পোস্টগুলি

খাঁটি দেশি শব্দ কাকে বলে

দেশি শব্দ বাংলা শব্দভাণ্ডারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল দেশি শব্দ। দেশি শব্দ বলতে কী বোঝায় তা আগে ভালো ভাবে জেনে নেওয়া যাক। প্রাচীন কালে বঙ্গদেশে আর্য জনজাতির বসবাস ছিলো না। আর্যরা এ অঞ্চলে অনেক পরে এসেছে। তার আগে এখানে বসবাস করতো মূলত অস্ট্রিক ও দ্রাবিড় গোষ্ঠীর মানুষেরা। আর্যরা আসার পর এই সব জনজাতির সঙ্গে আর্যদের আদান-প্রদান শুরু হলো। এর ফলে তাদের ভাষা থেকে বহু শব্দ আর্য জনজাতির কথ্য ভাষায় প্রবেশ করে। এ অঞ্চলে আগত আর্যদের মুখে মুখে যে ভাষা বিকশিত হয়, তা-ই বাংলা ভাষা। বাংলা ভাষায় প্রাচীন অস্ট্রিক ও দ্রাবিড় গোষ্ঠীর ভাষা থেকে বহু শব্দ এসেছে। এই শব্দগুলিই দেশি শব্দ বা খাঁটি দেশি শব্দ। তবে এমন কিছু দেশি শব্দ আছে, যেগুলি কোথা থেকে এসেছে, জানা যায় না। সেগুলিকে অজ্ঞাতমূল শব্দ বলা হয়। তদ্ভব শব্দের পাশাপাশি দেশি শব্দগুলিকেও বাংলা ভাষার নিজস্ব সম্পদ বলা চলে। নিচে বেশ কিছু দেশি শব্দের উদাহরণ দেওয়া হল। দেশি শব্দের উদাহরণ কয়লা, কাকা, খবর, খাতা, কামড়, কলা, গয়লা, ঢোল, কাঁটা, খোঁপা, খোঁচা, গলা, ডিঙি, কুলা, টোপর, খোকা, খুকি, বাখারি, কড়ি, চোঙ, চাউল, ছাই, ঝাল, ঢেঁকি,  ঝিঙা, ঝোল, ঠা

জোড়া শব্দ বা শব্দজোড়

বিভিন্ন ধরনের জোড়া শব্দ বা শব্দজোড় দুটি শব্দকে পাশাপাশি বসিয়ে ব্যবহার করা হলে ওই দুটি শব্দকে একত্রে শব্দজোড় বা জোড়া শব্দ বলা হয়। শব্দ জোড় বা জোড়া শব্দ বাংলা ভাষার এক বিশেষ সম্পদ। শব্দ জোড়ের মাধ্যমে অনেক বিশিষ্ট ভাব প্রকাশ করা হয়।   বিপরীতার্থক শব্দের সমাবেশে তৈরি শব্দ-জোড় আগাগোড়া উপরনিচ ছোটোবড়ো উঁচুনিচু ভালোমন্দ কমবেশি সুখ-দুঃখ ঠিকভুল ধনীদরিদ্র দিনরাত ওঠাবসা পাপপুণ্য ভাঙাগড়া সকাল-সন্ধ্যা আগুপিছু আসল-নকল চড়াই-উৎরাই সমার্থক শব্দের সমাবেশে তৈরি শব্দ-জোড় বনজঙ্গল বন্ধুবান্ধব সন্তান-সন্ততি নাতিপুতি ঘরবাড়ি কাগজপত্র জমিজমা দূর-দূরান্ত হাওয়া-বাতাস খাদ্য-খাবার লোকজন বোধবুদ্ধি মনমেজাজ শরীরস্বাস্থ্য বেঁটেখাটো হালচাল ছোটোখাটো ধ্বন্যাত্মক শব্দের যোগে তৈরি জোড়া শব্দ ধুক ধুক চিক চিক চক চক খল খল গট গট মচ মচ থপ থপ গুড় গুড় তির তির ঠং ঠং ঢং ঢং হড় হড় হিড় হিড় কট কট খন খন পিট পিট তর তর খাঁ খাঁ শন শন সোঁ সোঁ চিঁ চিঁ ভুড় ভুড় ঝির ঝির ঝক ঝক খট খট ফর ফর অনুকার শব্দ যোগে গঠিত জোড়া শব্দ খাবার দাবার কাপড় চোপড় জল টল খাওয়া দাওয়া কথা টথা ফল টল গান ফান ভূত টুত

মহাপ্রাণীভবন ও অল্পপ্রাণীভবন কাকে বলে | পীনায়ন ও ক্ষীণায়ন | Alpapranibhaban mahapranibhaban

মহাপ্রাণীভবন ও অল্পপ্রাণীভবনের ধারণা ব্যঞ্জন ধ্বনির শ্রেণিবিভাগ থেকে আমরা জেনেছি যে প্রতি বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ধ্বনি এবং হ ধ্বনি মহাপ্রাণ এবং অন্য সব ধ্বনি অল্পপ্রাণ। মহাপ্রাণ ধ্বনির উচ্চারণে বেশি পরিমাণে শ্বাসবায়ু নির্গত হয় এবং অল্পপ্রাণ ধ্বনির উচ্চারণে কম পরিমাণে শ্বাসবায়ু নির্গত হয়। ক, গ, ট, ড, ড় প্রভৃতি হল অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনের উদাহরণ এবং খ, ঘ, ঠ, ঢ, ঢ় প্রভৃতি হল মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনের উদাহরণ। এই অল্পপ্রাণ ধ্বনি অনেক সময় মহাপ্রাণ ধ্বনিতে পরিণত হয় এবং মহাপ্রাণ ধ্বনিও অনেক সময় অল্পপ্রাণ ধ্বনিতে পরিণত হয়। এই ঘটনা দুটিকে যথাক্রমে মহাপ্রাণীভবন বা পীনায়ন এবং অল্পপ্রাণীভবন বা ক্ষীণায়ন বলে।  পীনায়ন ও ক্ষীণায়ন নামকরণের কারণ  পীন কথার অর্থ বড় বা স্থূল এবং ক্ষীণ কথার অর্থ ছোটো বা সূক্ষ্ম। আগেই বলেছি মহাপ্রাণ ধ্বনির উচ্চারণে বেশি শ্বাসবায়ু লাগে, তাই এই ধ্বনিগুলিকে পীন বা বড়ো হিসেবে ধরা হয় এবং বিপরীত দিকে অল্পপ্রাণ ধ্বনিকে ক্ষীণ হিসেবে ধরা হয়। ক্ষীণ থেকে পীন, তাই পীনায়ন ও পীন থেকে ক্ষীণ, তাই ক্ষীণায়ন... এইভাবে এই দুটি নামকরণ করা হয়েছে। মহাপ্রাণীভবন কাকে বলে কোনো অল্পপ্রাণ ধ্

কথ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষার পার্থক্য

কথ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষা কথ্য ভাষা বলতে বোঝায় যে উপভাষায় কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ কথা বলেন। কথ্য ভাষা হল মানুষের মুখে ব্যবহৃত জীবন্ত ভাষা। অপরদিকে লেখ্য ভাষা লেখালিখির কাজে ব্যবহৃত হয়।  কথ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষার পার্থক্য ১: কথ্য ভাষা মানুষের মুখে মুখে ব্যবহৃত জীবন্ত ভাষা। লেখ্য ভাষা হল কেতাবি ভাষা, যা লেখালিখিতে ব্যবহৃত হয়। ২: কথ্য ভাষাতে ব্যাকরণের কড়াকড়ি নিয়ম মেনে চলা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু লেখ্য ভাষায় ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলতে হয়। ৩: কথ্য ভাষা এলাকাভেদে বদলে যায়। এক‌ই ভাষাভাষী অঞ্চলে কথ্য ভাষার একাধিক উপভাষা দেখা যায়। একটি ভাষার লেখ্য রূপ সাধারণত একটিই থাকে। ৪: কথ্য ভাষা আলাদা করে শিখতে হয় না; মানুষ তার জন্মের কিছুদিন পর থেকে পরিবেশ থেকেই কথ্য ভাষা শিক্ষা করে। অপর দিকে লেখ্য ভাষা আলাদা করে শিখতে হয়।  ৫: কথ্য ভাষায় বাক্যের গঠন অনেক সময় এলোমেলো হলেও চলে। লেখ্য ভাষায় বাক্যের গঠন ব্যাকরণসম্মত হতে হয়। ৬: প্রতিটি ব্যক্তির কথ্য ভাষায় কম-বেশি ফারাক দেখা যায়। এক‌ই ভাষাভাষী দু জন ব্যক্তির লেখ্য ভাষায় বেশি ফারাক থাকে না। ৭: কথ্য ভাষায় ভুল হবার সম্ভাবনা কম থাকে। লেখ্য ভাষায

মিশ্র শব্দ কাকে বলে | সংকর শব্দ কাকে বলে

মিশ্র বা সংকর শব্দের ধারণা মিশ্র বা সংকর কথাটির সাধারণ অর্থ হল দুই বা তার বেশি ভিন্ন উপাদান মিশিয়ে প্রাপ্ত। যে কোনো ভাষার শব্দভাণ্ডারে বিভিন্ন উৎস থেকে শব্দ, ধাতু, উপসর্গ, প্রত্যয় প্রভৃতি গ্রহণ করা হয়। এইসব ভিন্ন ভিন্ন উৎস থেকে নেওয়া উপাদানের মধ্যে অনেক সময় মিশ্রণ ঘটতে দেখা যায় ‌‌‌‌। এই ভাবে ভিন্ন ভিন্ন উৎস থেকে আগত একাধিক শব্দের মিলনে অথবা, ভিন্ন ভিন্ন উৎস থেকে আগত শব্দ ও শব্দাংশের (শব্দাংশ বলতে এখানে উপসর্গ ও প্রত্যয়) মিলনে যে শব্দ গঠিত হয়, তাকে মিশ্র শব্দ বা সংকর শব্দ বলে। একটি কথা মনে রাখতে হবে: দুটি শব্দের মিলনে নতুন শব্দ গঠিত হলেই তা মিশ্র শব্দ নয়। মিশ্র শব্দ হ‌ওয়ার জন্য উপাদানগুলিকে অবশ্যই ভিন্ন উৎস থেকে আগত হতে হবে। যেমন তৎসম + তদ্ভব, বিদেশি + তৎসম, দেশি + বিদেশি ইত্যাদি। বিদেশি শব্দের সঙ্গে বিদেশি শব্দের যোগেও মিশ্র শব্দ হতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে দেখতে হবে উপাদান শব্দগুলি যেন এক‌ই ভাষা থেকে আগত না হয়। যেমন: আরবি ও  ইংরেজি বা ফারসি ও তুর্কির মিশ্রণে মিশ্র শব্দ হতে পারে, কিন্তু ইংরেজি শব্দের সঙ্গে আর একটি ইংরেজি শব্দের মিশ্রণে মিশ্র শব্দ হবে না। যেমন: হেডমাস্

স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির পার্থক্য

স্বর ও ব্যঞ্জনের পার্থক্য ১: স্বরধ্বনিগুলি অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়াই উচ্চারিত হতে পারে। ব্যঞ্জনধ্বনিগুলি স্বরধ্বনির সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না। ২: স্বরধ্বনিকে যতক্ষণ দম থাকে, ততক্ষণ ধরে উচ্চারণ করা যায়, অর্থাৎ টেনে উচ্চারণ করা যায় বা দীর্ঘায়িত করা যায়। ব্যঞ্জনধ্বনিকে টেনে উচ্চারণ করা যায় না ‌‌। ৩: স্বরধ্বনিকে উচ্চারণ করার সময় শ্বাসবায়ুকে কোথাও বাধা পেতে হয় না। ব্যঞ্জনের ক্ষেত্রে শ্বাসবায়ুকে বাগ্‌যন্ত্রের কোথাও না কোথাও কম-বেশি বাধা পেতে হয়। ৪: স্বরধ্বনির সংখ্যা কম হয়। ব্যঞ্জন ধ্বনির সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি। বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বর মাত্র সাতটি। অন্য দিকে ব্যঞ্জন ৩০টি।  এই ব্লগে স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি-র বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সেগুলি পড়ার জন্য সূচিপত্রে যান। 

আক্ষরিক অর্থ কী | আভিধানিক অর্থ কী

আক্ষরিক অর্থ 'আক্ষরিক' কথাটিকে ভাঙলে একটি শব্দ ও একটি প্রত্যয় পাবো: অক্ষর + ইক (ষ্ণিক)। প্রত্যয় অনুযায়ী কথাটির অর্থ হয়: অক্ষর বিষয়ক, অক্ষর অনুসারে, অক্ষর থেকে প্রাপ্ত ইত্যাদি। শব্দের অর্থ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। প্রতিটি শব্দের একটি প্রাথমিক সোজা অর্থ থাকে। আক্ষরিক অর্থ বলতে বোঝায় কোনো শব্দের মূল, প্রাথমিক অর্থ বা সবচেয়ে সরল অর্থটি। কিন্তু আমরা শব্দকে সব সময় তার মূল অর্থে ব্যবহার করি না। যেমন: যদি বলা হয়, "আজ না হোক কাল তুমি সাফল্য পাবেই।" তাহলে 'আজ' বলতে নিকট ভবিষ্যৎ ও 'কাল' বলতে 'দূর ভবিষ্যৎ' বোঝানো হচ্ছে। অথচ 'আজ' বলতে 'অদ্য' ও 'কাল' বলতে 'কল্য' বোঝায়। এই অদ্য ও কল্য হল 'আজ' ও 'কাল' শব্দের আক্ষরিক অর্থ। আক্ষরিক অর্থের অপর নাম আভিধানিক অর্থ। আভিধানিক = অভিধান + ইক (ষ্ণিক)। অভিধানে বা ডিকশনারিতে যে অর্থ দেওয়া থাকে, তাকে আভিধানিক অর্থ বলে। আক্ষরিক অর্থের বিপরীত ধারণা হল ব্যঞ্জনার্থ। আক্ষরিক অর্থ ও ব্যঞ্জনার্থের কিছু উদাহরণ উনি আমাদের গ্রামের মাথা। -- মাথা শব্দের আক্ষরিক অর্থ শির

বচন কাকে বলে

বচনের সংজ্ঞা যার দ্বারা বস্তুর সংখ্যা সম্পর্কে আমাদের ধারণা তৈরি হয়, তাকে বচন বলে। যে বচনের দ্বারা একটিমাত্র বস্তুকে বোঝায়, তাকে একবচন বলে এবং যে বচনের দ্বারা একাধিক বস্তুকে বোঝায়, তাকে বহুবচন বলে। বাংলায় বচন চেনার উপায় বাংলা ভাষায় বচন দুটি: একবচন ও বহুবচন। (সংস্কৃতের মতো কিছু কিছু ভাষায় দ্বিবচনের ব্যবহার আছে।) বাংলায় একবচন বোঝানোর জন্য শব্দের সঙ্গে কিছু যোগ করার দরকার হয় না। বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ একক ভাবে একবচনকেই প্রকাশ করে। এছাড়া টি, টা, খানি, খানা, খান প্রভৃতি নির্দেশক যোগেও একবচন বোঝানো হয়। বাংলা ভাষায় বহুবচন বোঝানোর জন্য মূল বহুবচন-নির্দেশক প্রত্যয়, নির্দেশক বা শব্দ যোগ করতে হয়। গুলি, গুলো প্রভৃতি নির্দেশক; রা, এরা, দিগ প্রভৃতি প্রত্যয় এবং গণ, বৃন্দ, রাজি, বর্গ, কুল, মালা, আবলী, নিচয়, সমুদয় প্রভৃতি সমষ্টিবাচক বিশেষ্য যোগেও বহুবচন বোঝানো হয়। বাংলা বচনের কিছু নিয়ম ১: সংখ্যাবাচক বিশেষণ পূর্বে থাকলে বিশেষ্য পদে আর বহুবচনবাচক কোনো লগ্নক যোগ করা যায় না। যেমন: পাঁচটি ছেলে, পাঁচজন মানুষ। (এখানে 'ছেলেরা' বা 'মানুষগুলি' হবে না।) ২: সব, সকল প্রভৃতি বহুবচন

জোড় বাঁধা সাধিত শব্দের উদাহরণ

জোড় বাঁধা সাধিত শব্দ কাকে বলে ও উদাহরণ জোড় বাঁধা সাধিত শব্দের উদাহরণ দেওয়ার আগে আসুন জেনে নিই সাধিত শব্দ কোনগুলি এবং জোড় বাঁধা সাধিত শব্দ‌ই বা কোনগুলি। সাধিত শব্দ বলতে সাধারণ ভাবে বোঝায়, যে শব্দকে সাধন বা নির্মাণ করা হয়েছে। মৌলিক শব্দ বাদ দিলে অন্য সব শব্দ‌ই সাধিত। সাধিত শব্দকে ভাঙলে একাধিক অর্থপূর্ণ ভগ্নাংশ পাওয়া যাবে। এই অর্থপূর্ণ ভগ্নাংশগুলি হতে পারে ধাতু, শব্দ, উপসর্গ, প্রত্যয় ইত্যাদি। তাহলে কোন সাধিত শব্দগুলিকে আমরা জোড় বাঁধা সাধিত শব্দ বলবো? যখন একাধিক শব্দ একসাথে জোড় বেঁধে নতুন শব্দ গঠন করবে, তখন তাকে বলা হবে জোড় বাঁধা সাধিত শব্দ। এখানে মনে রাখতে হবে উপসর্গ, ধাতু, প্রত্যয় প্রভৃতি উপাদান থাকলে তাকে জোড় বাঁধা সাধিত শব্দ বলা যাবে না। জোড় বাঁধা সাধিত শব্দের মধ্যে শুধুমাত্র একাধিক শব্দ থাকবে। যেমন: হিম+আলয় = হিমালয় (অথবা, হিমের আলয় = হিমালয়), এটি একটি জোড় বাঁধা সাধিত শব্দ। কিন্তু 'উপকার' শব্দটি জোড় বাঁধা সাধিত শব্দ নয়, এটি প্রত্যয়-নিষ্পন্ন সাধিত শব্দ। (এটিকে বলা যায় শব্দাংশ জুড়ে সাধিত শব্দের উদাহরণ । এ রকম শব্দাংশ জুড়ে সাধিত শব্দের উদাহরণ নিচে আর‌ও ক

অনুকার অব্যয় কাকে বলে | ধ্বন্যাত্মক শব্দ ও অনুকার শব্দের পার্থক্য

অনুকার শব্দ অনেকেই ধ্বন্যাত্মক শব্দ ও অনুকার শব্দকে এক করে ফেলেন। ধ্বন্যাত্মক শব্দ ও অনুকার শব্দ আলাদা জিনিস। আসুন আমরা ভালো ভাবে জেনে নিই অনুকার শব্দ কী এবং ধ্বন্যাত্মক শব্দের সঙ্গে অনুকার শব্দের পার্থক্য কী।  অনুকার শব্দ কাকে বলে একটি শব্দের সাথে ধ্বনিগত মিল রেখে(অর্থাৎ ধ্বনিগত অনুকরণে) যে সব অর্থহীন শব্দ তৈরি করা হয়, তাদের অনুকার শব্দ বলে।  যেমন : 'জল-টল' শব্দের 'টল' অংশটি অনুকার শব্দ। মনে রাখতে হবে 'জল-টল' পুরোটা অনুকার শব্দের উদাহরণ নয়। এ রকম আরও অনুকার শব্দের উদাহরণ হলো: খাবার-দাবার (দাবার), কাপড়-চোপড় (চোপড়), ব‌ই-ট‌ই (ট‌ই), চা-টা (টা)। অনুকার শব্দগুলি যে শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়, সাধারণত সেই মূল শব্দটির অর্থকেই অনুসরণ করে, এদের নিজস্ব আলাদা অর্থ নেই। 'ব‌ই-ট‌ই' কথাটির মধ্যে অনুকার শব্দ 'ট‌ই'-এর আলাদা অর্থ নেই, ট‌ই মানে ব‌ইয়ের মতোই অন্য কিছু। আচার্য সুকুমার সেনের মতে ফ্ ধ্বনিকে গোড়ায় রেখে যে সব অনুকার শব্দ তৈরি হয়, সেগুলির দ্বারা তাচ্ছিল্যের ভাব প্রকাশ পায়। যেমন: 'ব‌ই-ফ‌ই' বললে ব‌ইকে তাচ্ছিল্য করা হয়।অনুকার শব্দকে অব্যয় বলা

অক্ষুন্ন কর্ম কাকে বলে

ছবি
অক্ষুণ্ন কর্মের সংজ্ঞা আমরা জানি যে, কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্যে রূপান্তরিত করলে বাক্যের কর্মটি কর্তার জায়গা দখল করে। কিন্তু দ্বিকর্মক ক্রিয়ার ক্ষেত্রে বাচ্য পরিবর্তন করলে একটি কর্ম কর্তার স্থানে গেলেও অপর কর্মটি কর্মের জায়গাতেই থেকে যায়। এই ভাবে যে কর্মটি বাচ্য পরিবর্তনের পরেও কর্মের জায়গাতেই থাকে, তথা কর্ম হিসেবে নিজের পরিচয় অক্ষুন্ন রাখে, তাকে বলে অক্ষুন্ন কর্ম। অক্ষুন্ন কর্মের উদাহরণ একটি দ্বিকর্মক ক্রিয়ার বাক্য নিয়ে আমরা অক্ষুন্ন কর্মের উদাহরণটি বুঝে নেবো। "আমাদের কমিটি কবিকে মানপত্রটি প্রদান করল।" এই বাক্যের দুটি কর্ম আছে। গৌণ কর্ম কবি ও মুখ্য কর্ম মানপত্র। ‌এই বাক্যের কর্মবাচ্য হবে ১: কবি আমাদের কমিটি কর্তৃক মানপত্র প্রদত্ত হলেন। -- এখানে 'কবি' কর্মটি কর্তার স্থানে গেলেও মানপত্র কর্মটি কর্মের ভূমিকাতেই আছে। তাই মানপত্র এখানে অক্ষুন্ন কর্ম। বাচ্য পরিবর্তন অন্য ভাবেও করা যায় ২: মানপত্রটি আমাদের কমিটি কর্তৃক কবিকে প্রদত্ত হল। -- এখানে মানপত্র কর্তাল স্থানে গেছে, কবি অক্ষুন্ন আছে। বিস্তারিত আলোচনা পড়ুন কারক   পড়ে দেখুন: বাংলা ব্যাকরণের সেরা ব‌ই

যথার্থ বিভক্তি কাকে বলে

যথার্থ বিভক্তির ধারণা সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দবিভক্তিগুলিকে দু ভাগে ভাগ করেছেন: যথার্থ বিভক্তি ও বিভক্তি রূপে ব্যবহৃত স্বাধীন পদ।  যথার্থ বিভক্তি কাকে বলে? যে বিভক্তিগুলি পদের অংশ রূপে যুক্ত হয় এবং পদের বাইরে যাদের স্বতন্ত্র কোনও অর্থ নেই, স্বতন্ত্র কোনও ব্যবহার নেই, তাদের বলে যথার্থ বিভক্তি। যথার্থ বিভক্তির উদাহরণ সাধারণত বিভক্তি বলতে যা বোঝায়, সেগুলিই যথার্থ বিভক্তি। অর্থাৎ কে, রে, র, এ, তে প্রভৃতি বিভক্তিগুলি হল যথার্থ বিভক্তি। তাহলে প্রশ্ন হতে পারে অ-যথার্থ বিভক্তি তবে কোনগুলি? আসলে বাংলা ভাষায় অনুসর্গগুলি অনেক ক্ষেত্রে বিভক্তির কাজ করে। যথার্থ বিভক্তির বিপরীতে আছে এই অনুসর্গগুলি। এরা বিভক্তির কাজ করলেও যথার্থ বিভক্তি নয়। আরও পড়ুন সূচিপত্র

বাক্য পরিবর্তনের নিয়ম

বাক্য পরিবর্তনের মূল নীতি বাক্য পরিবর্তনের কয়েকটি মূল নীতির কথা বলে আজকের আলোচনা শুরু করবো। ১: বাক্য পরিবর্তন করার ফলে বাক্যের বক্তব্য যেন বদলে না যায়। মূল বাক্যে বক্তা যা বলতে চাইছে, বাক্য পরিবর্তনের পর সেই ভাবটিই বোঝাবে। ২: বাক্যের ক্রিয়ার কালটি বদলানো চলবে না। মূল বাক্যের ক্রিয়ার কাল পরিবর্তিত বাক্যে অক্ষুণ্ন থাকবে। ৩: বাক্যের সূক্ষ্ম ব্যঞ্জনা বাক্য পরিবর্তনের ফলে ক্ষুণ্ন হতেও পারে। তবে যতটা সম্ভব ব্যঞ্জনা অক্ষুণ্ন রাখার চেষ্টা করা উচিত। ৪: বাক্য পরিবর্তনের ফলে ক্রিয়ার ভাব বদলে যেতে পারে। ৫: নির্দেশক বাক্যে দাঁড়ি চিহ্ন, প্রশ্নসূচক বাক্যে জিজ্ঞাসা চিহ্ন, আবেগসূচক বাক্যে আবেগচিহ্ন অপরিহার্য।  ৬: বাক্য পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন বোধে যে কোনো নতুন শব্দ নিয়ে আসা যাবে, শুধু খেয়াল রাখতে হবে বাক্যের মূল ভাব যেন বদলে না যায়। বাক্য পরিবর্তনের নিয়ম "আমি যাঁকে চিনি, তিনি একজন ডাক্তার।" এটি একটি জটিল বাক্য। একে সরল বাক্যে পরিণত করতে বলা হলে দু ভাবে করা যাবে। একটি নির্ভুল, কিন্তু অপরটি ব্যাকরণগত ভাবে শুদ্ধ নয়। ১: আমি একজন ডাক্তারকে চিনি। ২: আমার চেনা লোকটি একজন ডাক্তার।

শব্দের অর্থ পরিবর্তন | শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা

শব্দার্থ পরিবর্তন কাকে বলে ও কয় প্রকার       কোনো শব্দ ভাষায় বহুদিন ব্যবহৃত হলে একদিকে যেমন ভাষায় জীর্ণতা আসে অন্যদিকে তেমনি মানসিক কারণ বা বহিঃপ্রভাবের ফলে অর্থে অনাবশ্যক বস্তুর সঞ্চয় জমে তাকে পৃথুলতাও দান করে। অর্থাৎ ভাষায় অনেক শব্দই চিরকাল একই অর্থে ব্যবহৃত হয় না , অর্থের পরিবর্তন হয়ে যায়। এইভাবে, ভাষায় ব্যবহৃত শব্দের আদি অর্থ কালক্রমে নানা ভাবে বিবর্তিত হয়ে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থে উপনীত হবার প্রক্রিয়াকে বলে শব্দার্থ পরিবর্তন।  শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা কটি, এ সম্পর্কে নানা মত থাকলেও একে মোটামুটি পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। যথা - ১) অর্থপ্রসার বা অর্থ বিস্তার ২) অর্থসংকোচন ৩) অর্থসংশ্লেষ বা অর্থসংক্রম ৪) অর্থের উৎকর্ষ বা অর্থোন্নতি ৫) অর্থের অপকর্ষ বা অর্থাবনতি। শব্দার্থ পরিবর্তনের বিভিন্ন ধারা ১. অর্থবিস্তার বা অর্থপ্রসার  যদি কোনো শব্দ প্রথমে কোনো সংকীর্ণ ভাব বা সীমাবদ্ধ বস্তু কে বোঝায় এবং কিছুকাল পরে ব্যাপক ভাব বা অধিকতর বস্তুকে বোঝায় তবে সেই প্রক্রিয়াকে অর্থবিস্তার বা অর্থপ্রসার বলে।  অর্থ বিস্তারের উদাহরণ শব্দ  -  মূল অর্থ  - পরিবর্তিত অর্থ ১. বর্ষ - বর্ষাকা

শ ষ স হ কে উষ্ম ধ্বনি বলে কেন?

উষ্ম কথার অর্থ কী? শ ষ স ও হ-কে উষ্ম ধ্বনি কেন বলে তা জানতে হলে আমাদের জানতে হবে 'উষ্ম' কথার অর্থ কী? উষ্ম কথার একাধিক অর্থ আছে, তার মধ্যে একটি হল উত্তপ্ত। বহির্গামী শ্বাসবায়ু উত্তপ্ত হয় বলে তাকে 'উষ্ম শ্বাস' বা শুধু 'উষ্ম' বলে। উষ্ম ব্যঞ্জনকে উচ্চারণ করার সময় শ্বাসবায়ুকে পূর্ণ বাধা না দিয়ে আংশিক বাধা দেওয়া হয়, ফলে শ্বাসবায়ু আংশিক বাধা অতিক্রম করে যতক্ষণ প্রবাহিত হয়, উষ্ম ব্যঞ্জনগুলিকে ততক্ষণ ধরেই উচ্চারণ করা যায়। বহির্গামী শ্বাসবায়ু যতক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে, ততক্ষণ ধরে উচ্চারণ করা যায় বলে এই ব্যঞ্জনগুলিকে উষ্ম ব্যঞ্জন বা শ্বাস ব্যঞ্জন বলা হয়। 

মাতৃভাষা কাকে বলে? | What is mother tongue in Bengali

মাতৃভাষার সংজ্ঞা 'মাতৃভাষা' কথার আক্ষরিক অর্থ হল মায়ের ভাষা। কিন্তু ভাষাবিজ্ঞান অনুসারে মাতৃভাষার সংজ্ঞায় আক্ষরিক অর্থে 'মায়ের মুখের ভাষা'-কেই মাতৃভাষা বলে না। প্রতিটি মানুষ জন্মের পর তার ভাষা শেখে নিজের পরিবেশ থেকে। জন্মের পর থেকে একজন মানুষ তার পরিবেশ থেকে প্রথম যে ভাষাটি শেখে এবং যে ভাষায় সে সর্বাধিক স্বচ্ছন্দ বোধ করে, সেটিই ওই ব্যক্তির মাতৃভাষা। অনেক সময় এমন দেখা যায় যে একজন শিশু প্রথম শৈশবে একটি বিশেষ ভাষা শেখার পর বিদ্যালয় শিক্ষার শুরুতে অন্য ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করে। এমন ক্ষেত্রে ঐ শিশু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যে ভাষায় সবচেয়ে বেশি সময় কথা বলবে, সেই ভাষাটি হবে ঐ শিশুর মাতৃভাষা। মাতৃভাষা শিক্ষার গুরুত্ব মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের সমান। শিশুর দৈহিক বিকাশে মাতৃদুগ্ধ যেমন তুলনাহীন, শিশুর মানসিক বিকাশে মাতৃভাষার ভূমিকাও তেমনি তুলনাহীন।  ১: মাতৃভাষা শিশুর কল্পনাশক্তি ও চিন্তাশক্তির বিকাশে সহায়তা করে। ২: মনের ভাব সবচেয়ে সহজে প্রকাশ করা যায় মাতৃভাষার মাধ্যমে। ৩: মাতৃভাষার মাধ্যমে দুর্বোধ্য বিষয়কে সহজে বুঝতে পারা সম্ভব হয়। ৪: মাতৃভাষার মাধ্যমে নিজের সং

ভাষা কাকে বলে? | পশুদের ভাষা ভাষা নয় কেন?

মনুষ্যেতর প্রাণীর ভাষা ও মানুষের ভাষার পার্থক্য অন্যান্য প্রাণীও মানুষের মতো আওয়াজ করে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে, এমন একটা কথা মাঝে মাঝেই শোনা যায়। তাহলে তাদের আওয়াজকে ধ্বনি বলা হবে না কেন, অথবা তাদের তাদের ভাব প্রকাশের ব্যবস্থাকে ভাষা বলা হবে না কেন? আজকের আলোচনায় ভাষাবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই প্রশ্নের উত্তর দেবো।  ভাষা কাকে বলে? বিভিন্ন ভাষাবিদ্ ভাষার সংজ্ঞা বিভিন্ন ভাবে দিয়েছেন। তাঁদের সকলের মতামতের নির্যাসটুকু নিয়ে ভাষার যে সংজ্ঞাটি দাঁড় করানো যায়, সেটি হলো: মূলত বাগ্‌ধ্বনি দ্বারা গঠিত যে শৃঙ্খলিত ব্যবস্থার দ্বারা অন্তত একটি  জনগোষ্ঠীর মানুষ নিজেদের মধ্যে মনের ভাব বিনিময় করেন তাকে ভাষা বলে। তার মানে ভাষার সংজ্ঞায় আমরা এখানে তিনটে ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছি: ১: বাগ্‌ধ্বনির ব্যবহার, ২: শৃঙ্খলিত ব্যবস্থা, অর্থাৎ একটা ব্যাকরণের উপস্থিতি, ৩: ছোটোবড়ো অন্তত একটি জনগোষ্ঠীর ব্যবহারে লাগা। কোনো ভাষা একাধিক গোষ্ঠী ব্যবহার করে, আবার কোনো ভাষা মাত্র কয়েকশো লোকেই ব্যবহার করে। কিন্তু ভাষা হয়ে ওঠার জন্য এই শর্তগুলির বাইরেও আর‌ও কয়েকটি ভাষাবিজ্ঞানসম্মত শর্ত আছে। সেগুলি কী?

SLST Bengali Preparation Guide | SLST বাংলা প্রস্তুতি গাইড

ছবি
SLST বাংলা বিষয়ের Online Class আপনি কি SLST বাংলা বিষয়ের এবং পরবর্তী প্রাইমারি টেট পরীক্ষার প্রস্তুতি এখন থেকে নিচ্ছেন, নাকি কখন নোটিফিকেশন হবে তার অপেক্ষায় বসে আছেন? নোটিফিকেশন হবার পর আর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় থাকবে না। যারা এখন থেকে নিয়মিত কোচিং ক্লাস করছে, তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে এখন থেকেই তৈরি হতে হবে। তাই আজ থেকেই শুরু করুন প্রস্তুতি। পশ্চিমবঙ্গের ২০টি জেলার ১৫০০ জনের বেশি পরীক্ষার্থী 'অনন্য বাংলা অনলাইন' ক্লাসে যুক্ত হয়েছে এবং সাফল্যের সঙ্গে প্রস্তুতি নিয়ে চলেছে।  আপনি যুক্ত হবার আগে বিস্তারিত জানতে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করুন 8918858578 নাম্বারে।  ডেমো ক্লাস করার জন্য উপরের নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপ করুন। প্রশ্নের নতুন প্যাটার্ন নতুন নিয়মে প্রশ্ন হবে আগের মতোই এম সি কিউ পদ্ধতিতে। সাইটে আনসার কি আপলোড করা হবে। ক্যান্ডিডেটকে ও এম আর -এর ডুপ্লিকেট কপি দেওয়া হবে। এম সি কিউ পদ্ধতিতে ভালো ফল করার জন্য অনেক অনুশীলন করা দরকার। অনুশীলন‌ই এম সি কিউ পদ্ধতির আসল প্রস্তুতি।  আমাদের পড়ানোর বৈশিষ্ট্য  ১: আমরা ব্যাকরণ ধরে ধরে শেখাই। এম সি কিউ পদ্ধতিতে ব্যাকরণের ধ

হলন্ত শব্দ কাকে বলে

হলন্ত বা হসন্ত শব্দের সংজ্ঞা 'হলন্ত' কথার অর্থ হল 'যার শেষে হল্' আছে (হল্ + অন্ত, সমাস: হল্ অন্তে যার)। হল্ বলতে কী বোঝায়? হল্ বলতে বোঝায় এমন ব্যঞ্জন, যার শেষে কোনো স্বর নেই। সাধারণ ভাবে বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনের শেষে কোনো চিহ্ন না থাকলে ধরে নেওয়া হয় অ আছে। যেখানে শব্দের শেষে কোনো স্বর থাকে না, সেখানে ঐ শেষ ব্যঞ্জনটির তলায় একটি হস্ চিহ্ন দেওয়া হয়। যেমন: 'বাক্' , 'দৃক্'  প্রভৃতি শব্দে দেওয়া হয়। এই শব্দগুলিকে হলন্ত শব্দ বা হসন্ত শব্দ বলে। বাংলা ভাষায় বহু শব্দ প্রকৃতপক্ষে হলন্ত না হলেও হলন্ত হিসেবে উচ্চারিত হয়। এর কারণ হল বাংলা ভাষায় শব্দের শেষে অবস্থিত অ স্বরধ্বনি লুপ্ত হ‌ওয়ার প্রবণতা। যেমন: রাম, কাজ, গাছ, ঘাট, সম্মান, আকাশ, এই শব্দগুলির শেষে হস্ চিহ্ন নেই, কারণ বর্ণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে এদের শেষে একটি অ স্বর আছে। কিন্তু উচ্চারণে এরা হলন্ত। শেষে অবস্থিত অ উচ্চারণে লোপ পায়। হলন্ত-এর বিপরীত শব্দ স্বরান্ত। হলন্ত শব্দ ও হলন্ত উচ্চারণ হলন্ত শব্দ ও হলন্ত উচ্চারণ এক কথা নয়। হলন্ত শব্দ বলতে বোঝায় সেই শব্দ, যা ব্যঞ্জনধ্বনি দিয়ে শেষ হয়। হলন্ত শব্

সাধিত শব্দ কাকে বলে

সাধিত শব্দ কাকে বলে ও সাধিত শব্দ কত প্রকার আলোচক: অনন্য পাঠক 'সাধিত' কথার আক্ষরিক অর্থ হল যাকে সাধন করা হয়েছে বা গঠন করা হয়েছে। এই আক্ষরিক অর্থ থেকেই বোঝা যায় যে সাধিত শব্দগুলি এমন শব্দ, যাদের তৈরি করা হয়েছে। সাধিত শব্দকে বিভিন্ন ভাবে তৈরি করা যায়। যেমন:  ১: উপসর্গ, ধাতু ও প্রত্যয়ের যোগে। ২: ধাতু ও প্রত্যয়ের যোগে। ৩: উপসর্গ ও শব্দের যোগে। ৪: শব্দ ও শব্দের যোগে। ৫: শব্দ ও প্রত্যয়ের যোগে। সাধিত শব্দ কাকে বলে, এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলবো: যে শব্দকে ভাঙলে একাধিক অর্থপূর্ণ অংশ পাওয়া যায়, তাদের সাধিত শব্দ বলে। অন্য ভাবে বলা যায়: যে শব্দগুলি একাধিক অর্থপূর্ণ অংশের যোগে গঠিত হয়েছে, তাদের সাধিত ধাতু বলে। যদিও দুটি সংজ্ঞাই ঠিক, তবুও নিচে কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানাবেন কোন সংজ্ঞাটি আপনার মতে একটু বেশি ভালো, প্রথমটি না দ্বিতীয়টি।  সাধিত শব্দের উদাহরণ উপকার = উপ + √কৃ + অ (উপসর্গ+ধাতু+প্রত্যয়) হিমালয় = হিম + আলয় (শব্দ+শব্দ) রামায়ণ = রাম + অয়ন (শব্দ+প্রত্যয়) চলন্ত = √চল্ + অন্ত (ধাতু + প্রত্যয়) উপবন = উপ + বন (উপসর্গ+শব্দ) সাধিত শব্দ কত প্রকার সাধিত শব্দকে অর্থে