, ৩, ৪ প্রভৃতি। বাংলা ভাষার সংখ্যা-বর্ণগুলি হল ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ (মোট দশটি)। এই দশটি বর্ণের দ্বারাই বাংলা ভাষায় সমস্ত সংখ্যাকে প্রকাশ করা হয়। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখার জন্য ইউটিউবে আমার চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন Ananya Pa

শব্দ কাকে বলে

 শব্দের সংজ্ঞা আমরা কথা বলার সময় কতকগুলো ধ্বনিকে উচ্চারণ করি। কিন্তু এখানে একটি কথা মনে রাখতে হবে, যে ধ্বনিগুলি অর্থ বহন করে না। ধ্বনিকে পাশাপাশি সাজিয়ে বিভিন্ন রকম গুচ্ছ বানানো হয়। সেই গুচ্ছগুলি এক-একটি এক-এক রকম অর্থ বহন করে (কদাচিৎ একটি ধ্বনিও অর্থ বহন করে, তবে এমন ধ্বনি সংখ্যায় খুব কম)। এইরূপ,  অর্থবহ ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে শব্দ বলে। নিচে উদাহরণ দিয়ে শব্দের সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করা হলো। ধ্বনিগুচ্ছ কী ভাবে শব্দ হয় উদাহরণ হিসেবে আমরা একটি শব্দ নেবো: সূর্য। এই শব্দের মধ্যে ধ্বনি আছে ৫টি -- স্, ঊ, র্, য্, অ। এই পাঁচটি ধ্বনি একা একা কোনো অর্থ প্রকাশ করছে না। কিন্তু এরা নির্দিষ্ট নিয়মে পর পর বসলে একটি অর্থ প্রকাশ করবে। আবার এই ধ্বনিগুলিকেই এলোমেলো করে সাজালে অর্থ আসবে না। যেমন: 'যূর্স' কথাটির কোনো অর্থ নেই, তাই এক‌ই ধ্বনি থাকা সত্ত্বেও 'সূর্য' একটি শব্দ হলেও 'যূর্স' কোনো শব্দ নয়। শব্দগুলি পদে পরিণত হয়ে বাক্য গঠন করে। 

লিখিত ভাষা কাকে বলে

 লিখিত ভাষা প্রতিটি উন্নত ভাষার‌ই অন্তত একটি লিখিত রূপ ও এক বা একাধিক মৌখিক রূপ পাওয়া যায়। যে ভাষার লিখিত রূপ নেই, সে ভাষাকে উন্নত ভাষা বা সমৃদ্ধ ভাষা বলা যায় না। নিচে লিখিত ভাষার সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ দেওয়া হলো। লিখিত ভাষার সংজ্ঞা ভাষার যে মান্য রূপটি কোনো ভাষাভাষী গোষ্ঠীর মানুষ সর্বসম্মতভাবে লেখার জন্য ব্যবহার করে, তাকে বলে লিখিত ভাষা বা লেখ্য ভাষা। মান্য চলিত ভাষা ও সাধু বাংলা ভাষা হল বাংলা ভাষার দুটি লিখিত রূপ।  লিখিত ভাষার বৈশিষ্ট্য ১: একটি লিখিত ভাষার একটিই রূপ থাকে।  ২: লিখিত ভাষা ব্যাকরণসম্মত হতে হয়। ৩: লিখিত ভাষা সুগঠিত হয়। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখার জন্য ইউটিউবে আমার চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন Ananya Pathak, তাহলেই চ্যানেলটি পাবেন।

শূন্য বিভক্তির অপর নাম

 শূন্য বিভক্তি মানে কি 'অ' বিভক্তি? শূন্য বিভক্তি বলতে বোঝায় চিহ্নহীন বিভক্তি, একে অস্তিত্বহীন বিভক্তিও বলা যায়। কিন্তু আজকাল কোনো কোনো ব‌ইয়ে শূন্য বিভক্তির অপর নাম 'অ' বিভক্তি বলে চালানো হচ্ছে। এই ধারণাটি শুধু যে ভুল, তাই নয়, হাস্যকর‌ও। আসুন দেখে নিই কী ভাবে ব্যাপারটিকে ব্যাখ্যা করা যায়। অ বলে কোনো বিভক্তি নেই। বাংলা ভাষায় শব্দের অন্ত্য অ সাধারণত লোপ পায়। লোপ পায় বলেই তা শূন্য নয়। এই দুটো বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। একটা ধ্বনিতাত্ত্বিক ব্যাপারকে বিভক্তির মতো আন্বয়িক একটি উপাদানের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলাটা নিতান্তই হাস্যকর। শব্দে শূন্য বিভক্তি থাকা মানেই যে অ বিভক্তি থাকা নয়, তা একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যায়। যেমন: তার বাক্ সহসা রুদ্ধ হল। -- এই বাক্যে 'বাক্' পদে শূন্য বিভক্তি আছে। এখন শূন্য = অ হলে বাক্ > বাক হয়ে যাবে। কারণ বাক্ + অ = বাক। কিন্তু বাস্তবে কি তা হয়? 'তড়িৎ', 'বিদ্যুৎ' বা 'ভবিষ্যৎ' শব্দে '