পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রমিত ভাষা ও উপভাষার মধ্যে পার্থক্য

 প্রমিত ভাষা বা মান্য ভাষা ও উপভাষার পার্থক্য প্রমিত ভাষা কাকে বলে তা আমরা আগেই আলোচনা করেছি। এখন জেনে নেবো এর সঙ্গে উপভাষার পার্থক্য কোথায়। তবে এই পার্থক্য আলোচনা করার আগে জেন  নিতে হবে যে প্রমিত ভাষাও একটি উপভাষা। কিন্তু সাধারণ উপভাষা ও প্রমিত উপভাষার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে। নিচে পার্থক্যগুলি আলোচনা করা হলো। ১: প্রমিত ভাষা একটি ভাষাভাষী অঞ্চলে সর্বজন-ব্যবহার্য। উপভাষা কোনও ভাষাভাষী অঞ্চলের মধ্যে ক্ষুদ্রতর একটি অঞ্চলেই ব্যবহারের যোগ্য। ২: প্রমিত ভাষা শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উপভাষা শিক্ষার মাধ্যম রূপে ব্যবহৃত হয় না। ৩: প্রমিত ভাষায় অধিকাংশ সাহিত্য রচিত হয়। আঞ্চলিক সাহিত্যে উপভাষা স্থান পেলেও শুধুমাত্র উপভাষাতেই রচিত সাহিত্যের সংখ্যা নগণ্য।  ৪: সরকারি কাজকর্ম প্রমিত ভাষায় নির্বাহিত হয়। আঞ্চলিক ভাষায় সরকারি কাজ হয় না। ৫: প্রমিত ভাষার কথ্য ও লেখ্য, উভয় রূপ‌ই গুরুত্বপূর্ণ। উপভাষার কথ্য রূপটিই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখ

মান্য চলিত ভাষা কাকে বলে

 মান্য বা প্রমিত বাংলা ভাষা প্রত্যেক বড়ো ভাষার‌ই একাধিক উপভাষা থাকে। কিন্তু ভাষাকে সকলের কাছে সমান ভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সব ভাষার‌ই একটি সর্বজনগ্রাহ্য মান্য রূপ থাকা দরকার। সাধারণ ভাবে কোন‌ও ভাষার যে রূপটি ওই ভাষাভাষী সমস্ত মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং শিক্ষা ও সাহিত্য-চর্চার প্রধান মাধ্যম রূপে ব্যবহৃত হয়, তাকেই বলে ওই ভাষার মান্য বা প্রমিত রূপ। বাংলা ভাষার‌ও একটি মান্য বা প্রমিত রূপ আছে। একে বলা হয় মান্য চলিত বাংলা বা প্রমিত বাংলা। এই উপভাষাটি গড়ে উঠেছে মূলত রাঢ়ি উপভাষাকে ভিত্তি। করে। সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায়: সমস্ত বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বাংলা ভাষার যে উপভাষাকে প্রামাণ্য বাংলা ভাষা হিসেবে গণ্য করেন এবং যে উপভাষায় বাংলাভাষী মানুষের শিক্ষা ও সাহিত্য-চর্চার কাজ নির্বাহিত হয়, তাকেই বলে মান্য চলিত বাংলা বা প্রমিত বাংলা। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখার জন্য ইউটিউবে আমার চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন Ananya Pathak, তাহলেই চ্যানেল