সমষ্টিবাচক বিশেষ্য কাকে বলে

সমষ্টিবাচক বিশেষ্যের ধারণা

যে বিশেষ্যের দ্বারা কোনো কিছুর সমষ্টিগত নাম বোঝানো হয়, তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। 

নিচে উদাহরণের মাধ্যমে সমষ্টিবাচক বিশেষ্যের ধারণাটি স্পষ্ট করা হলো। উদাহরণগুলি না জানলে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য চিনতে ভুল হতে পারে।




সমষ্টিবাচক বিশেষ্যের উদাহরণ

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়: গবাদিপশুর সমষ্টিকে বলে পাল, মাছ বা পাখির সমষ্টিকে বলে ঝাঁক, সৈনিকদের সমষ্টিকে বলে বাহিনি, নৌকার সমষ্টিকে বলে বহর, ডাকাতদের সমষ্টিকে বলে দল, ছাত্রছাত্রীদের সমষ্টিকে বলে শ্রেণি। সুতরাং পাল, ঝাঁক, বাহিনি, বহর, দল, শ্রেণি, এগুলো সব হলো সমষ্টিবাচক বিশেষ্য। অনেক সমষ্টিবাচক বিশেষ্য আছে, যেগুলিকে বাংলা ভাষায় বহুবচনবাচক প্রত্যয়ের মতো ব্যবহার করা হয়। আসলে এগুলি প্রত্যয় নয়, বিশেষ্য। যেমন: জনগণ শব্দের গণ কথাটি একটি সমষ্টিবাচক বিশেষ্য। এমনি আরও উদাহরণ: বৃন্দ, রাজি, আবলী, নিচয়, নিকর প্রভৃতি। এই প্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে গুলি, গুলো, গুলা কিন্তু বিশেষ্য নয়, এগুলি বহুবচনবাচক নির্দেশক। 

মন্তব্যসমূহ

আর‌ও পড়ে দেখুন

মিল যুক্ত শব্দ | মিল করে শব্দ লেখ

সূচিপত্র | Bengali Grammar

বর্ণ বিশ্লেষণ করার নিয়ম | Barna bislesan Bengali

কারক ও বিভক্তি এবং অনুসর্গ: বিস্তারিত আলোচনা | কারক

সাধু ও চলিত ভাষার ৭টি বৈশিষ্ট্য ও রূপান্তর | Sadhu o cholit bhasha

তৎসম শব্দ কাকে বলে | তৎসম শব্দের তালিকা

সন্ধি এবং স্বরসন্ধির সূত্র, উদাহরণ ও ব‍্যতিক্রম

অপিনিহিতি কাকে বলে