উদ্বৃত্ত স্বর কাকে বলে

 উদ্বৃত্ত স্বর

প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষায় বিবর্তনের সময় অনেক ক্ষেত্রে দুটি স্বরের মধ্যবর্তী স্পর্শ ব্যঞ্জন লুপ্ত হলেও ঐ ব্যঞ্জনের সাথে লগ্ন স্বরটি লুপ্ত হয়নি। এই স্বরটিকেই বলে উদ্বৃত্ত স্বর। নিচে উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে দেখানো হল।

উদ্বৃত্ত স্বরের উদাহরণ

মধু > ম‌উ, বধূ > ব‌উ, ঘৃত > ঘিঅ, এই উদাহরণগুলিতে দুটি স্বরের মধ্যবর্তী ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেয়েছে, কিন্তু শেষের স্বরটি রয়ে গেছে। ঐ থেকে যাওয়া স্বরটিই উদ্বৃত্ত স্বর।

এই উদ্বৃত্ত স্বর মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার একটি সাধারণ ধর্ম। সব মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষাতেই কম বেশি উদ্বৃত্ত স্বর দেখা যায়। নব্য ভারতীয় আর্য ভাষায় এসে এই উদ্বৃত্ত স্বর কোথাও লোপ পেয়েছে, কোথাও বা রয়ে গেছে, কোথাও পরিবর্তিত হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ

আর‌ও পড়ে দেখুন

মিল যুক্ত শব্দ | মিল করে শব্দ লেখ

সাধু ও চলিত ভাষার ৭টি বৈশিষ্ট্য ও রূপান্তর | Sadhu o cholit bhasha

১০০+ সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ | সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দের তালিকা | Samochcharito Vinnarthok shabdo

সূচিপত্র | Bengali Grammar

অকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে | সকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে

বিশেষণ পদ - সংজ্ঞা ও শ্রেণিবিভাগ: বিস্তারিত | বিশেষণ কাকে বলে

তদ্ভব শব্দ কাকে বলে | তদ্ভব শব্দের তালিকা

ধ্বন্যাত্মক শব্দ কাকে বলে