পোস্টগুলি

ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সংজ্ঞা, ধারণা ও প্রকারভেদ

ছবি
ধাতুর সংজ্ঞা ও শ্রেণিবিভাগ ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ নির্ধারণ করার আগে আমরা এর ধারণাটি একটু স্পষ্ট করে নেবো। আমরা জানি বাক‍্যের মধ‍্যে শব্দ ও ধাতুগুলিই রূপান্তরিত হয়ে পদ রূপে ব‍্যবহৃত হয়। শব্দ ও পদ বিষয়ে আলোচনা করার সময় আমরা এই বিষয়টি উল্লেখ করেছি। কিন্তু তখন শব্দ সম্পর্কে আলোচনা করলেও ধাতু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি নি। তখন শুধু বলেছি ধাতু হল "ক্রিয়াপদের মূল ও অপরিবর্তনশীল অংশ।" এখন আমরা ধাতুর অপরিবর্তনশীল‌তা বলতে আসলে কী বোঝায় সেটি প্রথমে বুঝে নেবো নতুবা সংজ্ঞাটি স্পষ্ট হবে না।  আমরা জানি, ধাতু থেকে ক্রিয়াপদের জন্ম হয়। উদাহরণ হিসেবে আমরা একটি কাজ নিচ্ছি-- খেলা। খেলা কাজটি ধরে কয়েকটি ক্রিয়া পদ গঠন করে দেখি:  খেলি, খেলিতেছি, খেলো, খেলেন, খেলিব, খেলে, খেলিয়াছিল, খেলিতে থাকিব, খেলিয়া, খেলিতে** ইত‍্যাদি।  ধাতু সম্পর্কে ভালো ভাবে জানর জন্য নিচের ভিডিওটি অবশ্যই দেখুন। তার পর নিচের আলোচনাটি পড়ুন। [**ধাতু ও ক্রিয়াপদ এবং ক্রিয়ার কাল আলোচনার সময় চলিত ভাষায় উদাহরণ দিতে নেই, তাতে ধারণা তৈরিতে বড় বিপত্তি হয়। কারণ চলিতে ক্রিয়ার সংক্ষ

বিশেষণ পদ - সংজ্ঞা ও শ্রেণিবিভাগ: বিস্তারিত | বিশেষণ কাকে বলে

ছবি
বিশেষণ পদ কাকে বলে? সংজ্ঞা ও ধারণা : বিশেষণ হল সেই সব পদ, যেগুলি বিশেষ‍্য ও অন‍্যান‍্য পদের পরিচিতি স্পষ্ট করে।  সহজ ভাষায় বললে, যে পদগুলি অন্য পদের (অর্থাৎ, বিশেষ‍্য , সর্বনাম , ক্রিয়া এমন কি স্বয়ং বিশেষণের) বৈশিষ্ট্য, দোষ, গুণ , অবস্থা , মাত্রা, তীব্রতা, সংখ‍্যা, ক্রম, পরিমাণ ইত‍্যাদি প্রকাশ করে তাদের বিশেষণ পদ বলে। সব পদের সব গুণ থাকে না। যার যা আছে বিশেষণ তার সেটাই প্রকাশ করে। মনে রাখা দরকার : বিশেষণের নিজের অস্তিত্ব নেই। তাই শেষ বিচারে বিশেষণ অন‍্য পদের দাস। বিশেষণ যার বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে, তার‌ই দাসত্ব করে। বিশেষণ পদের উদাহরণ : বাক‍্যে প্রযুক্ত উদাহরণ ১: রাম ভালো ছেলে। ২: তাঁর চোখে ভাঙা চশমা। ৩: ট্রেনটির গতি তীব্র । ৪: সহজ অঙ্কটা ভুল করেছ। ৫: ক্লাসের প্রথম ছাত্র অনুপস্থিত। ৬: বাজার থেকে দশ কিলো চাল আনবে। ৭: তুমি কতটা খাবার খাবে? ৮: মনোহর বাবু সৎ লোক নয়। (এ ছাড়া বিশেষণ পদের আর‌ও প্রচুর উদাহরণ দেখুন বিশেষ্য ও বিশেষণের এই তালিকা থেকে।) এখানে, ভালো, ভাঙা, তীব্র, সহজ, প্রথম এইসব চিহ্নিত পদগুলি বিশেষণ পদের উদাহরণ। এ ছাড়াও আর‌ও অনেক প্রকারের বিশেষ

সর্বনাম পদ : বিস্তারিত আলোচনা | সর্বনাম কাকে বলে

ছবি
সর্বনাম কাকে বলে ও পূর্ণাঙ্গ ধারণা সর্বনাম পদ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়ার জন্য নিচের এই পাঁচ মিনিটের ভিডিওটি দেখে তার পর নিচে বিস্তারিত আলোচনা পড়তে পারেন। ভিডিওটি দেখে ভালো লাগলে আমাকে ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন। সর্বনাম কথার অর্থ 'সকল নাম' বা 'সব নাম'। কথা বলার সময় একটি নামকে বার বার ব্যবহার করা একদিকে যেমন বিরক্তিকর, অন‍্যদিকে তেমনি তাতে ভাষার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এই সমস‍্যা দূর করার জন‍্য বিশেষ‍্য  পদের পরিবর্তে সর্বনাম পদ ব‍্যবহার করা হয়। সর্বনাম পদ কাকে বলে  বিশেষ‍্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব‍্যবহার করা হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে। সর্বনাম পদের এই সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞাটিই নির্ভুল সংজ্ঞা। বড় থেকে ছোটো, সবার‌ই এই সংজ্ঞা লেখা উচিত। একে অকারণে জটিল করে তোলার কোনো দরকার নেই। সর্বনাম পদের উদাহরণ আমি, আমরা, তুমি, আপনি, তুই , তোমরা, সে, তিনি, যে, কে, কী, কারা, যে, যিনি, কেউ, সবাই, ও, এ, এটা, ওটা, ইত্যাদি। সর্বনাম পদে বিভক্তি ও নির্দেশক যুক্ত হলেও সেটি সর্বনাম পদ‌ই থাকে। তাই আমার, আমাকে, তোমার, তার, তাদের, তোমাদেরকে, সেগুলিকে, ও

বিশেষ‍্য পদ | বিশেষ্য পদের বিস্তারিত আলোচনা | বিশেষ্য পদ কাকে বলে

ছবি
বিশেষ্য কথার আক্ষরিক অর্থ, সংজ্ঞা ও ধারণা আজকের আলোচনায় আমরা বিশেষ্য পদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। 'বিশেষ্য' কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল, 'যাকে বিশেষ করা যায় বা পৃথক করা যায়'। দোষ গুণ ইত‍্যাদির দ্বারা আলাদা করা যায় বলেই বিশেষ‍্য নামকরণটি করা হয়েছে। বাস্তব জগতে এবং আমাদের ধারণায় যা কিছুর কোনো অস্তিত্ব আছে, তার‌ই একটি নাম আছে। এই সমস্ত নামগুলি বিশেষ‍্যের অন্তর্ভুক্ত।  [এখানে বলে রাখা ভালো, বস্তু বা পদার্থের বা ধারণার নামটিই বিশেষ‍্য। যার নাম, সেটি বিশেষ‍্য নয়। অর্থাৎ, 'জল' একটি বিশেষ‍্য: এর অর্থ-- জ্+অ+ল্+অ-- এই ধ্বনিসমষ্টিটি বিশেষ‍্য; যে তরল পদার্থ আমাদের তৃষ্ণা দূর করে সেই পদার্থটি বিশেষ‍্য নয়।] বিশেষ্য পদ কাকে বলে যে পদের দ্বারা কোনো বস্তু, প্রাণী, শ্রেণি, সমষ্টি, ভাব, কাজ ইত‍্যাদির নাম বোঝানো হয় তাকে বিশেষ‍্য বলে। এক কথায় বলা যায়: যে পদের দ্বারা যে কোনো কিছুর নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য পদ বলে।   উদাহরণ: রাম(ব‍্যক্তি), মাটি(বস্তু), কলকাতা(স্থান), ডাক্তার(শ্রেণি), লজ্জা(ভাব), খাওয়া(কাজ) ইত‍্যাদি। [** কোনো পদের উদাহরণ বাক‍্য ছাড়া দেওয়া উচিত নয়। কারণ

শব্দ ও পদের পার্থক্য | শব্দ ও পদ

শব্দ ও পদের মধ্যে ৫ টি পার্থক্য শব্দের সাথে বিভক্তি যুক্ত থাকে না। পদের শেষে বিভক্তি যুক্ত থাকে।  শব্দ সব সময় একা ; কার‌ও সাথে তার সম্পর্ক নেই। পদ বাক্যের অংশ, সেই কারণে অন্য পদের সাথে সম্পর্কিত থাকে। শব্দ কেবল অভিধানে পাওয়া যায়। পদ বাক‍্যে ব‍্যবহৃত হয়।  আমরা কথা বলার সময় শব্দ ব্যবহার করি না। আমাদের কথোপকথনে আমরা পদ ব‍্যবহার করি। পদকে বিশেষ্য-বিশেষণ প্রভৃতি পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। শব্দকে এই ভাবে ভাগ করা যায় না। শব্দের কাজ শুধুমাত্র অর্থ প্রকাশ করা। পদের কাজ হল অর্থসমূহকে একত্রিত করে বাক্য গঠন করা। নিচে শব্দ ও পদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।  SSC SLST ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ কিছু PDF ডাউনলোড করুন। শব্দ কাকে বলে আগের  অধ‍্যায়ে আমরা ধ্বনি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। কিন্তু একটি একক ধ্বনি দিয়ে কখনো কখনো ভাব প্রকাশ করা গেলেও মানবমনের অসংখ‍্য বিচিত্র ভাব প্রকাশের জন‍্য একক ধ্বনি যথেষ্ট নয়। তাই ভাষায় উপস্থিত ধ্বনিগুলি‌কে বিভিন্ন সমন্বয়ে সাজিয়ে ধ্বনির সমষ্টি তৈরি করা হয়। এই সমষ্টি‌গুলি একটি করে অর্থ প্রকাশ করে। এই ধরণের ধ্বনিসমষ্টিকে শব্দ বলে। তবে একটি একক ধ্বনিও শব্দ হ