পোস্টগুলি

উহ্য কর্ম কাকে বলে

ঊহ্য কর্ম ঊহ্য কথার অর্থ হল অনুল্লিখিত। সকর্মক ক্রিয়াগুলি কর্ম ছাড়া সম্পাদিত হতে পারে না। কিন্তু বাক্যে অনেক সময় দেখা যায় সকর্মক ক্রিয়ার কর্ম বাক্যে উল্লিখিত হয় না। যেমন: "আমি খাচ্ছি।" এই বাক্যে কোনো কর্মের উল্লেখ নেই। অথচ খাবার জিনিস না থাকলে খাচ্ছি কী? এই বাক্যে আসলে কর্মটি ঊহ্য আছে। তাহলে ঊহ্য কর্মের সংজ্ঞা হিসেবে আমরা বলবো: সকর্মক ক্রিয়ার কর্ম যদি বাক্যে উল্লিখিত না থাকে, তাহলে তাকে বলে ঊহ্য কর্ম। নিচে ঊহ্য কর্মের উদাহরণ দিলাম। মনে রাখতে হবে, ঊহ্য কর্মকে দেখতে পাওয়া যাবে না। ঊহ্য কর্ম নির্দিষ্ট হয় না, অনির্দিষ্ট হয়।  ঊহ্য কর্মের উদাহরণ ১: আমি পড়ছি। -- যা পড়ছি তা ঊহ্য কর্ম।  ২: আমি খাচ্ছি। -- যাই হোক কিছু খাচ্ছি। যা খাচ্ছি, সেটিই ঊহ্য কর্ম। ৩: আমি দেখলাম। -- যা দেখলাম, সেটি ঊহ্য কর্ম। ৪: আমি শুনছি। -- যা শুনছি তা ঊহ্য কর্ম। ৫: আমি দিলাম। -- যা দিলাম ও যাকে দিলাম, দুটিই ঊহ্য কর্ম। কারক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

অনুসর্গের কাজ কী | অনুসর্গ কী কাজ করে

 অনুসর্গের কাজ অনুসর্গ হল এক ধরনের অব্যয়‌। অনুসর্গের অপর নাম কর্মপ্রবচনীয়, সম্বন্ধীয় বা পরসর্গ। এদের পদান্বয়ী অব্যয়‌ও বলা হয়। অনুসর্গের দুটি কাজ ১) অনুসর্গগুলি বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত হয়ে এক পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ক স্থাপন করে। ২) অনুসর্গগুলি অনেক সময় কারকের বিভক্তি হিসেবেও কাজ করে।  নিচে উদাহরণের সাহায্যে অনুসর্গের কাজ দেখানো হলো। অনুসর্গ শব্দের ব্যুৎপত্তি অনুসর্গ শব্দের ব্যুৎপত্তি বা প্রত্যয় হল: অনু - √সৃজ্ + অ। অনু উপসর্গে পশ্চাৎ অর্থ বোঝায়, সৃজ্ ধাতুর অর্থ সৃজন করা বা সৃষ্টি করা।  অনুসর্গের উদাহরণ ১: নুন ছাড়া খাবার ভালো লাগে না। -- 'ছাড়া' অনুসর্গটি নুন ও খাবারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে।  ২: তোমার জন্য নতুন জামা এনেছি। -- এখানে 'জন্য' অনুসর্গটি কারকের বিভক্তি হিসেবে কাজ করছে। অনুসর্গের কাজ এই দুটিই। কখনও নাম পদের সঙ্গে নাম পদের সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং কখনও নাম পদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের সম্পর্ক গড়ে তোলা। অনুসর্গের অপর নাম কর্মপ্রবচনীয় কেন, তার প্রকৃত ব্যাখ্যা কারক অধ্যায়ে আলোচনা করেছি ‌।

সেরা বাংলা অভিধান

কোন বাংলা অভিধান কিনবো? বাংলা ভাষা সম্পর্কে যাঁদের বিন্দুমাত্র কৌতুহল আছে এবং শব্দের অর্থ, ব্যুৎপত্তি ইত্যাদির ব্যাপারে আগ্রহ আছে তাঁদের বাড়িতে একটি ভালো অভিধান রাখা খুবই জরুরি। বাংলা বিষয়ে যাঁরা উচ্চশিক্ষার পাঠ নিচ্ছেন, তাঁদের‌ কাছেও একটি ভালো অভিধান রাখার দরকার পড়ে। এমনকি স্রেফ বাড়িতে রাখার জন্য‌ও একটি অভিধান সংগ্রহ করা দরকার, কারণ অভিধানের প্রয়োজন অনেক সময়ই হয়ে থাকে। আজকাল অনেক অনলাইন অভিধান হয়েছে, অনেক অভিধানের অ্যাপ হয়েছে, কিন্তু সেগুলি যেমন পূর্ণাঙ্গ নয়, তেমনি অনেক ক্ষেত্রে ভুল‌ও রয়েছে। এক কথায় বলা যায়, বাংলায় এখনও পর্যন্ত এমন ই-ডিকশনারি বের হয়নি, যা কিনা কাগজের ডিকশনারির বিকল্প হতে পারে। তাই আজকের আলোচনায় আমি বলবো কোন অভিধান হাতের কাছে রাখলে শব্দের ব্যুৎপত্তি ও শব্দের বিভিন্ন ধরনের অর্থ দরকার মতো দেখে নেওয়া যাবে।  বঙ্গীয় শব্দকোষ হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেরণায় শান্তিনিকেতন আশ্রমের সংস্কৃত ভাষার শিক্ষক হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জীবনের সুদীর্ঘ চল্লিশ বছরের সাধনায় রচনা করেন বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ অভিধান। এই ব‌ইকে বাংলা শব্দভাণ্

উপবাক্যীয় কর্তা কাকে বলে

 উপবাক্যীয় কর্তা উপবাক্যীয় কর্তা কাকে বলে তা জানার আগে আসুন জেনে নিই উপবাক্য কাকে বলে। উপবাক্য হল এমন এক পদগুচ্ছ, যার মধ্যে নিজের উদ্দেশ্য ও বিধেয় আছে, কিন্তু নিজে স্বাধীন বাক্য নয়, বরং একটি জটিল বাক্যের অংশ হিসেবে কাজ করে। উপবাক্যের অপর নাম খণ্ডবাক্য। একটি উপবাক্য যখন বাক্যের কর্তা হিসেবে কাজ করে, তখন তাকে বলা হয় উপবাক্যীয় কর্তা। নিচে উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করা হলো। উপবাক্যীয় কর্তার উদাহরণ ১: একখানি গাড়ি কিনবো আমার ইচ্ছা। -- কোনটি হয় আমার ইচ্ছা? "একখানি গাড়ি কিনবো" -- এই পুরো উপবাক্যটি কর্তার কাজ করছে। ২: "সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা" ছিলো তাঁর আদর্শ। -- "সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা" -- এটি একটি উপবাক্য এবং এটি বাক্যের কর্তা হিসেবে আছে।  ৩: "ব‌ই পড়লে জ্ঞান বাড়ে" কার‌ও অজ্ঞাত কথা নয়। -- চিহ্নিত অংশটি উপবাক্যীয় কর্তা। আশা করি বিষয়টি বোঝাতে পেরেছি। ইউটিউবে আমার ক্লাস করার জন্য ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak) কারকের বিস্তারিত আলোচনা পড়ুন

তির্যক বিভক্তি কাকে বলে

 তির্যক বিভক্তি বাংলা ভাষায় সংস্কৃতের মতো নির্দিষ্ট কারকে নির্দিষ্ট বিভক্তি-চিহ্ন হয় না। বাংলা কারকে প্রায় সব বিভক্তিই একাধিক কারকে ব্যবহৃত হতে পারে। যে বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহৃত হয়, তাকেই তির্যক বিভক্তি বলে । নিচে উদাহরণের সাহায্যে তির্যক বিভক্তি কাকে বলে, তা ভালো ভাবে বিশ্লেষণ করা হলো। তির্যক বিভক্তির উদাহরণ বুলবুলিতে ধান খেয়েছে। - কর্তৃ কারকে 'তে' বিভক্তি। এ ছুরিতে মাংস কাটা যাবে না। - করণে 'তে' বিভক্তি। ঘরেতে ভ্রমর এলো। -- অধিকরণ কারকে 'তে' বিভক্তি। উপরের উদাহরণগুলিতে দেখা যাচ্ছে 'তে' বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহৃত হচ্ছে। সুতরাং বলা যায় 'তে' বিভক্তিটি তির্যক বিভক্তি। বাংলা ব্যাকরণের প্রায় সব যথার্থ বিভক্তিই তির্যক বিভক্তি। তবে অধিকাংশ অনুসর্গ তির্যক নয়।  ইউটিউবে আমার ক্লাস করার জন্য ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak)। কিছু জানার থাকলে যে কোনো ভিডিওতে কমেন্ট করে জানান। কারক বিভক্তি ও অনুসর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

সাধন কর্তা কাকে বলে

 সাধন কর্তা সাধন কথাটির অর্থ হল উপকরণ। করণ কারক অনেক সময় বাক্যের কর্তা হিসেবে কাজ করে। এইভাবে করণ বা সাধন যদি কর্তা হিসেবে কাজ করে, তখন সেই কর্তাকে সাধন কর্তা বলে। মনে রাখতে হবে সাধন কর্তা আসলে করণ হলেও বাক্যের মধ্যে কর্তার কাজ করে, তাই কর্তৃ কারক‌ই হবে। নিচে উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করতে চেষ্টা করছি।  সাধন কর্তার উদাহরণ ১: ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। -- এই উদাহরণে ঢেঁকি সাধন কর্তা। কারণ ঢেঁকি আসলে করণ। ঢেঁকি নিজে ধান ভানে না, ঢেঁকির সাহায্যে মানুষ ধান ভানে। কিন্তু এই বাক্যে মনে হচ্ছে ঢেঁকি নিজেই ধান ভানে।  ২: লাল টিপটা তোমাকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। -- টিপটা এখানে সাধন কর্তা। টিপের সাহায্যে সৌন্দর্য বেড়েছে‌। সৌন্দর্য বাড়াতে টিপকে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এই বাক্যে টিপ কর্তার জায়গায় আছে। ৩: আশি সালের সাইকেলটা আজ‌ও আমাকে ব‌ইছে। - সাইকেলটা এখানে সাধন কর্তা। কারণ সাইকেল আসলে করণ হয়েও এই বাক্যে কর্তার ভূমিকা পালন করছে। ৪: এই ছোট্ট ছুরিটা ফল কাটতে পারবে, মাংস কাটতে পারবে না। -- এখানে ছুরিটা সাধন কর্তা।

কমপিটেন্স কাকে বলে | What is competence in language study

 কম্পিটেন্স বা পারঙ্গমতাবোধ নোয়াম চমস্কির বিশ্বজনীন ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা হল কম্পিটেন্স বা পারঙ্গমতাবোধ। চমস্কির তত্ত্ব অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির জ্ঞানের মধ্যে তার মাতৃভাষা ব্যবহার ও তার পদ্ধতি সম্পর্কে যে ধারণা থাকে, তাকে কম্পিটেন্স বা পারঙ্গমতাবোধ বলে। সোস্যুরের লাঙ ও পারোল-এর লাঙ এবং চমস্কির কম্পিটেন্স এক নয়। লাঙ হল একটি জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক ভাষাবোধ, চমস্কির কম্পিটেন্স হল ব্যক্তির মধ্যে স্বাভাবিক ভাবে অর্জিত ভাষাবিষয়ক পারঙ্গমতা বা বিভিন্ন ক্ষমতা।  চমস্কির মতে পারঙ্গমতা দুই ধরনের: ১: Grammatical বা ব্যাকরণগত ও ২: Pragmatic বা প্রয়োগগত। ভাষার ব্যাকরণ সম্পর্কে অন্তর্নিহিত বোধ, বাক্য, শব্দ, শব্দার্থ প্রভৃতি সম্পর্কে সাধারণ যে ধারণা বা জ্ঞান মানুষের মনে থাকে, সেগুলি সব‌ই ব্যাকরণগত কম্পিটেন্সের মধ্যে পড়ে। অন্য দিকে ভাষাকে প্রয়োগ করা সম্পর্কে যে সব ক্ষমতা, যেমন পড়তে পারা, বর্ণনা দিতে পারা, তথ্য সুবিন্যস্ত করার ক্ষমতা, সাহিত্য রচনা করতে ও বুঝতে পারার ক্ষমতা, সেগুলি প্রয়োগগত কম্পিটেন্সের মধ্যে পড়ে।

বাক্যাংশ কর্তা কাকে বলে

 বাক্যাংশ কর্তা বাক্যাংশ কর্তা কাকে বলে, তা জানার আগে আমাদের জেনে নিতে হবে বাক্যাংশ কী। বাক্যাংশ হল এমন এক পদগুচ্ছ, যার মধ্যে সমাপিকা ক্রিয়া থাকবে না, এবং পুরো পদগুচ্ছটি বাক্যের মধ্যে একটি পদের কাজ করবে। বাক্যাংশকে ইংরেজিতে phrase বলে। তো, এই বাক্যাংশগুলি বাক্যের মধ্যে বিভিন্ন কারকের ভূমিকা পালন করতে পারে। কোনো বাক্যাংশ যদি বাক্যের মধ্যে কর্তার ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেই কর্তাকে বলে বাক্যাংশ কর্তা। নিচে উদাহরণের মাধ্যমে বাক্যাংশ কর্তা সম্পর্কে ধারণাটি স্পষ্ট করা হলো। বাক্যাংশ কর্তার উদাহরণ ১: তোমার অমন করে চলে যাওয়া আমাকে খুব‌ই দুঃখ দিয়েছে। -- এই বাক্যে কর্তা কে? দুঃখ কে দিয়েছে? -- 'তোমার অমন করে চলে যাওয়া'। এই পুরোটার মধ্যে কিন্তু কোনো সমাপিকা ক্রিয়া নেই, অথচ এটি একটি পদগুচ্ছ এবং বাক্যের মধ্যে একটি পদের কাজ করছে। তাই এটি একটি বাক্যাংশ কর্তা। ২: রাতুলের অসাধারণ খেলা আমাদের দলকে জয়ী করেছে। -- 'রাতুলের অসাধারণ খেলা' এই বাক্যের বাক্যাংশ কর্তা। ৩: একটু একটু করে টাকা সঞ্চয় করার অভ্যেসটাই আমাকে বিপদের সময় বাঁচিয়ে দিলো। -- 'একটু একটু করে টাকা সঞ্চয় করার অ

ণিজন্ত ধাতু কাকে বলে

 ণিজন্ত ধাতুর ধারণা ও উদাহরণ ণিজন্ত কথাটির অর্থ হল 'ণিচ্ অন্তে যার'। সন্ধি ভাঙলে হবে ণিচ্ + অন্ত। অর্থাৎ যার শেষে ণিচ্ প্রত্যয় আছে। ণিচ্ প্রত্যয়টি একটি সংস্কৃত প্রত্যয়। সংস্কৃত ভাষায় এর কাজ হল মৌলিক ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রযোজক ধাতু তৈরি করা ( বাংলা ভাষায় এই কাজটি করে আ প্রত্যয়‌। এই বিষয়টি জানার জন্য আমার লেখা ধাতু অধ্যায়টি পড়ে নিন।)। এই কারণে সংস্কৃত ভাষায় প্রযোজক ধাতুকে ণিজন্ত ধাতু বলা হয়। যেমন- সংস্কৃত ণিজন্ত ধাতুর উদাহরণ: √শিক্ষ্ + ণিচ্ = √শিক্ষি। √শিক্ষি ধাতুটি একটি ণিজন্ত ধাতু। সংস্কৃত ভাষার অনুকরণে বাংলাতেও প্রযোজক ধাতুকে ণিজন্ত ধাতু নাম দেওয়া হয়েছে। যদিও আমাদের মনে হয় বাংলাতে এই ধরনের নামকরণের কোনো কারণ নেই। কেননা বাংলাতে ণিচ্ প্রত্যয় নেই। বাংলা প্রযোজক ধাতুর গঠনে ণিচ্ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় না।  ণিজন্ত ধাতুর উদাহরণ বাংলা ণিজন্ত ধাতুর উদাহরণ চাইলে প্রযোজক ধাতুর উদাহরণ দিতে হবে। যেমন:  √কর্ + আ = √করা √দেখ্ + আ = √দেখা √খা + আ = √খাওয়া  √করা, √দেখা, √খাওয়া প্রভৃতি হল বাংলা ব্যাকরণের প্রযোজক ধাতু বা ণিজন্ত ধাতুর উদাহরণ। আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। ই

ধাতু বিভক্তির উদাহরণ

 ধাতু-বিভক্তি বা ক্রিয়া-বিভক্তি কাকে বলে  যে বিভক্তিগুলি ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধাতুকে ক্রিয়াপদে পরিণত করে, তাদের ধাতু-বিভক্তি বলে। ধাতু বিভক্তির আরেক নাম ক্রিয়াবিভক্তি। ক্রিয়াবিভক্তির শ্রেণিবিভাগ বিভক্তির বিস্তারিত আলোচনা বিষয়ক পোস্টে লিখেছি। তাই এখানে তা আর আলাদা করে লিখছি না। ধাতু-বিভক্তি বা ক্রিয়া-বিভক্তির উদাহরণ দেওয়ার জন্য এখানে কয়েকটি ক্রিয়াপদকে ভেঙে তারপর বিভক্তিগুলি চিহ্নিত করবো। এখানে ক্রিয়াপদের সাধু রূপ ব্যবহার করতে হবে। কারণ চলিত ভাষায় ক্রিয়াবিভক্তি চিহ্নিত করতে গেলে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে না, কারণ চলিতে অনেক সময় এদের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয়। নিচের উদাহরণগুলি লক্ষ করুন। ধাতু-বিভক্তির উদাহরণ করি = √কর্ + ই করিতেছিলাম = কর্+ইতে+আছ্+ ইল্+আম বলিয়াছিলাম = বল্+ইয়া+আছ্+ ইল্+আম বলিয়াছিলে = বল্+ইয়া+আছ্+ ইল্+এ দেখিতেছি = দেখ্+ইতে+আছ্ +ই দেখিতেছিস = দেখ্+ইতে+আছ্ +ইস করিতে থাকিব = কর্+ইতে+থাক্+ ইব্+অ দেখিতে থাকিবেন = দেখ্+ইতে+থাক্+ ইব্+এন উপরের উদাহরণগুলিতে লাল রঙে লেখা অংশগুলি ধাতু-বিভক্তি বা ক্রিয়া-বিভক্তির উদাহরণ। ইউটিউবে আমার ক্লাস করার জন্য ইউটিউবে গিয়ে

পিজিন কাকে বলে

 পিজিন ভাষা  একে অপরের ভাষা জানে না, এমন দুটি জাতি কাছাকাছি বসবাস করার কারণেই হোক বা অন্য কোনো কারণেই হোক, নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে বাধ্য হলে সাধারণত তৃতীয় একটি ভাষার সাহায্য নেয়। কিন্তু তেমন কোনো উপযুক্ত তৃতীয় ভাষাও যদি না থাকে, তাহলেও দুই জাতির কথোপকথন আটকে থাকে না। এ রকম পরিস্থিতিতে দুই জাতির মধ্যে এক ধরনের কাজ চালানো গোছের ভাষা গড়ে ওঠে। সে ভাষায় উভয় ভাষা থেকেই কিছু কিছু শব্দ নেওয়া হয় এবং অন্যান্য ভাষা থেকেও শব্দ নেওয়া হয়। এই ধরনের ভাষাকে পিজিন বলে। নিচে পিজিনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো। পিজিনের বৈশিষ্ট্য পিজিনের শব্দ সংখ্যা কম হয়, ব্যাকরণ‌ও বিশেষ থাকে না। অনেক বিষয়কে অঙ্গভঙ্গির সাহায্যেও বোঝানো হয়। পিজিন কোনো জাতির মাতৃভাষা বা প্রথম ভাষা হিসেবে গণ্য হয় না। পিজিনকে পূর্ণাঙ্গ ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। কোনো পিজিন যদি অনেক দিন ব্যবহারের পর কোনো জাতির বা কোনো অঞ্চলের অধিবাসীদের প্রথম ভাষায় পরিণত হয়, তাহলে তখন ঐ ভাষাকে আর পিজিন বলা হয় না। তখন তাকে ক্রেওল বলা হয়। ইংরেজি 'বিজনেস' শব্দের চিনা উচ্চারণ 'পিজিন'। সেই থেকে এই নামটি গ্রহণ করা

অন্ত্য ব্যঞ্জন লোপ

অন্ত্য ব্যঞ্জন লোপ কাকে বলে ধ্বনি পরিবর্তনকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা হয় ১: ধ্বনির আগম ২: ধ্বনির লোপ ৩: ধ্বনির রূপান্তর ৪: ধ্বনির বিপর্যাস ধ্বনির লোপ পর্যায়ের অন্তর্গত একটি বিশেষ ধারা হল অন্ত্য ব্যঞ্জন লোপ। শব্দের শেষ দলে অবস্থিত ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণে লুপ্ত হলে তাকে বলা হয় অন্ত্য-ব্যঞ্জন লোপ।  নিচে উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করা হলো। উদাহরণ সখী > স‌ই -- এখানে শব্দের শেষ দলে অবস্থিত ব্যঞ্জন খ্ লোপ পেয়েছে। এক‌ই রকম আরও উদাহরণ: শিয়ালদহ > শেয়ালদা, খড়দহ > খড়দা, চাকদহ > চাকদা, বধূ > ব‌উ, মধু > ম‌উ প্রভৃতি। এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলে দেওয়া উচিত। আমাদের মতে বাংলায় প্রকৃত পক্ষে অন্ত্য ব্যঞ্জন লোপের ঘটনা ঘটে না। উপরের উদাহরণগুলি লক্ষ করলে দেখা যাবে লুপ্ত ব্যঞ্জনগুলি আদতে শব্দের শেষে নেই। যেমন: সখী শব্দের শেষে স্বর আছে, তাহলে শেষে ব্যঞ্জন থাকার প্রশ্ন আসছে কী ভাবে? তবু এই উদাহরণগুলো বিভিন্ন লেখক অন্ত্য ব্যঞ্জন লোপের উদাহরণ হিসেবে দেখিয়েছেন। তাই সংজ্ঞাটি আমরা একটু বদল করে 'দল' কথাটি যুক্ত করেছি। 

অ-তৎসম শব্দ কাকে বলে

অ-তৎসম শব্দ বাংলা শব্দভাণ্ডারে তৎসম শব্দ ও অ-তৎসম শব্দ কথা দুটি প্রায়শ‌ই বিভিন্ন প্রসঙ্গে শোনা যায়। আজকের আলোচনায় আসুন আমরা জেনে নিই অ-তৎসম শব্দ কী এবং বাংলা ভাষায় অ-তৎসম শব্দের গুরুত্ব কোথায়। তৎসম শব্দ বলতে বোঝায় সংস্কৃত শব্দভাণ্ডার থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় গৃহীত শব্দ। সংখ্যার বিচারে তৎসম শব্দগুলি বাংলা শব্দভাণ্ডারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রেণি। বাংলা শব্দভাণ্ডারে তৎসম শব্দ ছাড়াও রয়েছে তদ্ভব, অর্ধতৎসম, দেশি, বিদেশি, প্রাদেশিক ও সংকর শব্দ। এই সব ধরনের শব্দগুলিকে একত্রে অ-তৎসম শব্দের পর্যায়ে ফেলা হয়। নিচে বাংলা শব্দভাণ্ডারে অ-তৎসম শব্দের গুরুত্ব আলোচনা করলাম।  অ-তৎসম শব্দের গুরুত্ব অ-তৎসম শব্দগুলি বাংলা ভাষায় বিশেষ একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলার নিজস্ব বানানবিধি প্রায় সম্পূর্ণ রূপে মেনে চলা যায় অ-তৎসম শব্দের ক্ষেত্রেই। তৎসম শব্দের বানানে সংস্কৃত বানান বিধি না মেনে উপায় থাকে না। কারণ সংস্কৃত বানান না মানলে তৎসম শব্দের ব্যুৎপত্তি ব্যাখ্যা করা কঠিন হয়ে উঠবে এবং নানা রকম জটিলতা দেখা দেবে। অ-তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা নেই। এই শব্দগুলির সঠিক বাংলা উচ্চারণ অনুযায়ী

গৌণ কর্ম কাকে বলে | মুখ্য কর্ম কাকে বলে

 গৌণ কর্ম ও মুখ্য কর্ম গৌণ ও মুখ্য কর্ম সম্পর্কে আলোচনা করার আগে আমাদের জেনে নেওয়া উচিত কর্ম কাকে বলে। কর্ম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকলে গৌণ কর্ম ও মুখ্য কর্ম বুঝতে অসুবিধা হবে।  কর্ম কাকে বলে কর্ম হল ক্রিয়ার আশ্রয়। ক্রিয়ার কাজটি যার উপর প্রয়োগ করা হয়, তাকেই কর্ম বলে। যেমন: "বাঙালিরা ভাত খায়।" - এই বাক্যে খাওয়ার কাজটি ভাতের উপরেই প্রযুক্ত হচ্ছে। ভাতকেই তো খাওয়া হয়‌। সাধারণ ভাবে ক্রিয়াকে 'কী' বা 'কাকে' দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তরে কর্ম পাওয়া যায়। এ বার আসি মুখ্য ও গৌণ কর্ম প্রসঙ্গে। মুখ্য ও গৌণের ধারণাটি অনেকের কাছে স্পষ্ট নয়। আমি সেটিই স্পষ্ট করার চেষ্টা করবো।  গৌণ ও মুখ্য কর্ম একটি ক্রিয়ার যদি দুটি কর্ম থাকে এবং তার মধ্যে একটি প্রাণীবাচক ও অপরটি জড়বাচক হয়, তাহলে জড়বাচক কর্মটি মুখ্য ও প্রাণীবাচক কর্মটি গৌণ হয়। এখন প্রশ্ন হবে প্রাণীবাচকটি গৌণ কেন? প্রাণী তো মুখ্য হ‌ওয়া উচিত। জড় পদার্থের চেয়ে প্রাণীর গুরুত্ব সবসময়ই বেশি। এখানে বুঝতে হবে, মুখ্যতা বা গৌণতা ভাবের বিচারে ঠিক করা হয় না। এখানে মুখ্যতা ও গৌণতা স্থির করা হয় ক্রিয়ার সাথে সম

উপমেয় কাকে বলে | উপমান কাকে বলে

 উপমেয় ও উপমানের ধারণা উপমেয় কাকে বলে উপমেয় কথার আক্ষরিক অর্থ হল: যার উপমা করা হয়, যার উপমা দেওয়া হবে‌, যা উপমার যোগ্য। অর্থালঙ্কারের ক্ষেত্রে যে বস্তুর তুলনা করা হয়, তাকে উপমেয় বলে। বস্তু শব্দটি এখানে ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ব্যক্তি, প্রাণী, বস্তু, সব‌ই এখানে বস্তু হিসেবে গণ্য হবে। উপমেয়কে প্রধান বস্তুও বলা হয়। তার কারণ উপমাতে উপমেয়‌ই মূল বর্ণিতব্য বিষয়। উপমেয়ের গুণ বর্ণনা করার লক্ষ্যেই উপমা করা হয়। যেমন: "চাঁদের মতো সুন্দর মুখ" বললে আমরা মুখ কত সুন্দর, সেটাই বোঝাতে চাইছি। তাই মুখ‌ই প্রধান বস্তু বা উপমেয়। উপমান কাকে বলে যার সাথে উপমেয়ের তুলনা করা হয়, তাকে উপমান বলে। যেমন: "আগুনের মতো গরম বাতাস" বললে বাতাসের তুলনা করা হচ্ছে আগুনের সাথে। তাই আগুন উপমান। তুলনায় উপমানের কাজ হলো উপমেয়ের গুণ বর্ণনায় সাহায্য করা। উপমানকে উপমেয়ের গুণ বর্ণনার মানদণ্ড বলা যায়। উপমেয় ও উপমান চেনার উপায় উপমেয় ও উপমান চেনার কয়েককটি খুব সহজ ও কার্যকরী উপায় আছে।  ১: যার কথা আমরা বলতে চাইছি, সেটি হলো উপমেয়। ২: যার সাথে তুলনা, সে উপমান।  ৩: উপমানকে চেনা বেশি স

আক্ষরিক অনুবাদ ও ভাবানুবাদ: পার্থক্য

আক্ষরিক অনুবাদ ও ভাবানুবাদের পার্থক্য  ১: আক্ষরিক অনুবাদে প্রতিটি শব্দের, প্রতিটি বাক্যের হুবহু অনুবাদ করা হয়। ভাবানুবাদে মূল ভাবটি বজায় রেখে নতুন ভাবে বাক্য গঠন করা হয়। ২: আক্ষরিক অনুবাদ নিকৃষ্ট বলে গণ্য হয়। ভাবানুবাদ উৎকৃষ্ট অনুবাদ বলে গণ্য হয়। ৩: দাপ্তরিক ও আইনি কাজকর্মে আক্ষরিক অনুবাদের কিছু উপযোগিতা আছে। ভাবানুবাদের উপযোগিতা শিক্ষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে। ৪: আক্ষরিক অনুবাদে ভাষা সাবলীল হয় না। ভাবানুবাদে ভাষা সাবলীল হয়। ৫: আক্ষরিক অনুবাদে বাক্যের সরলার্থ ছাড়া গূঢ় প্রকাশিত হয় না। ভাবানুবাদে বাক্যের গূঢ় ভাবার্থ প্রকাশ করা যায়। ৬: প্রবাদ, প্রবচন ও বিশিষ্ট বাক্যের আক্ষরিক অনুবাদ সম্ভব হয় না। ভাবানুবাদ যে কোনো বাক্যের‌ই করা যায়। ভাবানুবাদ কাকে বলে

অপাদান কারক চেনার উপায়

অপাদান কারক  যেখান থেকে কোনো কিছু বিচ্যুত, নির্গত, উৎপন্ন, প্রাপ্ত, আরম্ভ, পরিচালিত প্রভৃতি হয়, তাকে অপাদান কারক বলে। অপাদান কারক চেনার জন্য এর প্রতিটি শ্রেণিবিভাগ জেনে রাখা দরকার। তার পর নিচে আমরা অপাদান কারক চেনার উপায় আলোচনা করবো। অপাদান কারকের শ্রেণিবিভাগ ১: স্থান-বাচক অপাদান: যে স্থান থেকে কর্তা বা কর্ম বিচ্যুত হয়, সেই স্থানকে স্থানবাচক অপাদান বলে। যেমন: জলটা গ্লাস থেকে ঢালো। -- গ্লাস অপাদান। ২: উৎস-বাচক অপাদান: যে উৎস থেকে কিছু পাওয়া যায় বা নির্গত হয়, তাকে উৎস বাচক অপাদান বলে।  যেমন: তিল থেকে তেল হয়।  ৩: অবস্থান-বাচক অপাদান: যে স্থান থেকে দূরবর্তী ক্রিয়া পরিচালিত হয়, সেই স্থানকে অবস্থান বাচক অপাদান বলে। যেমন: সে ছাদ থেকে ডাকছে।  ৪: রূপান্তর-বাচক অপাদান: কোনো কিছু থেকে রূপান্তরিত হয়ে অন্য কোনো কিছুতে পরিণত হলে প্রথম পদটি অপাদান কারক হয়। যেমন: দুধ থেকে দ‌ই হয়।  ৫: দূরত্ব-বাচক অপাদান: এক স্থান থেকে অন্য স্থানের দূরত্ব বোঝানো হলে প্রথম স্থানটিকে দূরত্ব বাচক অপাদান বলে। যেমন: কলকাতা থেকে দিল্লি অনেক দূরে। ৬: কাল-বাচক অপাদান: যে সময় থেকে কোনো কিছু শুরু হয়, সেই সময়

ভাবানুবাদ কাকে বলে

ভাবানুবাদ অনুবাদ বলতে বোঝায় ভাষান্তর। এক ভাষার রচনাকে অন্য ভাষায় রূপান্তরিত করাকেই অনুবাদ বলা হয়। অনুবাদ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন: আক্ষরিক অনুবাদ, ভাবানুবাদ ও রসানুবাদ। আজকের আলোচনায় আমরা ভাবানুবাদ সম্পর্কে জানবো। ভাবানুবাদ কথার অর্থ হল ভাব অনুসারে অনুবাদ। ভাবানুবাদ = ভাব + অনুবাদ। যে অনুবাদ করার জন্য মূল রচনার প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্যের হুবহু অনুবাদ করা হয় না , রচনাটি আগাগোড়া ভালো ভাবে পড়ার পর মূল ভাব বা বক্তব্যটি নতুন ভাবে রচনা করা হয়, তাকে বলে ভাবানুবাদ। তবে ভাবানুবাদ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, রচনার মূল বক্তব্য যেন বদলে না যায়। ইংরেজি থেকে বাংলায় যে অনুবাদ বিভিন্ন পরীক্ষায় করতে দেওয়া হয়, সেগুলি সব সময় ভাবানুবাদ করা উচিত। আক্ষরিক অনুবাদ মানেই নিকৃষ্ট অনুবাদ। তাই আক্ষরিক অনুবাদ কখনোই কাম্য নয়। আক্ষরিক অনুবাদ ও ভাবানুবাদের পার্থক্য পড়ুন। ভাবানুবাদের উদাহরণ পড়ুন

বিভক্তি ও নির্দেশকের পার্থক্য | বিভক্তি ও নির্দেশকের সাদৃশ্য

বিভক্তি ও নির্দেশক আলোচক: অনন্য পাঠক বিভক্তি ও নির্দেশক, উভয়ের বেশ কিছু সাদৃশ্য থাকলেও এরা এক জিনিস নয়। নিচে এদের পার্থক্য ও সাদৃশ্য আলোচনা করা হলো। পার্থক্য ১: বিভক্তি শব্দ বা ধাতুর পরে যুক্ত হয়ে তাকে পদে পরিণত করে। নির্দেশক শব্দের পরে যুক্ত হয়ে বচন নির্দেশ করে। ২: নির্দেশকের পর বিভক্তি যুক্ত হতে পারে। বিভক্তির পর নির্দেশক যুক্ত হতে পারে না। ৩: বিভক্তি অন্বয় সৃষ্টি করে। নির্দেশক অন্বয় সৃষ্টি করতে পারে না। ৪: বিভক্তির পরিবর্তে অনুসর্গ ব্যবহৃত হতে পারে। নির্দেশকের পরিবর্তে অন্য কিছু ব্যবহৃত হতে পারে না। ৫: বিভক্তি ধাতুর পরেও যুক্ত হয়। নির্দেশক ধাতুর পরে যুক্ত হতে পারে না। সাদৃশ্য ১: বিভক্তি ও নির্দেশক, উভয়েই শব্দের পরে যুক্ত হয়।  ২: বিভক্তি ও নির্দেশক, উভয়েই পরাধীন রূপমূল, বাক্যের মধ্যে এদের স্বাধীন ব্যবহার নেই। ৩: বিভক্তি ও নির্দেশক, উভয়ের‌ই অর্থবাচকতা আছে, কিন্তু স্বাধীন অর্থ নেই। কারক বিভক্তি ও নির্দেশক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদের পার্থক্য

ছবি
সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ, উভয়‌ই অকারক পদ। উভয়ের সঙ্গেই ক্রিয়ার সরাসরি সম্পর্ক থাকে না। তবু এদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। নিচে সম্বোধন পদ ও সম্বন্ধ পদের পার্থক্য বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করলাম।  সম্বন্ধ ও সম্বোধন পদের পার্থক্য ১: সম্বন্ধ পদে সাধারণত র/এর বিভক্তি যুক্ত থাকে। সম্বোধন পদে সাধারণত বিভক্তি থাকে না (অর্থাৎ শূন্য বিভক্তি থাকে)। ২: সম্বন্ধ পদ বাক্যের গতি ভঙ্গ করে না। সম্বোধন পদ বাক্যের গতি ভঙ্গ করে। ৩: সম্বন্ধ পদ বিশেষ্য‌ও হতে পারে, সর্বনাম‌ও হতে পারে। সম্বোধন পদ শুধু বিশেষ্য‌ই হতে পারে। ৪: সম্বন্ধ পদের পরে কমা চিহ্ন ব্যবহৃত হয় না। সম্বোধন পদের পরে, আগে অথবা আগে ও পরে কমা চিহ্ন দিতে হয়। ৫: সম্বন্ধ পদ বাক্যের বাড়তি অংশ নয়, এটি উদ্দেশ্য বা বিধেয়ের অন্তর্গত হয়। সম্বোধন পদ বাক্যের বাড়তি অংশ এবং উদ্দেশ্য বা বিধেয়ের অন্তর্গত নয়।  নিচে কারক ও অকারক পদের ধারণা সম্পর্কে আমার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওটি দিলাম। এটা দেখার অনুরোধ র‌ইলো। আশা করি কারক সম্পর্কে অনেক নতুন বিষয় জানা যাবে। আশা করি সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদের পার্থক্য বোঝা গেছে। ইউটিউবে আমার ব