উচ্চারণ-প্রকৃতি অনুসারে ব্যঞ্জনের শ্রেণি
বাংলা ব্যঞ্জনের উচ্চারণ আগের আলোচনায় আমরা উচ্চারণ স্থান অনুসারে ব্যঞ্জনের শ্রেণিবিভাগ করেছি। এখন দেখে নেব উচ্চারণ-প্রকৃতি অনুসারে ব্যঞ্জন কত প্রকার হতে পারে। এই আলোচনা শুরু করার আগে আমরা আর একবার একটি পুরাতন কথা স্মরণ করে নেবো---- তা হল, ব্যঞ্জন ধ্বনিগুলো সৃষ্টি হয় শ্বাসবায়ুকে তার প্রবাহপথে বাধা দেওয়ার ফলে। এখন এই বাধা যেমন বিভিন্ন স্থানে দেওয়া যায়, তেমনি বাধার মাত্রাও বিভিন্ন হতে পারে। অর্থাৎ এই বাধা হতে পারে পূর্ণ বাধা, আংশিক বাধা অথবা অতি অল্প বাধা। ADVERTISEMENT স্পর্শ ব্যঞ্জন বা স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন শ্বাসবায়ুর প্রবাহপথের বাধা যদি পূর্ণ বাধা হয়, তখন যে ধ্বনিগুলি সৃষ্টি হয়, তাদের বলে স্পর্শ ব্যঞ্জন। কারণ পূর্ণ বাধা দিতে হলে একটি অঙ্গকে অপর অঙ্গে(বা স্থানে) স্পর্শ করতে হবে। দুটি অঙ্গের মধ্যে ফাঁক থাকলে পূর্ণ বাধা দেওয়া সম্ভব হবে না। স্পর্শ ব্যঞ্জন কাকে বলে? যে ব্যঞ্জনকে উচ্চারণ করার সময় বাগযন্ত্রের উচ্চারক অঙ্গ উচ্চারণ স্থানকে স্পর্শ ক'রে শ্বাসবায়ুর গতিপথকে সম্পূর্ণ রুদ্ধ করে এবং শ্বাসবায়ু ঐ বাধা ঠেলে সরিয়ে প্রবাহিত হয় তাকে স্পর্শ ব্যঞ্জন বলে। স্পর্শ