পোস্টগুলি

ক্রিয়ার কাল চেনার উপায় | kriyar kal chenar niyom

ছবি
ক্রিয়ার কাল কাকে বলে? সহজ ভাষায় বলা যায়, ক্রিয়া সম্পাদনের সময়কে বলে ক্রিয়ার কাল।  সময় বলতে এখানে তিনটি : বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যৎ। এখন একটা কথা আসতেই পারে-- ক্রিয়ার কাল জানার প্রয়োজন কী? এর উত্তর হবে, ক্রিয়ার কালের উপর বাক‍্যের সমাপিকা ক্রিয়ার গঠন ব‍্যাপক ভাবে নির্ভর করে‌। তাই সমাপিকা ক্রিয়ার গঠন বোঝার জন্য ক্রিয়ার কাল জানতেই হবে। উল্টো দিক থেকে বলতে গেলে ক্রিয়ার কাল জানার জন্য সমাপিকা ক্রিয়ার গঠন জানতে হবে। তাই এই অধ্যায় পড়ার সাথে সাথে  ক্রিয়াপদের বিস্তারিত আলোচনা পড়ে নেওয়া ভালো। ক্রিয়ার কাল নির্ণয় করার জন্য সমাপিকা  ক্রিয়াপদকে সাধু ভাষায় রূপান্তরিত করে নিতে হবে। যেমন: করছি>করিতেছি, করেছি>করিয়াছি, করেছিলাম>করিয়াছিলাম, এইভাবে। তার পর সাধু ভাষার সমাপিকা ক্রিয়াটি দেখেই সাধারণ ভাবে ক্রিয়ার কাল নির্ণয় করা যায়। সহজে ক্রিয়ার কাল নির্ণয় শেখার জন্য নিচের ভিডিওটি অবশ্যই দেখুন। তারপর নিচের আলোচনা পড়ুন। ক্রিয়ার কাল ও ইংরেজি টেনস একসাথে শেখার জন্য নিচের ভিডিওটি দেখুন। বর্তমান কাল  বর্তমান মানে যে সময়টা এখন চলছে। ব‍্যাকরণে বর্

ক্রিয়া পদ | ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ ও ধারণা

ছবি
এই অধ্যায়ে যা আছে ক্রিয়াপদের ধারণা, ক্রিয়াপদ কাকে বলে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার উদাহরণ সহ পরিচয় সকর্মক ক্রিয়া, অকর্মক ক্রিয়া, এককর্মক ক্রিয়া ও দ্বিকর্মক ক্রিয়া যৌগিক ক্রিয়া  যুক্ত ক্রিয়া নামধাতুজ ক্রিয়া প্রযোজক ক্রিয়া পঙ্গু ক্রিয়া অকর্তৃক ক্রিয়া বাংলা ক্রিয়াপদের গঠন। Advertisement ক্রিয়াপদ কাকে বলে আগের অধ‍্যায়ে ধাতুর আলোচনার পর আমাদের পক্ষে ক্রিয়াপদের আলোচনা অনেক সহজ হয়ে গেছে। আজকের আলোচনায় আমরা ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ বা প্রকারভেদ‌গুলি জেনে নেবো এবং বিভিন্ন প্রকার ক্রিয়াপদের গঠন সম্পর্কে জানব। তার আগে আসুন জেনে নিই ক্রিয়া কাকে বলে।   যে পদের দ্বারা কোনো কাজ করা বা হ‌ওয়া (আপনাআপনি হ‌ওয়া) বোঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে।  [ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ক্রিয়ার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, যে বিধেয়ের দ্বারা বাক‍্যের উদ্দেশ্য কোনো কাজ করছে বোঝায়, সেই বিধেয়কে ক্রিয়া বলে। তাঁর এই সংজ্ঞাতে অসমাপিকা ক্রিয়ার ধারণাটি বাদ গেছে, কারণ অসমাপিকা ক্রিয়া বিধেয় রূপে কাজ করে না। যাইহোক, ভাষাচার্যের মতে বাংলা বাক‍্যে ক্রিয়াপদ না থাকলেও চলে। যেমন : "ঈশ্বর পরম দয়ালু।

ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সংজ্ঞা, ধারণা ও প্রকারভেদ

ছবি
ধাতুর সংজ্ঞা ও শ্রেণিবিভাগ ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ নির্ধারণ করার আগে আমরা এর ধারণাটি একটু স্পষ্ট করে নেবো। আমরা জানি বাক‍্যের মধ‍্যে শব্দ ও ধাতুগুলিই রূপান্তরিত হয়ে পদ রূপে ব‍্যবহৃত হয়। শব্দ ও পদ বিষয়ে আলোচনা করার সময় আমরা এই বিষয়টি উল্লেখ করেছি। কিন্তু তখন শব্দ সম্পর্কে আলোচনা করলেও ধাতু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি নি। তখন শুধু বলেছি ধাতু হল "ক্রিয়াপদের মূল ও অপরিবর্তনশীল অংশ।" এখন আমরা ধাতুর অপরিবর্তনশীল‌তা বলতে আসলে কী বোঝায় সেটি প্রথমে বুঝে নেবো নতুবা সংজ্ঞাটি স্পষ্ট হবে না।  আমরা জানি, ধাতু থেকে ক্রিয়াপদের জন্ম হয়। উদাহরণ হিসেবে আমরা একটি কাজ নিচ্ছি-- খেলা। খেলা কাজটি ধরে কয়েকটি ক্রিয়া পদ গঠন করে দেখি:  খেলি, খেলিতেছি, খেলো, খেলেন, খেলিব, খেলে, খেলিয়াছিল, খেলিতে থাকিব, খেলিয়া, খেলিতে** ইত‍্যাদি।  ধাতু সম্পর্কে ভালো ভাবে জানর জন্য নিচের ভিডিওটি অবশ্যই দেখুন। তার পর নিচের আলোচনাটি পড়ুন। [**ধাতু ও ক্রিয়াপদ এবং ক্রিয়ার কাল আলোচনার সময় চলিত ভাষায় উদাহরণ দিতে নেই, তাতে ধারণা তৈরিতে বড় বিপত্তি হয়। কারণ চলিতে ক্রিয়ার সংক্ষ

বিশেষণ পদ - সংজ্ঞা ও শ্রেণিবিভাগ: বিস্তারিত | বিশেষণ কাকে বলে

ছবি
বিশেষণ পদ কাকে বলে? সংজ্ঞা ও ধারণা : বিশেষণ হল সেই সব পদ, যেগুলি বিশেষ‍্য ও অন‍্যান‍্য পদের পরিচিতি স্পষ্ট করে।  সহজ ভাষায় বললে, যে পদগুলি অন্য পদের (অর্থাৎ, বিশেষ‍্য , সর্বনাম , ক্রিয়া এমন কি স্বয়ং বিশেষণের) বৈশিষ্ট্য, দোষ, গুণ , অবস্থা , মাত্রা, তীব্রতা, সংখ‍্যা, ক্রম, পরিমাণ ইত‍্যাদি প্রকাশ করে তাদের বিশেষণ পদ বলে। সব পদের সব গুণ থাকে না। যার যা আছে বিশেষণ তার সেটাই প্রকাশ করে। মনে রাখা দরকার : বিশেষণের নিজের অস্তিত্ব নেই। তাই শেষ বিচারে বিশেষণ অন‍্য পদের দাস। বিশেষণ যার বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে, তার‌ই দাসত্ব করে। বিশেষণ পদের উদাহরণ : বাক‍্যে প্রযুক্ত উদাহরণ ১: রাম ভালো ছেলে। ২: তাঁর চোখে ভাঙা চশমা। ৩: ট্রেনটির গতি তীব্র । ৪: সহজ অঙ্কটা ভুল করেছ। ৫: ক্লাসের প্রথম ছাত্র অনুপস্থিত। ৬: বাজার থেকে দশ কিলো চাল আনবে। ৭: তুমি কতটা খাবার খাবে? ৮: মনোহর বাবু সৎ লোক নয়। (এ ছাড়া বিশেষণ পদের আর‌ও প্রচুর উদাহরণ দেখুন বিশেষ্য ও বিশেষণের এই তালিকা থেকে।) এখানে, ভালো, ভাঙা, তীব্র, সহজ, প্রথম এইসব চিহ্নিত পদগুলি বিশেষণ পদের উদাহরণ। এ ছাড়াও আর‌ও অনেক প্রকারের বিশেষ