অর্ধতৎসম শব্দ কাকে বলে

অর্ধতৎসম শব্দ : কাকে বলে ও উদাহরণ

সংস্কৃত ভাষা থেকে যে শব্দগুলি সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে কিন্তু শব্দগুলির যথাযথ রূপ রক্ষা পায়নি, বিকৃত হয়ে গেছে, তাদের অর্ধতৎসম শব্দ বলে। যেমন: নিমন্ত্রণ শব্দটি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসে 'নেমন্তন্ন' হয়ে গেছে।  এটি অর্ধতৎসম শব্দ।

অর্ধ তৎসম শব্দের উদাহরণ

কেষ্ট, বিষ্টু, বোষ্টম, গিন্নি, পেন্নাম, চরিত্তির, চিত্তির, মিত্তির, শত্তুর, পুত্তুর, কেত্তন, সূয্যি, চন্নন, চিনিবাস (শ্রীনিবাস), গেরস্থ, ফলার(<ফলাহার), মোচ্ছব, উচ্ছব, সোয়াস্তি, ছেরাদ্দ, রোদ্দুর, বিচ্ছিরি, ছিরি, নেমন্তন্ন,  তেতপ্পর(<তৃতীয় প্রহর), প্রভৃতি। 

তদ্ভব ও অর্ধতৎসম শব্দের পার্থক্য

তদ্ভব শব্দ ও অর্ধতৎসম শব্দ, উভয়‌ই সংস্কৃত থেকে বাংলায় আগত শব্দ এবং উভয়েরই রূপের পরিবর্তন ঘটেছে। তাহলে তদ্ভব ও অর্ধতৎসম শব্দের পার্থক্য কী? তদ্ভব শব্দের জন্ম হয়েছে বিবর্তনের পথ ধরে, অপরদিকে অর্ধতৎসম শব্দ বিবর্তনের ফসল নয়। সংস্কৃত শব্দ সরাসরি বাংলা ভাষায় ঢুকেছে, কিন্তু উচ্চারণ বিকৃত হয়েছে। তদ্ভব ও সংস্কৃত শব্দের মাঝে এক বা একাধিক বিবর্তনের স্তর পাওয়া যাবে, যেমন: হস্ত > হত্থ > হাথ > হাত। অর্ধতৎসম ও সংস্কৃতের মাঝে এমন কোনো স্তর নেই। যেমন: বিষ্ণু > বিষ্টু।

আরও পড়ুন

তৎসম শব্দ

তদ্ভব শব্দ 

মন্তব্যসমূহ

আর‌ও পড়ে দেখুন

মিল যুক্ত শব্দ | মিল করে শব্দ লেখ

সাধু ও চলিত ভাষার ৭টি বৈশিষ্ট্য ও রূপান্তর | Sadhu o cholit bhasha

তৎসম শব্দ কাকে বলে | তৎসম শব্দের তালিকা

সূচিপত্র | Bengali Grammar

অভিশ্রুতি কাকে বলে?

বিসর্গ সন্ধির সূত্র ও উদাহরণ | Bisargo sondhi

সমাসের প্রশ্নোত্তর | ব্যাসবাক্য সহ সমাস নির্ণ

পদ পরিবর্তন | ২৫০+ নির্ভুল পদান্তর