পোস্টগুলি

মিল যুক্ত শব্দ | মিল করে শব্দ লেখ

মিল কাকে বলে ও মিল যুক্ত শব্দের তালিকা মিল বলতে বোঝায় উচ্চারণের সাদৃশ্য। যেমন জল শব্দের সঙ্গে মিল দেওয়া শব্দ হবে খল, বল, তল, সকল প্রভৃতি। সাধারণত দুটি শব্দের শেষে অবস্থিত দুটি বা তার বেশি সংখ্যক ধ্বনি এক বা প্রায় এক হলে ঐ দুটি শব্দের উচ্চারণগত সাদৃশ্যকে মিল বা অন্ত্যমিল বলে। বিষয়টা একটু ভেঙে বলি: ধরা যাক দুটি শব্দ 'বিপদ' আর 'সম্পদ'। এই দুটি শব্দের মধ্যে উচ্চারণগত সদৃশ অংশ হল 'পদ্' । পদ্ = প্+অ+দ্। তাহলে দেখা যাচ্ছে এই মিলটিতে তিনটি ধ্বনির সাদৃশ্য আছে। 'জল' ও 'খল' শব্দে মিল আছে দুটি ধ্বনির (অল্)। দুইয়ের কম ধ্বনির সাদৃশ্যকে মিল হিসেবে ধরা হয় না। নিচে আমরা বেশ কয়েকটি শব্দের মিল যুক্ত শব্দের উদাহরণ দিয়েছি। যেমন: মেঘ, গান, মাছ,  বাদল, ভাত , চাষ, নদী, ঘাস প্রভৃতি। বাংলা ব্যাকরণের যে কোন‌ও প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য আমার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে কমেন্ট করুন । ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak)। মিল যুক্ত বা অন্ত্য মিল দেওয়া শব্দ অনেক সময় আমাদের দরকার পড়ে। বিশেষ করে ছোটোদের ছড়ায় মিলের ব্যবহার খুবই বেশি। এই প

ক্রিয়াজাত অনুসর্গ | ক্রিয়াজাত অনুসর্গ কাকে বলে

 ক্রিয়াজাত অনুসর্গের ধারণা অনুসর্গ দুই প্রকার: শব্দজাত অনুসর্গ ও ক্রিয়াজাত অনুসর্গ। যে অনুসর্গগুলি কোনো শব্দ থেকে সৃষ্টি হয়েছে, তাদের বলে শব্দজাত বা নামজাত অনুসর্গ, এবং যে অনুসর্গগুলি কোনো ক্রিয়াপদ থেকে সৃষ্টি হয়েছে, তাদের বলে ক্রিয়াজাত অনুসর্গ। নিচে উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি ভালো ভাবে বোঝানো হলো। শব্দজাত অনুসর্গ ও ক্রিয়াজাত অনুসর্গের উদাহরণ শব্দজাত বা নামজাত অনুসর্গ হল: দ্বারা, কর্তৃক, অপেক্ষা, বিনা, পাশে, উপরে, নিচে, মধ্যে, সাথে প্রভৃতি। -- এই অনুসর্গগুলির মূলে বিভিন্ন শব্দ রয়েছে।  ক্রিয়াজাত অনুসর্গ হল: থেকে, দিয়ে, চেয়ে, হতে, করে প্রভৃতি। এই অনুসর্গগুলি আসলে অসমাপিকা ক্রিয়া, কিন্তু এরা অসমাপিকা ক্রিয়ার পাশাপাশি অনুসর্গ রূপেও ব্যবহৃত হয়। এদের মূলে একটি ধাতু থাকে। উপরের ক্রিয়াজাত অনুসর্গগুলিকে নিচে অসমাপিকা ক্রিয়া ও অনুসর্গ, এই দুই রূপেই ব্যবহার করে দেখাচ্ছি। অনুসর্গ রূপে ১: থেকে: কোথা থেকে এলে? ২: দিয়ে: চামচ দিয়ে খাবো। ৩: চেয়ে: তোমার চেয়ে আমি বড়ো। ৪: হতে: কোথা হতে সৃষ্টি হয়েছে? ৫: করে: ঘাড়ে করে ব‌ইতে হবে। অসমাপিকা ক্রিয়া রূপে ১: থেকে: আর কটা দিন থেকে যাও

সমাস | সমাস কাকে বলে

 সমাসের ধারণা নিজেদের মধ্যে অর্থের সম্পর্ক আছে, এমন একাধিক পদ একপদে পরিণত হলে সেই প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। অর্থের সম্পর্ক না থাকলে যে কোনো দুটি পদে সমাস হবে না। 'সমাস' কথার আক্ষরিক অর্থ হল সংক্ষেপ।  সমাসে যে পদগুলি মিলিত হয়, তাদের বলে সমস্যমান পদ। যেমন: দশ আনন যাঁর = দশানন। এখানে 'দশ' ও 'আনন' পদদুটি সমস্যমান পদ। সমস্যমান পদগুলি মিলিত হয়ে যে পদ গঠন করে, তাকে বলে সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ। উপরের উদাহরণে 'দশানন' সমাসবদ্ধ পদ। সমস্যমান পদগুলির অর্থ-সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয় যে বাক্যাংশের দ্বারা, তাকে ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বলে। সমাসের শ্রেণিবিভাগ সমাসের প্রধান প্রধান ভাগগুলি নিচে উল্লেখ করা হল। প্রতিটি সমাস বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পড়ার জন্য যে কোনো সমাসে টাচ করুন।    দ্বন্দ্ব সমাস, তৎপুরুষ সমাস , কর্মধারয় সমাস , বহুব্রীহি সমাস , দ্বিগু সমাস, নিত্য সমাস, অব্যয়ীভাব সমাস ।  সমাস থেকে প্রশ্নোত্তর ১: সমাস ব্যাকরণের কোন শাখায় আলোচিত হয়? উত্তর: সমাস ব্যাকরণের রূপতত্ত্বে আলোচিত হয়। ২: সমাস শেখার প্রয়োজন কী? উত্তর: সমাস শেখা হয় শব্দের জন্মপরিচয় জান

করণ কারক কাকে বলে

 করণ কারক ক্রিয়া সম্পাদনের সহায়ক, হেতু, উপায় প্রভৃতিকে করণ কারক বলে। করণ কারকের অনেকগুলি ভাগ আছে। প্রতিটি ভাগের উদাহরণ নেওয়া হলে করণ কারক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা গড়ে উঠতে পারে। নিচে প্রতিটি ভাগের উদাহরণ দেওয়া হলো‌। করণ কারকের শ্রেণিবিভাগ  ১: যন্ত্রাত্মক করণ চামচ দিয়ে খাই। হাত দিয়ে ধরেছি। দড়ি দিয়ে বেঁধেছি। ২: উপায়াত্মক করণ টাকায় কী না হয়! কৌশলে কাজ করো। ৩: হেতুবোধক করণ ছেলেটা ভয়ে কাঁদছে। লজ্জায় মাথা কাটা গেল। ৪: লক্ষণাত্মক করণ পৈতায় বামুন চেনা যায়। শিকারি বেড়াল গোঁফে চেনা যায়। ৫: সহকার অর্থে করণ সবজি দিয়ে ভাত খেয়েছি। ওষুধটা জল দিয়ে গিলে ফেলো। ৬: কালাত্মক করণ  ক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন করতে যতটা সময় লাগে, সেই সময়কে কালাত্মক করণ বলে। এটি কালাধিকরণের থেকে আলাদা। যেমন: একদিনে ব‌ইটা শেষ করেছি। ঘণ্টায় দশটা ব্লাউজ সেলাই করে। করণ কারক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে কারকের বিস্তারিত আলোচনা পড়ুন। 

আরবি শব্দের উদাহরণ

 আরবি শব্দ  আরবি ভাষা থেকে যে সব শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে, সেই শব্দগুলিকে আরবি শব্দ বলা হয়। নিচে আরবি শব্দের একগুচ্ছ উদাহরণ দেওয়া হলো। আক্কেল, আখের, আজব, আজান, আদাব, আদায়, আরজি, আল্লাহ, আসবাব, আসল, আসামি, আহাম্মক,  ইজ্জত, ইমারত, ইসলাম, ইস্তফা, ঈদ, উকিল, উসুল,  এলাকা, ওজন, কদর, কাজি, কাবাব, কায়দা, কায়েম,  কেচ্ছা, খারিজ, গজল, জরিমানা, জ্বালাতন, জেলা,  তবলা, তুলকালাম, দাবি, দৌলত, নকল, নগদ, ফকির,  বদল, বাকি, মজুদ, মেহনত, রদ, রায়, লায়েক, লোকসান,  শরিক, শহিদ, শুরু, সাফ, সাহেব, সুফি, হাকিম, হামলা, হাসিল, হিসাব, হুকুম, ইত্যাদি। বাংলা শব্দভাণ্ডার

উদ্দেশ্য ও বিধেয় সম্প্রসারক

ছবি
 উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের সম্প্রসারক কাকে বলে বাক্য অধ্যায়ে উদ্দেশ্য ও বিধেয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তবু এখানে আবার আলাদা করে উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের সম্প্রসারক ব্যাপারটি আলোচনা করে দেওয়া দরকার বলে মনে হলো। আসুন জেনে নিই উদ্দেশ্য, বিধেয় ও তাদের সম্প্রসারক কাকে বলে। উদ্দেশ্য ও বিধেয় কাকে বলে বাক্যে যার সম্পর্কে কিছু বলা হয়, তাকে উদ্দেশ্য বলে এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে বাক্যে যা বলা হয়, তাকে বিধেয় বলে। যেমন: ছেলেরা খেলছে। -- এই বাক্যে 'ছেলেরা' উদ্দেশ্য, 'খেলছে' বিধেয়।  উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের সম্প্রসারক উপরের উদাহরণে আমরা একটি ছোটো বাক্য নিয়েছি। কিন্তু সব বাক্য তো এত ছোটো হয় না। ঐ বাক্যটি এ রকম‌ও হতে পারে: "আমাদের পাড়ার ছোটো ছোটো ছেলেরা বিকেলবেলা গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলছে।" ভালো ভাবে লক্ষ করুন, প্রথম বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ দুটি এই বড় বাক্যেও আছে। তার পাশাপাশি অনেক বাড়তি পদ‌ও আছে। কতকগুলি বাড়তি পথ 'ছেলেরা' পদটিকে আর‌ও স্পষ্ট করে তুলেছে, আবার কতকগুলি পদ 'খেলছে' পদটিকে স্পষ্ট করে তুলেছে। নিচে দেখুন কোথাকার ছেলেরা? উঃ - আমাদের পাড়ার। কেমন

নির্মিতি কাকে বলে | নির্মিতি কথার অর্থ

 নির্মিতি বলতে কী বোঝায় 'নির্মিতি' কথাটির সাধারণ অর্থ হল নির্মাণ করা বা কিছু গড়ে তোলা। শিক্ষা, বিশেষত ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে নির্মিতি একটি বিশেষ ধরনের দক্ষতা। ব্যাকরণের পাশাপাশি আলাদা ভাবে নির্মিতির শিক্ষা দেওয়া হয়। নির্মিতি বলতে সাধারণ ভাবে বোঝায় কিছু লিখতে পারার দক্ষতা। বিস্তারিত ভাবে নির্মিতি বলতে পর পর কয়েকটি ধাপের দক্ষতাকে একসাথে বোঝানো হয়। সেই ধাপগুলি হল:  ১: ভাব অনুসারে শব্দ সাজিয়ে বাক্য নির্মাণ করা, ২: বাক্য সাজিয়ে অনুচ্ছেদ গঠন করা,  ৩: অনুচ্ছেদ সাজিয়ে চিঠিপত্র, প্রতিবেদন, প্রবন্ধ ইত্যাদি রচনা করা। নির্মিতির উচ্চতর ধাপে রয়েছে ভাব সম্প্রসারণ, ভাবার্থ, সারসংক্ষেপ লেখার ক্ষমতা ও ভাষান্তরিত করা বা অনুবাদ করার ক্ষমতা। মোটের উপর যে যে বিষয়গুলি নির্মিতির মধ্যে পড়ে, সেগুলি হল ১: বাক্য রচনা ২: বাগ্‌ধারা দিয়ে বাক্য রচনা ৩: অনুচ্ছেদ রচনা ৪: পত্র রচনা ৫: প্রতিবেদন রচনা ৬: প্রবন্ধ রচনা ৭: ভাব সম্প্রসারণ ৮: ভাবার্থ লিখন ৯: সারসংক্ষেপ রচনা ১০: অনুবাদ (যেমন: ই টু বি)

খাঁটি বাংলা উপপদ তৎপুরুষ সমাস

 বাংলা উপপদ তৎপুরুষ উপপদ তৎপুরুষ সমাসের ধারণাটি সংস্কৃত ভাষার ব্যাকরণ থেকে নেওয়া হয়েছে। উপপদের সঙ্গে আশ্রিত কৃদন্ত পদের সমাসকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলে।  সংস্কৃত বা তৎসম উপপদ তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ: জলদ, বারিদ, পঙ্কজ, বরদা প্রভৃতি। কিন্তু এসবের বাইরে খাঁটি বাংলা উপপদ তৎপুরুষ সমাস‌ও কিছু কিছু রয়েছে। বিশেষ্য পদের সঙ্গে খাঁটি বাংলা কৃদন্ত পদের সমাসকে খাঁটি বাংলা উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলে। নিচে কয়েকটি খাঁটি বাংলা উপপদ তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ দেওয়া হল। খাঁটি বাংলা উপপদ তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ যেমন: ছেলে ধরে যে = ছেলেধরা,  মাছি মারে যে = মাছিমারা,  ছা পোষে যে = ছা-পোষা,  পাড়ায় বেড়ায় যে = পাড়াবেড়ানি,  কান ভাঙে যে = কানভাঙানি প্রভৃতি।  উপপদ তৎপুরুষ সমাস সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

রূপক কর্মধারয় সমাস কাকে বলে

 রূপক কর্মধারয় সমাস কর্মধারয় সমাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণি হল রূপক কর্মধারয়। আজ আলোচনা করবো রূপক কর্মধারয় সমাস কাকে বলে এবং রূপক কর্মধারয় সমাস চেনার উপায়। এই আলোচনাটি পড়ার পর রূপক কর্মধারয় সমাস সম্পর্কে আর কোন‌ও ধোঁয়াশা থাকবে না। তাহলে চলুন, প্রথমেই জেনে নিই রূপক কর্মধারয় সমাস কাকে বলে। যে কর্মধারয় সমাসে উপমান ও উপমেয়ের মধ্যে অভেদ কল্পিত হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে।  রূপক কর্মধারয় সমাসে কোন পদের অর্থ প্রাধান্য পায়? সমস্ত কর্মধারয় সমাসের মতো রূপক কর্মধারয়েও পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়। এক্ষেত্রে উপমানটি পরপদে থাকে, তাই উপমানের প্রাধান্য হয়। উদাহরণের মাধ্যমে রূপক কর্মধারয় সমাস আরও ভালো ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছি। রূপক কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ ১: জীবন রূপ নদী = জীবননদী -- একটু ভাবলেই বোঝা যাবে, এখানে জীবন ও নদীকে অভিন্ন মনে করা হচ্ছে। জীবনটাই যেন একটা নদী।  ২: প্রাণ রূপ পাখি = প্রাণপাখি -- (প্রাণটা যেন একটা পাখি। প্রাণ ও পাখির অভেদ কল্পিত হয়েছে।) ৩: মন রূপ মাঝি = মনমাঝি -- (মন যেন এক মাঝি।) ৪: জীবন রূপ তরী = জীবনতরী। ৫: ভব রূপ পারাবার = ভবপারাবার। রূপক কর্ম

সমস্যমান পদ কাকে বলে

 সমস্যমান পদ সমাস শিখতে হলে প্রথমেই শিখতে হবে সমাসের প্রতিটি পরিভাষা। সমাসের প্রধান পরিভাষাগুলি হল সমস্তপদ, সমস্যমান পদ, ব্যাসবাক্য, পূর্বপদ, পরপদ প্রভৃতি। এখানে আমরা জানবো সমস্যমান পদ কাকে বলে।  সমাসে যে পদগুলি মিলিত হয়, তাদের বলে সমস্যমান পদ। মনে রাখতে হবে, নিজেদের মধ্যে অর্থের সম্পর্ক না থাকলে তারা সমস্যমান পদ হতে পারবে না। নিচে উদাহরণের মাধ্যমে সমস্যমান পদ বিষয়টি বোঝানো হলো। সমস্যমান পদের উদাহরণ ১: নীল যে আকাশ = নীলাকাশ। -- এখানে সমস্যমান পদ দুটি হল 'নীল' ও 'আকাশ'। ২: রাজার পুত্র = রাজপুত্র। -- এখানে 'রাজার' ও 'পুত্র' হল সমস্যমান পদ। ৩: মীনের অক্ষির ন্যায় অক্ষি যার = মীনাক্ষি। -- এখানে 'মীনের' ও 'অক্ষি' পদদুটি সমস্যমান পদ।

বিদেশি অনুসর্গের উদাহরণ

 বিভিন্ন প্রকার অনুসর্গ অনুসর্গ হল এক ধরনের অব্যয়। এদের কাজ পদের সঙ্গে পদের সম্পর্ক স্থাপন করা। তাই এদের পদান্বয়ী অব্যয়‌ও বলা হয়। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অনুসর্গগুলিকে উৎস অনুসারে তিন ভাগে ভাগ করা হয়: তৎসম অনুসর্গ, বাংলা অনুসর্গ ও বিদেশি অনুসর্গ। নিচে আমরা তিন ধরনের অনুসর্গের‌ই উদাহরণ দেবো।  তিন প্রকার অনুসর্গের উদাহরণ ১: পড়াশোনা অপেক্ষা ভালো কাজ আর নেই।  ২: রাম কর্তৃক রাবণ নিহত হন।  ৩: তুমি বিনা আমি অসহায়।  ৪: কোথা থেকে আসছো? ৫: কে কার চেয়ে বড়ো? ৬: নাক বরাবর চলে যাও। ৭: পোশাক বাবদ ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। ৮: ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার খেলা চলছে। উপরের উদাহরণগুলিতে লাল রঙে চিহ্নিত অনুসর্গগুলি বিদেশি, সবুজ রঙে চিহ্নিত অনুসর্গগুলি বাংলা এবং বেগুনি রঙে চিহ্নিত অনুসর্গগুলি তৎসম। 

উহ্য কর্ম কাকে বলে

ঊহ্য কর্ম ঊহ্য কথার অর্থ হল অনুল্লিখিত। সকর্মক ক্রিয়াগুলি কর্ম ছাড়া সম্পাদিত হতে পারে না। কিন্তু বাক্যে অনেক সময় দেখা যায় সকর্মক ক্রিয়ার কর্ম বাক্যে উল্লিখিত হয় না। যেমন: "আমি খাচ্ছি।" এই বাক্যে কোনো কর্মের উল্লেখ নেই। অথচ খাবার জিনিস না থাকলে খাচ্ছি কী? এই বাক্যে আসলে কর্মটি ঊহ্য আছে। তাহলে ঊহ্য কর্মের সংজ্ঞা হিসেবে আমরা বলবো: সকর্মক ক্রিয়ার কর্ম যদি বাক্যে উল্লিখিত না থাকে, তাহলে তাকে বলে ঊহ্য কর্ম। নিচে ঊহ্য কর্মের উদাহরণ দিলাম। মনে রাখতে হবে, ঊহ্য কর্মকে দেখতে পাওয়া যাবে না। ঊহ্য কর্ম নির্দিষ্ট হয় না, অনির্দিষ্ট হয়।  ঊহ্য কর্মের উদাহরণ ১: আমি পড়ছি। -- যা পড়ছি তা ঊহ্য কর্ম।  ২: আমি খাচ্ছি। -- যাই হোক কিছু খাচ্ছি। যা খাচ্ছি, সেটিই ঊহ্য কর্ম। ৩: আমি দেখলাম। -- যা দেখলাম, সেটি ঊহ্য কর্ম। ৪: আমি শুনছি। -- যা শুনছি তা ঊহ্য কর্ম। ৫: আমি দিলাম। -- যা দিলাম ও যাকে দিলাম, দুটিই ঊহ্য কর্ম। কারক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

অনুসর্গের কাজ কী | অনুসর্গ কী কাজ করে

 অনুসর্গের কাজ অনুসর্গ হল এক ধরনের অব্যয়‌। অনুসর্গের অপর নাম কর্মপ্রবচনীয়, সম্বন্ধীয় বা পরসর্গ। এদের পদান্বয়ী অব্যয়‌ও বলা হয়। অনুসর্গের দুটি কাজ ১) অনুসর্গগুলি বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত হয়ে এক পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ক স্থাপন করে। ২) অনুসর্গগুলি অনেক সময় কারকের বিভক্তি হিসেবেও কাজ করে।  নিচে উদাহরণের সাহায্যে অনুসর্গের কাজ দেখানো হলো। অনুসর্গ শব্দের ব্যুৎপত্তি অনুসর্গ শব্দের ব্যুৎপত্তি বা প্রত্যয় হল: অনু - √সৃজ্ + অ। অনু উপসর্গে পশ্চাৎ অর্থ বোঝায়, সৃজ্ ধাতুর অর্থ সৃজন করা বা সৃষ্টি করা।  অনুসর্গের উদাহরণ ১: নুন ছাড়া খাবার ভালো লাগে না। -- 'ছাড়া' অনুসর্গটি নুন ও খাবারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে।  ২: তোমার জন্য নতুন জামা এনেছি। -- এখানে 'জন্য' অনুসর্গটি কারকের বিভক্তি হিসেবে কাজ করছে। অনুসর্গের কাজ এই দুটিই। কখনও নাম পদের সঙ্গে নাম পদের সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং কখনও নাম পদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের সম্পর্ক গড়ে তোলা। অনুসর্গের অপর নাম কর্মপ্রবচনীয় কেন, তার প্রকৃত ব্যাখ্যা কারক অধ্যায়ে আলোচনা করেছি ‌।

সেরা বাংলা অভিধান

কোন বাংলা অভিধান কিনবো? বাংলা ভাষা সম্পর্কে যাঁদের বিন্দুমাত্র কৌতুহল আছে এবং শব্দের অর্থ, ব্যুৎপত্তি ইত্যাদির ব্যাপারে আগ্রহ আছে তাঁদের বাড়িতে একটি ভালো অভিধান রাখা খুবই জরুরি। বাংলা বিষয়ে যাঁরা উচ্চশিক্ষার পাঠ নিচ্ছেন, তাঁদের‌ কাছেও একটি ভালো অভিধান রাখার দরকার পড়ে। এমনকি স্রেফ বাড়িতে রাখার জন্য‌ও একটি অভিধান সংগ্রহ করা দরকার, কারণ অভিধানের প্রয়োজন অনেক সময়ই হয়ে থাকে। আজকাল অনেক অনলাইন অভিধান হয়েছে, অনেক অভিধানের অ্যাপ হয়েছে, কিন্তু সেগুলি যেমন পূর্ণাঙ্গ নয়, তেমনি অনেক ক্ষেত্রে ভুল‌ও রয়েছে। এক কথায় বলা যায়, বাংলায় এখনও পর্যন্ত এমন ই-ডিকশনারি বের হয়নি, যা কিনা কাগজের ডিকশনারির বিকল্প হতে পারে। তাই আজকের আলোচনায় আমি বলবো কোন অভিধান হাতের কাছে রাখলে শব্দের ব্যুৎপত্তি ও শব্দের বিভিন্ন ধরনের অর্থ দরকার মতো দেখে নেওয়া যাবে।  বঙ্গীয় শব্দকোষ হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেরণায় শান্তিনিকেতন আশ্রমের সংস্কৃত ভাষার শিক্ষক হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জীবনের সুদীর্ঘ চল্লিশ বছরের সাধনায় রচনা করেন বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ অভিধান। এই ব‌ইকে বাংলা শব্দভাণ্

উপবাক্যীয় কর্তা কাকে বলে

 উপবাক্যীয় কর্তা উপবাক্যীয় কর্তা কাকে বলে তা জানার আগে আসুন জেনে নিই উপবাক্য কাকে বলে। উপবাক্য হল এমন এক পদগুচ্ছ, যার মধ্যে নিজের উদ্দেশ্য ও বিধেয় আছে, কিন্তু নিজে স্বাধীন বাক্য নয়, বরং একটি জটিল বাক্যের অংশ হিসেবে কাজ করে। উপবাক্যের অপর নাম খণ্ডবাক্য। একটি উপবাক্য যখন বাক্যের কর্তা হিসেবে কাজ করে, তখন তাকে বলা হয় উপবাক্যীয় কর্তা। নিচে উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করা হলো। উপবাক্যীয় কর্তার উদাহরণ ১: একখানি গাড়ি কিনবো আমার ইচ্ছা। -- কোনটি হয় আমার ইচ্ছা? "একখানি গাড়ি কিনবো" -- এই পুরো উপবাক্যটি কর্তার কাজ করছে। ২: "সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা" ছিলো তাঁর আদর্শ। -- "সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা" -- এটি একটি উপবাক্য এবং এটি বাক্যের কর্তা হিসেবে আছে।  ৩: "ব‌ই পড়লে জ্ঞান বাড়ে" কার‌ও অজ্ঞাত কথা নয়। -- চিহ্নিত অংশটি উপবাক্যীয় কর্তা। আশা করি বিষয়টি বোঝাতে পেরেছি। ইউটিউবে আমার ক্লাস করার জন্য ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak) কারকের বিস্তারিত আলোচনা পড়ুন

তির্যক বিভক্তি কাকে বলে

 তির্যক বিভক্তি বাংলা ভাষায় সংস্কৃতের মতো নির্দিষ্ট কারকে নির্দিষ্ট বিভক্তি-চিহ্ন হয় না। বাংলা কারকে প্রায় সব বিভক্তিই একাধিক কারকে ব্যবহৃত হতে পারে। যে বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহৃত হয়, তাকেই তির্যক বিভক্তি বলে । নিচে উদাহরণের সাহায্যে তির্যক বিভক্তি কাকে বলে, তা ভালো ভাবে বিশ্লেষণ করা হলো। তির্যক বিভক্তির উদাহরণ বুলবুলিতে ধান খেয়েছে। - কর্তৃ কারকে 'তে' বিভক্তি। এ ছুরিতে মাংস কাটা যাবে না। - করণে 'তে' বিভক্তি। ঘরেতে ভ্রমর এলো। -- অধিকরণ কারকে 'তে' বিভক্তি। উপরের উদাহরণগুলিতে দেখা যাচ্ছে 'তে' বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহৃত হচ্ছে। সুতরাং বলা যায় 'তে' বিভক্তিটি তির্যক বিভক্তি। বাংলা ব্যাকরণের প্রায় সব যথার্থ বিভক্তিই তির্যক বিভক্তি। তবে অধিকাংশ অনুসর্গ তির্যক নয়।  ইউটিউবে আমার ক্লাস করার জন্য ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak)। কিছু জানার থাকলে যে কোনো ভিডিওতে কমেন্ট করে জানান। কারক বিভক্তি ও অনুসর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

সাধন কর্তা কাকে বলে

 সাধন কর্তা সাধন কথাটির অর্থ হল উপকরণ। করণ কারক অনেক সময় বাক্যের কর্তা হিসেবে কাজ করে। এইভাবে করণ বা সাধন যদি কর্তা হিসেবে কাজ করে, তখন সেই কর্তাকে সাধন কর্তা বলে। মনে রাখতে হবে সাধন কর্তা আসলে করণ হলেও বাক্যের মধ্যে কর্তার কাজ করে, তাই কর্তৃ কারক‌ই হবে। নিচে উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করতে চেষ্টা করছি।  সাধন কর্তার উদাহরণ ১: ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। -- এই উদাহরণে ঢেঁকি সাধন কর্তা। কারণ ঢেঁকি আসলে করণ। ঢেঁকি নিজে ধান ভানে না, ঢেঁকির সাহায্যে মানুষ ধান ভানে। কিন্তু এই বাক্যে মনে হচ্ছে ঢেঁকি নিজেই ধান ভানে।  ২: লাল টিপটা তোমাকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। -- টিপটা এখানে সাধন কর্তা। টিপের সাহায্যে সৌন্দর্য বেড়েছে‌। সৌন্দর্য বাড়াতে টিপকে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এই বাক্যে টিপ কর্তার জায়গায় আছে। ৩: আশি সালের সাইকেলটা আজ‌ও আমাকে ব‌ইছে। - সাইকেলটা এখানে সাধন কর্তা। কারণ সাইকেল আসলে করণ হয়েও এই বাক্যে কর্তার ভূমিকা পালন করছে। ৪: এই ছোট্ট ছুরিটা ফল কাটতে পারবে, মাংস কাটতে পারবে না। -- এখানে ছুরিটা সাধন কর্তা।

কমপিটেন্স কাকে বলে | What is competence in language study

 কম্পিটেন্স বা পারঙ্গমতাবোধ নোয়াম চমস্কির বিশ্বজনীন ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা হল কম্পিটেন্স বা পারঙ্গমতাবোধ। চমস্কির তত্ত্ব অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির জ্ঞানের মধ্যে তার মাতৃভাষা ব্যবহার ও তার পদ্ধতি সম্পর্কে যে ধারণা থাকে, তাকে কম্পিটেন্স বা পারঙ্গমতাবোধ বলে। সোস্যুরের লাঙ ও পারোল-এর লাঙ এবং চমস্কির কম্পিটেন্স এক নয়। লাঙ হল একটি জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক ভাষাবোধ, চমস্কির কম্পিটেন্স হল ব্যক্তির মধ্যে স্বাভাবিক ভাবে অর্জিত ভাষাবিষয়ক পারঙ্গমতা বা বিভিন্ন ক্ষমতা।  চমস্কির মতে পারঙ্গমতা দুই ধরনের: ১: Grammatical বা ব্যাকরণগত ও ২: Pragmatic বা প্রয়োগগত। ভাষার ব্যাকরণ সম্পর্কে অন্তর্নিহিত বোধ, বাক্য, শব্দ, শব্দার্থ প্রভৃতি সম্পর্কে সাধারণ যে ধারণা বা জ্ঞান মানুষের মনে থাকে, সেগুলি সব‌ই ব্যাকরণগত কম্পিটেন্সের মধ্যে পড়ে। অন্য দিকে ভাষাকে প্রয়োগ করা সম্পর্কে যে সব ক্ষমতা, যেমন পড়তে পারা, বর্ণনা দিতে পারা, তথ্য সুবিন্যস্ত করার ক্ষমতা, সাহিত্য রচনা করতে ও বুঝতে পারার ক্ষমতা, সেগুলি প্রয়োগগত কম্পিটেন্সের মধ্যে পড়ে।

বাক্যাংশ কর্তা কাকে বলে

 বাক্যাংশ কর্তা বাক্যাংশ কর্তা কাকে বলে, তা জানার আগে আমাদের জেনে নিতে হবে বাক্যাংশ কী। বাক্যাংশ হল এমন এক পদগুচ্ছ, যার মধ্যে সমাপিকা ক্রিয়া থাকবে না, এবং পুরো পদগুচ্ছটি বাক্যের মধ্যে একটি পদের কাজ করবে। বাক্যাংশকে ইংরেজিতে phrase বলে। তো, এই বাক্যাংশগুলি বাক্যের মধ্যে বিভিন্ন কারকের ভূমিকা পালন করতে পারে। কোনো বাক্যাংশ যদি বাক্যের মধ্যে কর্তার ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেই কর্তাকে বলে বাক্যাংশ কর্তা। নিচে উদাহরণের মাধ্যমে বাক্যাংশ কর্তা সম্পর্কে ধারণাটি স্পষ্ট করা হলো। বাক্যাংশ কর্তার উদাহরণ ১: তোমার অমন করে চলে যাওয়া আমাকে খুব‌ই দুঃখ দিয়েছে। -- এই বাক্যে কর্তা কে? দুঃখ কে দিয়েছে? -- 'তোমার অমন করে চলে যাওয়া'। এই পুরোটার মধ্যে কিন্তু কোনো সমাপিকা ক্রিয়া নেই, অথচ এটি একটি পদগুচ্ছ এবং বাক্যের মধ্যে একটি পদের কাজ করছে। তাই এটি একটি বাক্যাংশ কর্তা। ২: রাতুলের অসাধারণ খেলা আমাদের দলকে জয়ী করেছে। -- 'রাতুলের অসাধারণ খেলা' এই বাক্যের বাক্যাংশ কর্তা। ৩: একটু একটু করে টাকা সঞ্চয় করার অভ্যেসটাই আমাকে বিপদের সময় বাঁচিয়ে দিলো। -- 'একটু একটু করে টাকা সঞ্চয় করার অ

ণিজন্ত ধাতু কাকে বলে

 ণিজন্ত ধাতুর ধারণা ও উদাহরণ ণিজন্ত কথাটির অর্থ হল 'ণিচ্ অন্তে যার'। সন্ধি ভাঙলে হবে ণিচ্ + অন্ত। অর্থাৎ যার শেষে ণিচ্ প্রত্যয় আছে। ণিচ্ প্রত্যয়টি একটি সংস্কৃত প্রত্যয়। সংস্কৃত ভাষায় এর কাজ হল মৌলিক ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রযোজক ধাতু তৈরি করা ( বাংলা ভাষায় এই কাজটি করে আ প্রত্যয়‌। এই বিষয়টি জানার জন্য আমার লেখা ধাতু অধ্যায়টি পড়ে নিন।)। এই কারণে সংস্কৃত ভাষায় প্রযোজক ধাতুকে ণিজন্ত ধাতু বলা হয়। যেমন- সংস্কৃত ণিজন্ত ধাতুর উদাহরণ: √শিক্ষ্ + ণিচ্ = √শিক্ষি। √শিক্ষি ধাতুটি একটি ণিজন্ত ধাতু। সংস্কৃত ভাষার অনুকরণে বাংলাতেও প্রযোজক ধাতুকে ণিজন্ত ধাতু নাম দেওয়া হয়েছে। যদিও আমাদের মনে হয় বাংলাতে এই ধরনের নামকরণের কোনো কারণ নেই। কেননা বাংলাতে ণিচ্ প্রত্যয় নেই। বাংলা প্রযোজক ধাতুর গঠনে ণিচ্ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় না।  ণিজন্ত ধাতুর উদাহরণ বাংলা ণিজন্ত ধাতুর উদাহরণ চাইলে প্রযোজক ধাতুর উদাহরণ দিতে হবে। যেমন:  √কর্ + আ = √করা √দেখ্ + আ = √দেখা √খা + আ = √খাওয়া  √করা, √দেখা, √খাওয়া প্রভৃতি হল বাংলা ব্যাকরণের প্রযোজক ধাতু বা ণিজন্ত ধাতুর উদাহরণ। আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। ই