পোস্টগুলি

যোগদা সৎসঙ্গ মঠ বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য পাঠ্য ব‌ই

 যোগী কথামৃত ও পরমহংস যোগানন্দের অন্যান্য ব‌ই পরমহংস যোগানন্দের প্রতিষ্ঠান যোগদা সৎসঙ্গ মঠ। এই মঠের অধীনস্থ বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগদান করার জন্য যোগী কথামৃত এবং পরমহংসের রচিত অন্যান্য কিছু ব‌ই পড়তে হয়। এই ব‌ইগুলি এমাজনে পাওয়া যায়। কেনার জন্য এখানে ক্লিক করুন। 

অকর্মক ক্রিয়ার উদাহরণ

ছবি
 অকর্মক ক্রিয়ার সংজ্ঞা ও উদাহরণ যে ক্রিয়া সম্পাদনের জন্য কোন‌ও কর্মের প্রয়োজন নেই, কর্ম ছাড়াই ক্রিয়াটি সম্পাদিত হয়, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। নিচে অকর্মক ক্রিয়ার বেশ কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো। ১: ছেলেটি হাঁটছে। (হাঁটতে কর্ম লাগে না। যদি প্রশ্ন করা হয় "ছেলেটি কী হাঁটছে?" উত্তর পাওয়া যাবে না। ২: লোকটি হাসছে।  ৩: আমি ঘুমাচ্ছিলাম। ৪: গাছটি বড় হচ্ছে। ("গাছটি কী বড় হচ্ছে?" উত্তর নেই। মনে রাখতে হবে: প্রশ্নটি কর্তা 'গাছ' সহ করতে হবে। গাছ কর্তাকে বাদ দিয়ে প্রশ্ন করলে গাছকেই কর্ম মনে হতে পারে। "কী বড় হচ্ছে?" এমন প্রশ্ন করলে উত্তর চলে আসবে "গাছ বড় হচ্ছে।" কিন্তু গাছ তো কর্ম নয়। গাছ কর্ম হলে কর্তা কে? তাই না? ৫: নদী ব‌ইছে। ৬: ছেলেটি গাছে উঠেছে। (ছেলেটি কোথায় উঠেছে? -- উত্তর : গাছে, কিন্তু "ছেলেটি কী উঠেছে?" উত্তর নেই। ৭: আমি ছাদ থেকে নামলাম। ৮: সে বাড়িতে আছে। ৯: আমরা দাঁড়ালাম। ১০: সে দাঁড়িয়ে আছে। ১১: ঘুম থেকে জাগলাম। ১২: ছেলেটি রোজ সাঁতার কাটে। (এখানে "ছেলেটি কী কাটে?" প্রশ্ন করলে ভুল হবে। কারণ 'সা

নামধাতুজ ক্রিয়ার উদাহরণ

ছবি
 নামধাতুজ ক্রিয়া  নামধাতুজ ক্রিয়া বলতে বোঝায় নামধাতু থেকে উৎপন্ন ক্রিয়া। নামধাতু কোনগুলি? নামপদ থেকে যে ধাতুর জন্ম হয়। এখানে আমরা বেশ কিছু নামধাতুজ ক্রিয়ার উদাহরণ ও কোন শব্দ থেকে নামধাতুটি এসেছে, তার তালিকা তুলে ধরলাম। ১: লোকটাকে ঠেঙিয়েছে।-√ঠ্যাঙা ধাতু - 'ঠ্যাঙা' শব্দ থেকে। ২: ছেলেটা ঝাঁপাচ্ছে। √ঝাঁপা ধাতু <ঝাঁপ শব্দ। ৩: উত্তরিলা বিভীষণ। √উত্তর ধাতু <উত্তর শব্দ। ৪: উজলিল দশদিশ। √উজল ধাতু <উজল (উজ্জ্বল) শব্দ। ৫: চোরে আমার ব্যাগটা হাতিয়েছে। √হাতা ধাতু <হাত শব্দ। ৬: ঘরটা ঝাঁটাও/ঝেঁটিয়ে বিদেয় কর। √ঝাঁটা ধাতু < ঝাঁটা শব্দ। ৭: রঙ দিয়ে রাঙাও। √রাঙা ধাতু <রাঙা শব্দ। ৮: আর্দ্রিল মহীরে। - √আর্দ্র ধাতু <আর্দ্র (মানে ভেজা) শব্দ। ৯: অন্ধকারে হাতড়াচ্ছে। √হাতড়া ধাতু < হাত শব্দ। ১০: কপালটা দুখাচ্ছে (ঝাড়খণ্ডী উপভাষা) - √দুখা ধাতু < দুখ (দুঃখ) শব্দ। ১১: নর্দমাটা গঁধাচ্ছে (ঝাড়খণ্ডী উপভাষা) - √গঁধা ধাতু < গন্ধ শব্দ। ১২: কাপড় শুকাচ্ছে। √শুকা (শুখা) ধাতু < শুখা (শুষ্ক) শব্দ। ব্যাকরণ শেখার জন্য আমার দুটি ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন। সাবস্ক্রাইব করা

প্রযোজক ক্রিয়ার উদাহরণ

ছবি
 প্রযোজক ক্রিয়া কাকে বলে ও উদাহরণ  যে ক্রিয়ার দ্বারা অন্যকে কাজ করানো বোঝায়, তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে।  বাংলা ব্যাকরণে প্রযোজক ক্রিয়ার মাত্র কয়েকটি উদাহরণ‌ই প্রচলিত, কিন্তু এর বাইরেও অনেক উদাহরণ বাংলা ভাষায় রয়েছে। এগুলি সম্পর্কে আমরা সাধারণত সচেতন থাকি না। এখানে প্রযোজক ক্রিয়ার এমন কিছু উদাহরণ তুলে ধরলাম, যেগুলি সচরাচর প্রযোজক ক্রিয়া বলে আমাদের মনে হয় না।  অনন্য-বাংলা SLST and TET মনে রাখবে: অধিকাংশ উদাহরণ একটি ক্রিয়ার কালে দেওয়া হয়েছে। এই ক্রিয়াগুলির ক্রিয়ার কাল ও পুরুষ বদলে দিলেও প্রযোজক ক্রিয়াই হবে।  ১: একটা গান শোনাও। ২: এত কথা শুনিও না। ৩: বিষয়টা আমাকে ভাবাচ্ছে। ৪: ঢাক বাজাও। ৫: বাবা ছেলেকে সাইকেল শেখাচ্ছেন। ৬: মিষ্টি আনাও।  ৭: ঘুড়ি ওড়াচ্ছি। ৮: মাস্টারমশাই পড়াচ্ছেন। ৯: ঘুম থেকে ওঠাও/ওঠাল/ওঠাব। ১০: আগুন জ্বালো। ১১: আগুন নেভাও। ১২: কাপড়গুলো জলে ডোবাও। আমায় ডুবাইলি রে। ১৩: ছেলেকে খেলাচ্ছে।  ১৪: ওকে দাঁড় করাও।  ১৫: ছেলেকে ঘুম পাড়াও।  ১৬: ওকে একটু মনে করাও।  ১৭: আমাকে এক

ণিচ্ ও সন্ প্রত্যয়

ছবি
 ণিচ্ ও সন্ প্রত্যয় সম্পর্কে ধারণা  সংস্কৃত প্রত্যয়ের মধ্যে ণিচ্ ও সন্ প্রত্যয় সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেক ধোঁয়াশা আছে। আজকের পোস্টে এই দুই প্রত্যয় সম্পর্কে আলোচনা করবো। ণিচ্ প্রত্যয় ণিচ্ প্রত্যয় একটি ধাত্ববয়ব প্রত্যয়। এই প্রত্যয়টি ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রযোজক ধাতু গঠন করে। যেমন: √জ্ঞা ধাতুর সঙ্গে ণিচ্ প্রত্যয় যোগ করলে নতুন ধাতু পাওয়া যাবে √জ্ঞাপি। জ্ঞা ধাতুর অর্থ নিজে জানা, জ্ঞাপি ধাতুর অর্থ অন্যকে জানানো।  সন্ প্রত্যয়  সন্ প্রত্যয়‌ও একটি ধাত্ববয়ব প্রত্যয়। ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন ধাতু তৈরি করা এই ধাতুর‌ও কাজ। সন্ প্রত্যয় যে ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হবে, নতুন ধাতুটি সেই কাজ করার ইচ্ছা করা বোঝাবে। যেমন: √জ্ঞা + সন্ = √জিজ্ঞাস্ । জিজ্ঞাস্ ধাতুর অর্থ জানার ইচ্ছা করা‌। জিজ্ঞাস্ ধাতুর সঙ্গে অ প্রত্যয় যোগে তৈরি হয় জিজ্ঞাস (হসন্ত নেই) শব্দ। জিজ্ঞাস শব্দে আ (স্ত্রী বাচক প্রত্যয়) যুক্ত হয়ে তৈরি হয় 'জিজ্ঞাসা' শব্দ।  নিচের ভিডিওটি দেখলে বিষয়টি আর‌ও স্পষ্ট হবে। আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন ব্যাকরণ ও SLST BENGALI বিষয়ের পড়াশোনা করার জন্য।

ভাষা সম্প্রদায় কাকে বলে

 ভাষা সম্প্রদায়  ভাষা হল এমন এক সাংকেতিক ধ্বনিময় ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে একটি গোষ্ঠীর মানুষ নিজেদের মধ্যে ভাবের বিনিময় করে। ভাষার এই সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে প্রতিটি ভাষা একটি গোষ্ঠীর মানুষ ব্যবহার করে থাকে। একটি নির্দিষ্ট ভাষাকে নিজেদের প্রথম ভাষা হিসেবে ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীকে বলা হয় ভাষা সম্প্রদায়। ভাষা-সম্প্রদায় সম্পর্কে আর‌ও কিছু বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো। একটি ভাষা সম্প্রদায়ের মানুষ সাধারণত একটিই ভৌগোলিক অঞ্চলের বাসিন্দা হয়। তবে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। যেমন ইংরেজি ভাষাকে প্রথম ভাষা হিসেবে ব্যবহার করে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ। তাই অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার মানুষ ভৌগোলিক ভাবে ভিন্ন অঞ্চলের অধিবাসী হয়েও এক‌ই ভাষা-সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়া ভাষার সঙ্গে সংস্কৃতির যোগ ঘনিষ্ঠ হয় বলে এক‌ই ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।  Contact for SLST BENGALI ONLINE COACHING 89188585

কোন কারকে অনুসর্গ ব্যবহৃত হয় না

 কোন কারকে অনুসর্গের ব্যবহার নেই? আমরা জানি, বিভক্তি ও অনুসর্গের প্রয়োগ অনুসারে কারক দুই প্রকার: বিভক্তি-প্রধান ও অনুসর্গ-প্রধান। তবে বিভক্তি-প্রধান কারকেও অনুসর্গের ব্যবহার মাঝে মাঝে হয়, আবার অনুসর্গ-প্রধান কারকেও বিভক্তির ব্যবহার বিরল নয়। যেমন: অধিকরণ কারক বিভক্তি-প্রধান হলেও এতে 'মধ্যে' , 'ভিতরে' প্রভৃতি অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বাংলায় একটি বিভক্তি-প্রধান কারক এমন আছে, যাতে অনুসর্গের ব্যবহার কখনোই দেখা যায় না। সেই কারকটি হল কর্ম কারক। বাংলা কর্ম কারকে 'কে' , 'রে' প্রভৃতি বিভক্তির ব্যবহার হয়, অথবা শূন্য বিভক্তির ব্যবহার হয়। এই কারকে অনুসর্গের ব্যবহার দেখা যায় না বললেই চলে।

বর্গান্তর কাকে বলে

 বর্গান্তর কী ভাষায় ব্যবহৃত দুটি প্রধান পদ হল বিশেষ্য ও বিশেষণ। আমরা পদ পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশেষ্য থেকে বিশেষণ এবং বিশেষণ থেকে বিশেষ্য পদ গঠন করি। যেমন 'মাঠ' থেকে 'মেঠো', 'জল' থেকে 'জলীয়'। এখানে পদটির রূপ বদলে যাচ্ছে। কিন্তু বর্গান্তর সম্পূর্ণ অন্য জিনিস।  বর্গান্তরে পদের চেহারার কোনো পরিবর্তন হয় না, অথচ পদটি এক পদ থেকে অন্য পদে পরিণত হয়। সহজ ভাষায় বলা যায়: একটি বিশেষ্য পদ বিশেষণ রূপে ও বিশেষণ পদ বিশেষ্য রূপে ব্যবহৃত হলে তাকে বলা হয় বর্গান্তর। বোঝার জন্য নিচের দুটি উদাহরণ মন দিয়ে পড়ে ব্যাখ্যাটি পড়ুন। যেমন: ১: সে খুব ভালো ছেলে। -- ভালো পদটি সাধারণ ভাবে বিশেষণ পদ এবং এখানে বিশেষণ পদ রূপেই ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু ২: আমি তোমার ভালো চাই। -- 'ভালো' এখানে বিশেষ্য পদ। অর্থাৎ 'ভালো' পদটি এখানে বিশেষ্য রূপে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা বলতে পারি দ্বিতীয় উদাহরণে 'ভালো' পদটির বর্গান্তর ঘটেছে। মনে রাখতে হবে: প্রথম উদাহরণে বর্

ন্যূনতম শব্দজোড় কাকে বলে

 ন্যূনতম শব্দজোড়  'ন্যূনতম' কথার অর্থ হল সবচেয়ে কম (Minimum)। ধ্বনিতত্ত্ব আলোচনার সময় কোনো ভাষার একটি ধ্বনিকে মূল ধ্বনি (বা ধ্বনিমূল) হিসেবে স্বীকার করা হবে কিনা, তা যাচাই করার একটি বিশেষ পদ্ধতি আছে। এই প্রসঙ্গেই 'ন্যূনতম শব্দজোড়'-এর ধারণাটি কাজে লাগে। আসুন জেনে নেই ন্যূনতম শব্দজোড় কাকে বলে। দুটি শব্দের মধ্যে একটিমাত্র ধ্বনি বাদ দিয়ে বাকি সবকটি ধ্বনি এক এবং এক‌ই ক্রমে সজ্জিত হলে, ওই শব্দজোড়াকে বলে ন্যূনতম শব্দজোড়। সহজ ভাষায় বলা যায়: একটিমাত্র ধ্বনির পার্থক্য আছে, এমন একজোড়া শব্দকে বলে ন্যূনতম শব্দজোড়।  এই একটিমাত্র ধ্বনি স্বর‌ও হতে পারে, ব্যঞ্জন‌ও হতে পারে। বিষয়টিকে উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক। উদাহরণ ১: কাল , খাল । এই দুটি শব্দ একটি ন্যূনতম শব্দজোড়। কারণ এই দুটি শব্দের মধ্যে একটি ছাড়া আর সব ধ্বনিই এক। বর্ণ বিশ্লেষণ করলে পাই --- ক্ + আ + ল্ + (অ) , খ্ + আ + ল্ + (অ) -- দেখা যাচ্ছে শুধু ক্ ও খ্ ধ্বনি দুটি আলাদা, আর সব‌ই এক।  উদাহরণ ২: স

বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে | অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে

 বিভাজ্য ও অবিভাজ্য ধ্বনি  ধ্বনি প্রাথমিক ভাবে দুই প্রকার: বিভাজ্য ধ্বনি ও অবিভাজ্য ধ্বনি। বিভাজ্য ধ্বনি: যে ধ্বনিকে আলাদা করে ভেঙে দেখানো যায়, তাকে বিভাজ্য ধ্বনি বলে।  যেমন: কমল = ক্ + অ + ম্ + অ + ল্ + অ । এখানে দেখা যাচ্ছে 'কমল' শব্দটিকে ভাঙলে ছটি ধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে। এই ছটি ধ্বনি বিভাজ্য ধ্বনির উদাহরণ। সমস্ত স্বর ও ব্যঞ্জন ধ্বনিই বিভাজ্য ধ্বনি। বিভাজ্য ধ্বনি দুই প্রকার: স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি। বিভাজ্য ধ্বনিগুলি পাশাপাশি বসে ধ্বনিগুচ্ছ গঠন করে। এই ধ্বনিগুচ্ছ যখন অর্থ বহন করে, তখন তৈরি হয় শব্দ। অবিভাজ্য ধ্বনি: যে ধ্বনিকে বিভাজ্য ধ্বনির মতো আলাদা করে দেখানো যায় না, তাকে অবিভাজ্য ধ্বনি বলে। যেমন সুর, দৈর্ঘ্য, যতি প্রভৃতি। অবিভাজ্য ধ্বনি বিভাজ্য ধ্বনির মতো পরিস্ফুট নয়। 

খণ্ডস্বর কাকে বলে | অর্ধস্বর কাকে বলে

 খণ্ডস্বর খণ্ডস্বর মানে অর্ধস্বর। কোনো স্বরধ্বনি যখন রুদ্ধ দলের শেষে থাকে, তখন তাকে বলে খণ্ড স্বর বা অর্ধস্বর। এই ধরনের স্বরের উচ্চারণ পুরোপুরি স্বরের মতো হয় না, খানিকটা ব্যঞ্জনের বৈশিষ্ট্য মিশে যায়। নিচে উদাহরণ সহ সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা পড়ুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন। যেমন: খাই শব্দের 'ই' একটি খণ্ডস্বর। অনুরূপ ভাবে 'যাও' শব্দের 'ও', 'নেই' শব্দের 'ই', 'ব‌উ' শব্দের 'উ' খণ্ডস্বর বা অর্ধস্বর। নিয়ম অনুযায়ী দেখতে গেলে এই স্বরগুলিকে হস্ চিহ্ন যোগে লেখা উচিত, যেমন ই্, উ্ প্রভৃতি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা করা হয় না। মনে রাখতে হবে: ই, উ এর স্বাভাবিক উচ্চারণ হলে এগুলি পূর্ণ স্বর। যেমন ইতি, ইহা, মণি, উল, কাকু প্রভৃতি শব্দের মধ্যে যে ই, উ স্বরগুলো আছে, তারা পূর্ণ স্বর। পূর্ণ স্বরকে লম্বা করে টেনে উচ্চারণ করা যাবে। যেমন: কাকুউউউউ, বা উউউউউল। খণ্ডস্বরকে টেনে উচ্চারণ করা যাবে না। যেমন: 'ব‌ই' শব্দের উচ্চারণ ব‌ইইইইইইই ক

প্রমিত ভাষা ও উপভাষার মধ্যে পার্থক্য

 প্রমিত ভাষা বা মান্য ভাষা ও উপভাষার পার্থক্য প্রমিত ভাষা কাকে বলে তা আমরা আগেই আলোচনা করেছি। এখন জেনে নেবো এর সঙ্গে উপভাষার পার্থক্য কোথায়। তবে এই পার্থক্য আলোচনা করার আগে জেন  নিতে হবে যে প্রমিত ভাষাও একটি উপভাষা। কিন্তু সাধারণ উপভাষা ও প্রমিত উপভাষার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে। নিচে পার্থক্যগুলি আলোচনা করা হলো। ১: প্রমিত ভাষা একটি ভাষাভাষী অঞ্চলে সর্বজন-ব্যবহার্য। উপভাষা কোনও ভাষাভাষী অঞ্চলের মধ্যে ক্ষুদ্রতর একটি অঞ্চলেই ব্যবহারের যোগ্য। ২: প্রমিত ভাষা শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উপভাষা শিক্ষার মাধ্যম রূপে ব্যবহৃত হয় না। ৩: প্রমিত ভাষায় অধিকাংশ সাহিত্য রচিত হয়। আঞ্চলিক সাহিত্যে উপভাষা স্থান পেলেও শুধুমাত্র উপভাষাতেই রচিত সাহিত্যের সংখ্যা নগণ্য।  ৪: সরকারি কাজকর্ম প্রমিত ভাষায় নির্বাহিত হয়। আঞ্চলিক ভাষায় সরকারি কাজ হয় না। ৫: প্রমিত ভাষার কথ্য ও লেখ্য, উভয় রূপ‌ই গুরুত্বপূর্ণ। উপভাষার কথ্য রূপটিই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখ

মান্য চলিত ভাষা কাকে বলে

 মান্য বা প্রমিত বাংলা ভাষা প্রত্যেক বড়ো ভাষার‌ই একাধিক উপভাষা থাকে। কিন্তু ভাষাকে সকলের কাছে সমান ভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সব ভাষার‌ই একটি সর্বজনগ্রাহ্য মান্য রূপ থাকা দরকার। সাধারণ ভাবে কোন‌ও ভাষার যে রূপটি ওই ভাষাভাষী সমস্ত মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং শিক্ষা ও সাহিত্য-চর্চার প্রধান মাধ্যম রূপে ব্যবহৃত হয়, তাকেই বলে ওই ভাষার মান্য বা প্রমিত রূপ। বাংলা ভাষার‌ও একটি মান্য বা প্রমিত রূপ আছে। একে বলা হয় মান্য চলিত বাংলা বা প্রমিত বাংলা। এই উপভাষাটি গড়ে উঠেছে মূলত রাঢ়ি উপভাষাকে ভিত্তি। করে। সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায়: সমস্ত বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বাংলা ভাষার যে উপভাষাকে প্রামাণ্য বাংলা ভাষা হিসেবে গণ্য করেন এবং যে উপভাষায় বাংলাভাষী মানুষের শিক্ষা ও সাহিত্য-চর্চার কাজ নির্বাহিত হয়, তাকেই বলে মান্য চলিত বাংলা বা প্রমিত বাংলা। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখার জন্য ইউটিউবে আমার চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন Ananya Pathak, তাহলেই চ্যানেল

বাংলা ভাষা কাকে বলে

 বাংলা ভাষার সংজ্ঞা পূর্ব দিকে ত্রিপুরা থেকে পশ্চিমে ঝাড়খণ্ড-বিহারের পূর্বসীমা পর্যন্ত, উত্তরে হিমালয় থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ভূখণ্ড, তথা বঙ্গদেশে প্রচলিত ভাষাকে বলা হয় বাংলা ভাষা। ভারত ও বাংলাদেশের মোট ২৫ কোটির বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন। বাংলা ভাষার অনেকগুলি উপভাষা আছে। তাদের মধ্যে প্রধান পাঁচটি হলো রাঢ়ী, বঙ্গালী, ঝাড়খণ্ডী, বরেন্দ্রী ও কামরূপী। এদের মধ্যে রাঢ়ী উপভাষার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে মান্য চলিত বাংলা। বাংলা ভাষার সহোদরা ভাষা হল অসমীয়া ও ওড়িয়া। এই দুই ভাষার সঙ্গে বাংলার সাদৃশ্য লক্ষ করার মতো। বাংলা ভাষা পৃথিবীর অন্যতম শ্রুতিমধুর ভাষা হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় বাংলা ভাষার গৌরবময় ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখার জন্য ইউটিউবে আমার চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন Ananya Pathak, তাহলেই চ্যানেলটি পাবেন।

রাষ্ট্রভাষা কাকে বলে

 রাষ্ট্রভাষা রাষ্ট্রভাষা বলতে বোঝায় কোনো দেশের সরকার দ্বারা স্বীকৃত ভাষা, যার সাহায্যে সরকারি কাজকর্ম পরিচালিত হয়। রাষ্ট্রভাষা মানে সেই দেশের নাগরিকদের সবার মুখের ভাষা নাও হতে পারে। কোনো দেশের রাষ্ট্রভাষা একাধিক‌ও হতে পারে। ভারতের রাষ্ট্রভাষা হিন্দি, এই ধারণাটি একটি ভুল ধারণা। ভারতের প্রধান ভাষাগুলির সবগুলিই সরকার ও সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত। 

প্লুতস্বর কাকে বলে

 প্লুতস্বর ইতিপূর্বে স্বরধ্বনির আলোচনাতে আমরা প্লুতস্বর বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই আলোচনায় প্লুতস্বর কাকে বলে উদাহরণ সহ একটু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। আসুন জেনে নিই প্লুতস্বর কাকে বলে।  প্লুতস্বর কাকে বলে যখন কোনো স্বরধ্বনিকে অতি দীর্ঘ রূপে উচ্চারণ করা হয়, তখন তাকে প্লুতস্বর বলে। যেমন: কাউকে দূর থেকে ডাকার জন্য ব্যবহৃত 'ওহেএএএএএএএ' শব্দে এ স্বরটি প্লুতস্বর। প্লুতস্বরকে লিখে প্রকাশ করার জন্য মূল স্বরটিকে পর পর কয়েকবার লেখা হয়। প্লুতস্বর বিভিন্ন মাত্রার হতে পারে, তবে কখনোই তিন মাত্রার কম নয়। তিন মাত্রার কমে প্লুতস্বর হয় না। যে প্লুতস্বর যত দীর্ঘ উচ্চারিত হয়, তার মাত্রা তত বেশি। প্লুতস্বর কোথায় ব্যবহৃত হয় প্লুতস্বর সাধারণত সঙ্গীতে ও আহ্বানে ব্যবহৃত হয়। সঙ্গীতে এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখার জন্য ইউটিউবে আমার চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন Ananya Pathak, তাহলেই চ্যানেলটি পাবেন।

সংখ্যা বর্ণ কী | বাংলা সংখ্যা বর্ণ কতগুলি | সংখ্যা বর্ণ কয়টি ও কি কি

 সংখ্যা-বর্ণ ও বাংলা সংখ্যা-বর্ণের সংখ্যা 'সংখ্যা বর্ণ' কথাটি শুনে অনেকেই হয়তো ঘাবড়ে যেতে পারেন। ভাবতে পারেন এটা আবার কী? আসলে বিষয়টি যত জটিল ভাবছেন, আদৌ তত জটিল নয়। সমস্ত ভাষাতেই বিভিন্ন ধরনের বর্ণ থাকে। তার মধ্যে প্রধান দুটি হল ধ্বনি-বর্ণ ও সংখ্যা-বর্ণ। বাংলা ভাষায় ধ্বনি-বর্ণ হল স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণগুলি। বিভিন্ন ভাষায় ধ্বনি-বর্ণের সংখ্যা আলাদা হলেও বেশিরভাগ ভাষাতেই সংখ্যা-বর্ণ ১০টি করেই থাকে। বাংলা ভাষাতেও সংখ্যা বর্ণ ১০টি। নিচে সংখ্যা বর্ণের সংজ্ঞা দেওয়া হলো। সংখ্যা বর্ণ কাকে বলে যে বর্ণগুলির দ্বারা কোনো ভাষায় সংখ্যার মান প্রকাশ করা হয়, সেগুলিকে বলা হয় সংখ্যা-বর্ণ।  যেমন: ১, ২, ৩, ৪ প্রভৃতি। বাংলা ভাষার সংখ্যা-বর্ণগুলি হল ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ (মোট দশটি)। এই দশটি বর্ণের দ্বারাই বাংলা ভাষায় সমস্ত সংখ্যাকে প্রকাশ করা হয়। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখার জন্য ইউটিউবে আমার চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন Ananya Pa

শব্দ কাকে বলে

 শব্দের সংজ্ঞা আমরা কথা বলার সময় কতকগুলো ধ্বনিকে উচ্চারণ করি। কিন্তু এখানে একটি কথা মনে রাখতে হবে, যে ধ্বনিগুলি অর্থ বহন করে না। ধ্বনিকে পাশাপাশি সাজিয়ে বিভিন্ন রকম গুচ্ছ বানানো হয়। সেই গুচ্ছগুলি এক-একটি এক-এক রকম অর্থ বহন করে (কদাচিৎ একটি ধ্বনিও অর্থ বহন করে, তবে এমন ধ্বনি সংখ্যায় খুব কম)। এইরূপ,  অর্থবহ ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে শব্দ বলে। নিচে উদাহরণ দিয়ে শব্দের সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করা হলো। ধ্বনিগুচ্ছ কী ভাবে শব্দ হয় উদাহরণ হিসেবে আমরা একটি শব্দ নেবো: সূর্য। এই শব্দের মধ্যে ধ্বনি আছে ৫টি -- স্, ঊ, র্, য্, অ। এই পাঁচটি ধ্বনি একা একা কোনো অর্থ প্রকাশ করছে না। কিন্তু এরা নির্দিষ্ট নিয়মে পর পর বসলে একটি অর্থ প্রকাশ করবে। আবার এই ধ্বনিগুলিকেই এলোমেলো করে সাজালে অর্থ আসবে না। যেমন: 'যূর্স' কথাটির কোনো অর্থ নেই, তাই এক‌ই ধ্বনি থাকা সত্ত্বেও 'সূর্য' একটি শব্দ হলেও 'যূর্স' কোনো শব্দ নয়। শব্দগুলি পদে পরিণত হয়ে বাক্য গঠন করে। 

লিখিত ভাষা কাকে বলে

 লিখিত ভাষা প্রতিটি উন্নত ভাষার‌ই অন্তত একটি লিখিত রূপ ও এক বা একাধিক মৌখিক রূপ পাওয়া যায়। যে ভাষার লিখিত রূপ নেই, সে ভাষাকে উন্নত ভাষা বা সমৃদ্ধ ভাষা বলা যায় না। নিচে লিখিত ভাষার সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ দেওয়া হলো। লিখিত ভাষার সংজ্ঞা ভাষার যে মান্য রূপটি কোনো ভাষাভাষী গোষ্ঠীর মানুষ সর্বসম্মতভাবে লেখার জন্য ব্যবহার করে, তাকে বলে লিখিত ভাষা বা লেখ্য ভাষা। মান্য চলিত ভাষা ও সাধু বাংলা ভাষা হল বাংলা ভাষার দুটি লিখিত রূপ।  লিখিত ভাষার বৈশিষ্ট্য ১: একটি লিখিত ভাষার একটিই রূপ থাকে।  ২: লিখিত ভাষা ব্যাকরণসম্মত হতে হয়। ৩: লিখিত ভাষা সুগঠিত হয়। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখার জন্য ইউটিউবে আমার চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন Ananya Pathak, তাহলেই চ্যানেলটি পাবেন।

শূন্য বিভক্তির অপর নাম

 শূন্য বিভক্তি মানে কি 'অ' বিভক্তি? শূন্য বিভক্তি বলতে বোঝায় চিহ্নহীন বিভক্তি, একে অস্তিত্বহীন বিভক্তিও বলা যায়। কিন্তু আজকাল কোনো কোনো ব‌ইয়ে শূন্য বিভক্তির অপর নাম 'অ' বিভক্তি বলে চালানো হচ্ছে। এই ধারণাটি শুধু যে ভুল, তাই নয়, হাস্যকর‌ও। আসুন দেখে নিই কী ভাবে ব্যাপারটিকে ব্যাখ্যা করা যায়। অ বলে কোনো বিভক্তি নেই। বাংলা ভাষায় শব্দের অন্ত্য অ সাধারণত লোপ পায়। লোপ পায় বলেই তা শূন্য নয়। এই দুটো বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। একটা ধ্বনিতাত্ত্বিক ব্যাপারকে বিভক্তির মতো আন্বয়িক একটি উপাদানের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলাটা নিতান্তই হাস্যকর। শব্দে শূন্য বিভক্তি থাকা মানেই যে অ বিভক্তি থাকা নয়, তা একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যায়। যেমন: তার বাক্ সহসা রুদ্ধ হল। -- এই বাক্যে 'বাক্' পদে শূন্য বিভক্তি আছে। এখন শূন্য = অ হলে বাক্ > বাক হয়ে যাবে। কারণ বাক্ + অ = বাক। কিন্তু বাস্তবে কি তা হয়? 'তড়িৎ', 'বিদ্যুৎ' বা 'ভবিষ্যৎ' শব্দে '

প্রত্যয়িত ভাষা কাকে বলে

 প্রত্যয়িত ভাষা তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনায় এই পরিভাষা ব্যবহৃত হয়। বাস্তবে অস্তিত্ব আছে, যে ভাষা আমাদের জ্ঞানের বৃত্তের মধ্যে রয়েছে, তাকে বলে প্রত্যয়িত ভাষা।  তবে মনে রাখতে হবে, প্রত্যয়িত ভাষা মানেই জীবন্ত ভাষা নয়। প্রত্যয়িত ভাষা জীবন্ত বা মৃত, দু ধরনের‌ই হতে পারে। মৌখিক ব্যবহার বা লিখিত নিদর্শন, যে কোনো একটি থাকলেই সেই ভাষাকে ভাষাবিজ্ঞানের পরিভাষায় প্রত্যয়িত ভাষা বলা হবে।  প্রত্যয়িত ভাষার উদাহরণ: বাংলা, সংস্কৃত, পালি, ল্যাটিন প্রভৃতি‌। প্রত্যয়িত ভাষার বিপরীত ধারণা হল প্রত্নভাষা। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখার জন্য ইউটিউবে আমার চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন Ananya Pathak, তাহলেই চ্যানেলটি পাবেন।

ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ | Dhoni poriborton examples in Bengali

 ধ্বনি পরিবর্তনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ স্বরসঙ্গতির উদাহরণ দেশি > দিশি, কুয়া > কুয়ো, বিলাতি > বিলিতি, উনান > উনুন, রামু > রেমো, গিলে > গেলে, শুন > শোনো, গফুর > গোফুর, অতি > ওতি।  অপিনিহিতির উদাহরণ করিয়া > ক‌ইর‌্যা, দেখিয়া > দেইখ্যা, আজি > আইজ, কালি > কাইল, সাধু > সাউধ। অভিশ্রুতির উদাহরণ দেইখ্যা > দেখে, ক‌ইর‌্যা > করে, ঘুরিয়া > ঘুইর‌্যা > ঘুরে।  স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্ষের উদাহরণ  ভক্তি > ভকতি, স্নান > সিনান, গ্লাস > গেলাস, শ্রী > ছিরি, জখ্‌ম্ > জখম, গর্জে > গরজে,  কর্ম > করম, হর্ষ > হরিষ, মুল্ক > মুলুক, শুক্রবার > শুক্কুরবার, ভদ্র > ভদ্দর, মিত্র > মিত্তির, চিত্র > চিত্তির, পুত্র > পুত্তুর (শেষ ৫টি উদাহরণকে অনেকেই সমীভবন বলে ভুল করে থাকেন। এগুলি সমীভবন নয়, স্বরভক্তি।) সমমুখ ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ ভণ্ড > ভাঁড় এবং ভাণ্ড > ভাঁড় পততি > পড়ে এবং পঠতি > পড়ে সহি > স‌ই এবং সখী > স‌ই বর্ণ বিপর্যয়ের উদাহরণ রিক্সা > রিস্কা, পিচাশ > পিশাচ, জানালা > জালান

শব্দদ্বৈত কাকে বলে | শব্দদ্বিত্ব কাকে বলে ও কত প্রকার

 শব্দদ্বৈত বাংলা ভাষায় যে কোনো ধরনের পদের‌ই দ্বিত্ব প্রয়োগ ঘটে থাকে। এটি বাংলা ভাষার এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। শব্দদ্বৈত বাংলা ভাষায় অর্থবৈচিত্র্য সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যেমন: 'বড় গাছ' বললে একটি গাছ বোঝায়, কিন্তু 'বড় বড় গাছ' বললে বহু সংখ্যক বড় গাছ বোঝায়।  এক‌ই শব্দের পর পর দু বার প্রয়োগ, সমার্থক বা প্রায় সমার্থক শব্দের যুগ্ম প্রয়োগ বা একটি শব্দের সাথে তার অনুকার শব্দের যুগ্ম প্রয়োগকে বলা হয় শব্দদ্বৈত। নিচে শব্দদ্বৈতের প্রকারভেদ ও উদাহরণ দেওয়া হলো। শব্দদ্বৈতের প্রকারভেদ শব্দদ্বৈত তিন ভাবে হয়ে থাকে। এক‌ই শব্দের দ্বৈত প্রয়োগে শব্দদ্বৈত যেমন: বড় বড় , হাজার হাজার, বছর বছর, সকাল সকাল, চোখে চোখে, নিবু নিবু, চোরে চোরে, ভাইয়ে ভাইয়ে, প্রভৃতি। সমার্থক বা প্রায় সমার্থক শব্দ যোগে শব্দদ্বৈত যেমন: রাস্তা ঘাট, জোগাড় যন্ত্র, হাঁড়ি কুঁড়ি, রাঁধা বাড়া, ধোওয়া মোছা, প্রভৃতি। অনুকার শব্দ যোগে শব্দদ্বৈত  যেমন: জল টল, বড় সড়, খাবার দাবার, ম

শব্দ কাকে বলে

 শব্দের সংজ্ঞা ও ধারণা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে শব্দ বলে।  ব্যাখ্যা: একটি ধ্বনিতে যদি একটি স্পষ্ট অর্থ প্রকাশ করে, তবে ওই ধ্বনিটি শব্দ হিসেবে গণ্য হবে। যেমন: বাংলা ভাষায় 'এ' ধ্বনিটি একাই একটি স্বাধীন অর্থ প্রকাশ করতে পারে (যেমন: এ আমার ভাই।)। এমন হলে একটি ধ্বনিতেই একটি শব্দ গঠিত হয়। তবে এমনটা খুব কম‌ই হয়। অধিকাংশ শব্দ‌ই একাধিক ধ্বনির সমষ্টি। যেমন: 'আমি' -- এই শব্দটির মধ্যে ধ্বনি রয়েছে তিনটি -- আ + ম্ + ই। আবার 'রবীন্দ্রনাথ' - এই শব্দটির মধ্যে ধ্বনি রয়েছে ১২টি -- র্ + অ + ব্ + ঈ + ন্ + দ্ + র্ + অ + ন্ + আ + থ্ + অ (উচ্চারণে শেষের অ-টি লোপ পায়)। শব্দ ছাড়া আরও এমন ধ্বনিসমষ্টি আছে, যারা অর্থ প্রকাশ করে, কিন্তু তাদের শব্দ বলে না। যেমন: ক্রিয়ার অর্থ প্রকাশ করে, এমন ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে ধাতু বলে। যেমন: চল্, বল্ , শুন্ , খা, প্রভৃতি। বাংলা শব্দের শ্রেণিবিভাগ বাংলা শব্দকে উৎস অনুযায়ী কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। এ সম

ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম | ভাব সম্প্রসারণ করার ৭ নিয়ম

 ভাব সম্প্রসারণ কাকে বলে? ভাব সম্প্রসারণ বলতে বোঝায় কোনো তাৎপর্যপূর্ণ কথাকে বিস্তারিত ভাবে বিশ্লেষণ করা। এই তাৎপর্যপূর্ণ কথাটি হতে পারে কোনো কবিতার লাইন, কোনো প্রবাদ বা মনীষীদের উদ্ধৃতি। আসুন জেনে নিই ভাব সম্প্রসারণ করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম, যেগুলি মনে রাখলে ভাব সম্প্রসারণ করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। ভাব সম্প্রসারণ করার নিয়ম (উদাহরণ সহ) ১: প্রথমে ভাব সম্প্রসারণের উদ্ধৃতিটি ভালো করে পড়তে হবে। পড়ার উদ্দেশ্য হলো উদ্ধৃতির মূল ভাবটি বুঝে নেওয়া। ২: মূল ভাবটি বোঝার জন্য উদ্ধৃতিটির সঙ্গে মানবজীবন ও মানবসমাজের সম্পর্ক খুঁজে বের করতে হবে। এই বিষয়টি একটি উদাহরণের মাধ্যমে বোঝাতে চেষ্টা করছি। যেমন: "কে ল‌ইবে মোর কার্য?" কহে সন্ধ্যা রবি  শুনিয়া জগৎ রহে নিরুত্তর ছবি মাটির প্রদীপ ছিল, সে কহিল "স্বামী,  আমার যেটুকু সাধ্য, করিব তা আমি।" এখানে আপাত দৃষ্টিতে সূর্য ও মাটির প্রদীপের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ভাব সম্প্রসারণের বিষয় সব সময় মানব জীবন বা মানব সমাজের সাথে যুক্ত হয়। তাহলে এখানে সূর্য আসলে কে? একটু ভাবলেই বোঝা যাবে। এখানে অস্তাচলগামী সূর্যকে মানব সমাজের মহান কর্মবীর মহাপু

স্বরধ্বনির উচ্চারণ স্থান

 উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী স্বরধ্বনির শ্রেণিবিভাগ স্বরধ্বনিকে উচ্চারণ করার সময় শ্বাসবায়ু যেহেতু কোথাও বাধা পায় না, তাই সাধারণ ভাবে এদের উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ভাগ করা হয় না, মুখগহ্বরের আকার আকৃতি অনুসারেই ভাগ করা হয়ে থাকে। তবু বাগ্‌যন্ত্রের যে স্থানটি একটি স্বরের উচ্চারণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, সেই স্থান অনুসারে স্বরের উচ্চারণ স্থান নির্ণয় করা হয়। নিচে এই অনুসারে বাংলা স্বরগুলির উচ্চারণ স্থান নির্দেশ করা হলো। অ, আ, অ্যা - কণ্ঠ্য ই, (এবং ঈ)-- তালব্য ঋ -- মূর্ধণ্য (বাংলায় নেই) উ (এবং ঊ) -- ওষ্ঠ্য এ, ঐ -- কণ্ঠ্য-তালব্য ও, ঔ -- কণ্ঠৌষ্ঠ্য আরও পড়ুন স্বরধ্বনির বর্গীকরণ

ক্রিয়াজাত বিশেষণ | ক্রিয়াবাচক বিশেষণ

 ক্রিয়াজাত বিশেষণের ধারণ বাংলা ভাষায় ক্রিয়াজাত বিশেষণের ধারণাটি নিয়ে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা আছে। বিশেষত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এটি নিয়ে পরিষ্কার ধারণার খুব অভাব আছে। ফলে তারা ব্যাকরণের বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা ভালো ভাবে বুঝতে পারে না। আজকের আলোচনায় ক্রিয়াজাত বিশেষণ সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।  প্রথমেই বেশ কয়েকটি উদাহরণ নিয়ে চেনার চেষ্টা করবো কোনগুলি ক্রিয়াজাত বিশেষণ। ১: তোমার খাওয়া থালায় আমি খাবো। ২: দেখা সিনেমাটা আবার দেখছি। ৩: পড়া ব‌ই দু বার করে পড়ছি। ৪: তোমাকে প্রদত্ত টাকার অর্ধেক দেওয়া হয়েছে। ৫: বিক্রীত দ্রব্য ফেরত হয় না। ৬: বর্জ্য পদার্থ থেকে রোগ হয়। ৭: তোমার দেওয়া কলমটা হারিয়ে গেছে। ৮: তোমার বলা কথাটা সত্যি হলো। ৯: ফেলে দেওয়া জিনিস কুড়িয়ে রেখেছি। ১০: আমার শেখানো কথাটা মনে রাখবে। উপরের উদাহরণগুলোতে দাগ দেওয়া পদগুলি বিশেষণ। এগুলি কোনো না কোনো ক্রিয়া থেকে এসেছে। বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে এদের মধ্যে একটি ধাতু আর একটি প্রত্যয় রয়েছে।  যেমন: শেখানো = √শেখা + আনো, ফেলে দেওয়া = √ফেলে দে (যৌগিক ধাতু) + আ, বলা = √বল্ + আ প্রভৃতি।  ক্রিয়াজাত বিশেষণ চে

বিবৃতিমূলক বাক্য কত প্রকার | নির্দেশক বাক্য কত প্রকার

  নির্দেশক বাক্য নির্দেশক বাক্যের অপর নাম বিবৃতিমূলক বাক্য। যে বাক্যের দ্বারা কোনো কিছুর সাধারণ বিবৃতি বা বিবরণ দেওয়া হয়, তাকে নির্দেশক বাক্য বা বিবৃতিমূলক বাক্য বলে। নিচে বিবৃতিমূলক বাক্যের‌ শ্রেণিবিভাগ উদাহরণ সহ আলোচনা করা হলো। বিবৃতিমূলক বাক্য বা নির্দেশক বাক্য কত প্রকার? বিবৃতিমূলক বাক্য দুই প্রকার: ইতিবাচক ও নেতিবাচক। ১: ইতিবাচক বা হ্যাঁ বাচক বা অস্ত্যর্থক বাক্য: এই বাক্যের মধ্যে ইতিবাচক ভাব বা হ্যাঁ বাচক ভাব প্রকাশিত হয়।  যেমন: আমি স্কুলে গিয়েছিলাম। সে আজ আসবে। তুমি আমাকে ফোন করেছিলে। বাবা আজ বাড়ি ফিরবে।  ২: নেতিবাচক বা না বাচক বা নঞর্থক বা নাস্ত্যর্থক বাক্য: এই বাক্যের মধ্যে না-বাচক ভাব প্রকাশ পায়। এই ধরনের বাক্যে না-বাচক পদ থাকে। যেমন: আমি স্কুলে যাইনি। সে আজ আসবে না। তুমি আমাকে ফোন করোনি। বাবা আজ বাড়ি ফিরবে না। এই প্রসঙ্গে একটি কথা মনে রাখতে হবে: শুধুমাত্র বিবৃতিমূলক বাক্যের‌ই হ্যাঁ বাচক ও না বাচক ভাগ আছে, এমন নয়। অন্য সব ধরনের বাক্যের‌ই এই ভাগ দুটি রয়েছে। অর্থাৎ প্রশ্নবাচক, অনুজ্ঞাবাচক প্রভৃতি বাক্যের‌ও ইতিবাচক-নেতিবাচক ভাগ রয়েছে।  যেমন: তুমি কি আজ আসবে না?

অর্থগত ভাবে বাক্য কত প্রকার

 বাক্যের অর্থগত শ্রেণিবিভাগ বাংলা ব্যাকরণে অর্থের বিচারে বাক্যকে সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে।  যথা ১: নির্দেশক বাক্য: এই বাক্যের দ্বারা  সাধারণ বিবৃতি বোঝায়। ২: প্রশ্নসূচক বাক্য: এই বাক্যের দ্বারা প্রশ্ন বোঝায়। ৩: অনুজ্ঞাসূচক বাক্য : এই বাক্যের দ্বারা আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ বোঝায়। ৪: প্রার্থনা বা ইচ্ছাসূচক বাক্য: এই বাক্যের দ্বারা ইচ্ছা বা প্রার্থনা বোঝায়। ৫: বিস্ময় বা আবেগসূচক বাক্য: এই বাক্যের দ্বারা মনের আবেগ প্রকাশিত হয়। ৬: সন্দেহবাচক বাক্য: এই বাক্যের দ্বারা সন্দেহ প্রকাশিত হয়। ৭: কার্যকারণাত্মক বাক্য বা শর্তসাপেক্ষ বাক্য: এই বাক্যের দ্বারা কার্যকারণ সম্পর্ক বা শর্ত প্রকাশ পায়।  উপরের সাত প্রকার শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন বাক্যের বিস্তারিত আলোচনা ।  এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো যে, ইংরেজি ব্যাকরণে বাক্যকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়। শেষ দুটি ভাগ ইংরেজিতে নেই। আগে বাংলাতেও এই দুটি ভাগ আলোচনা করা হতো না। আধুনিক কালে সন্দেহবাচক ও শর্তসাপেক্ষ বাক্যকে আলাদা শ্রেণি হিসেবে আলোচনায় করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ্ এই সাত প্রকার শ্রেণিবিভাগ স্বীকার করেছে।  

আভিধানিক শব্দ কাকে বলে

 আভিধানিক শব্দ 'আভিধানিক' কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল 'অভিধান বিষয়ক' বা 'অভিধান-সম্পর্কিত'। অভিধান বা ডিকশনারিতে খুঁজলে যে শব্দের অর্থ পাওয়া যায়, তাকে আভিধানিক শব্দ বলে। এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো। কেউ কেউ ভাবতে পারেন অভিধানে তো সব শব্দ‌ই থাকে, সব শব্দের অর্থ‌ও দেওয়া থাকে। তার মানে শব্দ মাত্র‌ই আভিধানিক শব্দ। তাহলে এ বিষয়ে আলাদা করে আলোচনা করার দরকারটা কী? এর কারণ নিচে আলোচনা করা হলো এবং উদাহরণের মাধ্যমে বোঝানো হলো। আসলে এই ধারণাটি ভুল। অভিধানে সব শব্দ স্থান পায়, এটা ঠিকই, কিন্তু সব শব্দের অর্থ দেওয়া থাকে না। কিছু শব্দের অর্থ বলা যায় না, বা লেখা যায় না। যেমন অনুসর্গ।  অনুসর্গগুলি অভিধানে থাকলেও এদের পাশে কোনো অর্থ লেখা থাকে না। তাই এরা অভিধানে থাকলেও আভিধানিক শব্দ নয়। তবে এ কথা ঠিক যে, ভাষায় ব্যবহৃত অধিকাংশ শব্দ‌ই আভিধানিক শব্দ। আভিধানিক শব্দের উদাহরণ অনেক দেওয়া যায়। যেমন: মানুষ, পৃথিবী, আকাশ, জল, সমুদ্র, ভালো, সুন্দর, শ্রেষ্ঠ, পড়াশোন

অযোগবাহ বর্ণ কাকে বলে

 অযোগবাহ বর্ণ অনুস্বার (ং) ও বিসর্গ (ঃ) বর্ণদুটিকে অযোগবাহ বর্ণ বলা হয়। এদের অযোগবাহ কেন বলা হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন: এই দুই ব্যঞ্জনের সাথে স্বর ও ব্যঞ্জনের কোনো যোগ নেই, এরা যেন বর্ণমালার বাইরে, অথচ এদের দ্বারা উচ্চারণের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নির্বাহিত হয়, তাই এরা অযোগবাহ।  এদের মধ্যে অনুস্বার হল ঙ এর রূপভেদ এবং বিসর্গ হল হ ধ্বনির অঘোষ রূপ।    অযোগাবাহ বর্ণের অপর নাম কী অযোগবাহ বর্ণগুলির অপর নাম আশ্রয়স্থানভাগী। এরা পূর্ববর্তী স্বরের আশ্রয় ছাড়া উচ্চারিত হয় না। অন্য ব্যঞ্জনের আগে বা পরে, একটি স্বর থাকলেই তাকে উচ্চারণ করা যায়। কিন্তু এই দুই ব্যঞ্জনের আগেই স্বর থাকতে হবে, পরে থাকলে হবে না এবং এদের নিজস্ব উচ্চারণ স্থান নেই, আশ্রয়দাতা স্বরের উচ্চারণ স্থানেই এদের উচ্চারণ হয়, তাই এদের এমন নাম হয়েছে। পূর্ববর্তী স্বরের আশ্রয়ে উচ্চারিত হবার কারণেই আশ্রয়স্থানভাগী ব্যঞ্জন দিয়ে কোনো শব্দ শুরু হয় না। FAQ প্রশ্নঃ অযোগবাহ বর্ণ কোনগুলি? উঃ অনুস্বার ও বিসর্গ, এই দুটি বর্ণ অযোগবাহ বর্ণ। প্রশ্নঃ অযোগবাহ বর্ণকে আশ্রয়স্থান

ধ্বনি ও বর্ণ বিষয়ে প্রশ্নোত্তর

 প্রশ্নোত্তরে ধ্বনি ও বর্ণ এই আলোচনায় ধ্বনি ও বর্ণ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর আলোচনা করা হলো। প্রয়োজন অনুসারে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের সাথে প্রয়োজনীয় উদাহরণ দেওয়া হলো। স্পর্শ বর্ণ কাকে বলে যে ব্যঞ্জনকে উচ্চারণ করার সময় বাগ্‌যন্ত্রের উচ্চারক অঙ্গ একটি উচ্চারণ স্থানকে স্পর্শ করার মাধ্যমে শ্বাসবায়ুর গতিপথে পূর্ণ বাধা সৃষ্টি করে এবং শ্বাসবায়ু সেই বাধা অতিক্রম করে প্রবাহিত হয়, তাকে স্পর্শব্যঞ্জন বলে। স্পর্শব্যঞ্জনের লিখিত রূপকেই বলে স্পর্শ বর্ণ।  যেমন: ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ (ক থেকে ম পর্যন্ত)। অল্পপ্রাণ বর্ণ কাকে বলে যে ব্যঞ্জনকে উচ্চারণ করার সময় অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণ শ্বাসবায়ু নির্গত হয়, তাদের অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জন বলে। অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনের লিখিত রূপকে অল্পপ্রাণ বর্ণ বলে। যেমন: ক, গ, চ, ট, ত, দ প্রভৃতি‌। মহাপ্রাণ বর্ণ কাকে বলে  যে ব্যঞ্জনকে উচ্চারণ করার সময় অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণ শ্বাসবায়ু নির্গত হয় তাদের মহাপ্রাণ ব্যঞ্জন বলে। মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনের লিখিত রূপকে মহাপ্রাণ বর্ণ বলে। যেমন: খ, ঘ ,ঝ, ঢ, ফ, ভ প্রভৃতি‌।  স্বরধ্বনি ও স্বরবর্ণের পার্থক্য ১) স্বরধ্বনি হল উচ্চারণয

বর্গীয় বর্ণ কাকে বলে

ছবি
 বর্গীয় বর্ণ বাংলা ব্যঞ্জনের উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ করার সময় আমরা বলেছি যে, বর্ণমালার ক থেকে ম পর্যন্ত পঁচিশটি বর্ণকে বর্গীয় বর্ণ বলা হয়। আজকের আলোচনায় আমরা বিস্তারিত জানবো বর্গ কী, গণিতের বর্গের সঙ্গে ব্যাকরণের বর্গের সম্পর্ক, বর্গীয় বর্ণ কাকে বলে, কেন এদের বর্গীয় বলে এবং এদের অন্য আর কী পরিচয় আছে।  অঙ্কের বর্গ ও বর্গীয় বর্ণ বাংলা ব্যাকরণ ছাড়াও 'বর্গ' কথাটি আমরা গণিত শাস্ত্রে পাই। কোনো সংখ্যাকে সেই সংখ্যা দিয়ে গুণ করলে যে গুণফল পাওয়া যায়, তাকে মূল সংখ্যার বর্গ বলে। যেমন: ৪ এর বর্গ ১৬ (বা ৪×৪=১৬)। আবার যে আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান, তাকেও বর্গক্ষেত্র বলে। আসলে ব্যাকরণের বর্গের ধারণাটি গণিতের বর্গের  ধারণা থেকেই এসেছে। নিচে ক থেকে ম পর্যন্ত  বর্ণগুলির সজ্জা ভালো করে লক্ষ করুন, বর্ণগুলি বর্গাকারে সাজানো আছে। আড়াআড়ি ও লম্বালম্বিভাবে গুনলে দু দিক থেকেই ৫টি বর্ণ পাওয়া যাবে। এই কারণে এদের বর্গীয় ব্যঞ্জন বলা হয়। বর্গীয় ব

পূরক ধ্বনি কাকে বলে

 পূরক ধ্বনি  যদি দুটি ধ্বনির সুস্পষ্ট স্বতন্ত্র উচ্চারণ না থাকে, অথচ পরস্পর পরিপূরক অবস্থানে থাকে, অর্থাৎ একে অপরের স্থানে ব্যবহৃত না হয়, তাহলে তাদের বলা হয় এক‌ই স্বনিমের অন্তর্গত দুটি উপধ্বনি বা পূরক ধ্বনি (Allophone)।  পূরক ধ্বনি নির্ণয় করার জন্য ন্যূনতম শব্দজোড়কেই ব্যবহার করা হয়। নিচে পূরক ধ্বনির উদাহরণ দেওয়া হল। পূরক ধ্বনির উদাহরণ বাংলা ভাষায় কয়েকটি পূরক ধ্বনির উদাহরণ হল,  ই-ঈ , উ-ঊ এবং শ্-ষ্-স্। এ ছাড়া ঙ্-অনুস্বার ও হ্-বিসর্গ‌ও পূরক ধ্বনি।  ব্যাখ্যা উ এবং ঊ বাংলা ভাষায় পূরক ধ্বনি, কারণ এই দুটি ধ্বনির সুস্পষ্ট আলাদা উচ্চারণ বাংলা ভাষায় নেই। কিন্তু একটি শব্দে উ এবং ঊ -এর মধ্যে যে কোনোটি ব্যবহার করা যাবে না।

ক্রিয়া বিশেষণ কাকে বলে

 ক্রিয়াবিশেষণ আমরা জানি বিশেষণ পদের কাজ হল অন্য পদকে বিশেষিত করা, অন্য পদ সম্পর্কে কিছু বলা। বিশেষণ পদ যে কোনো পদ সম্পর্কেই বলতে পারে। যেমন: বিশেষ্য, সর্বনাম, ক্রিয়া ইত্যাদি। বিশেষণ পদটি যে পদ সম্পর্কে কিছু বলে, সেই পদের নাম অনুসারে বিশেষণ পদটির নাম হয়। যেমন: কোনো একটি বিশেষণ যদি সর্বনাম পদ সম্পর্কে কিছু বলে, তাহলে তাকে বলা হয় সর্বনামের বিশেষণ। ঠিক এক‌ই ভাবে: যে বিশেষণগুলি ক্রিয়াপদকে বিশেষিত করে বা ক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলে, তাদের বলে ক্রিয়া বিশেষণ বা ক্রিয়ার বিশেষণ। নিচে উদাহরণের সাহায্যে ক্রিয়া বিশেষণ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হলো। ক্রিয়া বিশেষণের উদাহরণ নিচে অনেকগুলি ক্রিয়াবিশেষণের উদাহরণ দেওয়া হলো। সাধারণত ক্রিয়াকে 'কীভাবে' দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তরে ক্রিয়াবিশেষণটি পাওয়া যায়, তবে সব সময় তা নাও হতে পারে। ১: গাড়িটি জোরে ছুটছে। ২: তুমি একটু আস্তে হাঁটো। ৩: ছেলেটি খুব পরিশ্রম করেছে। ৪: তুমি একটুও খেলে না। ৫: আমি প্রথমে এসেছি। ৬: পুরো রাস্তা হেঁটে এলাম। ৭: ছেলেটি কেঁদে কেঁদে অনুরোধ করল। ৮: লোকটি নাচতে নাচতে এল। ৯: হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। ১০

আলংকারিক কর্তা কাকে বলে | আলঙ্কারিক কর্তা

 আলংকারিক কর্তা কোনো কোনো ব্যাকরণবিদ আলংকারিক কর্তা নামে কর্তৃ কারকের একটি নতুন শ্রেণিবিভাগের কথা বলছেন। বাক্যকে সুন্দর করার স্বার্থে অনেক সময় জড় বস্তুতে প্রাণধর্ম আরোপ করে সেই জড়কে কর্তা রূপে ব্যবহার করা হয়। এমন হলে সেই কর্তাকে বলা হয় আলংকারিক কর্তা। নিচে আলংকারিক কর্তার উদাহরণ সহ বিষয়টি বোঝানো হল। আলংকারিক কর্তার উদাহরণ ১: আকাশ কেন ডাকে? -- আকাশ ২: প্রকৃতি ডাক দিয়েছে। -- প্রকৃতি ৩: চাঁদ হাসছে। -- চাঁদ ৪: মেঘের কোলে রোদ হেসেছে। -- রোদ ৫: পাহাড় শিখায় তাহার সমান, হ‌ই যেন ভাই মৌন মহান।-- পাহাড় ৬: চিতাকাঠ ডাকে : আয় আয়। -- চিতাকাঠ লক্ষণীয় বিষয় হল আলংকারিক কর্তা সাধারণত কবিতা ও গানেই দেখা যায়। এর কারণ গান ও কবিতাতেই অলংকারের প্রয়োগ হয়, সৌন্দর্য সৃষ্টির প্রয়োজন হয়। আলংকারিক কর্তা সাধারণত জড় বস্তু হয় এবং অলংকরণের উদ্দেশ্যে তাতে প্রাণসঞ্চার করা হয়। আলংকারিক কর্তা ও সাধন কর্তার মধ্যে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। সাধন কর্তাও জড় বস্তু হয়, আলংকারিক কর্তাও জড় বস্তু হয়, কিন্তু সাধন কর্তা প্রকৃতপক্ষে করণ হয়, আলংকারিক কর্তা তা হয় না। আলংকারিক কর্তায় জড় বস্তুতে প্রাণধর্

উদ্বৃত্ত স্বর কাকে বলে

 উদ্বৃত্ত স্বর প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষায় বিবর্তনের সময় অনেক ক্ষেত্রে দুটি স্বরের মধ্যবর্তী স্পর্শ ব্যঞ্জন লুপ্ত হলেও ঐ ব্যঞ্জনের সাথে লগ্ন স্বরটি লুপ্ত হয়নি। এই স্বরটিকেই বলে উদ্বৃত্ত স্বর। নিচে উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে দেখানো হল। উদ্বৃত্ত স্বরের উদাহরণ মধু > ম‌উ, বধূ > ব‌উ, ঘৃত > ঘিঅ, এই উদাহরণগুলিতে দুটি স্বরের মধ্যবর্তী ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেয়েছে, কিন্তু শেষের স্বরটি রয়ে গেছে। ঐ থেকে যাওয়া স্বরটিই উদ্বৃত্ত স্বর। এই উদ্বৃত্ত স্বর মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার একটি সাধারণ ধর্ম। সব মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষাতেই কম বেশি উদ্বৃত্ত স্বর দেখা যায়। নব্য ভারতীয় আর্য ভাষায় এসে এই উদ্বৃত্ত স্বর কোথাও লোপ পেয়েছে, কোথাও বা রয়ে গেছে, কোথাও পরিবর্তিত হয়েছে।

সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য কোন পদে বেশি দেখা যায়

 সাধু ও চলিতের মূল পার্থক্য সাধু ও চলিত ভাষা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা  আগেই করেছি। এই দুই ভাষার পার্থক্য‌ও আলোচনা করেছি। এখন জানা দরকার, সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য কোন পদে বেশি দেখা যায়। বাক্যে যে পাঁচ প্রকার পদ ব্যবহৃত হয়, তার মধ্যে সর্বনাম পদ ও ক্রিয়া পদে সাধু ও চলিতের মূল পার্থক্য দেখা যায়। তবে এই দুটি পদ ছাড়া অনুসর্গেও সাধু ও চলিতের পার্থক্য অত্যন্ত প্রকট। অন্য পদগুলিতে ততটা পরিবর্তন হয় না। আসুন একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে জেনে নিই। সাধু চলিতের মূল পার্থক্য কোন পদে বেশি দেখা যায়, তার উদাহরণ চলিত: যারা খেলার মাঠ থেকে এখনও ফেরেনি, তাদের খোঁজ করার জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। সাধু: যাহারা খেলার মাঠ হ‌ইতে এখন‌ও ফেরে নাই, তাহাদের খোঁজ করিবার নিমিত্ত লোক পাঠানো হ‌ইয়াছে। রূপান্তরিত পদগুলি হল:  যারা > যাহারা -- সর্বনাম থেকে > হ‌ইতে -- অনুসর্গ ফেরেনি > ফেরে নাই -- ক্রিয়া তাদের > তাহাদের -- সর্বনাম খোঁজ করার > খোঁজ করিবার -- ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য জন্য > নিমিত্ত -- অনুসর্গ পাঠানো হয়েছে > পাঠানো হ‌ইয়াছে -- ক্রিয়া উপরের উদাহরণটি দেখে নিশ্চয়ই বোঝা য

অশুদ্ধি সংশোধন

 শুদ্ধ বানানের তালিকা বানান ভুল লেখা একদিকে যেমন অসম্মানজনক, অপরদিকে তেমনি ক্ষতিকর। ভুল বানানের কারণে অনেক সময়ই আমাদের নাম্বার কাটা যায়। লিখিত পরীক্ষায় ভালো স্কোর করার জন্য বানান শুদ্ধ লিখতেই হবে। আজকের আলোচনায় এমন‌ই কিছু বানান তুলে ধরবো, যেগুলি আমরা প্রায়‌ই ভুল লিখি। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই বানানগুলি। প্রতিটি বানানের ব্যাখ্যা ব্র্যাকেটে সংক্ষিপ্ত আকারে দিয়ে দিলাম। অশুদ্ধ বানানগুলি ইচ্ছে করেই এখানে রাখলাম না, কারণ অশুদ্ধ বানান চোখে দেখলে মনে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুধুমাত্র শুদ্ধ বানান চোখে পড়লে শুদ্ধটি মনে থাকার সম্ভাবনা বেশি। অত্যধিক (অতি + অধিক) অহোরাত্র (অহঃ + রাত্রি) মনোযোগ (মনঃ + যোগ) প্রতিযোগিতা/সহযোগিতা ('তা' যোগে স্বরের হ্রাস) আকাঙ্ক্ষা (হিন্দি উচ্চারণ স্মরণীয়) বৈশিষ্ট্য (বিশিষ্ট + ষ্ণ্য) বৈচিত্র্য (বিচিত্র + ষ্ণ্য) উৎকর্ষ (উৎকর্ষতা বলে কিছু নেই) উচ্ছ্বাস (উদ্ + শ্বাস) গীতাঞ্জলি (অঞ্জলি বানানে ই হয়) ঘনিষ্ঠ (ইষ্ঠ প্রত্যয়, ইষ্ট নয়) জাত্যভিমান, অনুমত্যনুসারে (ই + অ = য-ফলা) দুর্গা (দুর্ উপসর্গ আছে) পৌরোহিত্য (পুরোহিত শব্দের ও-কার থাকবে) ভৌগোলিক (ভূগোলের ও

প্রত্যয়ের কাজ কী

 প্রত্যয়ের কাজ প্রত্যয় হল এক প্রকার ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ। এদের স্বাধীন অর্থ নেই, কিন্তু অর্থের বোধ বা প্রতীতি জাগাতে পারে। তাই এদের প্রত্যয় বলে। প্রত্যয়গুলি ধাতু বা শব্দ-প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ বা ধাতু গঠন করে। সুতরাং প্রত্যয়ের কাজ হল প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন নতুন শব্দ ও নতুন নতুন ধাতু তৈরি করা। যে সব প্রত্যয় শব্দ তৈরি করে, তারা দুই ভাগে বিভক্ত: কৃৎ প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়। যে প্রত্যয়গুলি ধাতু তৈরি করে, তাদের বলে ধাত্ববয়ব ।   জেনে নিন প্রকৃতি কাকে বলে।

স্বরবর্ণ কাকে বলে

 স্বরবর্ণ "স্বরবর্ণ কাকে বলে", এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে । ভাষায় বর্ণের সংজ্ঞা আলাদা ভাবে দেওয়া যায় না। তাই আগে ধ্বনির সংজ্ঞা দিয়ে, তার পর বর্ণের সংজ্ঞা দিতে হয়। এক্ষেত্রে লিখতে হবে: যে ধ্বনিকে উচ্চারণ করার জন্য শ্বাসবায়ুকে বাগ্‌যন্ত্রের কোথাও বাধা দিতে হয় না, তাকে স্বরধ্বনি বলে এবং স্বরধ্বনির লিখিত সংকেতকে স্বরবর্ণ বলে। বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ আছে ১১টি, কিন্তু মৌলিক স্বরধ্বনি আছে ৭টি। 

প্রত্যয়-নিষ্পন্ন শব্দ কাকে বলে

 প্রত্যয়-নিষ্পন্ন শব্দ ধাতু বা শব্দের সাথে প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দকে বলে প্রত্যয়-নিষ্পন্ন শব্দ। নিচে উদাহরণ দেওয়া হল। প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দ কয় প্রকার নিষ্পন্ন কথার অর্থ হল উৎপন্ন। প্রত্যয়ের সাহায্যে যে শব্দের নিষ্পত্তি ঘটে, তাই প্রত্যয়-নিষ্পন্ন। প্রত্যয়-নিষ্পন্ন শব্দ দুই প্রকার: কৃদন্ত শব্দ ও তদ্ধিতান্ত শব্দ। ধাতুর সঙ্গে যুক্ত প্রত্যয়কে বলে কৃৎ প্রত্যয় ও শব্দের সাথে যুক্ত প্রত্যয়কে বলে তদ্ধিত প্রত্যয়। কৃৎ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দকে বলে কৃদন্ত শব্দ, তদ্ধিত প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দকে বলে তদ্ধিতান্ত শব্দ। প্রত্যয়-নিষ্পন্ন শব্দের উদাহরণ √গম্+অনট্ = গমন √দৃশ্ + ক্তি = দৃষ্টি √ভূ + ক্ত = ভূত রাম + ষ্ণায়ন = রামায়ণ রাবণ + ষ্ণি = রাবণি কৈকেয়ী + ষ্ণেয় = কৈকেয়

TET Bengali model question

ছবি
 টেট বাংলা মডেল প্রশ্ন ও উত্তর নিচের কবিতাটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও এখানে বৃষ্টিমুখর লাজুক গাঁয়ে এসে থেমে গেছে ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা, সবুজ মাঠের পথ যায় পায়ে পায়ে পথ নেই , তবু এখানে যে পথ হাঁটা। জোড়া দিঘি তার পাড়েতে তালের সারি দূরে বাঁশঝাড়ে আত্মদানের সাড়া, পচা জল আর মশায় অহংকারী নীরব এখানে অমর কিষাণপাড়া। এ গ্রামের পাশে মজা নদী বারো মাস বর্ষায় আজ বিদ্রোহ বুঝি করে, গোয়ালে পাঠায় ইশারা সবুজ ঘাস এ গ্রাম নতুন সবুজ ঘাগরা পরে। রাত্রি এখানে স্বাগত সন্ধ্যা শাঁখে কিষানকে ঘরে পাঠায় যে আল-পথ; বুড়ো বটতলা পরস্পরকে ডাকে সন্ধ্যা এখানে জড়ো করে জনমত। দুর্ভিক্ষের আঁচল জড়ানো গায়ে এ গ্রামের লোক আজো সব কাজ করে, কৃষক-বধূরা ঢেঁকিকে নাচায় পায়ে প্রতি সন্ধ্যায় দীপ জ্বলে ঘরে ঘরে। রাত্রি হলেই দাওয়ার অন্ধকারে ঠাকুমা গল্প শোনায় যে নাতনিকে, কেমন করে সে অকালেতে গতবারে, চলে গেল লোক দিশাহারা দিকে দিকে। ১. কবিতাটিতে কার কার কথা বলা হয়েছে? ক) প্রকৃতি  খ)মানুষের  গ)গ্রামের   ঘ)প্রকৃতি ও মানুষের উঃ প্রকৃতি ও মানুষের। ২. কবিতাটিতে কোন পাড়ার কথা বলা হয়েছে? ক) কুমোর পাড়া  খ)কিষাণ পাড়া  গ

SLST Bengali PDF notes | SLST Bengali Preparation

  স্কুল সার্ভিস বাংলা বিষয়ের নোটস By অনন্য পাঠক এই পোস্টটি বিশেষ ভাবে তৈরি করলাম স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার্থীদের বাংলা সাবজেক্ট ও টেট পিটির কিছু নমুনা পিডিএফ দিয়ে প্রশ্নপত্র সম্পর্কে একটা ধারণা দেওয়ার জন্য। নিচে পিডিএফগুলি ডাউনলোড করার লিংক দেওয়া আছে। মনসামঙ্গল PDF সাজ ভেসে গেছে PDF সাহিত্যের ইতিহাস Practice Set বাংলা মেথড নমুনা প্রশ্নোত্তর (এই বিষয়ের প্রশ্ন এম.সি.কিউ. হবে, কিন্তু প্রস্তুতির সুবিধার্থে এস.এ.কিউ. নোটস বানানো হয়েছে।) বিভিন্ন সময় আরও নোটস পাওয়ার জন্য আমার টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন ।

দ্বিস্বর ধ্বনি কাকে বলে

ছবি
 দ্বিস্বর দ্বিস্বর কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল 'দ্বি স্বরের সমাহার'। আমরা জানি ভাষায় দুই প্রকার ধ্বনি (বিভাজ্য ধ্বনি) থাকে -- স্বর ও ব্যঞ্জন। স্বরগুলি একে অন্যের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন স্বর গঠন করতে পারে। এইভাবে একাধিক স্বরের মিলনে গঠিত স্বরকে যৌগিক স্বর বলে। তবে মনে রাখতে হবে সমস্ত যৌগিক স্বর‌ই দ্বিস্বর নয়। দুটি স্বরের যোগে গঠিত যৌগিক স্বরকে দ্বিস্বর ধ্বনি বলে। দ্বিস্বর ধ্বনির উদাহরণ ও এর সম্পর্কে আরও কিছু কথা নিচে বলা হলো। দ্বিস্বর ধ্বনির উদাহরণ বাংলা বর্ণমালায় দুটি দ্বিস্বরকে স্থান দেওয়া হয়েছে: ঐ, ঔ। এই দুটি ছাড়াও আরও অনেক দ্বিস্বর ধ্বনি আমাদের ভাষায় ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তাদের জন্য আলাদা বর্ণ নেই। যে দুটি স্বরের যোগে তারা গঠিত হয়, সেই দুটি স্বরকে পাশাপাশি লিখে তাদের বোঝানো হয়। যেমন: এই, আই, উই, আই, আউ ইত্যাদি। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বাংলা ভাষায় এমন ২৫টি যৌগিক স্বরের ব্যবহার লক্ষ করেছেন। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো 'খাই', 'তুই', 'সেই' প্রভৃতি শব্দে যে দুটি স্বর আছে, তার

শব্দ বিভক্তি কত প্রকার ও কী কী

 শব্দবিভক্তির শ্রেণিবিভাগ আমরা জানি, যে বিভক্তি শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে শব্দকে পদে পরিণত করে, তাকে শব্দবিভক্তি বলে। বাংলা ভাষায় শব্দবিভক্তিগুলি পদ দেখেই চিনতে পারা যায়। বাংলায় তাই শব্দ-বিভক্তির আলাদা করে নামকরণ করা হয় না। বিভক্তির চিহ্নটিই তার নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন: "ছেলেটিকে কাছে ডাকো।" -- এই বাক্যে 'ছেলেটিকে' পদের বিভক্তি হল 'কে' বিভক্তি। কিন্তু সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুসরণে এখনও কেউ কেউ বাংলা বিভক্তিগুলির নামকরণ করতে চান। নিচে উদাহরণ সহ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। সংস্কৃত অনুযায়ী শব্দ-বিভক্তির শ্রেণি সংস্কৃত অনুযায়ী শব্দ বিভক্তি সাত প্রকার। নিচে উদাহরণ সহ এদের নাম দেওয়া হল। কর্তৃ কারকের বিভক্তি: প্রথমা কর্ম কারকের বিভক্তি: দ্বিতীয়া করণ কারকের বিভক্তি : তৃতীয়া সম্প্রদান/নিমিত্ত কারকের বিভক্তি: চতুর্থী ** অপাদান কারকের বিভক্তি: পঞ্চমী সম্বন্ধ পদের বিভক্তি:         : ষষ্ঠী অধিকরণ কারকের বিভক্তি: সপ্তমী বাংলায় বিভিন্ন বিভক্তির চিহ্ন বাংলায় নির্দিষ্ট কারকে নির্দিষ্ট ব

ধ্বনি কাকে বলে | ধ্বনি কাকে বলে ও কয় প্রকার

 ধ্বনির সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ 'ধ্বনি' কথার আক্ষরিক অর্থ হল আওয়াজ। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যে কোনো আওয়াজ‌ই ধ্বনি, কিন্তু ব্যাকরণের পরিভাষায় যে কোনো আওয়াজকে ধ্বনি বলে না। যেমন: পাখির ডাক, মেঘের গর্জন, বাতাসের শব্দ, শাঁখের আওয়াজ, করতালির আওয়াজ, ইত্যাদিকে ব্যাকরণে ধ্বনি বলা যাবে না। আজকের এই আলোচনায়, ধ্বনি কাকে বলে, তা আমরা ভালো ভাবে জানবো। প্রথমেই ধ্বনির সংজ্ঞাটি জেনে নিই, তার পর জানবো কোন কোন শর্ত পূরণ করলে একটি শব্দকে ধ্বনি বলে এবং ধ্বনি কয় প্রকার। মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য বাগ্‌যন্ত্র থেকে স্বেচ্ছায় যে আওয়াজ সৃষ্টি করে তাকে ধ্বনি বলে। কোন কোন শর্ত পূরণ করলে একটি আওয়াজকে ধ্বনি বলবো? নিচের প্রতিটি শর্ত পূরণ করলে তবেই একটি আওয়াজকে ধ্বনি বলা যাবে। ১: মনের ভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি হতে হবে। যে কোনো আওয়াজ ধ্বনি নয়। ২: মানুষের বাগ্‌যন্ত্র থেকে সৃষ্টি হতে হবে। অন্য প্রাণীদের আওয়াজ ধ্বনি নয়। ৩: আওয়াজটি মানুষের স্বেচ্ছাকৃত চেষ্টায় সৃষ্টি হতে হবে। নাক ডাকার আওয়াজ ধ্বনি নয়, টুঁটি চেপে ধরলে যে ঘড়ঘড় আওয়াজ সৃষ্টি হয়, তাও ধ্বনি নয়। ধ্বনি কয় প্রকার ধ্

অলোপ সমাস কাকে বলে

 অলোপ সমাস যে সমাসে সমস্যমান পদের বিভক্তি সমস্তপদে পরিণত হবার পরেও লোপ পায় না, বা থেকে যায়, তাকে অলোপ সমাস বলে। এর অপর নাম অলুক সমাস। সমস্যমান পদের বিভক্তি সাধারণ ভাবে সমস্তপদে গিয়ে লোপ পেয়ে যায়। এটাই সমাসের পাধারণ নিয়ম‌, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। এই ব্যতিক্রম দেখা গেলেই অলোপ সমাস সৃষ্টি হয়। নিচে উদাহরণের সাহায্যে অলোপ সমাস সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো এবং অলোপ সমাসকে আলাদা সমাস বলা যায় কিনা তা আলোচনা করা হলো। অলোপ সমাসের উদাহরণ যেমন: ঘরে ও বাইরে = ঘরেবাইরে (অলোপ দ্বন্দ্ব) দেশে ও বিদেশে = দেশে-বিদেশে (অলোপ দ্বন্দ্ব) তেলে ভাজা = তেলেভাজা (অলোপ করণ তৎপুরুষ সমাস) মুখে ভাত দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = মুখেভাত (অলোপ বহুব্রীহি সমাস) পাগড়ি মাথায় যার = পাগড়িমাথায় (অলোপ বহুব্রীহি) উপরের উদাহরণগুলো দেখলেই বোঝা যাচ্ছে অলোপ সমাস কোনো আলাদা সমাস নয়। বিভিন্ন সমাসের মধ্যে কিছু কিছু অলোপ সমাস থাকে। তাই এটি আলাদা সমাস নয়, বরং দ্বন্দ্ব, তৎপুরুষ ও বহুব্রীহির বিশেষ ভাগ। আরও পড়ুন সূচিপত্র বাংলা ব্যাকরণের সেরা ব‌ই

খ্রিস্টাব্দ ও সালের পার্থক্য | খ্রিস্টাব্দ ও বঙ্গাব্দের পার্থক্য | খ্রিস্টাব্দ ও বঙ্গাব্দ হিসাব

 খ্রিস্টাব্দ ও বঙ্গাব্দ বা সাল খ্রিস্টাব্দ ও বঙ্গাব্দের মধ্যে একটি জানা থাকলেই কি অপরটি নির্ণয় করা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর হলো, "যাবে, কিন্তু শুধুমাত্র সাল বা খ্রিস্টাব্দ জানলে হবে না। সেই সঙ্গে জানতে হবে বছরের কোন সময়ের কথা বা কোন মাসের কথা বলা হচ্ছে ‌। নিচে খ্রিস্টাব্দ ও বঙ্গাব্দের সম্পর্কটি উদাহরণের সাহায্যে বোঝানো হলো। খ্রিস্টাব্দ ও বঙ্গাব্দের সম্পর্ক বঙ্গাব্দ ও খ্রিস্টাব্দের সম্পর্কটা গোটা বছর সমান যায় না। ১লা বৈশাখ থেকে মোটামুটি পৌষের মাঝামাঝি (অর্থাৎ ১লা জানুয়ারি) পর্যন্ত খ্রিস্টাব্দ থেকে ৫৯৩ বিয়োগ করলে বঙ্গাব্দ পাওয়া যাবে, বা বঙ্গাব্দের সঙ্গে ৫৯৩ যোগ করলে খ্রিস্টাব্দ পাওয়া যাবে। এরপর ১৫/১৬ই পৌষ থেকে চৈত্রের সংক্রান্তি পর্যন্ত (মোট সাড়ে তিন মাস) ৫৯৪ বিয়োগ করতে হবে, কারণ এই সময় ইংরেজি নতুন বছর এসে গেলেও বাংলা নতুন বছর আসে না। তাহলে দেখা যাচ্ছে বছরের মধ্যে সাড়ে আট মাস ফ্যাক্টর সংখ্যাটি হবে ৫৯৩ এবং বাকি সাড়ে তিন মাস এই সংখ্যা হবে ৫৯৪। এখন দুটো উদাহরণ নিয়ে দেখি: অগ্রহায়ণ ১৩৬৫, এই সালটিকে খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ করতে হলে আমরা ৫৯৩ যোগ করবো। কারণ পৌষের মাঝামাঝি থে

ফারসি শব্দের উদাহরণ

 ফারসি শব্দ ফারসি হল পারস্যের ভাষা। (ফারসি ও ফরাসি এক নয়। ফরাসি হল ফ্রান্সের ভাষা।) বাংলা ভাষায় ফারসি শব্দের সংখ্যা অনেক। এখানে বেশ কিছু ফারসি শব্দের উদাহরণ দেওয়া হলো। আন্দাজ, ইয়ার, কারদানি, কারসাজি, কোমর, খরচ, খরিদ্দার, খাসা, খুব, খুশি, খোরাক, গরম, গান, চশমা, চাকর, চালাক, চেহারা, জুলফি, তাজা, দরখাস্ত, দরবার, দাগ, দোকান, নরম, নাস্তানাবুদ, পছন্দ, পর্দা, পশম, পাখোয়াজ, পাঞ্জা, পালোয়ান, পেয়ালা, পোশাক, বনিয়াদ, বন্দর,বাজার

ধ্বন্যাত্মক শব্দ কাকে বলে

 ধ্বন্যাত্মক শব্দ 'ধ্বন্যাত্মক' কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল 'ধ্বনি আত্মা যার'। অর্থাৎ ধ্বন্যাত্মক শব্দের আত্মা হল ধ্বনি বা আওয়াজ। বাংলা ভাষায় ধ্বন্যাত্মক শব্দের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অসাধারণ। প্রাথমিক ভাবে এই শব্দগুলিকে অব্যয় শ্রেণিভুক্ত করা হয়। বহু ব্যাকরণবিদ এদের 'ধ্বন্যাত্মক অব্যয়' নামেই চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এরা বিভিন্ন পদের ভূমিকা পালন করে। সে সব আলোচনায় যাওয়ার আগে আসুন জেনে নিই ধ্বন্যাত্মক শব্দ কাকে বলে। ধ্বন্যাত্মক শব্দের সংজ্ঞা যে সব শব্দ বাস্তব ধ্বনির অনুকরণে তৈরি হয়েছে, অথবা বাস্তব ধ্বনির মতো দ্যোতনা দিলেও আসলে কোনো বিশেষ ভাবকে প্রকাশ করে, তাদের ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। নিচে উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝানো হলো যেমন: 'ঝমঝম' এই কথাটি তৈরি হয়েছে বৃষ্টি পড়ার শব্দের অনুকরণে। বৃষ্টির শব্দ আমাদের কানে, দেহে, মনে যে শাব্দিক অনুভূতি জাগায়, সেই অনুভূতির‌ই বাঙ্ময় রূপ এই 'ঝমঝম' শব্দটি। আর এক ধরনের ধ্বন্যাত্মক শব্দ আছে, যার সাথে বাস্তব ধ্বনির কোনো যোগ নেই, তারা বিশেষ কোনো ভাব প্রকাশ করে। যেমন: খাঁ খাঁ, টনটন, কনকন, এই শব্দগুলির দ্বারা