পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঘোষীভবন কাকে বলে

ঘোষীভবন সম্পর্কে ধারণা (ঘোষীভবন ও অঘোষীভবন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করার জন্য ঘোষ ও অঘোষ ব্যঞ্জন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রয়োজন। প্রয়োজন থাকলে ঘোষ ও অঘোষ ব্যঞ্জন সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে নিন।) কোন অঘোষ ধ্বনি যখন কাছাকাছি কোন ঘোষ ধ্বনির প্রভাবে অথবা বিনা কারণেই ঘোষধ্বনি তে পরিণত হয় তখন তাকে ঘোষীভবন বলে। ঘোষীভবনের উদাহরণ ১: কাক > কাগ, ২: শাক > শাগ, ৩: থাপড় > থাবড়, ৪: কাঠগড়া > কাডগড়া, ৫: বক > বগ ইত্যাদি। উপরের ৩ ও ৪ নং উদাহরণে ড় ঘোষ ধ্বনির প্রভাবে যথাক্রমে প>ব ও ঠ>ড হয়েছে। অন্য উদাহরণগুলিতে কোনো ঘোষ ধ্বনির প্রভাব ছাড়াই অঘোষ ধ্বনি ঘোষ ধ্বনিতে পরিণত হয়েছে। ঘোষ ধ্বনির প্রভাব ছাড়াই অঘোষ ধ্বনি যখন ঘোষ ধ্বনিতে পরিণত হয়, তখন অনেকেই তাকে স্বতঃঘোষীভবন নামে আলাদা একটি ধ্বনি-পরিবর্তন হিসেবে চিহ্নিত করতে চান। আমাদের মতে এ রকম আলাদা নামকরণ না করলেও চলে। উদাহরণ বিশ্লেষণ: কাঠগড়া > কাডগড়া। এই উদাহরণে অঘোষ ধ্বনি ঠ রূপান্তরিত হয়ে ঘোষধ্বনি ড-তে পরিণত হয়েছে। অঘোষীভবন কাকে বলে পাশাপাশি অবস্থিত অঘোষ ধ্বনির প্রভাবে অথবা বিনা কারণেই ঘোষধ্বনি যদি অঘোষ ধ্বনিতে পরিণ

স্বরাগম কাকে বলে

স্বরাগমের সংজ্ঞা যত প্রকারের ধ্বনি পরিবর্তন বাংলা ভাষায় দেখা যায়, তার মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারা হলো স্বরের আগম বা স্বরাগম। স্বরাগম বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে এবং স্বরাগম তিন প্রকার হতে পারে। ১: আদি স্বরাগম, ২: মধ্য স্বরাগম ও ৩: অন্ত্য স্বরাগম। স্বরাগমের সংজ্ঞা শব্দের আদিতে, মধ্যে বা অন্তে একটি অতিরিক্ত স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে স্বরাগম বা স্বরের আগম বলা হয়।  আদি স্বরাগম কাকে বলে সাধারণত শব্দের গোড়ায় শিস-ধ্বনি সমন্বিত যুক্ত ব্যঞ্জন থাকলে ঐ যুক্ত ব্যঞ্জনের উচ্চারণ প্রস্তুতি রূপে একটি বাড়তি স্বরধ্বনির আগমন ঘটে। এই প্রক্রিয়াকে আদি স্বরাগম বলে। আদি স্বরাগমের উদাহরণ  স্পর্ধা > আস্পর্ধা, স্পর্শ > ইস্পর্শ, স্পষ্ট > ইস্পষ্ট, স্কুল > ইস্কুল, স্টেশন > ইস্টিশন ইত্যাদি।  মধ্য স্বরাগম মধ্য স্বরাগম বা স্বরভক্তি আগেেই  আলোচনা করেছি।  পড়ার জন্য উপরের লিংকে টাচ করুন। অন্ত্য স্বরাগম কাকে বলে শব্দের শেষে একটি অতিরিক্ত স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে অন্ত্য স্বরাগম বলে।  অন্ত্য স্বরাগমের উদাহরণ বেঞ্চ > বেঞ্চি, জুল্‌ফ্ > জুলফি, বর্ফ > বরফি, মর্দ > মদ্দা, মুর্গ

সমীভবন কাকে বলে ও কয় প্রকার | ব্যঞ্জন সংগতি কাকে বলে

ছবি
সমীভবন কথার অর্থ ও সমীভবনের সংজ্ঞা সমীভবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে আসুন জেনে নিই সমীভবন কথাটির অর্থ কী। সমীভবন মানে সমান হ‌ওয়া বা এক হ‌ওয়া। সমীভবনে দুটি ভিন্ন ধ্বনির এক ধ্বনিতে পরিণত হ‌ওয়া বোঝায়। তবে সব সময় একেবারে এক ধ্বনিতে পরিণত হয় না, এক বর্গের কাছাকাছি ধ্বনিতে পরিণত হলেও তা সমীভবন হিসেবে গণ্য হয়। সমীভবন কাকে বলে? সমীভবনের সংজ্ঞা হিসেবে আমরা বলতে পারি: পাশাপাশি বা কাছাকাছি উচ্চারিত দুটি ভিন্ন ব্যঞ্জনের একটি অপরটির প্রভাবে বা দুটিই পরস্পরের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে এক‌ই বা এক‌ই ধরনের ব্যঞ্জনে পরিণত হলে তাকে সমীভবন বা ব্যঞ্জন সংগতি বলে। সমীভবনের অপর নাম সমীকরণ। সমীভবনের উদাহরণ ও বিশ্লেষণ সমীভবনের কয়েকটি প্রচলিত উদাহরণ হল: দুর্গা>দুগ্গা, বড়দা > বদ্দা, উৎসব > উচ্ছব, ধর্ম > ধম্ম, বৎসর > বচ্ছর, পদ্ম > পদ্দ , মহাত্মা > মহাত্তা ইত্যাদি। সমীভবনের দুটি উদাহরণ আমরা বিশ্লেষণ করে দেখি ১: উৎসব > উচ্ছব। এখানে দেখছি ৎ ও স দুটি ভিন্ন ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে চ ও ছ হয়ে গেছে। চ ও ছ আলাদা হলেও কাছাকাছি। তাই বলা যায় দুটি ভিন্ন ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নিকটবর্ত