পোস্টগুলি

ঘোষীভবন কাকে বলে

ঘোষীভবন সম্পর্কে ধারণা (ঘোষীভবন ও অঘোষীভবন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করার জন্য ঘোষ ও অঘোষ ব্যঞ্জন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রয়োজন। প্রয়োজন থাকলে ঘোষ ও অঘোষ ব্যঞ্জন সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে নিন।) কোন অঘোষ ধ্বনি যখন কাছাকাছি কোন ঘোষ ধ্বনির প্রভাবে অথবা বিনা কারণেই ঘোষধ্বনি তে পরিণত হয় তখন তাকে ঘোষীভবন বলে। ঘোষীভবনের উদাহরণ ১: কাক > কাগ, ২: শাক > শাগ, ৩: থাপড় > থাবড়, ৪: কাঠগড়া > কাডগড়া, ৫: বক > বগ ইত্যাদি। উপরের ৩ ও ৪ নং উদাহরণে ড় ঘোষ ধ্বনির প্রভাবে যথাক্রমে প>ব ও ঠ>ড হয়েছে। অন্য উদাহরণগুলিতে কোনো ঘোষ ধ্বনির প্রভাব ছাড়াই অঘোষ ধ্বনি ঘোষ ধ্বনিতে পরিণত হয়েছে। ঘোষ ধ্বনির প্রভাব ছাড়াই অঘোষ ধ্বনি যখন ঘোষ ধ্বনিতে পরিণত হয়, তখন অনেকেই তাকে স্বতঃঘোষীভবন নামে আলাদা একটি ধ্বনি-পরিবর্তন হিসেবে চিহ্নিত করতে চান। আমাদের মতে এ রকম আলাদা নামকরণ না করলেও চলে। উদাহরণ বিশ্লেষণ: কাঠগড়া > কাডগড়া। এই উদাহরণে অঘোষ ধ্বনি ঠ রূপান্তরিত হয়ে ঘোষধ্বনি ড-তে পরিণত হয়েছে। অঘোষীভবন কাকে বলে পাশাপাশি অবস্থিত অঘোষ ধ্বনির প্রভাবে অথবা বিনা কারণেই ঘোষধ্বনি যদি অঘোষ ধ্বনিতে পরিণ

স্বরাগম কাকে বলে

স্বরাগমের সংজ্ঞা যত প্রকারের ধ্বনি পরিবর্তন বাংলা ভাষায় দেখা যায়, তার মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারা হলো স্বরের আগম বা স্বরাগম। স্বরাগম বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে এবং স্বরাগম তিন প্রকার হতে পারে। ১: আদি স্বরাগম, ২: মধ্য স্বরাগম ও ৩: অন্ত্য স্বরাগম। স্বরাগমের সংজ্ঞা শব্দের আদিতে, মধ্যে বা অন্তে একটি অতিরিক্ত স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে স্বরাগম বা স্বরের আগম বলা হয়।  আদি স্বরাগম কাকে বলে সাধারণত শব্দের গোড়ায় শিস-ধ্বনি সমন্বিত যুক্ত ব্যঞ্জন থাকলে ঐ যুক্ত ব্যঞ্জনের উচ্চারণ প্রস্তুতি রূপে একটি বাড়তি স্বরধ্বনির আগমন ঘটে। এই প্রক্রিয়াকে আদি স্বরাগম বলে। আদি স্বরাগমের উদাহরণ  স্পর্ধা > আস্পর্ধা, স্পর্শ > ইস্পর্শ, স্পষ্ট > ইস্পষ্ট, স্কুল > ইস্কুল, স্টেশন > ইস্টিশন ইত্যাদি।  মধ্য স্বরাগম মধ্য স্বরাগম বা স্বরভক্তি আগেেই  আলোচনা করেছি।  পড়ার জন্য উপরের লিংকে টাচ করুন। অন্ত্য স্বরাগম কাকে বলে শব্দের শেষে একটি অতিরিক্ত স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে অন্ত্য স্বরাগম বলে।  অন্ত্য স্বরাগমের উদাহরণ বেঞ্চ > বেঞ্চি, জুল্‌ফ্ > জুলফি, বর্ফ > বরফি, মর্দ > মদ্দা, মুর্গ

সমীভবন কাকে বলে ও কয় প্রকার | ব্যঞ্জন সংগতি কাকে বলে

ছবি
সমীভবন কথার অর্থ ও সমীভবনের সংজ্ঞা সমীভবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে আসুন জেনে নিই সমীভবন কথাটির অর্থ কী। সমীভবন মানে সমান হ‌ওয়া বা এক হ‌ওয়া। সমীভবনে দুটি ভিন্ন ধ্বনির এক ধ্বনিতে পরিণত হ‌ওয়া বোঝায়। তবে সব সময় একেবারে এক ধ্বনিতে পরিণত হয় না, এক বর্গের কাছাকাছি ধ্বনিতে পরিণত হলেও তা সমীভবন হিসেবে গণ্য হয়। সমীভবন কাকে বলে? সমীভবনের সংজ্ঞা হিসেবে আমরা বলতে পারি: পাশাপাশি বা কাছাকাছি উচ্চারিত দুটি ভিন্ন ব্যঞ্জনের একটি অপরটির প্রভাবে বা দুটিই পরস্পরের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে এক‌ই বা এক‌ই ধরনের ব্যঞ্জনে পরিণত হলে তাকে সমীভবন বা ব্যঞ্জন সংগতি বলে। সমীভবনের অপর নাম সমীকরণ। সমীভবনের উদাহরণ ও বিশ্লেষণ সমীভবনের কয়েকটি প্রচলিত উদাহরণ হল: দুর্গা>দুগ্গা, বড়দা > বদ্দা, উৎসব > উচ্ছব, ধর্ম > ধম্ম, বৎসর > বচ্ছর, পদ্ম > পদ্দ , মহাত্মা > মহাত্তা ইত্যাদি। সমীভবনের দুটি উদাহরণ আমরা বিশ্লেষণ করে দেখি ১: উৎসব > উচ্ছব। এখানে দেখছি ৎ ও স দুটি ভিন্ন ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে চ ও ছ হয়ে গেছে। চ ও ছ আলাদা হলেও কাছাকাছি। তাই বলা যায় দুটি ভিন্ন ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নিকটবর্ত

স্বরভক্তি কাকে বলে

ছবি
স্বরভক্তির সংজ্ঞা ও ধারণা শব্দমধ্যস্থ যুক্তব্যঞ্জনের মাঝখানে একটি স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে যুক্তব্যঞ্জন ভেঙে যায়। এই ঘটনাকে স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্ষ বা মধ্যস্বরাগম বলে। স্বরভক্তি কথার অর্থ কী, এই নিয়ে অনেকের‌ই ধারণা স্পষ্ট নয়। স্বরভক্তি কথাটির ব্যুৎপত্তি হল স্বর+√ভজ্+ক্তি। এই √ভজ্ ধাতুর অর্থ ভাগ করা। আর 'ভক্তি' কথার অর্থ সেই ভাগ করার কাজটি। স্বরভক্তিতে স্বরের দ্বারা যুক্তব্যঞ্জনের 'ভক্তি', অর্থাৎ বিভাজন ঘটে, তাই একে স্বরভক্তি বলে।  এই গেলো স্বরভক্তির কথা। এখন প্রশ্ন হলো, একে বিপ্রকর্ষ বলে কেন? বিপ্রকর্ষ কথার অর্থ কী? বিপ্রকর্ষ কথার অর্থ হলো অপনয়ন বা অপসারণ বা দূরে স্থাপন। স্বরভক্তিতে দুটি ব্যঞ্জনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করা হয় বা একটি ব্যঞ্জনকে অপর ব্যঞ্জনের থেকে দূরে স্থাপন করা হয়, তাই একে বিপ্রকর্ষ বলে। বিপ্রকর্ষ কথার বিপরীত শব্দ হল সন্নিকর্ষ।  স্বরভক্তির উদাহরণ ও বিশ্লেষণ স্বরভক্তির উদাহরণ বাংলা ভাষায় প্রচুর দেখা যায়। যেমন: কর্ম>করম, ধর্ম>ধরম, বর্ষা>বরষা, স্নান>সিনান, ভক্তি>ভকতি, ত্রুপ > তুরুপ প্রভৃতি। এখন আমরা একটি উদাহরণের ধ্বনি-বিশ্লেষ

অভিশ্রুতি কাকে বলে?

অভিশ্রুতির সংজ্ঞা ও ধারণা অপিনিহিতির ফলে এগিয়ে আসা ই বা উ তার পাশাপাশি স্বরধ্বনির সাথে অভ্যন্তরীণ সন্ধিতে মিলিত হয়ে স্বরধ্বনির যে পরিবর্তন ঘটায়, তাকে অভিশ্রুতি বলে।   অন্য ভাবে বলা যায়: অপিনিহিত ই বা উ যখন তার পাশাপাশি স্বরধ্বনিকে প্রভাবিত করে এবং নিজেও তার সঙ্গে মিশে যায়, তখন তাকে অভিশ্রুতি বলে। অভিশ্রুতির উদাহরণ করিয়া > ক‌ইর‌্যা > করে (উচ্চারণ 'কোরে') দেখিয়া > দেইখ্যা > দেখে গাছুয়া > গাউছা > গেছো ভাতুয়া > ভাউতা > ভেতো কন্যা > ক‌ইন্যা > কনে উপরের উদাহরণগুলিতে প্রথমে অপিনিহিতি ও তার পর অভিশ্রুতি দেখানো হয়েছে। এখন আমরা অভিশ্রুতির একটি উদাহরণ বিশ্লেষণ করে দেখবো আসলে এখানে কী ঘটছে। ক‌ইর‌্যা > করে -- এই উদাহরণটিকে ভেঙে দেখবো। ক্ + অ + ই + র্ + য্ + আ > ক্ + অ + র্ + এ এখানে দেখা যাচ্ছে  ১: ক্, অ, র্ ধ্বনি অপরিবর্তিত রয়েছে। ২: য্ ধ্বনি লোপ পেয়েছে। ৩: ই স্বরধ্বনি লুপ্ত হয়েছে এবং আ-এর বদলে এ স্বরধ্বনি এসেছে। এই তৃতীয় ঘটনাটিই আসলে অভিশ্রুতি। অপিনিহিত স্বর ই এবং সন্নিহিত স্বর আ এক ধরনের সন্ধিতে মিলিত হয়ে এ স্বরধ্বনিতে পরিণত হয়

স্বরসঙ্গতি কাকে বলে ও কয় প্রকার

ছবি
 স্বরসঙ্গতির সংজ্ঞা পূর্ববর্তী স্বরের প্রভাবে পরবর্তী স্বর, পরবর্তী স্বরের প্রভাবে পূর্ববর্তী স্বর, পারস্পরিক প্রভাবে উভয় স্বর অথবা উভয় স্বরের প্রভাবে মধ্যবর্তী (তৃতীয়) স্বরের পরিবর্তন ঘ'টে স্বরের যে সামঞ্জস্য সাধিত হয়, তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। সংজ্ঞাটি কি খুব কঠিন লাগছে? গুলিয়ে যাচ্ছে? গুলিয়ে যাবে না, যদি আমরা সংজ্ঞাটি বুঝে নিই। মুখস্থ করার চেষ্টা করলেই গুলিয়ে যাবে। আপাতত এইটুকু বুঝলেই চলবে যে, স্বরসঙ্গতিতে স্বরের পরিবর্তন ঘটে এবং সেই পরিবর্তনের ফলে স্বরের সামঞ্জস্য সাধিত হয়। এবার আসুন স্বরসঙ্গতির প্রকারভেদ আলোচনা করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সংজ্ঞাটিও ভালো করে বুঝে নেবো। স্বরসঙ্গতি কয় প্রকার স্বরসঙ্গতি চার প্রকার: প্রগত স্বরসঙ্গতি, পরাগত স্বরসঙ্গতি, অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি ও মধ্যগত স্বরসঙ্গতি। প্রগত স্বরসঙ্গতি পূর্ববর্তী স্বরের প্রভাবে পরবর্তী স্বরের পরিবর্তন ঘটে যে স্বরসঙ্গতি হয়, তাকে প্রগত স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন:  কুয়া > কুয়ো। উদাহরণটির একটু ধ্বনি বিশ্লেষণ করে দেখা যাক। ক্+উ+য়্+আ > ক্+উ+য়্+ও।  দেখা যাচ্ছে পূর্ববর্তী উ স্বরটি অপরিবর্তিত রয়েছে, পরবর্তী আ স্বরটি বদলে

অপিনিহিতি কাকে বলে

অপিনিহিতির সংজ্ঞা ও উদাহরণ শব্দমধ্যস্থ ই বা উ-কে তার স্বাভাবিক স্থানের অব্যবহিত পূর্ববর্তী স্থানে উচ্চারণ করার রীতিকে অপিনিহিতি বলে। এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলে দেওয়া প্রয়োজন: শব্দের যে কোনো স্থানে অবস্থিত ই বা উ-তে অপিনিহিতি ঘটে না। ই বা উ যখন ব্যঞ্জনের পরে থাকে, তখন‌ই অপিনিহিতি হবার সম্ভাবনা থাকে। অপিনিহিতি কথার অর্থ কী? অপিনিহিতি কথার অর্থ হল পূর্বে স্থাপন। অপিনিহিতিতে ই বা উ স্বরকে পূর্বে স্থাপন করা হয়। বর্ণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা এখন অপিনিহিতির ধারণাটি স্পষ্ট করে বুঝে নেবো। অপিনিহিতির উদাহরণ ব্যাখ্যা আজি>আইজ্ : এটি অপিনিহিতির একটি উদাহরণ। এই উদাহরণটিকে আমরা ভেঙে দেখবো ই স্বরধ্বনি কী ভাবে এক ঘর মাত্র এগিয়ে গেছে। আ+জ্+ই > আ+ই+জ্ বর্ণ বিশ্লেষণের দ্বারা দেখা যাচ্ছে 'ই' স্বরটি এক ঘর এগিয়ে গেছে। অপিনিহিতিতে ই বা উ স্বর এক ঘরের বেশি এগোবে না। আর‌ও কয়েকটি উদাহরণ বিশ্লেষণ করে দেখি। দেখিয়া>দেইখ্যা দ্+এ+খ্+ই+য়্+আ > দ্+এ+ই+খ্+য্+আ (য়=য) উপরের উদাহরণে ই স্বরটি প্রথমে খ-এর পরে ছিলো, অপিনিহিতির ফলে খ চলে গেছে ই-র পর, ই এক ঘর এগিয়ে গেছে। অপিনিহিতির একটি বিশেষ

বাংলা নেট পরীক্ষার প্রস্তুতি ও সিলেবাস | Bengali NET SET Preparation

বাংলা NET/JRF প্রস্তুতির পরামর্শ লিখছেন মানস নিয়োগী (NET JRF 2020) NET/SET বিষয়ে জানতে ও মক টেস্ট দিতে মানসকে   YouTube-এ সাবস্ক্রাইব করুন ।  NET/JRF পাবার জন্য কীভাবে পড়বো? এই প্রশ্নটাই বেশিরভাগ জন করছেন বলে বিস্তারিত পোস্টের মাধ্যেমে জানানোর কথা ভাবলাম ৷ সবাইকে আলাদা আলাদা ভাবে না বলে এখানে বলাই সুবিধাজনক ৷  কেউ কেউ জানতে চাইছেন সহজে কীভাবে নেট বা জেআরএফ পাওয়া যায়। তাঁদের জন্য বলব, এর কোনো সহজ পন্থা নেই ৷ পরিশ্রমই শেষ কথা ৷ বহুদিন ধরে লাগাতার মনযোগের সাথে পরিশ্রম করছে কিন্তু নেট বা জেআরএফ পায়নি এমন মানুষ খুব একটা দেখিনি ৷ আমি আমার জার্নিতে যে বিষয়গুলো শিখেছি সেগুলোই এখানে আপনাদের কাছে তুলে ধরছি ৷  জেনারেল পেপার ১) সর্বপ্রথম জেনারেল পেপার নিয়ে বলি ৷ জেনারেল পেপারই হল JRF-এর  আসল ডিসাইডার ৷ আমাদের বাংলার  নেট পড়ুয়াদের কাছে জেনারেল পেপার একটা খুব জটিল বিষয় বলে মনে হয় ৷ যার একমাত্র কারণ ভাষা ৷ এবারেও অনেকে এমন আছেন যাঁদের সাবজেক্টে স্কোর ভালো হলেও জেনারেল পেপারে কমে যাওয়ার দরুন NET বা JRF হয়নি ৷ তাই জেনারেল পেপার অবশ্যই পড়তে হবে ৷  নেট জেনারেল পেপারের ব‌ই জেনারেল পেপার পড়

ব্যাকরণের PDF

বাংলা ব্যাকরণের ব‌ই ও প্রশ্নোত্তরের PDF এই পোস্টে থাকবে বিভিন্ন ধরনের পিডিএফ, যা SLST বাংলা বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের কাজে লাগবে। আমার নিজের SLST ব্যাচের যে সব মক টেস্ট আগে নিয়েছি তার প্রশ্নোত্তর যেমন থাকবে, তেমনি থাকবে ব্যাকরণের হারিয়ে যাওয়া কিছু ভালো ব‌ইয়ের সংগ্রহ। আমার কাছে যত প্রয়োজনীয় পিডিএফ আছে, সব‌ই এই পোস্টে ধীরে ধীরে শেয়ার করবো। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে আমার হাতে ভালো পিডিএফ এলে আমি এখানে তা শেয়ার করবো। পরবর্তী সময়ে আর‌ও নতুন পিডিএফ তৈরি করলে সেগুলিও এখানে পাওয়া যাবে।  উপরে টাইটেলের ডানদিকে অবস্থিত শেয়ার বাটনটি প্রেস করে সবাইকে এই পোস্টটি শেয়ার করুন। ডাউনলোড করা পিডিএফ শেয়ার করার পরিবর্তে পোস্টের লিংক শেয়ার করুন। সবাই নিজের প্রয়োজনীয় অংশটি নিজেই ডাউনলোড করে নেবে। Click on the links below to download. বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা শিক্ষা (ব‌ই)   এই ব‌ইটি অনেক পুরোনো একটি ব‌ই। এখানে ব্যাকরণের বহু জটিল বিষয় ভালো করে আলোচনা করা আছে। বিশেষত প্রত্যয়ের আলোচনা খুব‌ই বিস্তারিত।   SLST Bengali Mock Question and Answer 2   আমার তৈরি করা প্রশ্ন ও উত্তরের সেট। এতে ৫০ট

সন্ধি বিচ্ছেদ | সন্ধি বিচ্ছেদের তালিকা

সন্ধি বিচ্ছেদ: উদাহরণ ইতিপূর্বে আমরা স্বরসন্ধি ,  ব্যঞ্জনসন্ধি ও  বিসর্গসন্ধির      বিস্তারিত আলোচনা পৃথক ভাবে করেছি। এই তিনটি অধ্যায়ে সূত্রের পাশাপাশি কিছু উদাহরণ‌ও দেওয়া হয়েছে।  কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার পরীক্ষার্থী ও ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এই পোস্টে আলাদা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিবিচ্ছেদের উদাহরণ একত্রিত করে প্রকাশ করা হলো। এখানে সন্ধিববদ্ধ শব্দগুলি বর্ণানুক্রমে সাজানো হলো, যাতে সহজেই প্রয়োজনীয় সন্ধিবিচ্ছেদটি খুঁজে পাওয়া যায়। এই তালিকায় আপনার প্রয়োজনীয় সন্ধিবিচ্ছেদটি খুঁজে না পেলে কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানান, আমি উত্তর দেবো। ADVERTISEMENT সন্ধি বিচ্ছেদের তালিকা অক্ষৌহিণী ----- অক্ষ + ঊহিনী অখিলেশ ------- অখিল + ঈশ অজন্ত ----------- অচ্ + অন্ত অত‌এব --------- অতঃ + এব অদ্যাবধি  ------- অদ্য + অবধি অধমর্ণ ---------- অধম + ঋণ অধ্যাদেশ ------- অধি + আদেশ অন্বয় ------------ অনু + অয় অন্বেষণ --------- অনু + এষণ অবচ্ছেদ -------- অব + ছেদ অবিন্ধন --------- অপ্ + ইন্ধন অবেক্ষণ -------- অব + ঈক্ষণ অব্জ 

বিসর্গ সন্ধির সূত্র ও উদাহরণ | Bisargo sondhi

বিসর্গ সন্ধি কাকে বলে? বিসর্গের সঙ্গে স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনির মিলনে যে সন্ধি হয়, তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। যেমন: মনঃ + কামনা = মনস্কামনা ( বিসর্গ + ব্যঞ্জন) প্রাতঃ + আশ = প্রাতরাশ ( বিসর্গ + স্বর ) বিসর্গ সন্ধিতে বিসর্গের পূর্ববর্তী স্বরধ্বনিটিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  বিসর্গ আসলে কী ? বিসর্গ একটি ব‍্যঞ্জন। এটি একটি আশ্রয়স্থানভাগী ব্যঞ্জন। অর্থাৎ, এই ব‍্যঞ্জন‌টি পূর্ববর্তী স্বরের আশ্রয় ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না। যেমন: অঃ, আঃ, ইঃ, উঃ ইত্যাদি। বিসর্গের উচ্চারণ অনেকটা হ্-এর মতো। সংস্কৃত ভাষায় র্ এবং স্ ধ্বনিদুটি অনেক সময় বিসর্গে পরিণত হয়। এই কারণে বিসর্গ দুই প্রকার: র-জাত বিসর্গ ও স-জাত বিসর্গ। উদাহরণ-স্বরূপ বলা যায়, মনঃ শব্দের বিসর্গটি স-জাত। কারণ সংস্কৃতে 'মনস্' শব্দের 'স্'-টি বিসর্গে রূপান্তরিত হয়েছে। আবার দুঃ উপসর্গের বিসর্গ‌টি এসেছে 'দুর্' উপসর্গ থেকে। তাই এটি র-জাত বিসর্গ। র-জাত ও স-জাত বিসর্গের ধর্ম অনেকাংশেই আলাদা। তাই সন্ধিতেও এই দুই প্রকার বিসর্গ আলাদা ভূমিকা পালন করে। ADVERTISEMENT সন্ধিতে বিসর্গের পরিবর্তন বা রূপান্তর সন্ধিতে যু

ঝাড়খণ্ডি উপভাষা: বাকঁড়ি

বাঁকড়ি-ঝাড়খণ্ডি উপভাষার সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত সাহিত্যিক বিভাস রায়চৌধুরীর একটি গল্প বা উপন্যাসে পড়েছিলাম গল্পের একটি চরিত্র বাঁকুড়ার রাণীবাঁধ অঞ্চলের কথ্য উপভাষাটির মাধুর্যে নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করছে। বলা বাহুল্য এই মুগ্ধতা আসলে সাহিত্যিকের নিজের‌ই‌। ওখানে লেখক যে উপভাষাটির কথা বলেছেন সেটি আসলে বাঁকড়ি উপভাষা। বাঁকুড়ার পূর্ব ও উত্তর ভাগ বাদ দিয়ে সমগ্র জেলা এমনকি জেলা সদরেও এই উপভাষাটিই চলে। বাঁকুড়ার এই অঞ্চলের মানুষ আজ‌ও মাতৃভাষা বিসর্জন দিয়ে মান্য বাংলাকে কথোপকথনের কাজে ব্যবহার করা শুরু করেনি।    Advertisement আমরা জানি, বিস্তীর্ণ ভূখণ্ড জুড়ে প্রচলিত কোনো ভাষার আঞ্চলিক রূপভেদগুলিকে বলে উপভাষা। উপভাষা কোনো আলাদা ভাষা নয়, দুটি উপভাষার মধ্যে উচ্চারণগত ও গঠনগত পার্থক্য থাকলেও তা এতটা বেশি নয় যে তাদের আলাদা ভাষা রূপে গণ্য করতে হবে। এখন মজার ব্যাপার হল একটি উপভাষাও যদি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রচলিত থাকে তাহলে এলাকাভেদে একটি তার মধ্যেও অনেক পার্থক্য দেখা যায়। যেমন, বর্ধমান ও হাওড়া, উভয় জেলার উপভাষা রাঢ়ি হলেও দুই জেলার মৌখিক ভাষায় অল্পবিস্তর ফারাক দ

বাক্য রচনা : নিয়ম ও উদাহরণ | বাক্য রচনা pdf | Bakya rachana in Bengali | Bakko rochona | বাক্য গঠন

বাক্য রচনা বাক্য রচনা করার নিয়ম বাক্য রচনা করা ছোটোদের ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি চর্চা। ছোটোবেলায় সুন্দর সুন্দর বাক্য রচনা করতে পারলে বড়ো হয়ে শুদ্ধ ও সুন্দর ভাষায় বড়ো বড়ো উত্তর ও প্রবন্ধ লেখা সহজ হয়ে যাবে। তাই ছোটোদের বাক্য রচনার বিষয়টিকে কখনোই কম গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন না। আসুন জেনে নিই ভালো বাক্য-রচনা করার কয়েকটি উপায়। বাক্য রচনা pdf ডাউনলোড করতে এবং তালিকা দেখতে নিচের দিকে যান। ১: বাক্য রচনা যেন দায়সারা না হয়। দায়সারা বাক্য রচনা করলে বাক্যটি ব্যাকরণগত ভাবে শুদ্ধ হলেও তাতে পুরো নম্বর দেওয়া হবে না। তার কারণ, বাক্য রচনা একটি দক্ষতামূলক কাজ। তাই বাক্য রচনা করার সময় খেয়াল রাখতে হবে একটি বাক্যে কমপক্ষে ৫-৬টি শব্দ যেন অবশ্যই থাকে। অল্প বয়সে বড় আকারের বাক্য রচনা করার অভ্যাস গড়ে তুললে পরবর্তী জীবনে দীর্ঘ রচনা লেখা অনেক সহজ হয়ে উঠবে।  ২: বাক্যের ভাবটি একেবারে সাদামাটা হলে বাক্য সুন্দর হয় না। বাক্যের ভাবটিই তার আসল সৌন্দর্য। তাই বাক্যের মধ্যে শিশুমনের উপযুক্ত মহৎ ধারণা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মানবিক চেতনা, সুকুমার প্রবৃত্তি, সমাজবোধ ইত্যাদির প্রকাশ ঘটা বা

১২৫+ নির্ভুল সমার্থক শব্দ | সমার্থক শব্দের নির্ভরযোগ্য তালিকা | Samarthok shabdo

সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ কাকে বলে ভাষায় ব্যবহৃত যে শব্দগুলি এক‌ই বা প্রায় একই অর্থ প্রকাশ করে, তাদের সাধারণ ভাবে সমার্থক শব্দ বলা হয়। মনে রাখতে হবে, সমার্থক শব্দগুলির অর্থ মোটামুটি এক হলেও এরা প্রত্যেকে আলাদা শব্দ এবং অনেক সময় এদের মধ্যে অর্থের সূক্ষ্ম পার্থক্য দেখা যায়। যেমন: সংগ্রাম ও যুদ্ধ সমার্থক শব্দ হলেও সংগ্রাম শব্দে কিছুটা মহত্ত্ব প্রকাশ পায়, যুদ্ধ শব্দটি সে তুলনায় নেতিবাচক। সমার্থক শব্দ শিক্ষার গুরুত্ব ভাষা শিক্ষায় সমার্থক শব্দের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা যাকে সাধারণ ভাবে 'ওয়ার্ড স্টক' বা শব্দভাণ্ডারের শক্তি বলি, তা বৃদ্ধি পায় সমার্থক শব্দের চর্চার মাধ্যমে। ভালো রচনা লেখার জন্য বিভিন্ন শব্দের সমার্থক শব্দ জানা ভালো। সমার্থক শব্দ জানলে এক‌ই শব্দকে বার বার ব্যবহার করতে হয় না।  সমার্থক শব্দগুলি মোটামুটি এক‌ই অর্থ বহন করলেও অনেক সময় এদের মধ্যে অর্থের সূক্ষ্ম পার্থক্য থাকে। সমার্থক শব্দের চর্চা করলে কোন ক্ষেত্রে কোন সমার্থক শব্দটি ব্যবহার করা উচিত হবে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সমার্থক শব্দের ব‌ই  সমার্থক শব্দের তালিকা (বর্ণানুক্রমিক) অনন্য