বহুব্রীহি সমাস চেনার উপায়

বহুব্রীহি সমাস চেনার কৌশল

বহুব্রীহি সমাস চিনতে অনেকেই অসুবিধায় পড়েন। তাই আজকের আলোচনায় কতকগুলি শর্টকাট টেকনিক জানাবো, যার সাহায্যে বহুব্রীহি সমাস মনে রাখা বা চেনা অনেক সহজ হবে। তবে প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে, যে কোনো সমাস চেনার জন্য সমাসবদ্ধ পদটির অর্থ জানতে হবে। সমাসবদ্ধ পদের অর্থ না জানলে কোনো ভাবেই সমাস চেনা সম্ভব নয়। এ ছাড়া এই প্রসঙ্গে আরও একটি কথা বলে দেওয়া উচিত যে, শর্টকাট পদ্ধতি জানার পাশাপাশি প্রতিটি অধ্যায় বিস্তারিত পড়ে নেওয়া দরকার।

১: ব্যাসবাক্যের মধ্যে 'যার' /'যাঁর' পদটি থাকলে সেটি বহুব্রীহি সমাস হবে। যেমন: নীল অম্বর যাঁর - নীলাম্বর, বীণা পাণিতে যাঁর - বীণাপাণি।

২: সমস্তপদের শেষে 'ক' প্রত্যয় থাকলে বহুব্রীহি সমাস হবে। যেমন: সস্ত্রীক, সকর্মক, অকর্মক, অপুত্রক প্রভৃতি‌। এখানে খেয়াল রাখতে হবে শেষের ক যেন প্রত্যয় হিসেবে থাকে। ক যদি মূল শব্দের মধ্যেই থাকে, তাহলে বহুব্রীহি সমাস নাও হতে পারে। ক-এর পরিবর্তে 'অক' প্রত্যয় থাকলেও চলবে না।

৩: ব্যাসবাক্যের শুরুতে 'নেই'/'নাই' শব্দ এবং শেষে 'যার'/'যাঁর'/'যেখানে'/'যাতে' থাকলে নঞ্ বহুব্রীহি সমাস হবে।

৪: এক‌ই ক্রিয়ার বিনিময় বোঝাতে শব্দদ্বৈত থাকলে বহুব্রীহি সমাস হবে। যেমন: চুলোচুলি, লাঠালাঠি প্রভৃতি।

৫: শব্দের গোড়ায় সহিত অর্থে স থাকলে সহার্থক বহুব্রীহি সমাস হবে। যেমন: সপরিবার, সপুত্র, সস্ত্রীক প্রভৃতি।

মন্তব্যসমূহ

আর‌ও পড়ে দেখুন

তির্যক বিভক্তি কাকে বলে

লোকনিরুক্তি কাকে বলে

মিল যুক্ত শব্দ | মিল করে শব্দ লেখ

অপিনিহিতি কাকে বলে

ধ্বনি ও বর্ণের মধ্যে পার্থক্য

অভিশ্রুতি কাকে বলে?

নিরপেক্ষ কর্তা কাকে বলে

বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে | অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে