পোস্টগুলি

বর্ণ বিশ্লেষণ করার নিয়ম | Barna bislesan Bengali

      বর্ণবিশ্লেষণ কাকে বলে? আমরা কথা বলার সময় পর পর অনেকগুলি ধ্বনি সাজিয়ে এক একটি শব্দ গঠন করি এবং সেই শব্দগুলি পদরূপে বাক‍্য গঠন করে। বর্ণবিশ্লেষণ করা বলতে বোঝায় একটি শব্দের মধ‍্যে কোন কোন ধ্বনি আছে, তা পর পর ভেঙে আলাদা করে দেখানো। যেমন : 'কালো' শব্দটি ভাঙলে আমরা পরপর ৪টি ধ্বনি পাবো-- ক্,আ,ল্,ও। এই ধ্বনিগুলোকে আলাদা করে ভেঙে দেখানোকেই বর্ণবিশ্লেষণ বলে। বর্ণবিশ্লেষণ করার সময় শব্দের ধ্বনিগুলিকে বানান অনুসারে পর পর যুক্ত (+) চিহ্ন দিয়ে লিখতে হয়। যেমন, কালো=ক্+আ+ল্+ও।    আমাদের  SLST Bengali &TET Preparation Guide  সম্পর্কে জানুন বর্ণবিশ্লেষণের নিয়ম ১: বর্ণবিশ্লেষণ সব সময় বানান অনুযায়ী করতে হয়। যেমন : 'কালো' শব্দের পরিবর্তে 'কাল' লিখলেও চলে। উচ্চারণ এক‌ই থাকবে। কিন্তু বর্ণবিশ্লেষণ বদলে যাবে। শেষে 'ও' না হয়ে 'অ' হবে। ২: বর্ণবিশ্লেষণে ৎ এবং আশ্রয়স্থানভাগী ব‍্যঞ্জন ছাড়া অন‍্য সব ব‍্যঞ্জনের তলায় হস্ চিহ্ন (হসন্ত) দেওয়া অপরিহার্য। এটি না দেওয়া একটি মারাত্মক ভুল।  ৩: শেষ ব‍্যঞ্জনে আ-কার, ই-কার ইত্যাদি কোনো চিহ্ন দেওয়...

অব‍্যয় পদ কাকে বলে ও শ্রেণিবিভাগ | অব্যয় পদ

ছবি
এই পোস্টে যা আছে অব্যয় পদের সংজ্ঞা ও ধারণা অনন্বয়ী অব্যয় ও তার শ্রেণিবিভাগ পদান্বয়ী অব্যয় ও তার শ্রেণিবিভাগ সমুচ্চয়ী অব্যয় ও তার শ্রেণিবিভাগ ধ্বন্যাত্মক অব্যয় ধ্বন্যাত্মক অব্যয় ও অনুকার শব্দের পার্থক্য SLST Bengali Preparation Guide অব‍্যয়ের সংজ্ঞা ও ধারণা সংস্কৃতে অব‍্যয় বলতে বোঝায়, যে পদের ব‍্যয় বা পরিবর্তন নেই। অর্থাৎ, ক্রিয়ার কাল , কর্তার পুরুষ, লিঙ্গ, বচন পাল্টে গেলেও যে পদের রূপ বদলাবে না, কোনো বিভক্তি‌ও গ্রহণ করবে না, তাকে অব‍্যয় বলে। কিন্তু বাাংলা ব‍্যাকরণে অব‍্যয়ের এই  সংজ্ঞাটি গ্রহণ করার অসুবিধা আছে। কারণ বা‌ংলায় অব‍্যয় রূপে যে পদগুলি গণ‍্য হয় তারা অনেকেই বিভক্তি-যোগে তৈরি হয়, আবার এমন অনেক পদ আছে, যাদের কোনো পরিবর্তন হয় না, তবু তারা অব্যয় নয়। তবু ছোটদের এই সংজ্ঞাটিই শেখানো উচিত।  অব্যয় পদ কাকে বলে অব‍্যয়ের সংজ্ঞায় ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বাক‍্যগত উক্তিকে এবং বাক‍্যস্থ পদগুলির পারস্পরিক সম্বন্ধকে স্থান, কাল, পাত্র ও প্রকার বিষয়ে পরিস্ফুট করে দেয় যে পদগুলি, তাদের অব‍্যয় বলে।  অব‍্যয়ের এই সংজ্ঞাটি থেকে আমরা বল...

ক্রিয়ার কাল চেনার উপায় | kriyar kal chenar niyom

ছবি
ক্রিয়ার কাল কাকে বলে? সহজ ভাষায় বলা যায়, ক্রিয়া সম্পাদনের সময়কে বলে ক্রিয়ার কাল।  সময় বলতে এখানে তিনটি : বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যৎ। এখন একটা কথা আসতেই পারে-- ক্রিয়ার কাল জানার প্রয়োজন কী? এর উত্তর হবে, ক্রিয়ার কালের উপর বাক‍্যের সমাপিকা ক্রিয়ার গঠন ব‍্যাপক ভাবে নির্ভর করে‌। তাই সমাপিকা ক্রিয়ার গঠন বোঝার জন্য ক্রিয়ার কাল জানতেই হবে। উল্টো দিক থেকে বলতে গেলে ক্রিয়ার কাল জানার জন্য সমাপিকা ক্রিয়ার গঠন জানতে হবে। তাই এই অধ্যায় পড়ার সাথে সাথে  ক্রিয়াপদের বিস্তারিত আলোচনা পড়ে নেওয়া ভালো। ক্রিয়ার কাল নির্ণয় করার জন্য সমাপিকা  ক্রিয়াপদকে সাধু ভাষায় রূপান্তরিত করে নিতে হবে। যেমন: করছি>করিতেছি, করেছি>করিয়াছি, করেছিলাম>করিয়াছিলাম, এইভাবে। তার পর সাধু ভাষার সমাপিকা ক্রিয়াটি দেখেই সাধারণ ভাবে ক্রিয়ার কাল নির্ণয় করা যায়। সহজে ক্রিয়ার কাল নির্ণয় শেখার জন্য নিচের ভিডিওটি অবশ্যই দেখুন। তারপর নিচের আলোচনা পড়ুন। ক্রিয়ার কাল ও ইংরেজি টেনস একসাথে শেখার জন্য নিচের ভিডিওটি দেখুন। বর্তমান কাল  বর্তমান মানে যে সময়টা এখন ...

ক্রিয়া পদ | ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ ও ধারণা

ছবি
এই অধ্যায়ে যা আছে ক্রিয়াপদের ধারণা, ক্রিয়াপদ কাকে বলে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার উদাহরণ সহ পরিচয় সকর্মক ক্রিয়া, অকর্মক ক্রিয়া, এককর্মক ক্রিয়া ও দ্বিকর্মক ক্রিয়া যৌগিক ক্রিয়া  যুক্ত ক্রিয়া নামধাতুজ ক্রিয়া প্রযোজক ক্রিয়া পঙ্গু ক্রিয়া অকর্তৃক ক্রিয়া বাংলা ক্রিয়াপদের গঠন। Advertisement ক্রিয়াপদ কাকে বলে আগের অধ‍্যায়ে ধাতুর আলোচনার পর আমাদের পক্ষে ক্রিয়াপদের আলোচনা অনেক সহজ হয়ে গেছে। আজকের আলোচনায় আমরা ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ বা প্রকারভেদ‌গুলি জেনে নেবো এবং বিভিন্ন প্রকার ক্রিয়াপদের গঠন সম্পর্কে জানব। তার আগে আসুন জেনে নিই ক্রিয়া কাকে বলে।   যে পদের দ্বারা কোনো কাজ করা বা হ‌ওয়া (আপনাআপনি হ‌ওয়া) বোঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে।  [ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ক্রিয়ার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, যে বিধেয়ের দ্বারা বাক‍্যের উদ্দেশ্য কোনো কাজ করছে বোঝায়, সেই বিধেয়কে ক্রিয়া বলে। তাঁর এই সংজ্ঞাতে অসমাপিকা ক্রিয়ার ধারণাটি বাদ গেছে, কারণ অসমাপিকা ক্রিয়া বিধেয় রূপে কাজ করে না। যাইহোক, ভাষাচার্যের মতে বাংলা বাক‍্যে ক্রিয়াপদ না থাকলেও চলে। যেমন : "ঈশ্বর প...