পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

SLST Bengali Preparation Guide | SLST বাংলা প্রস্তুতি গাইড

ছবি
SLST বাংলা বিষয়ের Online Class আপনি কি SLST বাংলা বিষয়ের এবং পরবর্তী প্রাইমারি টেট পরীক্ষার প্রস্তুতি এখন থেকে নিচ্ছেন, নাকি কখন নোটিফিকেশন হবে তার অপেক্ষায় বসে আছেন? নোটিফিকেশন হবার পর আর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় থাকবে না। যারা এখন থেকে নিয়মিত কোচিং ক্লাস করছে, তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে এখন থেকেই তৈরি হতে হবে। তাই আজ থেকেই শুরু করুন প্রস্তুতি। পশ্চিমবঙ্গের ২০টি জেলার ১৫০০ জনের বেশি পরীক্ষার্থী 'অনন্য বাংলা অনলাইন' ক্লাসে যুক্ত হয়েছে এবং সাফল্যের সঙ্গে প্রস্তুতি নিয়ে চলেছে।  আপনি যুক্ত হবার আগে বিস্তারিত জানতে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করুন 8918858578 নাম্বারে।  ডেমো ক্লাস করার জন্য উপরের নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপ করুন। প্রশ্নের নতুন প্যাটার্ন নতুন নিয়মে প্রশ্ন হবে আগের মতোই এম সি কিউ পদ্ধতিতে। সাইটে আনসার কি আপলোড করা হবে। ক্যান্ডিডেটকে ও এম আর -এর ডুপ্লিকেট কপি দেওয়া হবে। এম সি কিউ পদ্ধতিতে ভালো ফল করার জন্য অনেক অনুশীলন করা দরকার। অনুশীলন‌ই এম সি কিউ পদ্ধতির আসল প্রস্তুতি।  আমাদের পড়ানোর বৈশিষ্ট্য  ১: আমরা ব্যাকরণ ধরে ধরে শেখাই। এম সি কিউ পদ্ধতিতে ব্যাকরণের ধ

হলন্ত শব্দ কাকে বলে

হলন্ত বা হসন্ত শব্দের সংজ্ঞা 'হলন্ত' কথার অর্থ হল 'যার শেষে হল্' আছে (হল্ + অন্ত, সমাস: হল্ অন্তে যার)। হল্ বলতে কী বোঝায়? হল্ বলতে বোঝায় এমন ব্যঞ্জন, যার শেষে কোনো স্বর নেই। সাধারণ ভাবে বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনের শেষে কোনো চিহ্ন না থাকলে ধরে নেওয়া হয় অ আছে। যেখানে শব্দের শেষে কোনো স্বর থাকে না, সেখানে ঐ শেষ ব্যঞ্জনটির তলায় একটি হস্ চিহ্ন দেওয়া হয়। যেমন: 'বাক্' , 'দৃক্'  প্রভৃতি শব্দে দেওয়া হয়। এই শব্দগুলিকে হলন্ত শব্দ বা হসন্ত শব্দ বলে। বাংলা ভাষায় বহু শব্দ প্রকৃতপক্ষে হলন্ত না হলেও হলন্ত হিসেবে উচ্চারিত হয়। এর কারণ হল বাংলা ভাষায় শব্দের শেষে অবস্থিত অ স্বরধ্বনি লুপ্ত হ‌ওয়ার প্রবণতা। যেমন: রাম, কাজ, গাছ, ঘাট, সম্মান, আকাশ, এই শব্দগুলির শেষে হস্ চিহ্ন নেই, কারণ বর্ণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে এদের শেষে একটি অ স্বর আছে। কিন্তু উচ্চারণে এরা হলন্ত। শেষে অবস্থিত অ উচ্চারণে লোপ পায়। হলন্ত-এর বিপরীত শব্দ স্বরান্ত। হলন্ত শব্দ ও হলন্ত উচ্চারণ হলন্ত শব্দ ও হলন্ত উচ্চারণ এক কথা নয়। হলন্ত শব্দ বলতে বোঝায় সেই শব্দ, যা ব্যঞ্জনধ্বনি দিয়ে শেষ হয়। হলন্ত শব্

সাধিত শব্দ কাকে বলে

সাধিত শব্দ কাকে বলে ও সাধিত শব্দ কত প্রকার আলোচক: অনন্য পাঠক 'সাধিত' কথার আক্ষরিক অর্থ হল যাকে সাধন করা হয়েছে বা গঠন করা হয়েছে। এই আক্ষরিক অর্থ থেকেই বোঝা যায় যে সাধিত শব্দগুলি এমন শব্দ, যাদের তৈরি করা হয়েছে। সাধিত শব্দকে বিভিন্ন ভাবে তৈরি করা যায়। যেমন:  ১: উপসর্গ, ধাতু ও প্রত্যয়ের যোগে। ২: ধাতু ও প্রত্যয়ের যোগে। ৩: উপসর্গ ও শব্দের যোগে। ৪: শব্দ ও শব্দের যোগে। ৫: শব্দ ও প্রত্যয়ের যোগে। সাধিত শব্দ কাকে বলে, এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলবো: যে শব্দকে ভাঙলে একাধিক অর্থপূর্ণ অংশ পাওয়া যায়, তাদের সাধিত শব্দ বলে। অন্য ভাবে বলা যায়: যে শব্দগুলি একাধিক অর্থপূর্ণ অংশের যোগে গঠিত হয়েছে, তাদের সাধিত ধাতু বলে। যদিও দুটি সংজ্ঞাই ঠিক, তবুও নিচে কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানাবেন কোন সংজ্ঞাটি আপনার মতে একটু বেশি ভালো, প্রথমটি না দ্বিতীয়টি।  সাধিত শব্দের উদাহরণ উপকার = উপ + √কৃ + অ (উপসর্গ+ধাতু+প্রত্যয়) হিমালয় = হিম + আলয় (শব্দ+শব্দ) রামায়ণ = রাম + অয়ন (শব্দ+প্রত্যয়) চলন্ত = √চল্ + অন্ত (ধাতু + প্রত্যয়) উপবন = উপ + বন (উপসর্গ+শব্দ) সাধিত শব্দ কত প্রকার সাধিত শব্দকে অর্থে

ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বলতে কী বোঝায়

ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কাকে বলে আলোচক: অনন্য পাঠক   স্কুল সার্ভিস কমিশন বাংলা বিষয়ের কোচিংয়ের জন্য নিচের লিংকে টাচ করুন। SLST Bengali Preparation Guide 'ব্যুৎপত্তি' কথার অর্থ হল শব্দের জন্ম বা উৎপত্তি (ব্যুৎপত্তি = বি + উৎপত্তি)। একটি শব্দ জন্মের সময় যে অর্থে ব্যবহৃত হত, পরবর্তী কালে তার সেই অর্থ অনেক সময় বদলে যায়। যেমন: সন্দেশ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল সংবাদ, বর্তমান অর্থ মিষ্টান্ন-বিশেষ। মৌলিক শব্দের ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করা যায় না, ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করা যায় শুধুমাত্র সাধিত শব্দের । সাধিত শব্দের ব্যুৎপত্তি বলতে সাধারণ ভাবে প্রকৃতি-প্রত্যয় বোঝায়। তাই এক কথায় বলা যায় কোনো সাধিত শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয়গত বা উৎপত্তিগত অর্থকে বা আদি অর্থকে ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বলে।  ব্যুৎপত্তিগত অর্থ জানা প্রয়োজন কেন? আগেই বলেছি সময়ের সাথে সাথে শব্দের অর্থ বদলে যেতে পারে। যে সব শব্দের অর্থ এই ভাবে বদলে গেছে, তাদের মূল অর্থটি বা আদি অর্থটির সঙ্গে বর্তমান অর্থের যোগ খুঁজে বের করার জন্য ব্যুৎপত্তিগত অর্থ জানতে হবে। ব্যুৎপত্তিগত অর্থের বিপরীত কী? ব্যুৎপত্তিগত অর্থের বিপরীতে আছে প্রচলিত

মুণ্ডমাল শব্দ কাকে বলে ও উদাহরণ

 মুণ্ডমাল শব্দের ধারণা মুণ্ডমাল শব্দ এমন এক ধরনের শব্দ যা শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে সবাই ব্যবহার করেন, কিন্তু হয়তো এর সংজ্ঞা সবাই জানেন না। আসুন জেনে নিই মুণ্ডমাল শব্দ কাকে বলে। মুণ্ডমাল কথার অর্থ হল মুণ্ডের মালা। অর্থাৎ কয়েকটা মাথা কেটে নিয়ে তা দিয়ে মালা বানালে যা হবে, সেটাকেই মুণ্ডমাল বলে। নামটা খুব‌ই ভয়াবহ, তাই না? ব্যাপারটা যদিও অতটা ভয়াবহ নয়। এখানে মুণ্ড বলতে শব্দের প্রথম অক্ষর বুঝতে হবে। একাধিক শব্দের প্রথম অক্ষরগুলো নিয়ে অনেক সময় নতুন শব্দ গঠন করা হয়। এই ধরনের শব্দকেই বলে মুণ্ডমাল শব্দ। যেমন: লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক = ল.সা.গু.। মুণ্ডমাল শব্দের প্রতিটি অক্ষরের পরে একটি বিন্দু চিহ্ন দিতে হবে। অন্যথায় সেটি ভুল বলে বিবেচিত হবে। মুণ্ডমাল শব্দের উদাহরণ ইংরেজি ভাষায় মুণ্ডমাল শব্দের ছড়াছড়ি। তার মধ্যে বেশ কিছু শব্দ বাংলাতেও ব্যবহার করা হয়। যেমন: District Magistrate =D.M., Master of Arts = M.A., Bachelor of Education = B. Ed. প্রভৃতি। বাংলা ভাষার নিজস্ব মুণ্ডমাল শব্দের কিছু উদাহরণ: বি.বা.দী., ল.সা.গু., গ.সা.গু., ক.বি., প্রভৃতি।  SLST Bengali বিষয়ের বিভিন্ন পরামর্শ পাওয়ার জ

অর্ধতৎসম শব্দ কাকে বলে

অর্ধতৎসম শব্দ : কাকে বলে ও উদাহরণ সংস্কৃত ভাষা থেকে যে শব্দগুলি সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে কিন্তু শব্দগুলির যথাযথ রূপ রক্ষা পায়নি, বিকৃত হয়ে গেছে, তাদের অর্ধতৎসম শব্দ বলে। যেমন: নিমন্ত্রণ শব্দটি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসে 'নেমন্তন্ন' হয়ে গেছে।  এটি অর্ধতৎসম শব্দ। অর্ধ তৎসম শব্দের উদাহরণ কেষ্ট, বিষ্টু, বোষ্টম, গিন্নি, পেন্নাম, চরিত্তির, চিত্তির, মিত্তির, শত্তুর, পুত্তুর, কেত্তন, সূয্যি, চন্নন, চিনিবাস (শ্রীনিবাস), গেরস্থ, ফলার(<ফলাহার), মোচ্ছব, উচ্ছব, সোয়াস্তি, ছেরাদ্দ, রোদ্দুর, বিচ্ছিরি, ছিরি, নেমন্তন্ন,  তেতপ্পর(<তৃতীয় প্রহর), প্রভৃতি।  তদ্ভব ও অর্ধতৎসম শব্দের পার্থক্য তদ্ভব শব্দ ও অর্ধতৎসম শব্দ, উভয়‌ই সংস্কৃত থেকে বাংলায় আগত শব্দ এবং উভয়েরই রূপের পরিবর্তন ঘটেছে। তাহলে তদ্ভব ও অর্ধতৎসম শব্দের পার্থক্য কী? তদ্ভব শব্দের জন্ম হয়েছে বিবর্তনের পথ ধরে, অপরদিকে অর্ধতৎসম শব্দ বিবর্তনের ফসল নয়। সংস্কৃত শব্দ সরাসরি বাংলা ভাষায় ঢুকেছে, কিন্তু উচ্চারণ বিকৃত হয়েছে। তদ্ভব ও সংস্কৃত শব্দের মাঝে এক বা একাধিক বিবর্তনের স্তর পাওয়া যাবে, যেমন: হস্ত > হত্থ > হাথ > হাত। অর

বাংলা ভাষার জন্ম কোথা থেকে | কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষার সৃষ্টি হয়েছে

বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিবর্তনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ইন্দো ইউরোপীয় ভাষাবংশের অন্তর্গত একটি নব্য ভারতীয় আর্য ভাষা হল বাংলা। আনুমানিক দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে (৯০০খ্রি: -১১৯৯ খ্রি: সময়কাল) বাংলা ভাষার জন্ম হয়। একটা সময় ছিলো, যখন বঙ্গদেশে শুধুমাত্র প্রাচীন অস্ট্রিক ও দ্রাবিড় গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস ছিলো। আর্য জনজাতির মানুষ পরবর্তী সময়ে এই অঞ্চলে এসে বসবাস করতে শুরু করে। বঙ্গদেশে আসার সময় আর্যরা কথা বলতো প্রাকৃত ভাষায়। প্রাকৃত ভাষা প্রাচীন আর্য ভাষার‌ই (যাকে সংস্কৃত বলা চলে) রূপান্তরিত চেহারা। এই প্রাকৃত ভাষা আর‌ও বিবর্তিত হয়ে পরিণত হয় অপভ্রংশ ভাষায়। বঙ্গদেশে প্রচলিত অপভ্রংশ ভাষার নাম ছিল পূর্ব (বা পূর্বী) মাগধী অপভ্রংশ। এই পূর্ব মাগধী অপভ্রংশ ও এই অঞ্চলে আগে থেকে বসবাসকারী অনার্য গোষ্ঠীর মানুষের ভাষার মিশ্রণে তৈরি হল বাংলা ভাষা। নিচের ছক দুটি থেকে আমরা বাংলা ভাষার জন্মকথা মোটামুটি বুঝতে পারবো। প্রাচীন ভারতীয় আর্য (সংস্কৃত) > মাগধী প্রাকৃত > মাগধী অপভ্রংশ। মাগধী অপভ্রংশ + বঙ্গদেশে প্রচলিত অস্ট্রিক ও দ্রাবিড় গোষ্ঠীর ভাষা = বাংলা ভাষা। এর পর এই বাংলা ভাষা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে

তদ্ভব শব্দ কাকে বলে | তদ্ভব শব্দের তালিকা

 তদ্ভব শব্দ : কাকে বলে ও উদাহরণ আজকের আলোচনায় আমরা জানবো তদ্ভব শব্দ কাকে বলে, তদ্ভব শব্দ কিভাবে গড়ে উঠেছে এবং বেশ কিছু উদাহরণ। তদ্ভব শব্দগুলি বাংলা ভাষার নিজস্ব সম্পদ। বিবর্তনের পথ ধরে বাংলা ভাষার জন্মের সঙ্গী এই শব্দগুলি। বাংলা ভাষার নিজস্বতার অনেকখানি ধরা আছে এই তদ্ভব শব্দগুলির মধ্যেই। 'তদ্ভব' কথাটির অর্থ হল: তার থেকে হয়েছে যা। 'তার' বলতে সংস্কৃতের। অর্থাৎ যে শব্দগুলি সংস্কৃত শব্দ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। এই সৃষ্টি হবার পথটি খুব ছোটোখাটো নয়। প্রাচীন ভারতীয় আর্য (যাকে সহজ ভাবে সংস্কৃত বলা চলে) ভাষা ক্রমশ বদলাতে বদলাতে প্রাকৃত ও তা থেকে অপভ্রংশ ভাষার রূপ লাভ করে। বিভিন্ন স্থানে এই প্রাকৃত ও অপভ্রংশের রূপ আলাদা ছিলো। প্রাকৃত ও অপভ্রংশ ভাষার শব্দগুলি বিবর্তনের পথেই গড়ে উঠলো। তারপর সেগুলির আর‌ও বদল ঘটলো এবং বিবর্তনের মাধ্যমে বাংলা ভাষার জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তদ্ভব শব্দের জন্ম হল। যে শব্দগুলি সংস্কৃত ভাষা থেকে প্রাকৃত ও অপভ্রংশের মধ্য দিয়ে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারে প্রবেশ করেছে তাদের বলে তদ্ভব শব্দ। তদ্ভব শব্দের তালিকা হাত (<হস্ত) পা (<পদ) মাথা (<মস্তক)

দ্বিগু সমাস ও সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাসের পার্থক্য

 দ্বিগু ও বহুব্রীহি সমাসের পার্থক্য দ্বিগু সমাসের পূর্বপদে  সংখ্যাবাচক  বিশেষণ পদ ও পরপদে বিশেষ্য পদ থাকে। সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাসের ক্ষেত্রেও তাই। এই কারণে এই দুই সমাসের পার্থক্য নিরূপণ করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। দ্বিগু ও বহুব্রীহি সমাসের পার্থক্য নির্ণয় করার জন্য আমাদের সমস্তপদের অর্থটি খেয়াল করতে হবে। দ্বিগু সমাসে পরপদের অর্থ প্রধান হয়, অপরদিকে বহুব্রীহি সমাসে অন্য পদের অর্থ প্রাধান্য পায়। যেমন: 'ত্রিফলা' বললে তিনটি ফলের সমাহার বোঝায়। এখানে ফলের অর্থ‌ই প্রধান। কিন্তু 'পঞ্চানন' বললে পঞ্চ আনন যাঁর, অর্থাৎ শিবকে বোঝায়।  দ্বিগু ও বহুব্রীহি সমাস চেনার উপায় দ্বিগু সমাসে সমাহার বা বিনিময় বোঝাবে। যেমন: পঞ্চ গব্যের সমাহার = পঞ্চগব্য। তিন কড়ির বিনিময়ে কেনা = তিনকড়ি। বহুব্রীহি সমাসে অন্য একটি পদকে বোঝাবে। যেমন: দশ ভুজ যাঁর = দশভুজা। দশভুজা মানে দুর্গা। আরও পড়ুন সূচিপত্র বাংলা ব্যাকরণের যে ব‌ই আমি পড়ি

ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে

ছবি
 ব্যঞ্জনধ্বনির সংজ্ঞা ও ধারণা ব্যঞ্জনধ্বনির আসল সংজ্ঞা কোনটি? আমরা ছোটোবেলা থেকেই শুনে আসছি "যে ধ্বনিকে অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়া উচ্চারণ করা যায় না, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।" ব্যঞ্জনধ্বনির এই সংজ্ঞা কি ভুল? না, ভুল নয়, তবে এই সংজ্ঞাটি ভাষাতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রচিত সংজ্ঞা নয়। ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে জানতে হলে ব্যঞ্জনের উচ্চারণ সম্পর্কে জানা জরুরি। ব্যঞ্জনধ্বনিকে উচ্চারণ করার সময় ফুসফুস থেকে বহির্গত শ্বাসবায়ু বাগ্‌যন্ত্রের কোথাও না কোথাও বাধা পায় এবং শ্বাসবায়ু যথারীতি সেই বাধাকে অতিক্রম করে প্রবাহিত হয়। এখন মনে রাখতে হবে যে, এই বাধা প্রদানের সময় ব্যঞ্জনের উচ্চারণ হয় না। উচ্চারণটি সম্পন্ন হয় বাধা অপসারণের সময়। তাই বলা যায় ব্যঞ্জনধ্বনি হল বাধা-জাত ধ্বনি। সুতরাং ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে, এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলবো: যে ধ্বনিকে উচ্চারণ করার জন্য শ্বাসবায়ুকে বাগ্‌যন্ত্রের কোথাও না কোথাও আংশিক বা পূর্ণ রূপে বাধা দিতে হয় এবং শ্বাসবায়ু সেই বাধা অতিক্রম করে প্রবাহিত হয়, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।     বাধার প্রকৃতি অনুসারে ব্যঞ্জনকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১: স্

ব্যাকরণের প্রশ্নোত্তর

ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ১: অষ্টাধ্যায়ী গ্রন্থের রচয়িতা কে? -- পাণিনি। ২: ভাষাবিজ্ঞানের তুলনামূলক পদ্ধতির প্রথম যথার্থ প্রয়োগ করেন কে? উঃ আর কে রাস্ক। ৩: On the variety of human language structure -- এর রচয়িতা কে? উঃ জার্মান ভাষাবিদ্ ডব্লিউ ভি হুমবোল্ট।  ৪: An introduction to the study of language গ্রন্থটির রচয়িতা কে? -- লিওনার্দ ব্লুমফিল্ড ৫: Transformational generative grammar তত্ত্বের প্রবক্তা কে? -- নোয়াম চমস্কি। ৬: চীনা ভাষা রূপতত্ত্বগত ভাবে কোন শ্রেণির? উঃ অশৃঙ্খলিত বা Inorganic ভাষা। ৭: ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ গ্রন্থের রচয়িতা কে? -- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ৮: বাংলা ভাষার কম্পিত ধ্বনি কোনটি ? -- র ৯: বাংলা ভাষার নাসিক্য ধ্বনি কোনগুলি? -- ঙ,ন,ম। এ ছাড়া ণ ও ঞ আছে, যেগুলি বাংলা ভাষায় উচ্চারিত হয় না। ১০: পাখিরা শব্দটির মধ্যে মুক্ত রূপিমের সংখ্যা কয়টি? -- একটি: পাখি। ১১: ব্যবহার অনুসারে যে দু ধরনের বাক্যখণ্ড পাওয়া যায়, সেগুলি কী কী?  উঃ ১) অধীন বাক্যখণ্ড ও ২) স্বাধীন বাক্যখণ্ড। ১২: ফ্লোর আর্টস ও জন আর্টস বাক্যখণ্ডকে কয় ভাগে ভাগ করেন? উঃ তিন

তৎসম শব্দ কাকে বলে | তৎসম শব্দের তালিকা

 বাংলা শব্দ ভাণ্ডার : তৎসম শব্দ তৎসম কথার অর্থ কী? তৎসম কথার অর্থ 'তার সমান'। এখানে 'তার' বলতে সংস্কৃতের। আমরা জানি সংস্কৃত ভাষা থেকে বহু শব্দ বাংলা ভাষায় এসেছে। সংস্কৃত শব্দগুলি মোটামুটি তিন ভাবে বাংলায় প্রবেশ করেছে। ১: সরাসরি ও অবিকৃত ভাবে, ২: বিবর্তনের মাধ্যমে এবং ৩: সরাসরি, কিন্তু বিকৃত রূপে। এখন তাহলে আসুন জেনে নিই তৎসম শব্দ কাকে বলে। যে শব্দগুলি সংস্কৃত ভাষার শব্দভাণ্ডার থেকে সরাসরি ও অবিকৃত অবস্থায় বাংলা শব্দভাণ্ডারে প্রবেশ করেছে, তাদের বলে তৎসম শব্দ। তৎসম শব্দগুলি হুবহু সংস্কৃত শব্দের অনুরূপ, তাই এদের নাম তৎসম।  তৎসম শব্দ চেনার উপায় তৎসম শব্দ চেনার একটি ভালো উপায় আছে। অবশ্য এই উপায়টি জানলেই সমস্ত তৎসম শব্দকে চেনা যাবে, এমন কোনো কথা নেই। যে কোনো শব্দকে চেনার জন্য আমাদের শব্দ ভাণ্ডারের সংগ্রহ বৃদ্ধি করতে হবে। তবে এই নিয়মগুলি জানলে বহু সংখ্যক তৎসম শব্দকে চেনা যাবে। নিয়মটি হলো: যে শব্দের প্রমিত বানানে ঋ বা ঋ-কার, ঈ বা ঈ-কার, ঊ বা ঊ-কার, ণ, ষ্, ক্ষ, ষ্ণ-এর মধ্যে যে কোনো একটি থাকবে, সেই শব্দটি অবশ্য‌ই তৎসম শব্দ হবে। এই নিয়মটিকে সব জায়গায় কাজে লাগা

রেজিস্টার কাকে বলে | ভাষাবিজ্ঞানে রেজিস্টার

 ভাষাবিজ্ঞানে রেজিস্টার বলতে কী বোঝায়? আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন, আমরা কথা বলার সময় একটা বিষয় সর্বদা খেয়াল রাখি, সেটা হলো কোথায় কথা বলছি এবং কার সাথে কথা বলছি। আমরা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডার মেজাজে থাকলে যে ভাষায় কথা বলি, অফিসে বসের সঙ্গে কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করার সময় সেই ভাষায় কথা বলি না। বাবা মায়ের সঙ্গে মানুষ যে ভাষায় কথা বলে, অতিথির সঙ্গে সেই ভাষায় কথা বলা যায় না। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে আমাদের ভাষা পরিবেশ অনুযায়ী বদলে যায়। এই পরিবেশকে এক কথায় বলা হয় উপলক্ষ্য। উপলক্ষ্য বদলে গেলে ভাষাও বদলে যায়। উপলক্ষ্য অনুসারে ভাষারীতির এই বৈচিত্র্যকে বলা হয় রেজিস্টার।  প্রতিটি মানুষ‌ই বহু সংখ্যক রেজিস্টার ব্যবহার করে থাকেন। পরিবেশ ও শ্রোতা বদলে গেলেই মানুষের কথা বলার ধরন বদলে যায়। আমরা নিজেরা নিজেদের উপর এই ব্যাপারে একটি পর্যবেক্ষণ চালালেই বুঝতে পারবো যে আমরা দিনের মধ্যে কত বার রেজিস্টার বদল করি।  রেজিস্টার ও উপভাষার মধ্যে পার্থক্য রেজিস্টার ও উপভাষার মধ্যে

সুভাষণ কাকে বলে

 সুভাষণের সংজ্ঞা আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন যখন কেউ কারও কাছ থেকে বিদায় নেয়, তখন সাধারণত 'যাই' বলার পরিবর্তে 'আসি' বলে। বাড়িতে খাদ্য দ্রব্য ফুরিয়ে গেলে 'শেষ হয়েছে' বলার পরিবর্তে বলে 'বাড়ন্ত'। কোনো অসুস্থ ব্যক্তির মৃত্যুর সম্ভাবনা বোঝাতে বলা হয়, "যদি ভালো মন্দ একটা কিছু হয়ে যায়"। আসলে আমরা অমঙ্গলজনক বা অকল্যাণকর কোনো কথাকেই মুখে উচ্চারণ করতে পছন্দ করি না। তাই অকল্যাণকর কথার পরিবর্তে ইতিবাচক কথার সাহায্যে এক‌ই অর্থ প্রকাশ করা হয়। এইভাবে অকল্যাণকর বা নেতিবাচক কোনো কথার পরিবর্তে ইতিবাচক ও মঙ্গলময় কথা ব্যবহার করার ব্যাপারকেই ভাষাতত্ত্বে সুভাষণ বলে।  SLST Bangla প্রস্তুতির জন্য আমার সঙ্গে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন সুভাষণের উদাহরণ মারা গেছেন > গঙ্গা লাভ করেছেন চাল ফুরিয়ে গেছে > চাল বাড়ন্ত যদি তিনি মারা যান > যদি তাঁর ভালো মন্দ কিছু হয়ে যায় আজ তাহলে যাই > আজ তাহলে আসি বসন্ত রোগ > মায়ের দয়া/মায়ের অনুগ্রহ আরও পড়ুন সূচিপত্র বাংলা ব্যাকরণের সেরা ব‌ই লোকনিরুক্তি কাকে বলে

উপভাষা কাকে বলে

 উপভাষার সংজ্ঞা ভাষা হল মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো বিভিন্ন স্থানে মানুষের ভাষা বিভিন্ন হয়। যেমন পশ্চিমবঙ্গের ভাষা বাংলা, আবার পাশের রাজ্য বিহারের ভাষা হিন্দি। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার ভাষা ও হুগলি জেলার ভাষা শুনলে বোঝা যাবে এই দুটিই বাংলা ভাষা হলেও, দুই অঞ্চলের ভাষায় অনেক পার্থক্য আছে। আসলে কোনো ভাষা যখন বৃহৎ অঞ্চলে প্রচলিত থাকে, তখন বিভিন্ন অঞ্চলে এক‌ই ভাষার ভিন্ন ভিন্ন রূপ প্রচলিত থাকে। এই রূপগুলি উপভাষা নামে পরিচিত।  উপভাষা কাকে বলে, এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলতে পারি: বৃহৎ অঞ্চলে প্রচলিত কোনো ভাষা অঞ্চলভেদে যে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে,  ভাষার সেই আঞ্চলিক রূপভেদগুলিকে উপভাষা বলে। বাংলা ভাষার উপভাষা কয়টি? বাংলা ভাষার উপভাষা পাঁচটি - রাঢ়ী, বঙ্গালী, ঝাড়খণ্ডী, বরেন্দ্রী ও কামরূপী।  বাংলার বিভিন্ন উপভাষার এলাকা রাঢ়ী উপভাষা প্রচলিত আছে কলকাতা সংলগ্ন গাঙ্গেয় সমভূমি ও দামোদর উপত্যকা অঞ্চলে। বঙ্গালী উপভাষা প্রচলিত আছে বাংলাদেশে। ঝাড়খণ্ডী উপভাষার অঞ্চল হল পুরুলিয়া, দক্ষিণ ও পশ্চিম বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সীমান

প্রসারিত স্বরধ্বনি কাকে বলে

 প্রসারিত স্বরধ্বনি কাকে বলে, কেন বলে প্রসারণ মানে বড়ো হ‌ওয়া। মৌলিক স্বরধ্বনি সম্পর্কে পড়তে গেলে আমরা জানতে পারি সম্মুখ স্বরধ্বনিগুলির অপর নাম প্রসারিত স্বর। এখন প্রশ্ন হল: প্রসারিত স্বরধ্বনি কাকে বলে এবং সম্মুখ স্বরগুলিকে প্রসারিত বলে কেন? এর উত্তর হলো-- যে স্বরধ্বনিকে উচ্চারণ করার সময় মুখছিদ্র ডাইনে বাঁয়ে প্রসারিত হয়, তাকে প্রসারিত স্বরধ্বনি বলে। এদের উচ্চারণ করার সময় মুখছিদ্র প্রসারিত হয় বলেই এদের এমন নামকরণ করা হয়েছে। বাংলা ভাষায় প্রসারিত স্বরধ্বনি তিনটি -- ই, এ, অ্যা। এই তিনটি স্বর উচ্চারণ করে দেখুন, আপনি বুঝতে পারবেন আপনার মুখছিদ্র কী ভাবে প্রসারিত হচ্ছে।  SLST বাংলা বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য আমার সঙ্গে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন। বিবৃত স্বর ও প্রসারিত স্বরের পার্থক্য বিবৃত ও প্রসারিত স্বরধ্বনির পার্থক্য জানার আগে প্রথমেই বলে দেওয়া ভালো যে, এই দুটি শ্রেণিবিভাগ হল পৃথক দুই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রাপ্ত শ্রেণিবিভাগ। বিবৃত স্বর মানে মুখছিদ্র উপর নিচে বড় হবে। অর্থাৎ উপরের ঠোঁট ও নিচের ঠোঁটের মধ্যে দূরত্ব বাড়বে। অপরদিকে প্রসারিত স্বরের বেলায় ঠোঁট দুটি এক‌ই সঙ্গে ডাইনে ও ব

সম্মুখ স্বরধ্বনি কাকে বলে

ছবি
 সম্মুখ স্বরধ্বনির ধারণা সমস্ত স্বরধ্বনির জন্ম হয় আমাদের গলায় অবস্থিত স্বরতন্ত্রীতে। তাহলে স্বরগুলিকে সম্মুখ ও পশ্চাৎ, এই দুই ভাগে ভাগ করা হল কিসের ভিত্তিতে? আমরা কী ভাবে বুঝবো সম্মুখ স্বরধ্বনি কাকে বলে এবং এগুলিকে সম্মুখ স্বরধ্বনি বলার কারণ কী? আসুন বুঝে নিই আসল ব্যাপারটা। যে স্বরধ্বনিগুলিকে উচ্চারণ করার সময় জিহ্বা সামনের দিকে এগিয়ে আসে, সেই স্বরধ্বনিগুলিকে সম্মুখ স্বরধ্বনি বলে।  সম্মুখ স্বরধ্বনি কয়টি বাংলা ভাষায় ৭টি মৌলিক স্বরের মধ্যে ৩টি সম্মুখ স্বরধ্বনি। ই, এ এবং অ্যা - এই তিনটি স্বরকে উচ্চারণ করার সময় জিহ্বা সামনের দিকে এগিয়ে আসে। উপরের ছবিতে দেখুন তিনটি সম্মুখ স্বরের প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে জিহ্বা সমান ভাবে অগ্রসর হচ্ছে না। ই উচ্চারণ করার সময় জিহ্বা যতটা এগোয়, অ্যা উচ্চারণ করার সময় তার চেয়ে অনেক কম এগোয়। অবশ্য তাতে কিছু যায় আসে না, তবুও এই তিনটি স্বর সম্মুখ স্বর হিসেবে স্বীকৃত হয়। সম্মুখ স্বরগুলি এক‌ই সঙ্গে প্রসারিত স্বর‌ও। এদের প্রসারিত স্বর কেন বলা হয়, তা জানতে এখানে ক্লিক করুন। SLST বাংলা বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য আমার সঙ্গে টেলিগ্রামে যুক্ত হোন আর‌ও পড়ুন

যৌগিক স্বরবর্ণ কয়টি

 যৌগিক স্বরজ্ঞাপক বর্ণ কয়টি ও কী কী? বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরবর্ণ বা যৌগিক স্বরজ্ঞাপক বর্ণ দুটি। সেগুলি হল ঐ এবং ঔ। কিন্তু এখানে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, যৌগিক স্বর বর্ণ দুটি হলেও যৌগিক স্বরধ্বনি এত কম নয়।  স্বরধ্বনি সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন  👈 যৌগিক স্বর কয়টি? বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বর কয়টি বললে তার উত্তর বেশ জটিল হয়ে পড়বে। তাহলে প্রথমে জানতে হবে যৌগিক স্বর কাকে বলে। যৌগিক স্বর হল একাধিক মৌলিক স্বরের যোগে সৃষ্টি হ‌ওয়া স্বর। যেমন: এ+ই = এই, ও+উ = ঔ(ওউ), আ+ই+আ = আইআ(আইয়া-র মতো উচ্চারণ) প্রভৃতি। যৌগিক স্বর তৈরি হতে পারে দুটি, তিনটি, চারটি এমনকি পাঁচটি স্বরের যোগে।  দুই স্বরের যোগে গঠিত হয় দ্বিস্বর ধ্বনি। তিন স্বরের যোগে গঠিত হয় ত্রিস্বর ধ্বনি।  চার ও পাঁচ স্বরে গঠিত হয় চতুঃস্বর ও পঞ্চস্বর।  সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষায় দ্বিস্বর ধ্বনির সংখ্যা ২৫টি। যৌগিক স্বর বলতে অনেকে সাধারণ ভাবে এই দ্বিস্বরগুলিকেই বোঝেন। তাই তাঁরা যৌগিক স্বরের সংখ্যা ২৫ বলে থাকেন। (মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নে ২৫টি অপশন থাকলে ছাত্রছাত্রীদের সেটিকেই সঠিক উত্তর বলে চিহ্নিত করার পরামর্

লোকনিরুক্তি কাকে বলে

 লোকনিরুক্তি অচেনাকে চেনা ছকে ফেলতে আমরা চিরকালই পছন্দ করি। অচেনা শব্দকেও আমরা তাই চেনা শব্দের আদলে ঢেলে নিতে চেষ্টা করি। যেমন বিদেশি ভাষার অচেনা শব্দ Hospital(হসপিটাল) বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে 'হাসপাতাল' হয়ে গেছে। 'পাতাল' কথাটি আমাদের চেনা, তাই হসপিটাল হয়েছে হাসপাতাল। এই ধরনের পরিবর্তনের নাম লোকনিরুক্তি। তাহলে লোকনিরুক্তি কাকে বলে? উঃ- কোনো অপরিচিত শব্দ যখন ধ্বনিগত সাদৃশ্য আছে এমন একটি পরিচিত শব্দের রূপ ধারণ করে, তখন তাকে লোকনিরুক্তি বলে। যেমন: পোর্তুগিজ আনানস > আনারস। লোকনিরুক্তির উদাহরণ ঊর্ণবাভ > ঊর্ণনাভ, আর্ম চেয়ার > আরাম চেয়ার, আর্মারিও > আলমারি, আনানস > আনারস, হসপিটাল > হাসপাতাল। লোকনিরুক্তির ক্ষেত্রে অর্থের‌ও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অনেক সময় দেখা যায়। যেমন আনানস > আনারস, এই পরিবর্তনে 'নস' অংশটি 'রস' হয়ে গেছে, তার কারণ আনারস একটি সরস ফল।  আমার SLST বাংলা গাইডের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগদান করুন   আর‌ও পড়ুন সূচিপত্র   বাংলা ব্যাকরণের সেরা ব‌ই

গুচ্ছ ধ্বনি ও যুক্ত ধ্বনি

 গুচ্ছ ধ্বনি ও যুক্ত ধ্বনি কাকে বলে গুচ্ছধ্বনি বলতে বোঝায় ব্যঞ্জনধ্বনির এমন সমাবেশ যাদের মাঝখানে কোনো স্বরধ্বনি থাকে না কিন্তু দলসীমা থাকে। অর্থাৎ, এই ব্যঞ্জনগুলি পৃথক দলের অন্তর্ভুক্ত হয়।  যেমন: 'অস্ত' শব্দের মধ্যেে 'স্ত' একটি ব্যঞ্জন-সমাবেশ। এখানে 'স্' ও 'ত্' ব্যঞ্জনদুটির মাঝে কোনো স্বর নেই কিন্তু 'অস্ত' শব্দটির দল ভাঙলে হবে অস্|ত । তার মানে, দেখা যাচ্ছে 'স্' ও 'ত্' ব্যঞ্জনদুটির মাঝে দলসীমা পড়ে যাচ্ছে, এরা এক‌ই দলের অন্তর্ভুক্ত নয়। বুদ্ধি, বাষ্প, নিষ্প্রাণ, তত্ত্ব, বৃত্ত, পল্লব প্রভৃতি শব্দের ব্যঞ্জনসমাবেশগুলি  সব‌ই গুচ্ছধ্বনি। গুচ্ছধ্বনি শব্দের বা দলে আদিতে থাকতে পারে না। কারণ এদের মাঝখানে একটি দল শেষ হয় এবং অপর একটি দল শুরু হয়।   সংস্কৃত, সংস্কৃতি প্রভৃতি শব্দের ংস্কৃ(উচ্চারণ: ঙ্স্ক্রি) বাংলায় উচ্চারিত গুচ্ছধ্বনি যাতে চারটি ব্যঞ্জন আছে। সংস্কৃত 'দংষ্ট্রা' শব্দের 'ঙ্ষ্ট্র'-ও(অনুস্বরকে ঙ্ রূপেই উচ্চারণ করা হয়) এরকম‌ই একটি চার-ব্যঞ্জনবিশিষ্ট গুচ্ছধ্বনি।  যুক্ত ধ্বনির বাঁধন গুচ্ছ ধ্বনির তুলনায় পাকা

জোড়কলম শব্দ কাকে বলে

জোড়কলম শব্দ আলোচনা: অনন্য পাঠক ভাষায় নতুন নতুন শব্দ গঠনের বহু পদ্ধতি রয়েছে। এইসব পদ্ধতির মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে মজার পদ্ধতি হল জোড়কলম। এই পদ্ধতিতে শব্দ গঠন করার ক্ষেত্রে ভাষাতত্ত্বের কোনো নিয়ম মানতে হয় না। দুটো শব্দের অংশবিশেষকে জুড়ে দিলেই হলো। সাধারণ ভাবে একটা শব্দের প্রথম অংশ ও অন্য একটা শব্দের শেষ অংশ জুড়েই জোড়কলম শব্দ গঠন করা হয়। অবশ্য অনেক সময় একটা গোটা শব্দের সঙ্গে অন্য একটা শব্দের অংশবিশেষকে জুড়েও জোড়কলম শব্দ গঠন করা হয়। আসুন জেনে নিই জোড়কলম শব্দ কাকে বলে -- একটি শব্দের অংশবিশেষের সঙ্গে অপর একটি শব্দের অংশবিশেষকে জুড়ে দিয়ে যে নতুন শব্দ পাওয়া যায়, তাকে জোড়কলম শব্দ বলে।    জোড়কলম শব্দের উদাহরণ বাংলা জোড়কলম শব্দের উদাহরণ - ধোঁয়া + কুয়াশা = ধোঁয়াশা, মিন্নৎ + বিনতি = মিনতি প্রভৃতি। সুকুমার রায় বেশ কয়েকটি জোড়কল শব্দ গঠন করেছেন, যেমন: হাতিমি, বকচ্ছপ, সিংহরিণ, গিরগিটিয়া প্রভৃতি। সুকুমার রায়ের জোড়কলম শব্দগুলির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। তিনি যে শব্দগুলিকে গ্রহণ করেছেন, তাদের প্রথমটির শেষ ধ্বনি ও পরেরটির প্রথম ধ্বনি অভিন্ন। তাই সুকুমারের জোড়কলম শব্দগুলির মধ্যে

নিভাষা কাকে বলে

 ভাষা, উপভাষা ও নিভাষা ভাষা হল ধ্বনিময় সংকেতের সাহায্যে ভাব প্রকাশের একটি জটিল মাধ্যম। সাধারণত ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন ভাষার প্রচলন থাকে। অনেক সময় একটিই ভাষা বৃহৎ অঞ্চলে প্রচলিত থাকে, তখন ওই বৃহৎ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় একটি ভাষার‌ই নানা রকম রূপভেদ দেখা যায়, এই রূপভেদগুলিকে বলে উপভাষা।  নিভাষা কী? আমাদের আশেপাশের লোকজনকে ভালো করে লক্ষ করলে দেখা যাবে তাঁরা এক‌ই অঞ্চলে বসবাস করে, এক‌ই উপভাষায় কথা বললেও তাঁদের কথার ধরনে অনেক পার্থক্য থেকে যায়। এমনকি এক‌ই পরিবারের ভিন্ন ভিন্ন সদস্যের কথা বলার ধরন আলাদা হয়। ব্যক্তি ভেদে ভাষা ব্যবহারের এই বৈচিত্র্যকেই বলে নিভাষা। প্রাইমারি টেট অনলাইন কোচিং নিতে যোগাযোগ 8918858578 আর‌ও পড়ুন সূচিপত্র

শ্রুতিধ্বনি কাকে বলে

 শ্রুতিধ্বনির সংজ্ঞা  শ্রুতিধ্বনি কাকে বলে - দুটি বা তার বেশি স্বরধ্বনি পাশাপাশি উচ্চারিত হলে দুটি স্বরের মাঝে একটি অতিরিক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগমন ঘটে। এই অতিরিক্ত ধ্বনিকে শ্রুতিধ্বনি বলে। আমরা যখন 'ক-এক' বলতে যাই, তখন আমাদের বাগ্‌যন্ত্র নিজে থেকেই 'কয়েক' উচ্চারণ করে। একটি বাড়তি ব্যঞ্জন 'য়' নিজে থেকেই চলে আসে। এই বাড়তি 'য়' হল শ্রুতিধ্বনি। সুকুমার সেনের ব্যাখ্যা শব্দমধ্যস্থ বিভিন্ন ধ্বনিকে উচ্চারণ করার সময় জিহ্বাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয়। এই ভাবে যাওয়ার সময় দুটি ধ্বনির মাঝখানে অসতর্ক ভাবে জিহ্বা যদি একটি বাড়তি ব্যঞ্জন ধ্বনি উচ্চারণ করে ফেলে, তাহলে তাকে শ্রুতিধ্বনি বলে। যেমন: ক+এক = কয়েক। এখানে য় শ্রুতিধ্বনি হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে। ভাষার ইতিবৃত্ত ব‌ইয়ে সুকুমার সেনের ব্যাখ্যায় একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য। তিনি দুটি ধ্বনির মাঝে আসা অতিরিক্ত ব্যঞ্জনকে শ্রুতিধ্বনি বলেছেন। এখানে তিনি স্বর ও ব্যঞ্জনে ভেদ করেননি। প্রথাগত ব্যাকরণে দুটি ব্যঞ্জনের মাঝে আগত ব্যঞ্জনকে শ্রুতিধ্বনি বলে স্বীকার করা হয় না। যেমন: বানর>বান্দর। প্রথাগত ব্যাকরণে এগুলি