পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্বরভক্তি কাকে বলে

ছবি
স্বরভক্তির সংজ্ঞা ও ধারণা শব্দমধ্যস্থ যুক্তব্যঞ্জনের মাঝখানে একটি স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে যুক্তব্যঞ্জন ভেঙে যায়। এই ঘটনাকে স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্ষ বা মধ্যস্বরাগম বলে। স্বরভক্তি কথার অর্থ কী, এই নিয়ে অনেকের‌ই ধারণা স্পষ্ট নয়। স্বরভক্তি কথাটির ব্যুৎপত্তি হল স্বর+√ভজ্+ক্তি। এই √ভজ্ ধাতুর অর্থ ভাগ করা। আর 'ভক্তি' কথার অর্থ সেই ভাগ করার কাজটি। স্বরভক্তিতে স্বরের দ্বারা যুক্তব্যঞ্জনের 'ভক্তি', অর্থাৎ বিভাজন ঘটে, তাই একে স্বরভক্তি বলে।  এই গেলো স্বরভক্তির কথা। এখন প্রশ্ন হলো, একে বিপ্রকর্ষ বলে কেন? বিপ্রকর্ষ কথার অর্থ কী? বিপ্রকর্ষ কথার অর্থ হলো অপনয়ন বা অপসারণ বা দূরে স্থাপন। স্বরভক্তিতে দুটি ব্যঞ্জনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করা হয় বা একটি ব্যঞ্জনকে অপর ব্যঞ্জনের থেকে দূরে স্থাপন করা হয়, তাই একে বিপ্রকর্ষ বলে। বিপ্রকর্ষ কথার বিপরীত শব্দ হল সন্নিকর্ষ।  স্বরভক্তির উদাহরণ ও বিশ্লেষণ স্বরভক্তির উদাহরণ বাংলা ভাষায় প্রচুর দেখা যায়। যেমন: কর্ম>করম, ধর্ম>ধরম, বর্ষা>বরষা, স্নান>সিনান, ভক্তি>ভকতি, ত্রুপ > তুরুপ প্রভৃতি। এখন আমরা একটি উদাহরণের ধ্বনি-বিশ্লেষ

অভিশ্রুতি কাকে বলে?

অভিশ্রুতির সংজ্ঞা ও ধারণা অপিনিহিতির ফলে এগিয়ে আসা ই বা উ তার পাশাপাশি স্বরধ্বনির সাথে অভ্যন্তরীণ সন্ধিতে মিলিত হয়ে স্বরধ্বনির যে পরিবর্তন ঘটায়, তাকে অভিশ্রুতি বলে।   অন্য ভাবে বলা যায়: অপিনিহিত ই বা উ যখন তার পাশাপাশি স্বরধ্বনিকে প্রভাবিত করে এবং নিজেও তার সঙ্গে মিশে যায়, তখন তাকে অভিশ্রুতি বলে। অভিশ্রুতির উদাহরণ করিয়া > ক‌ইর‌্যা > করে (উচ্চারণ 'কোরে') দেখিয়া > দেইখ্যা > দেখে গাছুয়া > গাউছা > গেছো ভাতুয়া > ভাউতা > ভেতো কন্যা > ক‌ইন্যা > কনে উপরের উদাহরণগুলিতে প্রথমে অপিনিহিতি ও তার পর অভিশ্রুতি দেখানো হয়েছে। এখন আমরা অভিশ্রুতির একটি উদাহরণ বিশ্লেষণ করে দেখবো আসলে এখানে কী ঘটছে। ক‌ইর‌্যা > করে -- এই উদাহরণটিকে ভেঙে দেখবো। ক্ + অ + ই + র্ + য্ + আ > ক্ + অ + র্ + এ এখানে দেখা যাচ্ছে  ১: ক্, অ, র্ ধ্বনি অপরিবর্তিত রয়েছে। ২: য্ ধ্বনি লোপ পেয়েছে। ৩: ই স্বরধ্বনি লুপ্ত হয়েছে এবং আ-এর বদলে এ স্বরধ্বনি এসেছে। এই তৃতীয় ঘটনাটিই আসলে অভিশ্রুতি। অপিনিহিত স্বর ই এবং সন্নিহিত স্বর আ এক ধরনের সন্ধিতে মিলিত হয়ে এ স্বরধ্বনিতে পরিণত হয়

স্বরসঙ্গতি কাকে বলে ও কয় প্রকার

ছবি
 স্বরসঙ্গতির সংজ্ঞা পূর্ববর্তী স্বরের প্রভাবে পরবর্তী স্বর, পরবর্তী স্বরের প্রভাবে পূর্ববর্তী স্বর, পারস্পরিক প্রভাবে উভয় স্বর অথবা উভয় স্বরের প্রভাবে মধ্যবর্তী (তৃতীয়) স্বরের পরিবর্তন ঘ'টে স্বরের যে সামঞ্জস্য সাধিত হয়, তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। সংজ্ঞাটি কি খুব কঠিন লাগছে? গুলিয়ে যাচ্ছে? গুলিয়ে যাবে না, যদি আমরা সংজ্ঞাটি বুঝে নিই। মুখস্থ করার চেষ্টা করলেই গুলিয়ে যাবে। আপাতত এইটুকু বুঝলেই চলবে যে, স্বরসঙ্গতিতে স্বরের পরিবর্তন ঘটে এবং সেই পরিবর্তনের ফলে স্বরের সামঞ্জস্য সাধিত হয়। এবার আসুন স্বরসঙ্গতির প্রকারভেদ আলোচনা করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সংজ্ঞাটিও ভালো করে বুঝে নেবো। স্বরসঙ্গতি কয় প্রকার স্বরসঙ্গতি চার প্রকার: প্রগত স্বরসঙ্গতি, পরাগত স্বরসঙ্গতি, অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি ও মধ্যগত স্বরসঙ্গতি। প্রগত স্বরসঙ্গতি পূর্ববর্তী স্বরের প্রভাবে পরবর্তী স্বরের পরিবর্তন ঘটে যে স্বরসঙ্গতি হয়, তাকে প্রগত স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন:  কুয়া > কুয়ো। উদাহরণটির একটু ধ্বনি বিশ্লেষণ করে দেখা যাক। ক্+উ+য়্+আ > ক্+উ+য়্+ও।  দেখা যাচ্ছে পূর্ববর্তী উ স্বরটি অপরিবর্তিত রয়েছে, পরবর্তী আ স্বরটি বদলে

অপিনিহিতি কাকে বলে

অপিনিহিতির সংজ্ঞা ও উদাহরণ শব্দমধ্যস্থ ই বা উ-কে তার স্বাভাবিক স্থানের অব্যবহিত পূর্ববর্তী স্থানে উচ্চারণ করার রীতিকে অপিনিহিতি বলে। এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলে দেওয়া প্রয়োজন: শব্দের যে কোনো স্থানে অবস্থিত ই বা উ-তে অপিনিহিতি ঘটে না। ই বা উ যখন ব্যঞ্জনের পরে থাকে, তখন‌ই অপিনিহিতি হবার সম্ভাবনা থাকে। অপিনিহিতি কথার অর্থ কী? অপিনিহিতি কথার অর্থ হল পূর্বে স্থাপন। অপিনিহিতিতে ই বা উ স্বরকে পূর্বে স্থাপন করা হয়। বর্ণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা এখন অপিনিহিতির ধারণাটি স্পষ্ট করে বুঝে নেবো। অপিনিহিতির উদাহরণ ব্যাখ্যা আজি>আইজ্ : এটি অপিনিহিতির একটি উদাহরণ। এই উদাহরণটিকে আমরা ভেঙে দেখবো ই স্বরধ্বনি কী ভাবে এক ঘর মাত্র এগিয়ে গেছে। আ+জ্+ই > আ+ই+জ্ বর্ণ বিশ্লেষণের দ্বারা দেখা যাচ্ছে 'ই' স্বরটি এক ঘর এগিয়ে গেছে। অপিনিহিতিতে ই বা উ স্বর এক ঘরের বেশি এগোবে না। আর‌ও কয়েকটি উদাহরণ বিশ্লেষণ করে দেখি। দেখিয়া>দেইখ্যা দ্+এ+খ্+ই+য়্+আ > দ্+এ+ই+খ্+য্+আ (য়=য) উপরের উদাহরণে ই স্বরটি প্রথমে খ-এর পরে ছিলো, অপিনিহিতির ফলে খ চলে গেছে ই-র পর, ই এক ঘর এগিয়ে গেছে। অপিনিহিতির একটি বিশেষ

বাংলা নেট পরীক্ষার প্রস্তুতি ও সিলেবাস | Bengali NET SET Preparation

বাংলা NET/JRF প্রস্তুতির পরামর্শ লিখছেন মানস নিয়োগী (NET JRF 2020) NET/SET বিষয়ে জানতে ও মক টেস্ট দিতে মানসকে   YouTube-এ সাবস্ক্রাইব করুন ।  NET/JRF পাবার জন্য কীভাবে পড়বো? এই প্রশ্নটাই বেশিরভাগ জন করছেন বলে বিস্তারিত পোস্টের মাধ্যেমে জানানোর কথা ভাবলাম ৷ সবাইকে আলাদা আলাদা ভাবে না বলে এখানে বলাই সুবিধাজনক ৷  কেউ কেউ জানতে চাইছেন সহজে কীভাবে নেট বা জেআরএফ পাওয়া যায়। তাঁদের জন্য বলব, এর কোনো সহজ পন্থা নেই ৷ পরিশ্রমই শেষ কথা ৷ বহুদিন ধরে লাগাতার মনযোগের সাথে পরিশ্রম করছে কিন্তু নেট বা জেআরএফ পায়নি এমন মানুষ খুব একটা দেখিনি ৷ আমি আমার জার্নিতে যে বিষয়গুলো শিখেছি সেগুলোই এখানে আপনাদের কাছে তুলে ধরছি ৷  জেনারেল পেপার ১) সর্বপ্রথম জেনারেল পেপার নিয়ে বলি ৷ জেনারেল পেপারই হল JRF-এর  আসল ডিসাইডার ৷ আমাদের বাংলার  নেট পড়ুয়াদের কাছে জেনারেল পেপার একটা খুব জটিল বিষয় বলে মনে হয় ৷ যার একমাত্র কারণ ভাষা ৷ এবারেও অনেকে এমন আছেন যাঁদের সাবজেক্টে স্কোর ভালো হলেও জেনারেল পেপারে কমে যাওয়ার দরুন NET বা JRF হয়নি ৷ তাই জেনারেল পেপার অবশ্যই পড়তে হবে ৷  নেট জেনারেল পেপারের ব‌ই জেনারেল পেপার পড়