খণ্ডস্বর কাকে বলে | অর্ধস্বর কাকে বলে

 খণ্ডস্বর

খণ্ডস্বর মানে অর্ধস্বর। কোনো স্বরধ্বনি যখন রুদ্ধ দলের শেষে থাকে, তখন তাকে বলে খণ্ড স্বর বা অর্ধস্বর। এই ধরনের স্বরের উচ্চারণ পুরোপুরি স্বরের মতো হয় না, খানিকটা ব্যঞ্জনের বৈশিষ্ট্য মিশে যায়। নিচে উদাহরণ সহ সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা পড়ুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন।



যেমন: খাই শব্দের 'ই' একটি খণ্ডস্বর। অনুরূপ ভাবে 'যাও' শব্দের 'ও', 'নেই' শব্দের 'ই', 'ব‌উ' শব্দের 'উ' খণ্ডস্বর বা অর্ধস্বর। নিয়ম অনুযায়ী দেখতে গেলে এই স্বরগুলিকে হস্ চিহ্ন যোগে লেখা উচিত, যেমন ই্, উ্ প্রভৃতি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা করা হয় না। মনে রাখতে হবে: ই, উ এর স্বাভাবিক উচ্চারণ হলে এগুলি পূর্ণ স্বর। যেমন ইতি, ইহা, মণি, উল, কাকু প্রভৃতি শব্দের মধ্যে যে ই, উ স্বরগুলো আছে, তারা পূর্ণ স্বর। পূর্ণ স্বরকে লম্বা করে টেনে উচ্চারণ করা যাবে। যেমন: কাকুউউউউ, বা উউউউউল। খণ্ডস্বরকে টেনে উচ্চারণ করা যাবে না। যেমন: 'ব‌ই' শব্দের উচ্চারণ ব‌ইইইইইইই করতে গেলে উচ্চারণ হয়ে যাবে 'বয়িইইইইই'। 'ব‌ই' বললে ই অর্ধস্বর, কিন্তু 'বয়ি' বললে ই পূর্ণ স্বর হয়ে যাচ্ছে। দেখুন 'ব‌ই' উচ্চারণটি আমরা এক ঝটকায় করছি, এটি একটিমাত্র দল, কিন্তু 'বয়ি' উচ্চারণ দুটো ধাক্কায় হচ্ছে: ব-য়ি, এখানে দুটো দল আছে। ব্যাকরণের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা দেখার জন্য ইউটিউবে আমার চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন Ananya Pathak, তাহলেই চ্যানেলটি পাবেন।

মন্তব্যসমূহ

আর‌ও পড়ে দেখুন

মিল যুক্ত শব্দ | মিল করে শব্দ লেখ

সূচিপত্র | Bengali Grammar

কারক ও বিভক্তি এবং অনুসর্গ: বিস্তারিত আলোচনা | কারক

সাধু ও চলিত ভাষার ৭টি বৈশিষ্ট্য ও রূপান্তর | Sadhu o cholit bhasha

বাক্য ও বাক্যের শ্রেণিবিভাগ | বাক্য

তৎসম শব্দ কাকে বলে | তৎসম শব্দের তালিকা

বর্ণ বিশ্লেষণ করার নিয়ম | Barna bislesan Bengali

ক্রিয়া পদ | ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ ও ধারণা