পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে | অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে

 বিভাজ্য ও অবিভাজ্য ধ্বনি  ধ্বনি প্রাথমিক ভাবে দুই প্রকার: বিভাজ্য ধ্বনি ও অবিভাজ্য ধ্বনি। বিভাজ্য ধ্বনি: যে ধ্বনিকে আলাদা করে ভেঙে দেখানো যায়, তাকে বিভাজ্য ধ্বনি বলে।  যেমন: কমল = ক্ + অ + ম্ + অ + ল্ + অ । এখানে দেখা যাচ্ছে 'কমল' শব্দটিকে ভাঙলে ছটি ধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে। এই ছটি ধ্বনি বিভাজ্য ধ্বনির উদাহরণ। সমস্ত স্বর ও ব্যঞ্জন ধ্বনিই বিভাজ্য ধ্বনি। বিভাজ্য ধ্বনি দুই প্রকার: স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি। বিভাজ্য ধ্বনিগুলি পাশাপাশি বসে ধ্বনিগুচ্ছ গঠন করে। এই ধ্বনিগুচ্ছ যখন অর্থ বহন করে, তখন তৈরি হয় শব্দ। অবিভাজ্য ধ্বনি: যে ধ্বনিকে বিভাজ্য ধ্বনির মতো আলাদা করে দেখানো যায় না, তাকে অবিভাজ্য ধ্বনি বলে। যেমন সুর, দৈর্ঘ্য, যতি প্রভৃতি। অবিভাজ্য ধ্বনি বিভাজ্য ধ্বনির মতো পরিস্ফুট নয়। 

খণ্ডস্বর কাকে বলে | অর্ধস্বর কাকে বলে

 খণ্ডস্বর খণ্ডস্বর মানে অর্ধস্বর। কোনো স্বরধ্বনি যখন রুদ্ধ দলের শেষে থাকে, তখন তাকে বলে খণ্ড স্বর বা অর্ধস্বর। এই ধরনের স্বরের উচ্চারণ পুরোপুরি স্বরের মতো হয় না, খানিকটা ব্যঞ্জনের বৈশিষ্ট্য মিশে যায়। নিচে উদাহরণ সহ সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা পড়ুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন। যেমন: খাই শব্দের 'ই' একটি খণ্ডস্বর। অনুরূপ ভাবে 'যাও' শব্দের 'ও', 'নেই' শব্দের 'ই', 'ব‌উ' শব্দের 'উ' খণ্ডস্বর বা অর্ধস্বর। নিয়ম অনুযায়ী দেখতে গেলে এই স্বরগুলিকে হস্ চিহ্ন যোগে লেখা উচিত, যেমন ই্, উ্ প্রভৃতি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা করা হয় না। মনে রাখতে হবে: ই, উ এর স্বাভাবিক উচ্চারণ হলে এগুলি পূর্ণ স্বর। যেমন ইতি, ইহা, মণি, উল, কাকু প্রভৃতি শব্দের মধ্যে যে ই, উ স্বরগুলো আছে, তারা পূর্ণ স্বর। পূর্ণ স্বরকে লম্বা করে টেনে উচ্চারণ করা যাবে। যেমন: কাকুউউউউ, বা উউউউউল। খণ্ডস্বরকে টেনে উচ্চারণ করা যাবে না। যেমন: 'ব‌ই' শব্দের উচ্চারণ ব‌ইইইইইইই ক