রূপক কর্মধারয় সমাস কাকে বলে

 রূপক কর্মধারয় সমাস

কর্মধারয় সমাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণি হল রূপক কর্মধারয়। আজ আলোচনা করবো রূপক কর্মধারয় সমাস কাকে বলে এবং রূপক কর্মধারয় সমাস চেনার উপায়। এই আলোচনাটি পড়ার পর রূপক কর্মধারয় সমাস সম্পর্কে আর কোন‌ও ধোঁয়াশা থাকবে না। তাহলে চলুন, প্রথমেই জেনে নিই রূপক কর্মধারয় সমাস কাকে বলে। যে কর্মধারয় সমাসে উপমান ও উপমেয়ের মধ্যে অভেদ কল্পিত হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। 

রূপক কর্মধারয় সমাসে কোন পদের অর্থ প্রাধান্য পায়?

সমস্ত কর্মধারয় সমাসের মতো রূপক কর্মধারয়েও পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়। এক্ষেত্রে উপমানটি পরপদে থাকে, তাই উপমানের প্রাধান্য হয়।

উদাহরণের মাধ্যমে রূপক কর্মধারয় সমাস আরও ভালো ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছি।

রূপক কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ

১: জীবন রূপ নদী = জীবননদী -- একটু ভাবলেই বোঝা যাবে, এখানে জীবন ও নদীকে অভিন্ন মনে করা হচ্ছে। জীবনটাই যেন একটা নদী। 

২: প্রাণ রূপ পাখি = প্রাণপাখি -- (প্রাণটা যেন একটা পাখি। প্রাণ ও পাখির অভেদ কল্পিত হয়েছে।)

৩: মন রূপ মাঝি = মনমাঝি -- (মন যেন এক মাঝি।)

৪: জীবন রূপ তরী = জীবনতরী।

৫: ভব রূপ পারাবার = ভবপারাবার।

রূপক কর্মধারয় সমাস চেনার উপায়

রূপক কর্মধারয় সমাস চেনার একটি সহজ উপায় আছে। সমস্তপদটি দিয়ে একটি বাক্য রচনা করে দেখতে হবে বাক্যের ক্রিয়াটি উপমানকে অনুসরণ করছে কিনা। যেমন: "জীবননদী বয়ে চলে।" জীবন উপমেয়, নদী উপমান। বয়ে চলা কার কাজ, জীবন, না নদী? নদীর কাজ। নদী উপমান। সুতরাং ক্রিয়াপদটি উপমানের অনুসারী‌। অত‌এব এটি রূপক কর্মধারয়। এটি ভালো করে বোঝার জন্য উপমেয় ও উপমান সম্পর্কে জানতে হবে।
আশা করি বিষয়টি বোঝা গেছে। ইউটিউবে আমার ব্যাকরণের ক্লাস করার জন্য ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম Ananya Pathak. 

মন্তব্যসমূহ

আর‌ও পড়ে দেখুন

তির্যক বিভক্তি কাকে বলে

লোকনিরুক্তি কাকে বলে

মিল যুক্ত শব্দ | মিল করে শব্দ লেখ

অপিনিহিতি কাকে বলে

ধ্বনি ও বর্ণের মধ্যে পার্থক্য

অভিশ্রুতি কাকে বলে?

নিরপেক্ষ কর্তা কাকে বলে

বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে | অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে