পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

e to b | বঙ্গানুবাদ করার নিয়ম ও উদাহরণ

 ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদের নিয়ম WBCS Mains সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মেইনসে বঙ্গানুবাদের উপর প্রশ্ন থাকে। বঙ্গানুবাদের জায়গাটি সবসময় পরীক্ষার্থীদের কাছে কঠিন লাগে। অনেক সময় দেখা যায় ইংরেজি অর্থটি মনে মনে বুঝতে পারলেও সঠিক বাংলা শব্দ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই সমস্যা দূর করার উপায় জানানোর পাশাপাশি আজকের আলোচনাতে ভালো বঙ্গানুবাদের কয়েকটি নিয়ম আলোচনা করবো। ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করার এই নিয়মগুলি মনে রাখলে সহজেই অনুবাদ করা সম্ভব হবে। আদর্শ বঙ্গানুবাদের নিয়ম ১: অনুবাদ কখনোই মাছিমারা কেরানির কাজ নয়। অনুবাদ একটি স্বতন্ত্র শিল্পকর্ম। তাই বঙ্গানুবাদ কখনোই আক্ষরিক অনুবাদ করলে চলবে না। ভালো বঙ্গানুবাদ মানেই ভাবানুবাদ। ভুলে গেলে চলবে না যে, বাংলা ও ইংরেজি দুটি আলাদা ভাষা। দুই ভাষার চলন, বৈশিষ্ট্য, ভাবপ্রকাশের উপায় আলাদা। আপনি কত ইংরেজি জানেন তা জানার জন্য E to B অনুবাদ করতে দেওয়া হয় না। বরং জানতে চাওয়া হয়, বিদেশি ভাষায় লেখা একটি বক্তব্যকে আপনি বাংলা ভাষার রীতিনীতি সমেত বাংলায় প্রকাশ করতে পারেন কিনা। প্রদত্ত ইংরেজি অনুচ্ছেদের ভাবটি মনে মনে বুঝতে প

বাচ্য : বিস্তারিত আলোচনা ও শ্রেণিবিভাগ | Bachyo in Bengali

ছবি
 বাচ্যের ধারণা ও সংজ্ঞা বাংলা ব্যাকরণে বাচ্যের ধারণা নিয়ে বহু শিক্ষার্থীর মনে দ্বিধা আছে। প্রচলিত ব‌ইগুলিতে বাচ্যের আলোচনা বিভ্রান্তিকর। সেই বিভ্রান্তি দূর করে বাচ্যের সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আজকের আলোচনা। বাচ্য চেনার উপায় ও বাচ্য পরিবর্তনের নিয়ম আলোচনা দুটিও পড়ে নিন। বাচ্যের আলোচনার শুরুতেই আমরা তিনটি বাক্য নেবো। ১: আমি ব‌ই পড়েছি। ২: ব‌ই আমার দ্বারা পড়া হয়েছে। ৩: আমার ব‌ই-পড়া হয়েছে। আরও পড়ুন: কারক এই বাক্য তিনটির অর্থ একেবারে হুবহু এক, কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য আছে কেবল গঠনে। একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে গঠনের পার্থক্যটিও মূলত ক্রিয়াপদেই সীমাবদ্ধ। অন্য পদগুলি ততটা বদলায়নি। এখন আমরা বাক্য তিনটিকে উদ্দেশ্য ও বিধেয়ে ভেঙে দেখবো। বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন।      ১: আমি | ব‌ই পড়েছি। -- কর্তা 'আমি' এই বাক্যের উদ্দেশ্য     ২: ব‌ই | আমার দ্বারা পড়া হয়েছে। -- কর্ম 'ব‌ই' বাক্যের উদ্দেশ্য রূপে ব্যবহৃত হয়েছে।     ৩: আমার ব‌ই-পড়া | হয়েছে। -- 'আমার ব‌ই পড়া' অংশটি বাক্যের উদ্দেশ্য রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। 

মূলধ্বনি বা ধ্বনিমূল ও সহধ্বনি | স্বনিম কাকে বলে

মূলধ্বনি ও সহধ্বনির ধারণা ধ্বনির আলোচনায় আমরা অবিভাজ্য ও বিভাজ্য ধ্বনির কথা পড়েছি। বিভাজ্য ধ্বনির দুটি ভাগ স্বর ও ব্যঞ্জনের কথা পড়েছি। এই পোস্টে আমরা ধ্বনির অন্য একটি বিষয় সম্পর্কে জানবো: মূল ধ্বনি ও সহধ্বনি। এই বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিকের পাঠক্রমে আলোচিত হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে মূলধ্বনি ও সহধ্বনির বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।  মূলধ্বনি বা স্বনিম কাকে বলে? এক কথায় বলতে গেলে কোনো নির্দিষ্ট ভাষার (যেমন ইংরেজি বা বাংলা) কোনো একটি শব্দের যে কোনো একটিমাত্র ধ্বনি বদলে দিয়ে তার জায়গায় অন্য একটি ধ্বনি বসিয়ে দিলে যদি শব্দটির অর্থ বদলে যায় তাহলে যে দুটি ধ্বনির অদলবদল ঘটানো হল, সেই দুটি ধ্বনিই ঐ নির্দিষ্ট ভাষার মূল ধ্বনি রূপে গণ্য হবে। এর অপর নাম ধ্বনিমূল বা স্বনিম। আমরা একটি শব্দ নিলাম 'যখন'। এই শব্দটির ধ্বনি বিশ্লেষণ করলে পাবো  য্+অ+খ্+অ+ন্ (ধ্বনিবিশ্লেষণে শেষের অ বাদ গেছে) এই ধ্বনিগুচ্ছের মধ্যে থেকে প্রথম ধ্বনি য্-কে বদলে দিয়ে তার জায়গায় আমরা ত্ ধ্বনি বসিয়ে দিলে নতুন অর্থবিশিষ্ট শব্দ পাচ্ছি: 'তখন'। তার মানে য্ ও ত্ বাংলা ভাষার দ

বাংলা ব্যাকরণের সেরা ব‌ই | Best book of Bengali Grammar

বড়দের ও ছোটদের জন্য ব্যাকরণের সেরা ব‌ই - একটি আলোচনা By Ananya Pathak আমাকে YouTube-এ ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন। আমার ফেসবুক গ্রুপ ব্যাকরণের ক্লাসরুম-এর ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে একটি প্রশ্ন আমার কাছে বার বার আসে, "স্যার, ব্যাকরণ শেখার জন্য কোন ব‌ই পড়বো?" এই প্রশ্নের উত্তর এক কথায় দেওয়া মুশকিল হয় । ইনবক্সে এমন ধরনের প্রশ্ন এলে আমি চেষ্টা করি একসঙ্গে একাধিক ব‌ইয়ের নাম বলতে। কারণ সেরা বাংলা ব্যাকরণ ব‌ই কোনটি বলতে গেলে একাধিক ব‌ইয়ের‌ই নাম করতে হয়। আজ এই পোস্টে আমার পড়া আছে এমন কয়েকটি ব্যাকরণ ও ভাষাতত্ত্ব বিষয়ক ব‌ইয়ের আলোচনা করবো। চেষ্টা করবো ব‌ইগুলির ভালো-মন্দ উভয় দিকের‌ই আলোচনা করতে। সেই সঙ্গে যে ব‌ইগুলি অনলাইনে পাওয়া যায় তাদের লিংক এই পোস্টে শেয়ার করেছি। ব্যাকরণে গভীর ব্যুৎপত্তি অর্জন করার জন্য এই ব‌ইগুলির সবকটিই পড়ে নেওয়া এবং হাতের কাছে রাখা দরকার। ভাষাপ্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় সুপরিকল্পিত বাংলা ব্যাকরণ চর্চার বয়স এখনও আড়াইশো বছর হয়নি। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে বাংলা ব্যাকরণের ইতিহাস খুব পুরোনো নয়। হ্যালহেড থেকে শুরু ক

প্রধান ও অপ্রধান খণ্ডবাক্য চেনার উপায়

ছবি
  খণ্ডবাক্য বা উপবাক্য কাকে বলে? আমরা জানি বাক্যের দুটি অংশ, উদ্দেশ্য ও বিধেয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় একটি উদ্দেশ্য ও একটি বিধেয় নিয়ে গঠিত একটি পদগুচ্ছ সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করছে না, তার পরিবর্তে একটি বড়ো বাক্যের অংশ রূপে কাজ করছে। এইভাবে বাক্যের যে অংশের মধ্যে নিজস্ব উদ্দেশ্য ও বিধেয় থাকে, তাকে খণ্ডবাক্য বলে। এর অপর নাম উপবাক্য। খণ্ডবাক্যের সঙ্গে বাক্যের একটিই পার্থক্য, তা হল: খণ্ডবাক্য কখন‌ও পূর্ণ বাক্য নয়, একটি পূর্ণ বাক্যের অংশবিশেষ। খণ্ডবাক্য কোথায় দেখা যায়? খণ্ডবাক্য দেখা যায় জটিল বাক্য, মিশ্র বাক্য ও যৌগিক বাক্যের মধ্যে। তবে যৌগিক বাক্যের খণ্ডবাক্যগুলি প্রত্যেকে স্বাধীন। তাই অনেকে এদের আক্ষরিক অর্থে খণ্ডবাক্য বলতে চান না। কিন্তু আমরা যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত সরল বাক্যগুলিকে স্বাধীন খণ্ডবাক্য নামেই অভিহিত করবো। কারণ, একটি বৃহত্তর বাক্যের অংশবিশেষকে 'বাক্য' নামে অভিহিত করা উচিত নয় বলেই আমরা মনে করি। খণ্ডবাক্যের উদাহরণ:  যদি তুমি যাও, তাহলে আমি যাবো। আমি দেখতে পেলাম  লোকটি চলে গেলো। উপরের দুটি বাক্য জটিল বাক্যের উদাহরণ। এই দুই বাক্যের চিহ্নিত অংশগুলি একটি কর

বাক্য ও বাক্যের শ্রেণিবিভাগ | বাক্য

ছবি
বাক্য কাকে বলে কয়েকটি পদ নির্দিষ্ট নিয়মে সজ্জিত হয়ে একটি ভাবকে পূর্ণ রূপে প্রকাশ করলে তাকে বাক্য বলে। তবে কথোপকথন বা বাক্যপরম্পরার ক্ষেত্রে একটি পদেও বাক্য হতে পারে। যেমন: রঞ্জন: তুমি কি আমার সাথে যাবে? সুকান্ত: যাবো। এখানে রঞ্জন একটি পূর্ণ বাক্য ব্যবহার করলেও সুকান্ত একটি মাত্র পদের সাহায্যেই মনের ভাব প্রকাশ করেছে। এক্ষেত্রে এই 'যাবো' পদটিকে একটি বাক্য বলতে হবে। উদ্দেশ্য ও বিধেয়, উদ্দেশ্যের প্রসারক ও বিধেয়ের প্রসারক বাক্যের দুটি অংশ থাকে: উদ্দেশ্য ও বিধেয়। বাক্যে যার সম্পর্কে কিছু বলা হয়, তাকে উদ্দেশ্য বলে এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা বলা হয়, তাকে বিধেয় বলে।  বাক্যের সমাপিকা ক্রিয়াটি উদ্দেশ্যের পুরুষ ও ক্রিয়ার কাল অনুযায়ী গঠিত হয়। যেমন: আমি সকালবেলা ফুটবল খেলি। -- এই বাক্যে উদ্দেশ্য 'আমি', বিধেয় 'সকালবেলা ফুটবল খেলি'। সমাপিকা ক্রিয়া 'খেলি' গঠিত হয়েছে উদ্দেশ্য 'আমি'-র পুরুষ অর্থাৎ উত্তম পুরুষ ও বর্তমান কাল অনুসারে। এক্ষেত্রে একটি কথা মনে রাখতে হবে, উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের মূল পদ একটি করেই থাকে। এদের সাথে প্রসারক পদ যুক্ত হয়ে

প্রবন্ধ রচনার নিয়ম | Prabandha rachana

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রবন্ধ রচনা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হ‌ওয়ার জন্য বাংলায় প্রবন্ধ রচনা করতে হয়‌। বিশেষত WBCS Mains পরীক্ষার আবশ্যিক বাংলা বিষয়ে উত্তীর্ণ হ‌ওয়ার জন্য উন্নত মানের প্রবন্ধ লেখার কৌশলগুলি জেনে নেওয়া একান্ত জরুরি। একটি সুলিখিত প্রবন্ধ আপনার বাংলা বিষয়ে যেমন উঁচু স্কোর আনতে পারে, তেমনি আপনার আত্মপ্রকাশকে বলিষ্ঠ করে তুলবে। ফলে দেশকালের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে লিখিত বা মৌখিক মতামত প্রকাশের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে। এক কথায় বলা যায়, একটি প্রবন্ধ পড়ে সেই প্রবন্ধের লেখকের ব্যক্তিত্বকে অনেকখানি চেনা যায়। তাই আসুন দেখে নিই একটি ভালো প্রবন্ধ লেখার জন্য কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আর কেমন ভাবে গড়ে তুলবেন প্রবন্ধের দেহ। ১: রচনার ভূমিকা লেখার নিয়ম প্রবন্ধ রচনার জন্য একটি প্রাসঙ্গিক ভূমিকা দিতে হয়। ভূমিকা লেখার সময় মাথায় রাখতে হবে তাড়াহুড়ো করে মূল বিষয়ে প্রবেশ করা চলবে না। তাতে ভূমিকা আকর্ষণীয় হয় না। অর্থাৎ, প্রথমেই টপিকে যাবেন না। বরং টপিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে, এমন একটি আকর্ষণীয় বিষয়ের কথা দিয়ে শুরু করুন। ভূমিকা শুরু করতে