সন্ধি বিচ্ছেদ | সন্ধি বিচ্ছেদের তালিকা

সন্ধি বিচ্ছেদ: উদাহরণ

ইতিপূর্বে আমরা স্বরসন্ধি,  ব্যঞ্জনসন্ধি ও  বিসর্গসন্ধির     বিস্তারিত আলোচনা পৃথক ভাবে করেছি। এই তিনটি অধ্যায়ে সূত্রের পাশাপাশি কিছু উদাহরণ‌ও দেওয়া হয়েছে।  কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার পরীক্ষার্থী ও ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এই পোস্টে আলাদা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিবিচ্ছেদের উদাহরণ একত্রিত করে প্রকাশ করা হলো। এখানে সন্ধিববদ্ধ শব্দগুলি বর্ণানুক্রমে সাজানো হলো, যাতে সহজেই প্রয়োজনীয় সন্ধিবিচ্ছেদটি খুঁজে পাওয়া যায়। এই তালিকায় আপনার প্রয়োজনীয় সন্ধিবিচ্ছেদটি খুঁজে না পেলে কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানান, আমি উত্তর দেবো।
ADVERTISEMENT


সন্ধি বিচ্ছেদের তালিকা

  1. অক্ষৌহিণী ----- অক্ষ + ঊহিনী
  2. অখিলেশ ------- অখিল + ঈশ
  3. অজন্ত ----------- অচ্ + অন্ত
  4. অত‌এব --------- অতঃ + এব
  5. অদ্যাবধি  ------- অদ্য + অবধি
  6. অধমর্ণ ---------- অধম + ঋণ
  7. অধ্যাদেশ ------- অধি + আদেশ
  8. অন্বয় ------------ অনু + অয়
  9. অন্বেষণ --------- অনু + এষণ
  10. অবচ্ছেদ -------- অব + ছেদ
  11. অবিন্ধন --------- অপ্ + ইন্ধন
  12. অবেক্ষণ -------- অব + ঈক্ষণ
  13. অব্জ   ------------ অপ্ + জ (মানে জলজ)
  14. অভ্যুত্থান -------- অভি + উত্থান
  15. অলঙ্কার --------- অলম্ + কার
  16. অহরহ ----------- অহঃ + অহঃ
  17. অহর্নিশ ---------- অহঃ + নিশা
  18. আবিষ্কার -------- আবিঃ +কার
  19. আদ্যোপান্ত ----- আদ্য + উপান্ত (অ+উ = ও)
  20. আরেক ---------- আর + এক
  21. আশ্চর্য ----------- আ + চর্য (বিসর্গ নেই)
  22. উচ্ছৃঙ্খল -------- উদ্ + শৃঙ্খল **
  23. উচ্ছ্বাস  ----------- উদ্ + শ্বাস
  24. উজ্জ্বল ----------- উদ্ + জ্বল
  25. উড্ডীন  ----------- উদ্ + ডীন
  26. উত্তমর্ণ ------------ উত্তম + ঋণ
  27. উত্তমাশা --------- উত্তম + আশা
  28. উত্তম্ভ -------------- উৎ + স্তম্ভ
  29. উত্থান ------------- উদ্ + স্থান
  30. উদ্ধার -------------- উদ্ + হার
  31. উদ্ধৃত -------------- উদ্ + হৃত
  32. উন্মেষ ------------- উদ্ + মেষ
  33. উল্লিখিত ---------- উদ্ + লিখিত
  34. উৎকৃষ্ট ------------- উৎকৃষ্ + ত
  35. ঋণার্ণ ------------- ঋণ + ঋণ
  36. একচ্ছত্র ---------  এক + ছত্র
  37. একাদশ --------- এক + দশ
  38. একোন ----------- এক + ঊন
  39. কর্মোদ্যম --------- কর্ম + উদ্যম
  40. কিঞ্চিন্মাত্র ------- কিঞ্চিৎ + মাত্র
  41. কিন্তু --------------- কিম্ + তু
  42. কুলটা ------------  কুল + অটা
  43. কুলাঙ্গার --------- কুল + অঙ্গার
  44. কৃষ্টি ---------------- কৃষ্ + তি
  45. ক্ষিতীশ ----------- ক্ষিতি + ঈশ
    46. ADVERTISEMENT
  46. ক্ষুধার্ত ------------ ক্ষুধা + ঋত
  47. গঙ্গোদক --------- গঙ্গা + উদক
  48. গত্যন্তর ----------- গতি + অন্তর
  49. গন্তব্য ------------- গম্ + তব্য
  50. গবাক্ষ ------------ গো + অক্ষ
  51. গবেন্দ্র ------------ গো + ইন্দ্র
  52. গায়ক ------------- গৈ + অক
  53. চলোর্মি  ---------- চল + ঊর্মি
  54. চিন্ময় ------------- চিৎ + ময়
  55. ছন্দোবদ্ধ --------- ছন্দঃ + বদ্ধ
  56. জনাদেশ --------- জন + আদেশ
  57. জনৈক ------------ জন + এক
  58. জলাশয় ---------- জল + আশয়
  59. ণিজন্ত ------------- ণিচ্ + অন্ত
  60. তজ্জন্য ----------- তদ্ + জন্য
  61. তট্টীকা ------------ তদ্ + টীকা
  62. তদ্ধিত ------------- তদ্ +হিত
  63. তদ্রূপ ------------- তদ্ রূপ
  64. তন্বী  --------------- তনু + ঈ
  65. তরুচ্ছায়া -------- তরু + ছায়া
  66. তস্কর  ------------- তদ্ + কর
  67. দংশন ------------- দন্ + শন
  68. দিগ্‌গজ ---------- দিক্ + গজ
  69. দ্যুলোক ---------- দিব্ + লোক
  70. ধনাঢ্য ------------- ধন + আঢ্য
  71. ধনুর্বাণ ------------ ধনুঃ + বাণ
  72. ধনুষ্টংকার -------- ধনুঃ + টঙ্কার
  73. ধনুষ্পাণি --------- ধনুঃ + পাণি
  74. ধীরোদাত্ত -------- ধীর + উদাত্ত
  75. ধ্বন্যাগম --------- ধ্বনি + আগম
  76. নগেন্দ্র ------------ নগ + ইন্দ্র
  77. নবোঢ়া  ---------- নব/নবা + ঊঢ়া
  78. নয়ন ------------- নে + অন
  79. নিরন্ন  ------------ নিঃ + অন্ন
  80. নিরপেক্ষ ------ নিঃ + অপেক্ষ
  81. নিরবধি --------- নিঃ + অবধি
  82. নিরস্ত্র  ----------- নিঃ + অস্ত্র
  83. নিশ্চিত ---------- নিঃ + চিত
  84. নিষ্কর  ----------- নিঃ + কর
  85. নিষ্ঠান্ত ----------- নিষ্ঠা + অন্ত
  86. নীরক্ত ----------- নিঃ + রক্ত
  87. নীরব ------------ নিঃ + রব
  88. নীরস ------------ নিঃ + রস
  89. নীলোৎপল ----- নীল + উৎপল
  90. পদোন্নতি ------- পদ + উন্নতি
  91. পবিত্র ----------- পো + ইত্র
  92. পয়ঃপ্রণালী ---- পয়ঃ + প্রণালী
  93. পরন্তপ --------- পরম্ + তপ
  94. পরস্পর -------- পর + পর
  95. পরিষ্কার --------- পরি + কার
  96. পর্যন্ত  ------------ পরি + অন্ত
  97. পশ্বধম ----------- পশু + অধম
  98. পিত্রনুমতি ------- পিতৃ + অনুমতি
  99. পিত্রাদেশ --------  পিতৃ + আদেশ
  100. পিত্রালয় ---------- পিতৃ + আলয়
  101. পুংশ্চাতক -------- পুম্ + চাতক
  102. পুংস্কোকিল ------ পুম্ + কোকিল
  103. পুনরপি ------------ পুনঃ + অপি
  104. পুন্নাম -------------- পুৎ + নাম
  105. পুরস্কার ----------- পুরঃ +কার
  106. পূর্ণেন্দু ------------ পূর্ণ + ইন্দু
  107. পূর্বোক্ত ----------- পূর্ব + উক্ত
  108. প্রতিষ্ঠা  ----------- প্রতি + স্থা
  109. প্রত্যাহৃত --------- প্রতি + আহৃত
  110. প্রত্যুপকার ------- প্রতি + উপকার
  111. প্রত্যুৎপন্ন --------- প্রতি + উৎপন্ন
  112. প্রত্যেক ------------ প্রতি + এক
  113. প্রাদি --------------- প্র + আদি
  114. প্রার্থী --------------- প্র + অর্থী
  115. প্রৌঢ় --------------- প্র + ঊঢ়
  116. বটচ্ছায়া ---------- বট + ছায়া
  117. বনস্পতি ---------- বন + পতি (বিসর্গ নেই)
  118. বর্ণানুক্রমিক ----- বর্ণ + অনুক্রমিক
  119. বহ্বারম্ভ ----------- বহু + আরম্ভ
  120. বাগাড়ম্বর --------- বাক্ + আড়ম্বর
  121. বিদ্যার্থী ------------ বিদ্যা + অর্থী
  122. বিন্ধ্যাচল ---------- বিন্ধ্য + অচল
  123. বৃংহতি ------------- বৃণ্ + হতি
  124. বৃহল্লাঙ্গুল ---------- বৃহৎ + লাঙ্গুল
  125. বৃহস্পতি ----------- বৃহৎ + পতি
  126. বেত্রাঘাত ---------- বেত্র + আঘাত
  127. ব্যঞ্জন --------------- বি + অঞ্জন
  128. ব্যবধান ------------ বি + অবধান
  129. ব্যবহিত ------------ বি + অবহিত
  130. ব্যর্থ  ----------------- বি + অর্থ
  131. ব্যাকুল ------------- বি + আকুল
  132. ভয়ংকর ----------- ভয়ম্ + কর
  133. ভ্বাদি ---------------- ভু + আদি
  134. ভ্রাতুষ্পুত্র ---------- ভ্রাতুঃ + পুত্র
    135. ADVERTISEMENT
  135. মতৈক্য ----------- মত + ঐক্য
  136. মনঃকষ্ট ---------- মনঃ + কষ্ট
  137. মনঃক্ষুণ্ণ --------- মনঃ + ক্ষুণ্ন
  138. মনশ্চক্ষু --------- মনঃ + চক্ষু
  139. মনশ্চালিত ----- মনঃ + চালিত
  140. মনোজ ---------- মনঃ + জ
  141. মনোতোষ ------- মনঃ + তোষ
  142. মনোভীষ্ট -------- মনঃ + অভীষ্ট
  143. মনোমোহন ----- মনঃ + মোহন
  144. মনোযোগ ------- মনঃ + যোগ
  145. মনোহর --------- মনঃ + হর
  146. মনোহারী ------- মনঃ + হারী
  147. মন্বন্তর ----------- মনু + অন্তর
  148. মস্যাধার -------- মসী + আধার
  149. মহদ্ভয় ----------- মহৎ + ভয়
  150. মহেশ্বর ---------- মহা + ঈশ্বর
  151. মহোদয় ---------- মহা + উদয়
  152. মহৌদার্য --------- মহা + ঔদার্য
  153. মুখচ্ছবি --------- মুখ + ছবি
  154. মৃচ্ছকটিকা ----- মৃৎ + শকটিকা
  155. মৃত্যুঞ্জয় --------- মৃত্যুম্ + জয়
  156. যদ্যপি ----------- যদি + অপি
  157. যাবজ্জীবন ---- যাবৎ + জীবন
  158. রক্তাক্ত --------- রক্ত + অক্ত
  159. রবীন্দ্র  ---------- রবি + ইন্দ্র
  160. রাজর্ষি  --------- রাজ + ঋষি
  161. রাজ্ঞী ----------- রাজ্ + নী
  162. লক্ষ্মীশ -------- লক্ষ্মী + ঈশ
  163. লবণ ----------- লো + অন
  164. শিরঃপীড়া ---- শিরঃ + পীড়া
  165. শিরশ্ছেদ ------ শিরঃ + ছেদ
  166. শিরস্ত্রাণ ------- শিরঃ + ত্রাণ
  167. শীতার্ত --------- শীত + ঋত
  168. শীতার্ত ---------- শীত + ঋত
  169. শ্রেয়স্কর ------- শ্রেয়ঃ + কর না
  170. ষন্নবতি --------- ষট্ + নবতি
  171. ষষ্ঠ -------------- ষষ্ + থ
  172. সংশয় ---------- সম্ + শয়
  173. সংসর্গ ----------- সম্ + সর্গ
  174. সংস্কৃত ---------- সম্ + কৃত
  175. সদানন্দ -------- সদা + আনন্দ
  176. সদুত্তর  --------- সৎ + উত্তর
  177. সদৈব ------------ সদা + এব
  178. সন্দর্ভ ----------- সম্ + দর্ভ
  179. সন্দর্শন  --------- সম্ + দর্শন
  180. সন্ধি -------------- সম্ + ধি
  181. সরস্বতী --------- সরস্ + বতী
  182. সহ্যাদ্রি ----------- সহ্য + অদ্রি
  183. সাবধান ---------  স + অবধান
  184. সিংহাসন -------- সিংহ + আসন
  185. সুবন্ত ------------- সুপ্ + অন্ত
  186. স্বস্তি -------------- সু + অস্তি
  187. স্বৈর -------------- স্ব + ঈর
  188. স্রষ্টা --------------- স্রষ্ + তা
  189. হরিশ্চন্দ্র --------- হরি + চন্দ্র (বিসর্গ নেই)
  190. হলন্ত ------------- হল্ + অন্ত
  191. হসন্ত -------------- হস্ + অন্ত
  192. হিতৈষণা --------- হিত + এষণা
  193. হিতৈষী  ---------- হিত + এষী
  194. হিমর্তু ------------- হিম + ঋতু
** সন্ধিতে উৎ এবং উদ্-এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। দুটিই ঠিক।
নিচের বক্সে গুগল সার্চ করুন

আর‌ও পড়ুন 

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আর‌ও পড়ে দেখুন

তির্যক বিভক্তি কাকে বলে

 তির্যক বিভক্তি বাংলা ভাষায় সংস্কৃতের মতো নির্দিষ্ট কারকে নির্দিষ্ট বিভক্তি-চিহ্ন হয় না। বাংলা কারকে প্রায় সব বিভক্তিই একাধিক কারকে ব্যবহৃত হতে পারে। যে বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহৃত হয়, তাকেই তির্যক বিভক্তি বলে । নিচে উদাহরণের সাহায্যে তির্যক বিভক্তি কাকে বলে, তা ভালো ভাবে বিশ্লেষণ করা হলো। তির্যক বিভক্তির উদাহরণ বুলবুলিতে ধান খেয়েছে। - কর্তৃ কারকে 'তে' বিভক্তি। এ ছুরিতে মাংস কাটা যাবে না। - করণে 'তে' বিভক্তি। ঘরেতে ভ্রমর এলো। -- অধিকরণ কারকে 'তে' বিভক্তি। উপরের উদাহরণগুলিতে দেখা যাচ্ছে 'তে' বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহৃত হচ্ছে। সুতরাং বলা যায় 'তে' বিভক্তিটি তির্যক বিভক্তি। বাংলা ব্যাকরণের প্রায় সব যথার্থ বিভক্তিই তির্যক বিভক্তি। তবে অধিকাংশ অনুসর্গ তির্যক নয়।  ইউটিউবে আমার ক্লাস করার জন্য ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak)। কিছু জানার থাকলে যে কোনো ভিডিওতে কমেন্ট করে জানান। কারক বিভক্তি ও অনুসর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন
পুরোটা পড়ুন »

লোকনিরুক্তি কাকে বলে

 লোকনিরুক্তি অচেনাকে চেনা ছকে ফেলতে আমরা চিরকালই পছন্দ করি। অচেনা শব্দকেও আমরা তাই চেনা শব্দের আদলে ঢেলে নিতে চেষ্টা করি। যেমন বিদেশি ভাষার অচেনা শব্দ Hospital(হসপিটাল) বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে 'হাসপাতাল' হয়ে গেছে। 'পাতাল' কথাটি আমাদের চেনা, তাই হসপিটাল হয়েছে হাসপাতাল। এই ধরনের পরিবর্তনের নাম লোকনিরুক্তি। তাহলে লোকনিরুক্তি কাকে বলে? উঃ- কোনো অপরিচিত শব্দ যখন ধ্বনিগত সাদৃশ্য আছে এমন একটি পরিচিত শব্দের রূপ ধারণ করে, তখন তাকে লোকনিরুক্তি বলে। যেমন: পোর্তুগিজ আনানস > আনারস। লোকনিরুক্তির উদাহরণ ঊর্ণবাভ > ঊর্ণনাভ, আর্ম চেয়ার > আরাম চেয়ার, আর্মারিও > আলমারি, আনানস > আনারস, হসপিটাল > হাসপাতাল। লোকনিরুক্তির ক্ষেত্রে অর্থের‌ও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অনেক সময় দেখা যায়। যেমন আনানস > আনারস, এই পরিবর্তনে 'নস' অংশটি 'রস' হয়ে গেছে, তার কারণ আনারস একটি সরস ফল।  আমার SLST বাংলা গাইডের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগদান করুন   আর‌ও পড়ুন সূচিপত্র   বাংলা ব্যাকরণের সেরা ব‌ই
পুরোটা পড়ুন »

মিল যুক্ত শব্দ | মিল করে শব্দ লেখ

মিল কাকে বলে ও মিল যুক্ত শব্দের তালিকা মিল বলতে বোঝায় উচ্চারণের সাদৃশ্য। যেমন জল শব্দের সঙ্গে মিল দেওয়া শব্দ হবে খল, বল, তল, সকল প্রভৃতি। সাধারণত দুটি শব্দের শেষে অবস্থিত দুটি বা তার বেশি সংখ্যক ধ্বনি এক বা প্রায় এক হলে ঐ দুটি শব্দের উচ্চারণগত সাদৃশ্যকে মিল বা অন্ত্যমিল বলে। বিষয়টা একটু ভেঙে বলি: ধরা যাক দুটি শব্দ 'বিপদ' আর 'সম্পদ'। এই দুটি শব্দের মধ্যে উচ্চারণগত সদৃশ অংশ হল 'পদ্' । পদ্ = প্+অ+দ্। তাহলে দেখা যাচ্ছে এই মিলটিতে তিনটি ধ্বনির সাদৃশ্য আছে। 'জল' ও 'খল' শব্দে মিল আছে দুটি ধ্বনির (অল্)। দুইয়ের কম ধ্বনির সাদৃশ্যকে মিল হিসেবে ধরা হয় না। নিচে আমরা বেশ কয়েকটি শব্দের মিল যুক্ত শব্দের উদাহরণ দিয়েছি। যেমন: মেঘ, গান, মাছ,  বাদল, ভাত , চাষ, নদী, ঘাস প্রভৃতি। বাংলা ব্যাকরণের যে কোন‌ও প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য আমার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে কমেন্ট করুন । ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak)। মিল যুক্ত বা অন্ত্য মিল দেওয়া শব্দ অনেক সময় আমাদের দরকার পড়ে। বিশেষ করে ছোটোদের ছড়ায় মিলের ব্যবহার খুবই বেশি। এই প
পুরোটা পড়ুন »

অপিনিহিতি কাকে বলে

অপিনিহিতির সংজ্ঞা ও উদাহরণ শব্দমধ্যস্থ ই বা উ-কে তার স্বাভাবিক স্থানের অব্যবহিত পূর্ববর্তী স্থানে উচ্চারণ করার রীতিকে অপিনিহিতি বলে। এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলে দেওয়া প্রয়োজন: শব্দের যে কোনো স্থানে অবস্থিত ই বা উ-তে অপিনিহিতি ঘটে না। ই বা উ যখন ব্যঞ্জনের পরে থাকে, তখন‌ই অপিনিহিতি হবার সম্ভাবনা থাকে। অপিনিহিতি কথার অর্থ কী? অপিনিহিতি কথার অর্থ হল পূর্বে স্থাপন। অপিনিহিতিতে ই বা উ স্বরকে পূর্বে স্থাপন করা হয়। বর্ণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা এখন অপিনিহিতির ধারণাটি স্পষ্ট করে বুঝে নেবো। অপিনিহিতির উদাহরণ ব্যাখ্যা আজি>আইজ্ : এটি অপিনিহিতির একটি উদাহরণ। এই উদাহরণটিকে আমরা ভেঙে দেখবো ই স্বরধ্বনি কী ভাবে এক ঘর মাত্র এগিয়ে গেছে। আ+জ্+ই > আ+ই+জ্ বর্ণ বিশ্লেষণের দ্বারা দেখা যাচ্ছে 'ই' স্বরটি এক ঘর এগিয়ে গেছে। অপিনিহিতিতে ই বা উ স্বর এক ঘরের বেশি এগোবে না। আর‌ও কয়েকটি উদাহরণ বিশ্লেষণ করে দেখি। দেখিয়া>দেইখ্যা দ্+এ+খ্+ই+য়্+আ > দ্+এ+ই+খ্+য্+আ (য়=য) উপরের উদাহরণে ই স্বরটি প্রথমে খ-এর পরে ছিলো, অপিনিহিতির ফলে খ চলে গেছে ই-র পর, ই এক ঘর এগিয়ে গেছে। অপিনিহিতির একটি বিশেষ
পুরোটা পড়ুন »

ধ্বনি ও বর্ণের মধ্যে পার্থক্য

ধ্বনি ও বর্ণের ৬টি পার্থক্য ধ্বনি ও বর্ণ বলতে অনেকে এক‌ই জিনিস বোঝেন। আসলে কিন্তু তা নয়। ধ্বনি ও বর্ণ পরস্পরের পরিপূরক, কিন্তু অভিন্ন নয়। নিচে আমরা ধ্বনি বর্ণের পার্থক্যগুলি দেখে নেবো। ১: ধ্বনি কানে শোনা যায়। বর্ণকে চোখে দেখা যায়। ২: ধ্বনি সৃষ্টি হয় বাগ্‌যন্ত্রে। বর্ণকে অঙ্কন করা হয়।  ৩: ধ্বনি এক ধরনের আওয়াজ-সংকেত। বর্ণ এক ধরনের চিত্র-সংকেত। ৪: ধ্বনি ক্ষণস্থায়ী। বর্ণ দীর্ঘস্থায়ী। ৫: ধ্বনি হল ভাষার প্রাথমিক উপাদান। বর্ণ হল ভাষার একটি বিকল্প উপাদান। ৬: ধ্বনির ভাব-প্রকাশ-ক্ষমতা অনেক বেশি। বর্ণের ভাব-প্রকাশ-ক্ষমতা ধ্বনির চেয়ে কম। ধ্বনি ও বর্ণ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন
পুরোটা পড়ুন »

অভিশ্রুতি কাকে বলে?

অভিশ্রুতির সংজ্ঞা ও ধারণা অপিনিহিতির ফলে এগিয়ে আসা ই বা উ তার পাশাপাশি স্বরধ্বনির সাথে অভ্যন্তরীণ সন্ধিতে মিলিত হয়ে স্বরধ্বনির যে পরিবর্তন ঘটায়, তাকে অভিশ্রুতি বলে।   অন্য ভাবে বলা যায়: অপিনিহিত ই বা উ যখন তার পাশাপাশি স্বরধ্বনিকে প্রভাবিত করে এবং নিজেও তার সঙ্গে মিশে যায়, তখন তাকে অভিশ্রুতি বলে। অভিশ্রুতির উদাহরণ করিয়া > ক‌ইর‌্যা > করে (উচ্চারণ 'কোরে') দেখিয়া > দেইখ্যা > দেখে গাছুয়া > গাউছা > গেছো ভাতুয়া > ভাউতা > ভেতো কন্যা > ক‌ইন্যা > কনে উপরের উদাহরণগুলিতে প্রথমে অপিনিহিতি ও তার পর অভিশ্রুতি দেখানো হয়েছে। এখন আমরা অভিশ্রুতির একটি উদাহরণ বিশ্লেষণ করে দেখবো আসলে এখানে কী ঘটছে। ক‌ইর‌্যা > করে -- এই উদাহরণটিকে ভেঙে দেখবো। ক্ + অ + ই + র্ + য্ + আ > ক্ + অ + র্ + এ এখানে দেখা যাচ্ছে  ১: ক্, অ, র্ ধ্বনি অপরিবর্তিত রয়েছে। ২: য্ ধ্বনি লোপ পেয়েছে। ৩: ই স্বরধ্বনি লুপ্ত হয়েছে এবং আ-এর বদলে এ স্বরধ্বনি এসেছে। এই তৃতীয় ঘটনাটিই আসলে অভিশ্রুতি। অপিনিহিত স্বর ই এবং সন্নিহিত স্বর আ এক ধরনের সন্ধিতে মিলিত হয়ে এ স্বরধ্বনিতে পরিণত হয়
পুরোটা পড়ুন »

বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে | অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে

 বিভাজ্য ও অবিভাজ্য ধ্বনি  ধ্বনি প্রাথমিক ভাবে দুই প্রকার: বিভাজ্য ধ্বনি ও অবিভাজ্য ধ্বনি। বিভাজ্য ধ্বনি: যে ধ্বনিকে আলাদা করে ভেঙে দেখানো যায়, তাকে বিভাজ্য ধ্বনি বলে।  যেমন: কমল = ক্ + অ + ম্ + অ + ল্ + অ । এখানে দেখা যাচ্ছে 'কমল' শব্দটিকে ভাঙলে ছটি ধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে। এই ছটি ধ্বনি বিভাজ্য ধ্বনির উদাহরণ। সমস্ত স্বর ও ব্যঞ্জন ধ্বনিই বিভাজ্য ধ্বনি। বিভাজ্য ধ্বনি দুই প্রকার: স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি। বিভাজ্য ধ্বনিগুলি পাশাপাশি বসে ধ্বনিগুচ্ছ গঠন করে। এই ধ্বনিগুচ্ছ যখন অর্থ বহন করে, তখন তৈরি হয় শব্দ। অবিভাজ্য ধ্বনি: যে ধ্বনিকে বিভাজ্য ধ্বনির মতো আলাদা করে দেখানো যায় না, তাকে অবিভাজ্য ধ্বনি বলে। যেমন সুর, দৈর্ঘ্য, যতি প্রভৃতি। অবিভাজ্য ধ্বনি বিভাজ্য ধ্বনির মতো পরিস্ফুট নয়। 
পুরোটা পড়ুন »

নিরপেক্ষ কর্তা কাকে বলে

নিরপেক্ষ কর্তা নিরপেক্ষ কথাটির অর্থ হল: যা কার‌ও অপেক্ষা করে না, বা যা শর্তসাপেক্ষ নয়, যা কোনো কিছুর উপর নির্ভর করে না। তাহলে নিরপেক্ষ কর্তা কোনটি? এক‌ই বাক্যে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা আলাদা হলে অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তাটিকে নিরপেক্ষ কর্তা বলে। এখন প্রশ্ন হলো, অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তাকে নিরপেক্ষ বলা হচ্ছে কেন? আসুন, উদাহরণের সাহায্যে সেই ব্যাপারটি একটু বুঝে নিই, তাহলে নিরপেক্ষ কর্তার ধারণাটি সারা জীবন মনে থাকবে। নিরপেক্ষ কর্তার উদাহরণ ১: সূর্য উঠলে পদ্ম ফুল ফুটবে। -- এই বাক্যে দুটি ক্রিয়া আছে, 'উঠলে' অসমাপিকা ক্রিয়া এবং 'ফুটবে' সমাপিকা ক্রিয়া। আবার এই দুই ক্রিয়ার কর্তা আলাদা। সংজ্ঞা অনুযায়ী অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা 'সূর্য' হচ্ছে নিরপেক্ষ কর্তা। সূর্যকে নিরপেক্ষ বলা হচ্ছে, তার কারণ সূর্য যে উঠবে, তা কোনো শর্তের অধীন নয় বা শর্তসাপেক্ষ নয়। সূর্য নিরপেক্ষ ভাবে উঠবে। অপরদিকে পদ্ম ফুল ফোটার একটি শর্ত আছে। সূর্য উঠলে তবেই সে ফুটবে।  ২: তুমি গেলে আমি যাবো। -- আমার যাওয়া শর্তাধীন, তোমার যাওয়া শর্ত-নিরপেক্ষ। তাই 'তুমি' নিরপেক্ষ কর্তা। কারকের
পুরোটা পড়ুন »