পোস্টগুলি

কর্মধারয় সমাস | কর্মধারয় সমাসের বিস্তারিত আলোচনা | Karmadharoy somas

ছবি
কর্মধারয় সমাস: কাকে বলে, বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ কর্মধারয় সমাস সম্পর্কে বহু ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আমাদের এই আলোচনার উদ্দেশ্য হল কর্মধারয় সমাসের ধারণাটি স্পষ্ট করা ও কর্মধারয় সমাসের প্রতিটি ভাগ নির্ভুল ভাবে বুঝে নেওয়া। পরপদ-প্রধান সমাসগুলির মধ্যে কর্মধারয় অন্যতম। তবে মনে রাখতে হবে, কর্মধারয় সমাসকে অনেকেই আলাদা সমাস বলতে রাজি নন। তাঁরা একে তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্ভুক্ত করতে চান। আমরা অবশ্য এই সমাসের আলোচনা করবো একটি স্বতন্ত্র সমাস হিসেবেই। বিষয়টি ভালো করে বোঝার জন্য ধীরে ধীরে, সময় নিয়ে পড়ুন। একবার বুঝে নিলে আর কখনও ভুল হবে না। কোন‌ও অসুবিধা হলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান।  নিচের ভিডিওটি দেখে নিলে কর্মধারয় সমাস বুঝতে সুবিধা হবে। কর্মধারয় সমাস কাকে বলে যে সমাসে পরপদের অর্থ-প্রাধান্য থাকবে এবং পূর্বপদটি পরপদের বিশেষণের মত কাজ করবে, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।  যেমন: নীল যে কমল = নীলকমল, এখানে পূর্বপদ নীল হচ্ছে পরপদ কমলের বিশেষণ এবং 'নীলকমল' শব্দে কমলের‌ই অর্থপ্রাধান্য। কারণ নীলকমল বলতে এক প্রকার কমলকেই বোঝায়। মনে রাখতে হবে: (১) পরপদের প্রাধান্য এবং (২) পূর্বপদট

সমাস: সাধারণ ধারণা, দ্বন্দ্ব ও তৎপুরুষ | Somas

সমাসের সংজ্ঞা ও ধারণা 'সমাস' কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল সংক্ষেপ বা সংক্ষেপকরণ। আমরা কথা বলার সময় ভাষাকে সংক্ষিপ্ত ও সুন্দর করার উদ্দেশ্যে অর্থসম্পর্কযুক্ত একাধিক পদকে একসঙ্গে জুড়ে দিয়েছি। এর ফলে একদিকে ভাষার সংক্ষেপ যেমন হয়, তেমনি শব্দভাণ্ডারে নতুন শব্দের সমাগম ঘটে। ভাষা সমৃদ্ধ হয়। এই জুড়ে দেওয়ার কাজটিই সমাস নামে পরিচিত। এখানে অর্থসম্পর্ক বলতে কী বোঝায় তা স্পষ্ট করা দরকার। যদি আমি 'ফুটবল' ও 'মাঠ' এই দুটি পদের কথা বলি তাহলে সবার মনেই ফুটে উঠবে একটি খেলা ও একটি মাঠের ছবি। এই বিশেষ খেলাটি মাঠেই হয়। এবার আমি যদি পদদুটিকে জুড়ে দিই, বলি 'ফুটবল-মাঠ' তাহলে বোঝা যাবে, আমি বলছি "ফুটবল খেলার মাঠ"। ফুটবল খেলা মাঠে হয় বলেই এদের মধ্যে একটা যোগ আছে অথবা বলতে পারি, পদ দুটির অর্থের মধ্যে যোগ আছে। কিন্তু অন্য পদ নিলে কী হবে? ধরা যাক আমি এবার 'রাস্তা' পদটি নিলাম। 'ফুটবল' ও 'রাস্তা'। এই পদদুটির মধ্যে এরূপ কোনো যোগ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক‌ই ভাবে 'আকাশ' ও 'মাটি' পদদুটির মধ্যেও সম্পর্ক নেই। তবে মনে রাখতে হবে,

পদ পরিবর্তন | ২৫০+ নির্ভুল পদান্তর

পদ পরিবর্তন | Pad paribartan   সরাসরি পদান্তরের তালিকা দেখুন   শব্দ ও পদ অধ‍্যায়ে আমরা জেনেছি পদ কী । আমরা জানি, বাক‍্যে ব‍্যবহৃত শব্দ বা ধাতুকে পদ বলে। কিন্তু প্রথাগত ভাবে আমরা একটিমাত্র শব্দের‌ই পদ পরিবর্তন করে এসেছি ছোটোবেলা থেকে। আমরা কি তবে ভুল করেছি? না, আমরা ভুল করিনি।  এমনিতে ব্যাকরণের নিয়মে বাক‍্যের মধ‍্যে ব‍্যবহৃত না হ‌ওয়া পর্যন্ত কোনো শব্দের পদ-পরিচয় স্পষ্ট হয় না। অর্থাৎ সেটি  বিশেষ‍্য হবে না বিশেষণ হবে, তা নিশ্চিত জানা যায় না। কিন্তু তা না গেলেও প্রতিটি শব্দের‌ই একটা মোটামুটি পদপরিচয় আছে। যেমন: জল, মাটি, মানুষ, মন, সুখ, জন্ম, বায়ু প্রভৃতি পদগুলি সাধারণত বিশেষ‍্য রূপেই কাজ করে এবং জলীয়, মেটে, মানুষিক, মানসিক, সুখী প্রভৃতি পদগুলি বিশেষণ রূপে ব্যবহৃত হয়।তাই আমরা সাধারণ ভাবে যে পদান্তর করি, তা সমধিক পরিচিত অর্থের ভিত্তিতে করি। পদ পরিবর্তন বলতে বিশেষ্য শব্দের বিশেষণ রূপ এবং বিশেষণ শব্দের বিশেষ্য রূপ গড়ে তোলা বোঝায়। পদান্তর ও বর্গান্তরের পার্থক্য   প্রসঙ্গত একটি কথা বলে রাখি: একটি বিশেষ্য পদ যখন বিশেষণ রূপে বা বিশেষণ পদ বিশেষ্য রূপে ব্যবহৃত হয়, তখন তাকে বর্গান্তর

ব‍্যঞ্জন সন্ধি : ব‍্যঞ্জন সন্ধির উদাহরণ সূত্র ও ব‍্য্যতিক্রম | Byanjan sandhi in Bengali

ব‍্যঞ্জন‌সন্ধির সংজ্ঞা, ধারণা ও সূত্র ব‍্যঞ্জনসন্ধি কাকে বলে? স্বরে ব‍্যঞ্জনে, ব‍্যঞ্জনে স্বরে ও ব‍্যঞ্জনে ব‍্যঞ্জনে যে সন্ধি হয় তাকে ব‍্যঞ্জন‌সন্ধি বলে। ব‍্যঞ্জন সন্ধির সূত্র‌গুলি আলোচনা করার সময় আমরা দেখতে পাবো, সন্ধির সময় আসলে ধ্বনিপরিবর্তন ঘটে।  সূত্র ১: স্বর + ছ্ = ছ্>চ্ছ্ স্বরধ্বনির সাথে ছ্ যুক্ত হলে ছ্ থেকে চ্ছ্ হয় অর্থাৎ, একটি চ্-এর আগম ঘটে। যেমন:  তরু+ছায়া = তরুচ্ছায়া(উ+ছ্) পরি+ছেদ = পরিচ্ছেদ(ই+ছ্) উপ+ছায়া = উপচ্ছায়া(অ+ছ্) পূর্ণ+ছেদ = পূর্ণচ্ছেদ নদী+ছবি = নদীচ্ছবি প্র+ছায়া = প্রচ্ছায়া আ+ছাদন = আচ্ছাদন মতি+ছন্ন = মতিচ্ছন্ন মুখ+ছবি = মুখচ্ছবি রবি+ছবি = রবিচ্ছবি আলোক+ছটা = আলোকচ্ছটা সূত্র ২: ত্/দ্ + চ্/ছ্ = ত্/দ্ > চ্ ত্ বা দ্-এর সাথে চ্ বা ছ্ যুক্ত হলে ত্ বা দ্ চ্-এ রূপান্তরিত হয়। এখানে আসলে সমীভবন হয়। যেমন:  উৎ+চারণ = উচ্চারণ বিপদ্+চিন্তা = বিপচ্চিন্তা উৎ+ছেদ = উচ্ছেদ সূত্র ৩: ত্/দ্ + জ্/ঝ্ = ত্/দ্ > জ্ ত্ বা দ্-এর সাথে জ্ বা ঝ্ যুক্ত হলে ত্ বা দ্ পরিবর্তিত হয়ে জ্ হয়। এটিও সমীভবন। যেমন: বিপদ্+

সন্ধি এবং স্বরসন্ধির সূত্র, উদাহরণ ও ব‍্যতিক্রম

সন্ধির ধারণা ও স্বরসন্ধি কাকে বলে সন্ধির সংজ্ঞা ও ধারণা ' সন্ধি' কথাটির সাধারণ অর্থ হ'ল, মিলন, জোড়, গাঁট বা Joint. ব‍্যাকরণেও সন্ধি বলতে যা বোঝানো হয়, তার সাথে সন্ধি শব্দের সাধারণ অর্থের মিল আছে। আমরা যে সব ধ্বনি উচ্চারণ করি, সেগুলি সাধারণত একা একা উচ্চারিত হয় না। বেশিরভাগ সময় একাধিক ধ্বনি পর পর উচ্চারণ করতে হয়। তবেই আমরা মনের একটি ভাব প্রকাশ করতে পারি। যেমন, "শরৎ চলে এসেছে" কথাটা বলার জন‍্য আমাদের শ্,অ,র্,অ,ৎ,  চ্,অ,ল্,এ, এ,স্,এ,ছ্,এ- এতগুলো ধ্বনি পর পর উচ্চারণ করতে হয়। মজার ব‍্যাপার হলো, এখানে আমরা জানি যে, আমরা ৩টে আলাদা আলাদা পদ উচ্চারণ করছি। কিন্তু আমাদের বাগ্-যন্ত্র অতশত বোঝে না। বাগ্-যন্ত্র তার নিজের নিয়মে শুধু পর পর ধ্বনিগুলি উচ্চারণ করার কাজটি করতে থাকে। তার কাছে পুরো ব্যাপারটা একটা যান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এইরকম যান্ত্রিক ভাবে উচ্চারণ করার সময় পাশাপাশি দুটি শব্দ উচ্চারণ করতে গিয়ে বাগ্-যন্ত্র অনেক সময় একটি শব্দের শেষ ধ্বনির সাথে পরের শব্দের প্রথম ধ্বনিটিকে জুড়ে ফেলে। যেমন : "শরৎ চলে এসেছে" বলতে গিয়ে বাগ্-যন্ত্র বলে ফেলে, "শরচ্চলেএসেছে"

বর্ণ বিশ্লেষণ করার নিয়ম | Barna bislesan Bengali

      বর্ণবিশ্লেষণ কাকে বলে? আমরা কথা বলার সময় পর পর অনেকগুলি ধ্বনি সাজিয়ে এক একটি শব্দ গঠন করি এবং সেই শব্দগুলি পদরূপে বাক‍্য গঠন করে। বর্ণবিশ্লেষণ করা বলতে বোঝায় একটি শব্দের মধ‍্যে কোন কোন ধ্বনি আছে, তা পর পর ভেঙে আলাদা করে দেখানো। যেমন : 'কালো' শব্দটি ভাঙলে আমরা পরপর ৪টি ধ্বনি পাবো-- ক্,আ,ল্,ও। এই ধ্বনিগুলোকে আলাদা করে ভেঙে দেখানোকেই বর্ণবিশ্লেষণ বলে। বর্ণবিশ্লেষণ করার সময় শব্দের ধ্বনিগুলিকে বানান অনুসারে পর পর যুক্ত (+) চিহ্ন দিয়ে লিখতে হয়। যেমন, কালো=ক্+আ+ল্+ও।    আমাদের  SLST Bengali &TET Preparation Guide  সম্পর্কে জানুন বর্ণবিশ্লেষণের নিয়ম ১: বর্ণবিশ্লেষণ সব সময় বানান অনুযায়ী করতে হয়। যেমন : 'কালো' শব্দের পরিবর্তে 'কাল' লিখলেও চলে। উচ্চারণ এক‌ই থাকবে। কিন্তু বর্ণবিশ্লেষণ বদলে যাবে। শেষে 'ও' না হয়ে 'অ' হবে। ২: বর্ণবিশ্লেষণে ৎ এবং আশ্রয়স্থানভাগী ব‍্যঞ্জন ছাড়া অন‍্য সব ব‍্যঞ্জনের তলায় হস্ চিহ্ন (হসন্ত) দেওয়া অপরিহার্য। এটি না দেওয়া একটি মারাত্মক ভুল।  ৩: শেষ ব‍্যঞ্জনে আ-কার, ই-কার ইত্যাদি কোনো চিহ্ন দেওয়