পোস্টগুলি

বিবিধ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

খ্রিস্টাব্দ ও সালের পার্থক্য | খ্রিস্টাব্দ ও বঙ্গাব্দের পার্থক্য | খ্রিস্টাব্দ ও বঙ্গাব্দ হিসাব

 খ্রিস্টাব্দ ও বঙ্গাব্দ বা সাল খ্রিস্টাব্দ ও বঙ্গাব্দের মধ্যে একটি জানা থাকলেই কি অপরটি নির্ণয় করা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর হলো, "যাবে, কিন্তু শুধুমাত্র সাল বা খ্রিস্টাব্দ জানলে হবে না। সেই সঙ্গে জানতে হবে বছরের কোন সময়ের কথা বা কোন মাসের কথা বলা হচ্ছে ‌। নিচে খ্রিস্টাব্দ ও বঙ্গাব্দের সম্পর্কটি উদাহরণের সাহায্যে বোঝানো হলো। খ্রিস্টাব্দ ও বঙ্গাব্দের সম্পর্ক বঙ্গাব্দ ও খ্রিস্টাব্দের সম্পর্কটা গোটা বছর সমান যায় না। ১লা বৈশাখ থেকে মোটামুটি পৌষের মাঝামাঝি (অর্থাৎ ১লা জানুয়ারি) পর্যন্ত খ্রিস্টাব্দ থেকে ৫৯৩ বিয়োগ করলে বঙ্গাব্দ পাওয়া যাবে, বা বঙ্গাব্দের সঙ্গে ৫৯৩ যোগ করলে খ্রিস্টাব্দ পাওয়া যাবে। এরপর ১৫/১৬ই পৌষ থেকে চৈত্রের সংক্রান্তি পর্যন্ত (মোট সাড়ে তিন মাস) ৫৯৪ বিয়োগ করতে হবে, কারণ এই সময় ইংরেজি নতুন বছর এসে গেলেও বাংলা নতুন বছর আসে না। তাহলে দেখা যাচ্ছে বছরের মধ্যে সাড়ে আট মাস ফ্যাক্টর সংখ্যাটি হবে ৫৯৩ এবং বাকি সাড়ে তিন মাস এই সংখ্যা হবে ৫৯৪। এখন দুটো উদাহরণ নিয়ে দেখি: অগ্রহায়ণ ১৩৬৫, এই সালটিকে খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ করতে হলে আমরা ৫৯৩ যোগ করবো। কারণ পৌষের মাঝামাঝি থে

বাংলা ব্যাকরণ ও তার শাখা

ব্যাকরণের বিভিন্ন শাখা ও তার আলোচ্য বিষয় ব্যাকরণের কোন অংশে কোন বিষয়ের আলোচনা করা হয়, এ নিয়ে অনেকের মনেই বিভ্রান্তি আছে। ব্যাকরণের অধিকাংশ বাজারচলতি  ব‌ইয়ে এই নিয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি। অনন্য-বাংলা ব্লগের এই আলোচনাটি আশা করি সেই বিভ্রান্তি দূর করতে পারবে। এই আলোচনাতে আমরা ব্যাকরণের কোনো বিশেষ টপিকের আলোচনা করবো না, বরং কোন টপিকটি কোন ভাগে পড়বে, সেই আলোচনাই করবো। নিচে একটি তালিকার আকারে ব্যাকরণের মূল চারটি শাখা ও তাদের আলোচ্য বিষয়গুলি তুলে ধরলাম। আশা করি এই আলোচনাটি ছাত্রছাত্রীদের খুব‌ই কাজে আসবে, কারণ এই অংশ থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অনেক সময় প্রশ্ন আসতে দেখা গেছে। তাহলে আসুন, আমরা মূল আলোচনায় প্রবেশ করি। ব্যাকরণের বিভিন্ন শাখা ব্যাকরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাখাগুলি  হল: ধ্বনিবিজ্ঞান, ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব , বাক্যতত্ত্ব ও শব্দার্থতত্ত্ব। প্রসঙ্গত বলে রাখি ধ্বনিবিজ্ঞান ও ধ্বনিতত্ত্ব এক বিষয় নয়। ধ্বনিবিজ্ঞানে ধ্বনির বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করা হয়। এর সঙ্গে শব্দতরঙ্গ, বিভিন্ন ধ্বনির কম্পাঙ্ক ইত্যাদি বিষয়ের যোগ রয়েছে। বাংলার সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ক

পুরুষ কাকে বলে? পুরুষের ধারণা ও শ্রেণিবিভাগ | Purush kake bole

ছবি
পুরুষ কাকে বলে? আমি-আমরা উত্তম পুরুষ, তুমি-তোমরা মধ্যম পুরুষ, সে-তারা-রাম-শ্যাম প্রথম পুরুষ। এই পর্যন্ত আমরা সবাই জানি। প্রায় সমস্ত ব‌ইয়েই এই ধারণাটি দেওয়া আছে। কিন্তু পুরুষ কাকে বলে? পুরুষ বিষয়টি আসলে কী? এই পোস্টে আমাদের আলোচনা এই নিয়েই। আমরা জানি বাক্যের মূল উপাদান হল পদ। পাঁচ প্রকার পদের মধ্যে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদগুলিকে তিনটি পুরুষ বা পক্ষে বিভক্ত করা হয়। বাক্য গঠনে এই পুরুষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাক্যের সমাপিকা ক্রিয়াটি গঠনে বাক্যের উদ্দেশ্য-পদটির পুরুষের ভূমিকা থাকে। এই কারণেই পুরুষ জানা দরকার। পুরুষ আসলে কী? পুরুষ হল বাক্যস্থ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের এক ধরনের পরিচিতি। পুরুষ কী তা বোঝার জন্য প্রথমেই বুঝতে হবে যে, প্রত্যেক বাক্যের একজন বক্তা থাকে এবং প্রতিটি বাক্য‌ই কোনো না কোনো শ্রোতার উদ্দেশ্যে বলা হয়ে থাকে। শ্রোতা একসঙ্গে একাধিক হতে পারে। বক্তা সাধারণভাবে একাধিক না হলেও একাধিক ব্যক্তির হয়ে কেউ কথা বলতেই পারে। যেমন: ধরা যাক একটি ছেলে স্কুলের সমস্ত ছাত্রছাত্রীর তরফে শিক্ষকদিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছে। তখন সে যদি বলে 'আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদ

বিভক্তি কাকে বলে | শব্দবিভক্তি ও ক্রিয়াবিভক্তি বা ধাতুবিভক্তি

 বিভক্তির ধারণা 'বিভক্তি' কথার আক্ষরিক অর্থ হল 'বিভাজন'। বিভক্তিগুলি পদকে বাক্যের মধ্যে তাদের ভূমিকা ও বৈশিষ্ট্য অনুসারে বিভক্ত করে। বিভক্তি আছে বলেই প্রতিটি পদ বাক্যের মধ্যে নিজের অবস্থান, গুরুত্ব ও কার্যকারিতা স্পষ্ট করতে পারে। একক ভাবে শব্দ বা ধাতুকে বাক্যে ব্যবহার করা যায় না। কারণ বিভক্তিহীন শব্দ বা ধাতু বাক্যের মধ্যে নিজের অবস্থান ও কার্যকারিতা খুঁজে পায় না। পদগুলির ভিতর পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনেও বিভক্তি বড়ো ভূমিকা পালন করে। সুতরাং বাক্যের মধ্যে বিভক্তির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, অথচ বিভক্তির সুস্পষ্ট কোন‌ও অর্থ নেই। বিভক্তি এমন এক সূক্ষ্ম সুতোর মতো কাজ করে, যা বাক্যস্থ পদগুলিকে নিজের নিজের জায়গায় বেঁধে রাখে। বিভক্তি কাকে বলে? যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ শব্দ বা ধাতুর সাথে যুক্ত হয়ে পদ গঠন করে এবং বাক্যের মধ্যে পদগুলির ভূমিকা, পারস্পরিক সম্পর্ক ও বৈশিষ্ট্যকে স্পষ্ট করে, তাকে বিভক্তি বলে। বিভক্তির শ্রেণিবিভাগ বিভক্তিকে তার ভূমিকা অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ১: শব্দবিভক্তি ও ২: ধাতুবিভক্তি বা ক্রিয়াবিভক্তি। শব্দবিভক্তি যে বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক

রূপমূল, রূপ ও সহরূপ | Rup mul | Rup o saha rup

 রূপমূলের ধারণা  ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি, ভাষার ক্ষুদ্রতম উপাদান হল ধ্বনি। কিন্তু একক ভাবে ধ্বনির সাধারণত কোনো অর্থ থাকে না। এমনটা খুব কম‌ই দেখা যায় যে, একটিমাত্র ধ্বনির সাহায্যেই কোনো অর্থ প্রকাশিত হচ্ছে। তাই একাধিক ধ্বনিকে একসঙ্গে জুড়ে অর্থবহ ধ্বনিগুচ্ছ গঠন করা হয়। তবে ধ্বনিগুচ্ছ মানেই তা রূপমূল নয়। তবে রূপমূল কাকে বলে?  রূপমূলের সংজ্ঞা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থপূর্ণ একক ধ্বনি অথবা অর্থপূর্ণ ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগুচ্ছকে রূপমূল বা রূপিম বলে। একটিমাত্র ধ্বনি যদি অর্থ প্রকাশে সক্ষম হয়, তবে তা অবশ্য‌ই ক্ষুদ্রতম হবে, ফলে রূপিম‌ও হবে। যেমন: "এ আমার ভাই।" এই বাক্যে 'এ' পদটি একটিমাত্র ধ্বনি নিয়েই গঠিত এবং অর্থপূর্ণ, তাই এটি একটি রূপমূলের উদাহরণ। কিন্তু আগেই বলেছি এমন ধ্বনির সংখ্যা খুব কম। যে কোনো ভাষায় যত রূপমূল দেখা যায়, তার অধিকাংশ‌ই একাধিক ধ্বনির সমষ্টি। উপরোক্ত উদাহরণে 'ভাই' শব্দটিও একটি রূপমূল। কারণ এই শব্দটিকে ভাঙলে আর কোনো ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ একক পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ওই উদাহরণে 'আমার' পদটিকে একটি রূপমূল বলা যাবে না। কারণ ওর মধ্যে দুটি অংশ

পদ চেনার উপায়

ছবি
পদ চেনার সহজ উপায় পদ কথার অর্থ হল বাক্যে ব্যবহৃত শব্দ বা ধাতু। বাক্যে ব্যবহারের আগে কোনো ধ্বনিগুচ্ছকেই পদ বলা যায় না। কোনটি কী পদ তা চিনতে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। এই পোস্টে সেই সমস্যার সমাধানের জন্য কয়েকটি সহজ নিয়ম বলবো। এই নিয়মগুলি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে পদ চিনতে আর সমস্যা হবে না। বিশেষ্য পদ চেনার উপায় মনে রাখতে হবে, বিশেষ্য ও সর্বনাম আলাদা পদ নয়, এ দুটি কার্যত এক‌ই জিনিস। বিশেষ্যের পরিবর্তে সর্বনাম ব্যবহার করা যায়। ১: যে কোনো নাম অবশ্যই বিশেষ্য হবে। ২: যা আমরা পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করতে পারি তা বিশেষ্য হবে। ৩: যে পদকে বাক্যের উদ্দেশ্য রূপে ব্যবহার করা যাবে, সেটি বিশেষ্য বা সর্বনাম হবে। সর্বনাম চেনা সহজ, সর্বনাম না হলে অবশ্যই বিশেষ্য হবে। ৪: যে পদকে বাক্যে কোনো না কোনো কারক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে সেটি অবশ্যই বিশেষ্য অথবা সর্বনাম পদ হবে।  ৫: 'তা' ও 'ত্ব' প্রত্যয় যোগে যত পদ গঠিত হয়, যেমন: সততা, সরলতা, ভীরুতা, কাপুরুষতা, ঋজুতা, ঘনত্ব, বিশেষত্ব, মহত্ত্ব, এগুলি সব‌ই বিশেষ্য। ৬: বিশেষ্য পদের সাথে একটি ক্রিয়াপদ যোগ করে