কৃদন্ত পদ কাকে বলে | কৃদন্ত শব্দ কাকে বলে

কৃদন্ত পদের সংজ্ঞা ও উদাহরণ

কৃদন্ত কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল: যার শেষে কৃৎ আছে বা কৃৎ অন্তে যার। অন্ত মানে শেষ। সন্ধিবিচ্ছেদ হবে কৃৎ + অন্ত। কৃৎ কী? কৃৎ হল এক প্রকার প্রত্যয় (কৃৎ প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়)। কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয় ধাতুর সঙ্গে। ধাতুর সঙ্গে কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হলে শব্দ তৈরি হয়। এইভাবে ধাতু ও কৃৎ প্রত্যয়ের যোগে গঠিত শব্দগুলিকে কৃদন্ত পদ বা কৃদন্ত শব্দ বলে। অবশ্য বাক্যে প্রয়োগের আগে এদের কৃদন্ত শব্দ বলাই ভালো। উপপদ তৎপুরুষ সমাস সম্পর্কে আলোচনায় কৃদন্ত পদের ধারণা দেওয়া দরকার হয়।

কৃদন্ত পদের উদাহরণ

গ্রহণ, বর্জন, দৃষ্টি, শ্রোতা, কার্য, দৃশ্য, বাক্য, গমন, গামী, দর্শী, জাত, জ, দাতা, দ, দা, কর, কার, কারী, কারক, করণ, হরণ, হারী, হর প্রভৃতি হল কৃদন্ত পদের উদাহরণ। উদাহরণগুলি লক্ষ করলে দেখা যাবে কতকগুলি কৃদন্ত পদের অর্থ বোঝা যাচ্ছে, কতকগুলির অর্থ বোঝা যাচ্ছে না। আসলে যেগুলির অর্থ বোঝা যাচ্ছে না, সেগুলিও অর্থহীন নয়। তবে ওরা স্বাধীন ভাবে ভাষায় ব্যবহৃত হয় না। উপসর্গ বা উপপদের আশ্রয়ে ব্যবহৃত হয়। যেমন: দূর +গামী = দূরগামী, পঙ্ক + জ = পঙ্কজ, জল + দ = জলদ, উপ + কার = উপকার। এখন দেখুন যে কৃদন্ত পদগুলির অর্থ বোঝা যাচ্ছিল না, তারা কী ভাবে উপসর্গ বা শব্দের আশ্রয়ে অর্থবহ হয়ে উঠেছে। ইউটিউবে আমার ব্যাকরণের ক্লাস করার জন্য ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak)।

মন্তব্যসমূহ

আর‌ও পড়ে দেখুন

তির্যক বিভক্তি কাকে বলে

লোকনিরুক্তি কাকে বলে

মিল যুক্ত শব্দ | মিল করে শব্দ লেখ

ধ্বনি ও বর্ণের মধ্যে পার্থক্য

অপিনিহিতি কাকে বলে

শব্দ ও পদের পার্থক্য | শব্দ ও পদ

অভিশ্রুতি কাকে বলে?

বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে | অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে