পোস্টগুলি

উপমেয় কাকে বলে | উপমান কাকে বলে

 উপমেয় ও উপমানের ধারণা উপমেয় কাকে বলে উপমেয় কথার আক্ষরিক অর্থ হল: যার উপমা করা হয়, যার উপমা দেওয়া হবে‌, যা উপমার যোগ্য। অর্থালঙ্কারের ক্ষেত্রে যে বস্তুর তুলনা করা হয়, তাকে উপমেয় বলে। বস্তু শব্দটি এখানে ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ব্যক্তি, প্রাণী, বস্তু, সব‌ই এখানে বস্তু হিসেবে গণ্য হবে। উপমেয়কে প্রধান বস্তুও বলা হয়। তার কারণ উপমাতে উপমেয়‌ই মূল বর্ণিতব্য বিষয়। উপমেয়ের গুণ বর্ণনা করার লক্ষ্যেই উপমা করা হয়। যেমন: "চাঁদের মতো সুন্দর মুখ" বললে আমরা মুখ কত সুন্দর, সেটাই বোঝাতে চাইছি। তাই মুখ‌ই প্রধান বস্তু বা উপমেয়। উপমান কাকে বলে যার সাথে উপমেয়ের তুলনা করা হয়, তাকে উপমান বলে। যেমন: "আগুনের মতো গরম বাতাস" বললে বাতাসের তুলনা করা হচ্ছে আগুনের সাথে। তাই আগুন উপমান। তুলনায় উপমানের কাজ হলো উপমেয়ের গুণ বর্ণনায় সাহায্য করা। উপমানকে উপমেয়ের গুণ বর্ণনার মানদণ্ড বলা যায়। উপমেয় ও উপমান চেনার উপায় উপমেয় ও উপমান চেনার কয়েককটি খুব সহজ ও কার্যকরী উপায় আছে।  ১: যার কথা আমরা বলতে চাইছি, সেটি হলো উপমেয়। ২: যার সাথে তুলনা, সে উপমান।  ৩: উপমানকে চেনা বেশি স

আক্ষরিক অনুবাদ ও ভাবানুবাদ: পার্থক্য

আক্ষরিক অনুবাদ ও ভাবানুবাদের পার্থক্য  ১: আক্ষরিক অনুবাদে প্রতিটি শব্দের, প্রতিটি বাক্যের হুবহু অনুবাদ করা হয়। ভাবানুবাদে মূল ভাবটি বজায় রেখে নতুন ভাবে বাক্য গঠন করা হয়। ২: আক্ষরিক অনুবাদ নিকৃষ্ট বলে গণ্য হয়। ভাবানুবাদ উৎকৃষ্ট অনুবাদ বলে গণ্য হয়। ৩: দাপ্তরিক ও আইনি কাজকর্মে আক্ষরিক অনুবাদের কিছু উপযোগিতা আছে। ভাবানুবাদের উপযোগিতা শিক্ষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে। ৪: আক্ষরিক অনুবাদে ভাষা সাবলীল হয় না। ভাবানুবাদে ভাষা সাবলীল হয়। ৫: আক্ষরিক অনুবাদে বাক্যের সরলার্থ ছাড়া গূঢ় প্রকাশিত হয় না। ভাবানুবাদে বাক্যের গূঢ় ভাবার্থ প্রকাশ করা যায়। ৬: প্রবাদ, প্রবচন ও বিশিষ্ট বাক্যের আক্ষরিক অনুবাদ সম্ভব হয় না। ভাবানুবাদ যে কোনো বাক্যের‌ই করা যায়। ভাবানুবাদ কাকে বলে

অপাদান কারক চেনার উপায়

অপাদান কারক  যেখান থেকে কোনো কিছু বিচ্যুত, নির্গত, উৎপন্ন, প্রাপ্ত, আরম্ভ, পরিচালিত প্রভৃতি হয়, তাকে অপাদান কারক বলে। অপাদান কারক চেনার জন্য এর প্রতিটি শ্রেণিবিভাগ জেনে রাখা দরকার। তার পর নিচে আমরা অপাদান কারক চেনার উপায় আলোচনা করবো। অপাদান কারকের শ্রেণিবিভাগ ১: স্থান-বাচক অপাদান: যে স্থান থেকে কর্তা বা কর্ম বিচ্যুত হয়, সেই স্থানকে স্থানবাচক অপাদান বলে। যেমন: জলটা গ্লাস থেকে ঢালো। -- গ্লাস অপাদান। ২: উৎস-বাচক অপাদান: যে উৎস থেকে কিছু পাওয়া যায় বা নির্গত হয়, তাকে উৎস বাচক অপাদান বলে।  যেমন: তিল থেকে তেল হয়।  ৩: অবস্থান-বাচক অপাদান: যে স্থান থেকে দূরবর্তী ক্রিয়া পরিচালিত হয়, সেই স্থানকে অবস্থান বাচক অপাদান বলে। যেমন: সে ছাদ থেকে ডাকছে।  ৪: রূপান্তর-বাচক অপাদান: কোনো কিছু থেকে রূপান্তরিত হয়ে অন্য কোনো কিছুতে পরিণত হলে প্রথম পদটি অপাদান কারক হয়। যেমন: দুধ থেকে দ‌ই হয়।  ৫: দূরত্ব-বাচক অপাদান: এক স্থান থেকে অন্য স্থানের দূরত্ব বোঝানো হলে প্রথম স্থানটিকে দূরত্ব বাচক অপাদান বলে। যেমন: কলকাতা থেকে দিল্লি অনেক দূরে। ৬: কাল-বাচক অপাদান: যে সময় থেকে কোনো কিছু শুরু হয়, সেই সময়

ভাবানুবাদ কাকে বলে

ভাবানুবাদ অনুবাদ বলতে বোঝায় ভাষান্তর। এক ভাষার রচনাকে অন্য ভাষায় রূপান্তরিত করাকেই অনুবাদ বলা হয়। অনুবাদ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন: আক্ষরিক অনুবাদ, ভাবানুবাদ ও রসানুবাদ। আজকের আলোচনায় আমরা ভাবানুবাদ সম্পর্কে জানবো। ভাবানুবাদ কথার অর্থ হল ভাব অনুসারে অনুবাদ। ভাবানুবাদ = ভাব + অনুবাদ। যে অনুবাদ করার জন্য মূল রচনার প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্যের হুবহু অনুবাদ করা হয় না , রচনাটি আগাগোড়া ভালো ভাবে পড়ার পর মূল ভাব বা বক্তব্যটি নতুন ভাবে রচনা করা হয়, তাকে বলে ভাবানুবাদ। তবে ভাবানুবাদ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, রচনার মূল বক্তব্য যেন বদলে না যায়। ইংরেজি থেকে বাংলায় যে অনুবাদ বিভিন্ন পরীক্ষায় করতে দেওয়া হয়, সেগুলি সব সময় ভাবানুবাদ করা উচিত। আক্ষরিক অনুবাদ মানেই নিকৃষ্ট অনুবাদ। তাই আক্ষরিক অনুবাদ কখনোই কাম্য নয়। আক্ষরিক অনুবাদ ও ভাবানুবাদের পার্থক্য পড়ুন। ভাবানুবাদের উদাহরণ পড়ুন

বিভক্তি ও নির্দেশকের পার্থক্য | বিভক্তি ও নির্দেশকের সাদৃশ্য

বিভক্তি ও নির্দেশক আলোচক: অনন্য পাঠক বিভক্তি ও নির্দেশক, উভয়ের বেশ কিছু সাদৃশ্য থাকলেও এরা এক জিনিস নয়। নিচে এদের পার্থক্য ও সাদৃশ্য আলোচনা করা হলো। পার্থক্য ১: বিভক্তি শব্দ বা ধাতুর পরে যুক্ত হয়ে তাকে পদে পরিণত করে। নির্দেশক শব্দের পরে যুক্ত হয়ে বচন নির্দেশ করে। ২: নির্দেশকের পর বিভক্তি যুক্ত হতে পারে। বিভক্তির পর নির্দেশক যুক্ত হতে পারে না। ৩: বিভক্তি অন্বয় সৃষ্টি করে। নির্দেশক অন্বয় সৃষ্টি করতে পারে না। ৪: বিভক্তির পরিবর্তে অনুসর্গ ব্যবহৃত হতে পারে। নির্দেশকের পরিবর্তে অন্য কিছু ব্যবহৃত হতে পারে না। ৫: বিভক্তি ধাতুর পরেও যুক্ত হয়। নির্দেশক ধাতুর পরে যুক্ত হতে পারে না। সাদৃশ্য ১: বিভক্তি ও নির্দেশক, উভয়েই শব্দের পরে যুক্ত হয়।  ২: বিভক্তি ও নির্দেশক, উভয়েই পরাধীন রূপমূল, বাক্যের মধ্যে এদের স্বাধীন ব্যবহার নেই। ৩: বিভক্তি ও নির্দেশক, উভয়ের‌ই অর্থবাচকতা আছে, কিন্তু স্বাধীন অর্থ নেই। কারক বিভক্তি ও নির্দেশক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদের পার্থক্য

ছবি
সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ, উভয়‌ই অকারক পদ। উভয়ের সঙ্গেই ক্রিয়ার সরাসরি সম্পর্ক থাকে না। তবু এদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। নিচে সম্বোধন পদ ও সম্বন্ধ পদের পার্থক্য বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করলাম।  সম্বন্ধ ও সম্বোধন পদের পার্থক্য ১: সম্বন্ধ পদে সাধারণত র/এর বিভক্তি যুক্ত থাকে। সম্বোধন পদে সাধারণত বিভক্তি থাকে না (অর্থাৎ শূন্য বিভক্তি থাকে)। ২: সম্বন্ধ পদ বাক্যের গতি ভঙ্গ করে না। সম্বোধন পদ বাক্যের গতি ভঙ্গ করে। ৩: সম্বন্ধ পদ বিশেষ্য‌ও হতে পারে, সর্বনাম‌ও হতে পারে। সম্বোধন পদ শুধু বিশেষ্য‌ই হতে পারে। ৪: সম্বন্ধ পদের পরে কমা চিহ্ন ব্যবহৃত হয় না। সম্বোধন পদের পরে, আগে অথবা আগে ও পরে কমা চিহ্ন দিতে হয়। ৫: সম্বন্ধ পদ বাক্যের বাড়তি অংশ নয়, এটি উদ্দেশ্য বা বিধেয়ের অন্তর্গত হয়। সম্বোধন পদ বাক্যের বাড়তি অংশ এবং উদ্দেশ্য বা বিধেয়ের অন্তর্গত নয়।  নিচে কারক ও অকারক পদের ধারণা সম্পর্কে আমার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওটি দিলাম। এটা দেখার অনুরোধ র‌ইলো। আশা করি কারক সম্পর্কে অনেক নতুন বিষয় জানা যাবে। আশা করি সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদের পার্থক্য বোঝা গেছে। ইউটিউবে আমার ব

সম্বোধন পদ কাকে বলে

সম্বোধন পদ আলোচক: অনন্য পাঠক যে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদগুলির সাথে ক্রিয়াপদের সরাসরি সম্পর্ক থাকে না, সেগুলি অকারক নামে পরিচিত। বাংলা ব্যাকরণে দুই ধরনের অকারক পদের উল্লেখ পাওয়া যায়। একটির নাম সম্বন্ধ পদ, অন্যটির নাম সম্বোধন পদ। আজকের আলোচনায় আমরা সম্বোধন পদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। এর সম্পর্কে ভুল ধারণাগুলিও দূর করে নেবো। প্রথমেই জেনে নিই সম্বোধন পদ কাকে বলে। বাক্যের সূচনায়, বাক্যের শেষে, বা মাঝখানে বাক্যের গতি ভঙ্গ করে, কাউকে ডাকা বা সম্বোধন করা হলে, যে পদটির দ্বারা এই সম্বোধন করা হয়, তাকে সম্বোধন পদ বলে। নিচে উদাহরণের মাধ্যমে সম্বোধন পদ সম্পর্কে ধারণাটি আরও স্পষ্ট করার চেষ্টা করা হল। উদাহরণ ১: মা, আমাকে জল দাও। -- এই বাক্যে সম্বোধন পদ 'মা'। এখানে মনে হতে পারে যে, মা তো কর্তা! কারণ মা-ই জল দেবে। কিন্তু তা নয়। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে এই বাক্যের কর্তা 'তুমি' ঊহ্য আছে। এই বাক্যের কর্তা যে 'তুমি', তা বোঝার জন্য ক্রিয়াপদটি লক্ষ করুন। 'দাও' যেখানে ক্রিয়া, কর্তা সেখানে অবশ্যই 'তুমি'। 'মা' কর্তা হলে বর্তমান অনুজ্ঞায় ক্রিয়া হত

বহুব্রীহি সমাস চেনার উপায়

বহুব্রীহি সমাস চেনার কৌশল বহুব্রীহি সমাস চিনতে অনেকেই অসুবিধায় পড়েন। তাই আজকের আলোচনায় কতকগুলি শর্টকাট টেকনিক জানাবো, যার সাহায্যে বহুব্রীহি সমাস মনে রাখা বা চেনা অনেক সহজ হবে। তবে প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে, যে কোনো সমাস চেনার জন্য সমাসবদ্ধ পদটির অর্থ জানতে হবে। সমাসবদ্ধ পদের অর্থ না জানলে কোনো ভাবেই সমাস চেনা সম্ভব নয়। এ ছাড়া এই প্রসঙ্গে আরও একটি কথা বলে দেওয়া উচিত যে, শর্টকাট পদ্ধতি জানার পাশাপাশি প্রতিটি অধ্যায় বিস্তারিত পড়ে নেওয়া দরকার। ১: ব্যাসবাক্যের মধ্যে 'যার' /'যাঁর' পদটি থাকলে সেটি বহুব্রীহি সমাস হবে। যেমন: নীল অম্বর যাঁর - নীলাম্বর, বীণা পাণিতে যাঁর - বীণাপাণি। ২: সমস্তপদের শেষে 'ক' প্রত্যয় থাকলে বহুব্রীহি সমাস হবে। যেমন: সস্ত্রীক, সকর্মক, অকর্মক, অপুত্রক প্রভৃতি‌। এখানে খেয়াল রাখতে হবে শেষের ক যেন প্রত্যয় হিসেবে থাকে। ক যদি মূল শব্দের মধ্যেই থাকে, তাহলে বহুব্রীহি সমাস নাও হতে পারে। ক-এর পরিবর্তে 'অক' প্রত্যয় থাকলেও চলবে না। ৩: ব্যাসবাক্যের শুরুতে 'নেই'/'নাই' শব্দ এবং শেষে 'যার'/'যাঁর'/'যে

নিমিত্ত কারক কাকে বলে

ছবি
নিমিত্ত কারক নিমিত্ত কারক বাংলা ব্যাকরণের একটি বিতর্কিত কারক। এই বিতর্কের বিষয়ে নিচে সংক্ষেপে বলছি ; তার আগে জেনে নিই নিই নিমিত্ত কারক কাকে বলে। কর্তা যার জন্য, যার উদ্দেশ্যে বা যে অভিপ্রায়ে ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে নিমিত্ত কারক বলে।  নিচে নিমিত্ত কারকের উদাহরণগুলি লক্ষ করুন। উদাহরণ ১: তোমার জন্য কলম আনবো। -- নিমিত্ত কারকে 'জন্য' অনুসর্গ। ২: মহারাজ শিকারে গেছেন। -- নিমিত্ত কারকে 'এ' বিভক্তি। ৩: সখি, জলকে চল। -- নিমিত্ত কারকে 'কে' বিভক্তি। ৪: চিকিৎসার উদ্দেশ্যে শহরে এসেছি। -- নিমিত্ত কারকে 'উদ্দেশ্যে' অনুসর্গ। নিমিত্ত কারকের প্রকারভেদ নিমিত্ত কারক দুই ভাবে হয়: ১: ফলভোগী অর্থে নিমিত্ত: যার জন্য কাজ করা হয়, কাজের ফল যে ভোগ করে, তা নিমিত্ত কারক হয়। যেমন: দেশের জন্য প্রাণ দেব; তোমার জন্য জামা এনেছি। ২: অভিপ্রায় অর্থে নিমিত্ত: যে অভিপ্রায়ে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তা নিমিত্ত হয়। যেমন: পড়াশোনার জন্য হস্টেলে থাকি। নিমিত্ত কারক বিতর্ক নিমিত্ত কারকের ধারণাটি বাংলা ব্যাকরণে সাম্প্রতিক কালে সংযোজিত হয়েছে। সংস্কৃতে এই ধারণাটি সম্প্রদান কারকের অন্ত

করণ বাচক অপাদান কাকে বলে

করণ-বাচক অপাদান অপাদান কারকের একটি ভিন্ন ধরনের ভাগ এই করণ-বাচক অপাদান। এটি আসলে করণ, কিন্তু বাক্যে প্রয়োগ-বৈচিত্র্যের কারণে অপাদান বলে মনে হয়। যা প্রকৃতপক্ষে করণ, তাকেই যখন অপাদান রূপে প্রয়োগ করা হয়, তাকে করণ-বাচক অপাদান বলে। যদিও আমাদের মনে হয়, এই ভাগটিকে অপাদান না বলে করণ‌ই বলা উচিত। নিচে উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আর‌ও স্পষ্ট করার চেষ্টা করছি। উদাহরণ ১: সংক্রমণ থেকেই মৃত্যু হয়েছে। -- সংক্রমণ আসলে মৃত্যুর হেতু, তাই করণ কারক, অথচ এই বাক্যে তাকে অপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ২: ভয় থেকে অনেক সময় ভুল হয়ে যায়। -- ভয় প্রকৃতপক্ষে করণ হলেও এখানে অপাদান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ৩: ঐ সামান্য পুঁজি থেকে এত বড় ব্যবসা দাঁড় করিয়েছি। -- প্রকৃতপক্ষে পুঁজির সাহায্যে ব্যবসা দাঁড় করিয়েছি। কিন্তু এখানে পুঁজি অপাদান হয়েছে। আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। ইউটিউবে আমার ব্যাকরণের ক্লাস করার জন্য ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak)। সূচিপত্র

নৈকট্যসূচক স্থানাধিকরণের উদাহরণ

নৈকট্য সূচক স্থানাধিকরণ কাকে বলে স্থানাধিকরণকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়: ১: ব্যাপ্তি সূচক স্থানাধিকরণ, ২: ঐকদেশিক/একদেশ সূচক স্থানাধিকরণ ও ৩: নৈকট্য সূচক স্থানাধিকরণ। এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো নৈকট্য সূচক স্থানাধিকরণ। নৈকট্য মানে নিকটের ভাব বা কাছাকাছি থাকার ভাব। আমরা জানি যে স্থানে ক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়, সেই স্থানকে স্থানাধিকরণ বলে। অনেক সময় দেখা যায় কোনো স্থানের নিকটে ক্রিয়া সম্পাদিত হলেও বলা হয় সেই স্থানেই ক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। এই ভাবে যে স্থানের নিকটে বা কাছাকাছি ক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়, সেই স্থানকে নৈকট্য সূচক স্থানাধিকরণ বলে। নিচে নৈকট্য সূচক স্থানাধিকরণের উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি ভালো ভাবে বোঝানো হলো। উদাহরণ ১: বাইপাসে আমার বাড়ি। -- বাইপাস একটি রাস্তা, সেই রাস্তার উপর কার‌ও বাড়ি হতে পারে না। আসলে বাড়িটি অবস্থিত ওই রাস্তার নিকটে। তাই 'বাইপাসে' পদটি নৈকট্যসূচক স্থানাধিকরণ। ২: দরজায় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। -- দরজায় নৈকট্যসূচক স্থানাধিকরণ। প্রকৃতপক্ষে দরজার সামনে গাবি দাঁড়িয়ে আছে। ৩: পুরীতে সমুদ্র আছে। -- আসলে পুরীর নিকটে সমুদ্র আছে। 'পুরীতে' নৈকট্যসূচক

অনুক্ত কর্তা কাকে বলে

অনুক্ত কর্তার ধারণা অনুক্ত কথার আক্ষরিক অর্থ হল 'নয় উক্ত', অর্থাৎ, 'যা বলা হয়নি'।  কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যে কর্তাটি বাক্যের মধ্যে প্রাধান্য পায় না। এই দুই বাচ্যে কর্তা যেহেতু কর্তা রূপে উক্ত বা প্রকাশিত হয় না, তাই এই দুই বাচ্যের কর্তাকে অনুক্ত কর্তা বলে। নিচের উদাহরণগুলি দেখলে অনুক্ত কর্তা কাকে বলে এবং কেন বলে, তা ভালো করে বোঝা যাবে। (বাচ্য সম্পর্কে ধারণা না থাকলে পড়ে নিন আমার লেখা  বাচ্যের বিস্তারিত আলোচনা। ) অনুক্ত কর্তার উদাহরণ ১: রাবণ রাম কর্তৃ নিহত হন। -- এই বাক্যে রাম প্রকৃত কর্তা হলেও বাক্যে সাক্ষাৎ কর্তার স্থানে রয়েছে রাবণ। রামকে প্রত্যক্ষ কর্তা বলে মনে হচ্ছে না। বাক্যটি কর্মবাচ্যে আছে বলেই এমনটা হচ্ছে। এই বাক্যের প্রকৃত কর্তা 'রাম' অনুক্ত কর্তা। ২: আমার যাওয়া হবে না। -- এই বাক্যে প্রকৃত কর্তা 'আমি'। কিন্তু বাক্যটি ভাববাচ্যে থাকায় কর্তা 'আমি'-কে প্রত্যক্ষ ভাবে কর্তা মনে হচ্ছে না। তাই এটিও অনুক্ত কর্তা। এক‌ই রকম আরও উদাহরণ: ৩: তোমাকে যেতে হবে। -- তোমাকে ৪: জনতার দ্বারা লোকটি প্রহৃত হল। -- জনতা ৫: আমার দ্বারা এ কাজ হবে না। -- আম

তারতম্য বাচক অপাদান কাকে বলে

তারতম্য বাচক অপাদান অপাদান কারকের বেশ কয়েকটি ভাগের মধ্যে একটি বিশিষ্ট ভাগ হল তারতম্য বাচক অপাদান বা তুলনাবাচক অপাদান। যখন দুয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়, তখন 'থেকে', 'চেয়ে', 'অপেক্ষা' প্রভৃতি অনুসর্গ-বিশিষ্ট প্রথম পদটিকে তুলনা বাচক অপাদান অপাদান বা তারতম্য বাচক অপাদান বলা হয়। তুলনাবাচক বা তারতম্যবাচক অপাদানের কথা আলোচনা করেছেন ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ গ্রন্থে এই প্রসঙ্গে আলোচনা রয়েছে। নিচে তারতম্য বাচক অপাদানের উদাহরণ দেওয়া হল উদাহরণ ১: তোমার চেয়ে আমি বড়ো। -- 'তোমার' তারতম্য বাচক অপাদান। ২: পৃথিবীর চেয়ে চাঁদ ছোটো। -- পৃথিবী  ৩: ভাইয়ের থেকে দাদা ভালো। -- ভাই ৪: এমন সুখের চেয়ে দুঃখ শ্রেয়। -- সুখ ৫: বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়। -- বাঁশ ৬: মহাভারত অপেক্ষা রামায়ণ প্রাচীনতর। -- মহাভারত আশা করি তারতম্য বাচক অপাদান কাকে বলে বোঝা গেছে। ইউটিউবে আমার ভিডিও ক্লাস করার জন্য ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak)। কারক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন   সূচিপত্র

অপভাষা কাকে বলে | অপভাষা কী

অপভাষার সংজ্ঞা ও ধারণা অপভাষা নামটি দিয়েছেন ডঃ সুকুমার সেন। তিনি তাঁর 'ভাষার ইতিবৃত্ত' গ্রন্থে অপভাষার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে যা বলেছেন, তার মর্মার্থ হল: কোনো ভাষা বা উপভাষাকে ভালো ভাবে না জেনে সেই ভাষা ব্যবহার করতে চেষ্টা করলে উচ্চারণ ও ভাষা ব্যবহারে ভুলত্রুটি হবেই। এ রকম ভুলত্রুটি-পূর্ণ ভাষাকে বলে অপভাষা। পতঞ্জলি তাঁর মহাভাষ্যে অপশব্দ কথাটি ব্যবহার করেছেন। ভুল ভাবে উচ্চারিত শব্দকে তিনি অপশব্দ বলেছেন। নিচে অপভাষার উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটি আর একটু স্পষ্ট করার চেষ্টা করছি।  অপভাষার উদাহরণ হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের বাংলা উচ্চারণ: "হামি আপনাকে চিনে না।"  বাঙালির হিন্দি উচ্চারণ: "মে বাস মে চাপ কে কলকাতা যাতা হুঁ।" ইংরেজ সাহেবের বাংলা উচ্চারণ: "হামি টোমাকে শাসটি ডিটে পারি।" অপভাষার দৃষ্টান্ত হিসেবে এই বাক্যগুলি উল্লেখ করা যায়। একটু চোখ কান খোলা রাখলে আমাদের চারপাশে এমন অপভাষার দৃষ্টান্ত অনেক পাওয়া যাবে। আশা করি অপভাষা সম্পর্কে একটি মোটামুটি ধারণা দিতে পেরেছি। ইউটিউবে আমার ব্যাকরণ বিষয়ক ক্লাস শোনার জন্য ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ana

ধ্বনি পরিবর্তন মনে রাখার কৌশল

ধ্বনি পরিবর্তন মনে রাখার উপায়  ধ্বনি পরিবর্তন চিনতে অনেকেই অনেক সময় সমস্যায় পড়ে যায়। তাই আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো ধ্বনি পরিবর্তন মনে রাখার কিছু সহজ উপায় বা কৌশল। যদিও ধ্বনি পরিবর্তন মনে রাখার জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল প্রতিটি ধারা থেকে একটি করে উদাহরণ মনে রাখা ও সেই উদাহরণটি বর্ণ বিশ্লেষণ করে বুঝে নেওয়া। এই পদ্ধতির বাইরেও কিছু শর্টকাট টেকনিক জানাবো আজকের পোস্টে। ১: অপিনিহিতি : মূল শব্দে ই-কার বা উ-কার থাকবে এবং যে ব্যঞ্জনের গায়ে এই ই-কার বা উ-কার থাকবে, ধ্বনি পরিবর্তনের পর সেই ব্যঞ্জনের আগে ই বা উ হবে। যেমন: কালি > কাইল। ল-এর গায়ে ই-কার ছিলো, তাই ল-এর আগে ই হলো। ২: সমীভবন : দুটো আলাদা ব্যঞ্জন পাশাপাশি বা যুক্ত অবস্থায় থাকবে। ধ্বনি পরিবর্তনের পর আলাদা ব্যঞ্জন দুটো বদলে এক‌ই ব্যঞ্জন বা পাশাপাশি ব্যঞ্জনে পরিণত হবে (পাশাপাশি ব্যঞ্জন যেমন: ত-থ, দ-ধ, চ-ছ ইত্যাদি)। উদাহরণ: ধর্ম > ধম্ম। র-ম পাশাপাশি ছিলো (রেফ মানে র-এ ম)। পরিবর্তনের পর দুটোই ম হয়ে গেছে। ৩: অভিশ্রুতি : অভিশ্রুতি হয় অপিনিহিতির পর। আগে অপিনিহিতি হবার পর স্বরধ্বনির আর‌ও পরিবর্তন ঘটলেই বুঝতে হবে অভিশ

ব্যাকরণ প্রশ্নোত্তর ১

ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ১: প্রশ্ন: পরের ই-কার ও উ-কার আগে উচ্চারিত হলে তাকে কী বলে? উত্তর: অপিনিহিতি বলে। ২: প্রশ্ন: রিক্সা‌ > রিস্কা - কিসের উদাহরণ? উত্তর: এটি বর্ণবিপর্যয় বা ধ্বনি-বিপর্যয়ের উদাহরণ। ৩: প্রশ্ন: করিয়া > ক‌ইরা > করে কিসের উদাহরণ? উত্তর: এটি অভিশ্রুতির উদাহরণ। (প্রথমে অপিনিহিতি, পরে অভিশ্রুতি।) ৪: প্রশ্ন: যে সন্ধি কোনো নিয়ম মানে না, তাকে কী বলে? উ: তাকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। ৫: প্রশ্ন: শ ষ স হ - এ চারটি বর্ণের নাম কী? উত্তর: এই চারটি বর্ণের নাম উষ্ম বর্ণ। ৬: প্রশ্ন: পদের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ হলে তাকে কী বলে? উত্তর: পদের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনের লোপ হলে তাকে বলে মধ্যব্যঞ্জনলোপ বা অন্তর্হতি। ৭: সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝে স্বরধ্বনি উচ্চারিত হলে তাকে কী বলে? উত্তর: সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝে স্বরধ্বনি উচ্চারিত হলে তাকে স্বরভক্তি বলে। ৮: লগ্ন > লগগ কোন সমীভবন? উত্তর: এটি প্রগত সমীভবন। কারণ এখানে পূর্ব ব্যঞ্জন গ-এর প্রভাবে পরবর্তী ব্যঞ্জনটি বদলে গেছে। ৯: আদি স্বরাগমের উদাহরণ কোনটি? উত্তর: আদি স্বরাগমের উদাহরণ: স্কুল > ইস্কুল, স্টেশন &g

দুটি সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে কী বলে

দুটি সমবর্ণের মধ্যে একটির পরিবর্তন দুটি সমবর্ণের মধ্যে একটি পরিবর্তিত হয়ে ভিন্ন ব্যঞ্জনে পরিণত হলে সেই পরিবর্তনকে বিষমীভবন বলে। বিষমীভবন হল সমীভবনের বিপরীত প্রক্রিয়া। সমীমবনে দুটি বিষম ব্যঞ্জনের মধ্যে একটি বা কখনও দুটিই পরিবর্তিত হয়ে সম ব্যঞ্জনে পরিণত হয়। বিষমীভবনে ঠিক তার উল্টো ঘটনা ঘটে। নিচে বিষমীভবনের উদাহরণ দেওয়া হল। বিষমীভবনের উদাহরণ শরীর > শরীল লাল > নাল

অকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে | সকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে

অকর্মক ও সকর্মক ক্রিয়া অকর্মক ক্রিয়া কী, তা বোঝার জন্য প্রথমে বুঝতে হবে কর্ম কী। কর্ম হল ক্রিয়ার আশ্রয়। ক্রিয়ার কাজ যার উপর প্রযুক্ত হয়, তাকে কর্ম বলে। ক্রিয়াকে 'কী' বা 'কাকে' দিয়ে প্রশ্ন করলে কর্মটি পাওয়া যায়। যেমন: "আমি ব‌ই পড়ছি।" -- আমি কী পড়ছি? উঃ - ব‌ই। ব‌ই হল কর্ম। (প্রশ্ন করার সময় কর্তা সমেত প্রশ্ন করতে হবে, নয়তো ভুল হতে পারে।) "আমি তোমাকে কথাটা বলবো।" -- কাকে কথাটা বলবো?  উঃ- তোমাকে। তুমি কর্ম। কী বলবো? কথাটা। তাই এই বাক্যে দুটো কর্ম। এই ভাবে কর্ম নির্ণয় করলেই বোঝা যাবে ক্রিয়াটির কর্ম আছে, না নেই। কর্ম থাকলে সেটি হবে সকর্মক ক্রিয়া, না থাকলে হবে অকর্মক ক্রিয়া। যেমন: "আমি খেয়েছি।" এই বাক্যে যদি প্রশ্ন করা হয়, "আমি কী খেয়েছি?", তাহলে যাই হোক একটা উত্তর পাওয়া যাবে। তাই 'খেয়েছি' ক্রিয়াটি সকর্মক। এবার অন্য একটি উদাহরণ দেখুন -- "আমি সকালে হেঁটেছি।" - এই বাক্যে প্রশ্ন করুন। "আমি কী হেঁটেছি?" কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছে কি? যাচ্ছে না। তাই এটি অকর্মক ক্রিয়া। নিচে দুই ধরনের ক্রিয়ার অ

প্রযোজ্য কর্তা কাকে বলে | প্রযোজ্য কর্তা কাকে বলে

প্রযোজ্য কর্তা বাংলা ব্যাকরণের প্রযোজ্য কর্তা নিয়ে অনেক জটিলতা আছে। এইসব জটিলতা সমেত পুরো ব্যাপারটি আজ সহজ ভাবে উপস্থাপিত করতে চেষ্টা করবো। প্রযোজ্য কর্তা কাকে বলে, এই প্রশ্নের জবাবে সহজ ভাবে বলা যায়: যে কর্তা অন্য কর্তার প্রযোজনায় কাজ করে, তাকে প্রযোজ্য কর্তা বলে। প্রযোজ্য কর্তা যার প্রযোজনায় কাজ করে, তাকে প্রযোজক কর্তা বলে। এখন সমস্যা হচ্ছে প্রযোজ্য কর্তা চিনবো কীভাবে? প্রযোজ্য কর্তা চেনার একটি সহজ উপায় আছে। সেটি নিচে উদাহরণের সঙ্গে আলোচনা করছি। প্রযোজ্য কর্তার উদাহরণ ১: বাবা ছেলেকে খেলাচ্ছেন। -- ছেলে প্রযোজ্য কর্তা। ২: দাদু আমাকে গল্প শোনায়। -- আমি প্রযোজ্য কর্তা। ৩: দাদা আমাকে সাইকেল শিখিয়েছে। - আমি প্রযোজ্য। ৪: আমি তোমাকে দৃশ্যটা দেখাবো। - তুমি প্রযোজ্য কর্তা। ৫: বাবু মালীকে কাজ করাচ্ছেন। - মালী প্রযোজ্য কর্তা। ৬: আমি তোমাকে খাওয়াবো। - তুমি প্রযোজ্য কর্তা। উপরের উদাহরণগুলি লক্ষ করলে দেখা যাবে প্রতিটি বাক্যে দুটি করে কর্তা আছে। একজন কাজ করাচ্ছে, অন্যজন কাজ করছে। যেমন: ১ নাম্বার উদাহরণে বাবা খেলাচ্ছেন, ছেলে খেলছে। প্রযোজ্য কর্তা চেনার জন্য এই ভাবে দেখতে হবে দু জন আছে

কারক কাকে বলে | কারক কত প্রকার

কারক কাকে বলে ও কারক কথার ব্যুৎপত্তি কারক কথার ব্যুৎপত্তি হল √কৃ + অক। কৃ ধাতুর অর্থ হল করা। তাই কারক কথার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল 'যে করে'। কিন্তু ব্যাকরণে কারক কথাটি সম্পূর্ণ এই অর্থে ব্যবহৃত হয় না। কারক কাকে বলে বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সম্পর্ককে কারক বলে। পাণিনি বলেছেন "ক্রিয়ান্বয়ী কারকম্।" এর অর্থ: ক্রিয়ার সাথে যার সম্পর্ক আছে, সে কারক। পাণিনির সংজ্ঞা অনুযায়ী যে পদটির সাথে ক্রিয়ার সম্পর্ক, সেই পদটি কারক‌। সুতরাং পাণিনির মত অনুসারে কারকের সংজ্ঞা হ‌ওয়া উচিত: যে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের সরাসরি সম্পর্ক আছে, সেই বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে কারক বলে। কারক কত প্রকার কারক ছয় প্রকার: কর্তৃ কারক, কর্ম কারক, করণ কারক, নিমিত্ত কারক, অপাদান কারক, অধিকরণ কারক। সংস্কৃত ব্যাকরণে নিমিত্ত কারক নেই, দান ক্রিয়ার গৌণ কর্মের সঙ্গে নিমিত্তের ধারণাটিও সম্প্রদান কারকের অন্তর্গত। ব্যাকরণবিদরা বাংলা ব্যাকরণ থেকে সম্প্রদান কারককে বাদ দিয়েছেন। সম্প্রদান কারক আসলে গৌণ কর্ম। তবু কেউ কেউ সংস্কৃত ব্যাকরণের মোহ ত্যাগ করতে না পেরে সম্প্রদান কারক