পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ক্রিয়া বিশেষণ কাকে বলে

 ক্রিয়াবিশেষণ আমরা জানি বিশেষণ পদের কাজ হল অন্য পদকে বিশেষিত করা, অন্য পদ সম্পর্কে কিছু বলা। বিশেষণ পদ যে কোনো পদ সম্পর্কেই বলতে পারে। যেমন: বিশেষ্য, সর্বনাম, ক্রিয়া ইত্যাদি। বিশেষণ পদটি যে পদ সম্পর্কে কিছু বলে, সেই পদের নাম অনুসারে বিশেষণ পদটির নাম হয়। যেমন: কোনো একটি বিশেষণ যদি সর্বনাম পদ সম্পর্কে কিছু বলে, তাহলে তাকে বলা হয় সর্বনামের বিশেষণ। ঠিক এক‌ই ভাবে: যে বিশেষণগুলি ক্রিয়াপদকে বিশেষিত করে বা ক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলে, তাদের বলে ক্রিয়া বিশেষণ বা ক্রিয়ার বিশেষণ। নিচে উদাহরণের সাহায্যে ক্রিয়া বিশেষণ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হলো। ক্রিয়া বিশেষণের উদাহরণ নিচে অনেকগুলি ক্রিয়াবিশেষণের উদাহরণ দেওয়া হলো। সাধারণত ক্রিয়াকে 'কীভাবে' দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তরে ক্রিয়াবিশেষণটি পাওয়া যায়, তবে সব সময় তা নাও হতে পারে। ১: গাড়িটি জোরে ছুটছে। ২: তুমি একটু আস্তে হাঁটো। ৩: ছেলেটি খুব পরিশ্রম করেছে। ৪: তুমি একটুও খেলে না। ৫: আমি প্রথমে এসেছি। ৬: পুরো রাস্তা হেঁটে এলাম। ৭: ছেলেটি কেঁদে কেঁদে অনুরোধ করল। ৮: লোকটি নাচতে নাচতে এল। ৯: হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। ১০

আলংকারিক কর্তা কাকে বলে | আলঙ্কারিক কর্তা

 আলংকারিক কর্তা কোনো কোনো ব্যাকরণবিদ আলংকারিক কর্তা নামে কর্তৃ কারকের একটি নতুন শ্রেণিবিভাগের কথা বলছেন। বাক্যকে সুন্দর করার স্বার্থে অনেক সময় জড় বস্তুতে প্রাণধর্ম আরোপ করে সেই জড়কে কর্তা রূপে ব্যবহার করা হয়। এমন হলে সেই কর্তাকে বলা হয় আলংকারিক কর্তা। নিচে আলংকারিক কর্তার উদাহরণ সহ বিষয়টি বোঝানো হল। আলংকারিক কর্তার উদাহরণ ১: আকাশ কেন ডাকে? -- আকাশ ২: প্রকৃতি ডাক দিয়েছে। -- প্রকৃতি ৩: চাঁদ হাসছে। -- চাঁদ ৪: মেঘের কোলে রোদ হেসেছে। -- রোদ ৫: পাহাড় শিখায় তাহার সমান, হ‌ই যেন ভাই মৌন মহান।-- পাহাড় ৬: চিতাকাঠ ডাকে : আয় আয়। -- চিতাকাঠ লক্ষণীয় বিষয় হল আলংকারিক কর্তা সাধারণত কবিতা ও গানেই দেখা যায়। এর কারণ গান ও কবিতাতেই অলংকারের প্রয়োগ হয়, সৌন্দর্য সৃষ্টির প্রয়োজন হয়। আলংকারিক কর্তা সাধারণত জড় বস্তু হয় এবং অলংকরণের উদ্দেশ্যে তাতে প্রাণসঞ্চার করা হয়। আলংকারিক কর্তা ও সাধন কর্তার মধ্যে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। সাধন কর্তাও জড় বস্তু হয়, আলংকারিক কর্তাও জড় বস্তু হয়, কিন্তু সাধন কর্তা প্রকৃতপক্ষে করণ হয়, আলংকারিক কর্তা তা হয় না। আলংকারিক কর্তায় জড় বস্তুতে প্রাণধর্

উদ্বৃত্ত স্বর কাকে বলে

 উদ্বৃত্ত স্বর প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষায় বিবর্তনের সময় অনেক ক্ষেত্রে দুটি স্বরের মধ্যবর্তী স্পর্শ ব্যঞ্জন লুপ্ত হলেও ঐ ব্যঞ্জনের সাথে লগ্ন স্বরটি লুপ্ত হয়নি। এই স্বরটিকেই বলে উদ্বৃত্ত স্বর। নিচে উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে দেখানো হল। উদ্বৃত্ত স্বরের উদাহরণ মধু > ম‌উ, বধূ > ব‌উ, ঘৃত > ঘিঅ, এই উদাহরণগুলিতে দুটি স্বরের মধ্যবর্তী ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেয়েছে, কিন্তু শেষের স্বরটি রয়ে গেছে। ঐ থেকে যাওয়া স্বরটিই উদ্বৃত্ত স্বর। এই উদ্বৃত্ত স্বর মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার একটি সাধারণ ধর্ম। সব মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষাতেই কম বেশি উদ্বৃত্ত স্বর দেখা যায়। নব্য ভারতীয় আর্য ভাষায় এসে এই উদ্বৃত্ত স্বর কোথাও লোপ পেয়েছে, কোথাও বা রয়ে গেছে, কোথাও পরিবর্তিত হয়েছে।

সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য কোন পদে বেশি দেখা যায়

 সাধু ও চলিতের মূল পার্থক্য সাধু ও চলিত ভাষা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা  আগেই করেছি। এই দুই ভাষার পার্থক্য‌ও আলোচনা করেছি। এখন জানা দরকার, সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য কোন পদে বেশি দেখা যায়। বাক্যে যে পাঁচ প্রকার পদ ব্যবহৃত হয়, তার মধ্যে সর্বনাম পদ ও ক্রিয়া পদে সাধু ও চলিতের মূল পার্থক্য দেখা যায়। তবে এই দুটি পদ ছাড়া অনুসর্গেও সাধু ও চলিতের পার্থক্য অত্যন্ত প্রকট। অন্য পদগুলিতে ততটা পরিবর্তন হয় না। আসুন একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে জেনে নিই। সাধু চলিতের মূল পার্থক্য কোন পদে বেশি দেখা যায়, তার উদাহরণ চলিত: যারা খেলার মাঠ থেকে এখনও ফেরেনি, তাদের খোঁজ করার জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। সাধু: যাহারা খেলার মাঠ হ‌ইতে এখন‌ও ফেরে নাই, তাহাদের খোঁজ করিবার নিমিত্ত লোক পাঠানো হ‌ইয়াছে। রূপান্তরিত পদগুলি হল:  যারা > যাহারা -- সর্বনাম থেকে > হ‌ইতে -- অনুসর্গ ফেরেনি > ফেরে নাই -- ক্রিয়া তাদের > তাহাদের -- সর্বনাম খোঁজ করার > খোঁজ করিবার -- ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য জন্য > নিমিত্ত -- অনুসর্গ পাঠানো হয়েছে > পাঠানো হ‌ইয়াছে -- ক্রিয়া উপরের উদাহরণটি দেখে নিশ্চয়ই বোঝা য

অশুদ্ধি সংশোধন

 শুদ্ধ বানানের তালিকা বানান ভুল লেখা একদিকে যেমন অসম্মানজনক, অপরদিকে তেমনি ক্ষতিকর। ভুল বানানের কারণে অনেক সময়ই আমাদের নাম্বার কাটা যায়। লিখিত পরীক্ষায় ভালো স্কোর করার জন্য বানান শুদ্ধ লিখতেই হবে। আজকের আলোচনায় এমন‌ই কিছু বানান তুলে ধরবো, যেগুলি আমরা প্রায়‌ই ভুল লিখি। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই বানানগুলি। প্রতিটি বানানের ব্যাখ্যা ব্র্যাকেটে সংক্ষিপ্ত আকারে দিয়ে দিলাম। অশুদ্ধ বানানগুলি ইচ্ছে করেই এখানে রাখলাম না, কারণ অশুদ্ধ বানান চোখে দেখলে মনে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুধুমাত্র শুদ্ধ বানান চোখে পড়লে শুদ্ধটি মনে থাকার সম্ভাবনা বেশি। অত্যধিক (অতি + অধিক) অহোরাত্র (অহঃ + রাত্রি) মনোযোগ (মনঃ + যোগ) প্রতিযোগিতা/সহযোগিতা ('তা' যোগে স্বরের হ্রাস) আকাঙ্ক্ষা (হিন্দি উচ্চারণ স্মরণীয়) বৈশিষ্ট্য (বিশিষ্ট + ষ্ণ্য) বৈচিত্র্য (বিচিত্র + ষ্ণ্য) উৎকর্ষ (উৎকর্ষতা বলে কিছু নেই) উচ্ছ্বাস (উদ্ + শ্বাস) গীতাঞ্জলি (অঞ্জলি বানানে ই হয়) ঘনিষ্ঠ (ইষ্ঠ প্রত্যয়, ইষ্ট নয়) জাত্যভিমান, অনুমত্যনুসারে (ই + অ = য-ফলা) দুর্গা (দুর্ উপসর্গ আছে) পৌরোহিত্য (পুরোহিত শব্দের ও-কার থাকবে) ভৌগোলিক (ভূগোলের ও

প্রত্যয়ের কাজ কী

 প্রত্যয়ের কাজ প্রত্যয় হল এক প্রকার ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ। এদের স্বাধীন অর্থ নেই, কিন্তু অর্থের বোধ বা প্রতীতি জাগাতে পারে। তাই এদের প্রত্যয় বলে। প্রত্যয়গুলি ধাতু বা শব্দ-প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ বা ধাতু গঠন করে। সুতরাং প্রত্যয়ের কাজ হল প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন নতুন শব্দ ও নতুন নতুন ধাতু তৈরি করা। যে সব প্রত্যয় শব্দ তৈরি করে, তারা দুই ভাগে বিভক্ত: কৃৎ প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়। যে প্রত্যয়গুলি ধাতু তৈরি করে, তাদের বলে ধাত্ববয়ব ।   জেনে নিন প্রকৃতি কাকে বলে।

স্বরবর্ণ কাকে বলে

 স্বরবর্ণ "স্বরবর্ণ কাকে বলে", এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে । ভাষায় বর্ণের সংজ্ঞা আলাদা ভাবে দেওয়া যায় না। তাই আগে ধ্বনির সংজ্ঞা দিয়ে, তার পর বর্ণের সংজ্ঞা দিতে হয়। এক্ষেত্রে লিখতে হবে: যে ধ্বনিকে উচ্চারণ করার জন্য শ্বাসবায়ুকে বাগ্‌যন্ত্রের কোথাও বাধা দিতে হয় না, তাকে স্বরধ্বনি বলে এবং স্বরধ্বনির লিখিত সংকেতকে স্বরবর্ণ বলে। বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ আছে ১১টি, কিন্তু মৌলিক স্বরধ্বনি আছে ৭টি। 

প্রত্যয়-নিষ্পন্ন শব্দ কাকে বলে

 প্রত্যয়-নিষ্পন্ন শব্দ ধাতু বা শব্দের সাথে প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দকে বলে প্রত্যয়-নিষ্পন্ন শব্দ। নিচে উদাহরণ দেওয়া হল। প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দ কয় প্রকার নিষ্পন্ন কথার অর্থ হল উৎপন্ন। প্রত্যয়ের সাহায্যে যে শব্দের নিষ্পত্তি ঘটে, তাই প্রত্যয়-নিষ্পন্ন। প্রত্যয়-নিষ্পন্ন শব্দ দুই প্রকার: কৃদন্ত শব্দ ও তদ্ধিতান্ত শব্দ। ধাতুর সঙ্গে যুক্ত প্রত্যয়কে বলে কৃৎ প্রত্যয় ও শব্দের সাথে যুক্ত প্রত্যয়কে বলে তদ্ধিত প্রত্যয়। কৃৎ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দকে বলে কৃদন্ত শব্দ, তদ্ধিত প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দকে বলে তদ্ধিতান্ত শব্দ। প্রত্যয়-নিষ্পন্ন শব্দের উদাহরণ √গম্+অনট্ = গমন √দৃশ্ + ক্তি = দৃষ্টি √ভূ + ক্ত = ভূত রাম + ষ্ণায়ন = রামায়ণ রাবণ + ষ্ণি = রাবণি কৈকেয়ী + ষ্ণেয় = কৈকেয়

TET Bengali model question

ছবি
 টেট বাংলা মডেল প্রশ্ন ও উত্তর নিচের কবিতাটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও এখানে বৃষ্টিমুখর লাজুক গাঁয়ে এসে থেমে গেছে ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা, সবুজ মাঠের পথ যায় পায়ে পায়ে পথ নেই , তবু এখানে যে পথ হাঁটা। জোড়া দিঘি তার পাড়েতে তালের সারি দূরে বাঁশঝাড়ে আত্মদানের সাড়া, পচা জল আর মশায় অহংকারী নীরব এখানে অমর কিষাণপাড়া। এ গ্রামের পাশে মজা নদী বারো মাস বর্ষায় আজ বিদ্রোহ বুঝি করে, গোয়ালে পাঠায় ইশারা সবুজ ঘাস এ গ্রাম নতুন সবুজ ঘাগরা পরে। রাত্রি এখানে স্বাগত সন্ধ্যা শাঁখে কিষানকে ঘরে পাঠায় যে আল-পথ; বুড়ো বটতলা পরস্পরকে ডাকে সন্ধ্যা এখানে জড়ো করে জনমত। দুর্ভিক্ষের আঁচল জড়ানো গায়ে এ গ্রামের লোক আজো সব কাজ করে, কৃষক-বধূরা ঢেঁকিকে নাচায় পায়ে প্রতি সন্ধ্যায় দীপ জ্বলে ঘরে ঘরে। রাত্রি হলেই দাওয়ার অন্ধকারে ঠাকুমা গল্প শোনায় যে নাতনিকে, কেমন করে সে অকালেতে গতবারে, চলে গেল লোক দিশাহারা দিকে দিকে। ১. কবিতাটিতে কার কার কথা বলা হয়েছে? ক) প্রকৃতি  খ)মানুষের  গ)গ্রামের   ঘ)প্রকৃতি ও মানুষের উঃ প্রকৃতি ও মানুষের। ২. কবিতাটিতে কোন পাড়ার কথা বলা হয়েছে? ক) কুমোর পাড়া  খ)কিষাণ পাড়া  গ

SLST Bengali PDF notes | SLST Bengali Preparation

  স্কুল সার্ভিস বাংলা বিষয়ের নোটস By অনন্য পাঠক এই পোস্টটি বিশেষ ভাবে তৈরি করলাম স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার্থীদের বাংলা সাবজেক্ট ও টেট পিটির কিছু নমুনা পিডিএফ দিয়ে প্রশ্নপত্র সম্পর্কে একটা ধারণা দেওয়ার জন্য। নিচে পিডিএফগুলি ডাউনলোড করার লিংক দেওয়া আছে। মনসামঙ্গল PDF সাজ ভেসে গেছে PDF সাহিত্যের ইতিহাস Practice Set বাংলা মেথড নমুনা প্রশ্নোত্তর (এই বিষয়ের প্রশ্ন এম.সি.কিউ. হবে, কিন্তু প্রস্তুতির সুবিধার্থে এস.এ.কিউ. নোটস বানানো হয়েছে।) বিভিন্ন সময় আরও নোটস পাওয়ার জন্য আমার টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন ।

দ্বিস্বর ধ্বনি কাকে বলে

ছবি
 দ্বিস্বর দ্বিস্বর কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল 'দ্বি স্বরের সমাহার'। আমরা জানি ভাষায় দুই প্রকার ধ্বনি (বিভাজ্য ধ্বনি) থাকে -- স্বর ও ব্যঞ্জন। স্বরগুলি একে অন্যের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন স্বর গঠন করতে পারে। এইভাবে একাধিক স্বরের মিলনে গঠিত স্বরকে যৌগিক স্বর বলে। তবে মনে রাখতে হবে সমস্ত যৌগিক স্বর‌ই দ্বিস্বর নয়। দুটি স্বরের যোগে গঠিত যৌগিক স্বরকে দ্বিস্বর ধ্বনি বলে। দ্বিস্বর ধ্বনির উদাহরণ ও এর সম্পর্কে আরও কিছু কথা নিচে বলা হলো। দ্বিস্বর ধ্বনির উদাহরণ বাংলা বর্ণমালায় দুটি দ্বিস্বরকে স্থান দেওয়া হয়েছে: ঐ, ঔ। এই দুটি ছাড়াও আরও অনেক দ্বিস্বর ধ্বনি আমাদের ভাষায় ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তাদের জন্য আলাদা বর্ণ নেই। যে দুটি স্বরের যোগে তারা গঠিত হয়, সেই দুটি স্বরকে পাশাপাশি লিখে তাদের বোঝানো হয়। যেমন: এই, আই, উই, আই, আউ ইত্যাদি। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বাংলা ভাষায় এমন ২৫টি যৌগিক স্বরের ব্যবহার লক্ষ করেছেন। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো 'খাই', 'তুই', 'সেই' প্রভৃতি শব্দে যে দুটি স্বর আছে, তার