পোস্টগুলি

মে, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

যথার্থ বিভক্তি কাকে বলে

যথার্থ বিভক্তির ধারণা সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দবিভক্তিগুলিকে দু ভাগে ভাগ করেছেন: যথার্থ বিভক্তি ও বিভক্তি রূপে ব্যবহৃত স্বাধীন পদ।  যথার্থ বিভক্তি কাকে বলে? যে বিভক্তিগুলি পদের অংশ রূপে যুক্ত হয় এবং পদের বাইরে যাদের স্বতন্ত্র কোনও অর্থ নেই, স্বতন্ত্র কোনও ব্যবহার নেই, তাদের বলে যথার্থ বিভক্তি। যথার্থ বিভক্তির উদাহরণ সাধারণত বিভক্তি বলতে যা বোঝায়, সেগুলিই যথার্থ বিভক্তি। অর্থাৎ কে, রে, র, এ, তে প্রভৃতি বিভক্তিগুলি হল যথার্থ বিভক্তি। তাহলে প্রশ্ন হতে পারে অ-যথার্থ বিভক্তি তবে কোনগুলি? আসলে বাংলা ভাষায় অনুসর্গগুলি অনেক ক্ষেত্রে বিভক্তির কাজ করে। যথার্থ বিভক্তির বিপরীতে আছে এই অনুসর্গগুলি। এরা বিভক্তির কাজ করলেও যথার্থ বিভক্তি নয়। আরও পড়ুন সূচিপত্র

বাক্য পরিবর্তনের নিয়ম

বাক্য পরিবর্তনের মূল নীতি বাক্য পরিবর্তনের কয়েকটি মূল নীতির কথা বলে আজকের আলোচনা শুরু করবো। ১: বাক্য পরিবর্তন করার ফলে বাক্যের বক্তব্য যেন বদলে না যায়। মূল বাক্যে বক্তা যা বলতে চাইছে, বাক্য পরিবর্তনের পর সেই ভাবটিই বোঝাবে। ২: বাক্যের ক্রিয়ার কালটি বদলানো চলবে না। মূল বাক্যের ক্রিয়ার কাল পরিবর্তিত বাক্যে অক্ষুণ্ন থাকবে। ৩: বাক্যের সূক্ষ্ম ব্যঞ্জনা বাক্য পরিবর্তনের ফলে ক্ষুণ্ন হতেও পারে। তবে যতটা সম্ভব ব্যঞ্জনা অক্ষুণ্ন রাখার চেষ্টা করা উচিত। ৪: বাক্য পরিবর্তনের ফলে ক্রিয়ার ভাব বদলে যেতে পারে। ৫: নির্দেশক বাক্যে দাঁড়ি চিহ্ন, প্রশ্নসূচক বাক্যে জিজ্ঞাসা চিহ্ন, আবেগসূচক বাক্যে আবেগচিহ্ন অপরিহার্য।  ৬: বাক্য পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন বোধে যে কোনো নতুন শব্দ নিয়ে আসা যাবে, শুধু খেয়াল রাখতে হবে বাক্যের মূল ভাব যেন বদলে না যায়। বাক্য পরিবর্তনের নিয়ম "আমি যাঁকে চিনি, তিনি একজন ডাক্তার।" এটি একটি জটিল বাক্য। একে সরল বাক্যে পরিণত করতে বলা হলে দু ভাবে করা যাবে। একটি নির্ভুল, কিন্তু অপরটি ব্যাকরণগত ভাবে শুদ্ধ নয়। ১: আমি একজন ডাক্তারকে চিনি। ২: আমার চেনা লোকটি একজন ডাক্তার।

শব্দের অর্থ পরিবর্তন | শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা

শব্দার্থ পরিবর্তন কাকে বলে ও কয় প্রকার       কোনো শব্দ ভাষায় বহুদিন ব্যবহৃত হলে একদিকে যেমন ভাষায় জীর্ণতা আসে অন্যদিকে তেমনি মানসিক কারণ বা বহিঃপ্রভাবের ফলে অর্থে অনাবশ্যক বস্তুর সঞ্চয় জমে তাকে পৃথুলতাও দান করে। অর্থাৎ ভাষায় অনেক শব্দই চিরকাল একই অর্থে ব্যবহৃত হয় না , অর্থের পরিবর্তন হয়ে যায়। এইভাবে, ভাষায় ব্যবহৃত শব্দের আদি অর্থ কালক্রমে নানা ভাবে বিবর্তিত হয়ে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থে উপনীত হবার প্রক্রিয়াকে বলে শব্দার্থ পরিবর্তন।  শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা কটি, এ সম্পর্কে নানা মত থাকলেও একে মোটামুটি পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। যথা - ১) অর্থপ্রসার বা অর্থ বিস্তার ২) অর্থসংকোচন ৩) অর্থসংশ্লেষ বা অর্থসংক্রম ৪) অর্থের উৎকর্ষ বা অর্থোন্নতি ৫) অর্থের অপকর্ষ বা অর্থাবনতি। শব্দার্থ পরিবর্তনের বিভিন্ন ধারা ১. অর্থবিস্তার বা অর্থপ্রসার  যদি কোনো শব্দ প্রথমে কোনো সংকীর্ণ ভাব বা সীমাবদ্ধ বস্তু কে বোঝায় এবং কিছুকাল পরে ব্যাপক ভাব বা অধিকতর বস্তুকে বোঝায় তবে সেই প্রক্রিয়াকে অর্থবিস্তার বা অর্থপ্রসার বলে।  অর্থ বিস্তারের উদাহরণ শব্দ  -  মূল অর্থ  - পরিবর্তিত অর্থ ১. বর্ষ - বর্ষাকা

শ ষ স হ কে উষ্ম ধ্বনি বলে কেন?

উষ্ম কথার অর্থ কী? শ ষ স ও হ-কে উষ্ম ধ্বনি কেন বলে তা জানতে হলে আমাদের জানতে হবে 'উষ্ম' কথার অর্থ কী? উষ্ম কথার একাধিক অর্থ আছে, তার মধ্যে একটি হল উত্তপ্ত। বহির্গামী শ্বাসবায়ু উত্তপ্ত হয় বলে তাকে 'উষ্ম শ্বাস' বা শুধু 'উষ্ম' বলে। উষ্ম ব্যঞ্জনকে উচ্চারণ করার সময় শ্বাসবায়ুকে পূর্ণ বাধা না দিয়ে আংশিক বাধা দেওয়া হয়, ফলে শ্বাসবায়ু আংশিক বাধা অতিক্রম করে যতক্ষণ প্রবাহিত হয়, উষ্ম ব্যঞ্জনগুলিকে ততক্ষণ ধরেই উচ্চারণ করা যায়। বহির্গামী শ্বাসবায়ু যতক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে, ততক্ষণ ধরে উচ্চারণ করা যায় বলে এই ব্যঞ্জনগুলিকে উষ্ম ব্যঞ্জন বা শ্বাস ব্যঞ্জন বলা হয়। 

মাতৃভাষা কাকে বলে? | What is mother tongue in Bengali

মাতৃভাষার সংজ্ঞা 'মাতৃভাষা' কথার আক্ষরিক অর্থ হল মায়ের ভাষা। কিন্তু ভাষাবিজ্ঞান অনুসারে মাতৃভাষার সংজ্ঞায় আক্ষরিক অর্থে 'মায়ের মুখের ভাষা'-কেই মাতৃভাষা বলে না। প্রতিটি মানুষ জন্মের পর তার ভাষা শেখে নিজের পরিবেশ থেকে। জন্মের পর থেকে একজন মানুষ তার পরিবেশ থেকে প্রথম যে ভাষাটি শেখে এবং যে ভাষায় সে সর্বাধিক স্বচ্ছন্দ বোধ করে, সেটিই ওই ব্যক্তির মাতৃভাষা। অনেক সময় এমন দেখা যায় যে একজন শিশু প্রথম শৈশবে একটি বিশেষ ভাষা শেখার পর বিদ্যালয় শিক্ষার শুরুতে অন্য ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করে। এমন ক্ষেত্রে ঐ শিশু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যে ভাষায় সবচেয়ে বেশি সময় কথা বলবে, সেই ভাষাটি হবে ঐ শিশুর মাতৃভাষা। মাতৃভাষা শিক্ষার গুরুত্ব মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের সমান। শিশুর দৈহিক বিকাশে মাতৃদুগ্ধ যেমন তুলনাহীন, শিশুর মানসিক বিকাশে মাতৃভাষার ভূমিকাও তেমনি তুলনাহীন।  ১: মাতৃভাষা শিশুর কল্পনাশক্তি ও চিন্তাশক্তির বিকাশে সহায়তা করে। ২: মনের ভাব সবচেয়ে সহজে প্রকাশ করা যায় মাতৃভাষার মাধ্যমে। ৩: মাতৃভাষার মাধ্যমে দুর্বোধ্য বিষয়কে সহজে বুঝতে পারা সম্ভব হয়। ৪: মাতৃভাষার মাধ্যমে নিজের সং