ধ্বনি কাকে বলে | ধ্বনি কাকে বলে ও কয় প্রকার

 ধ্বনির সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ

'ধ্বনি' কথার আক্ষরিক অর্থ হল আওয়াজ। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যে কোনো আওয়াজ‌ই ধ্বনি, কিন্তু ব্যাকরণের পরিভাষায় যে কোনো আওয়াজকে ধ্বনি বলে না। যেমন: পাখির ডাক, মেঘের গর্জন, বাতাসের শব্দ, শাঁখের আওয়াজ, করতালির আওয়াজ, ইত্যাদিকে ব্যাকরণে ধ্বনি বলা যাবে না। আজকের এই আলোচনায়, ধ্বনি কাকে বলে, তা আমরা ভালো ভাবে জানবো। প্রথমেই ধ্বনির সংজ্ঞাটি জেনে নিই, তার পর জানবো কোন কোন শর্ত পূরণ করলে একটি শব্দকে ধ্বনি বলে এবং ধ্বনি কয় প্রকার।

মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য বাগ্‌যন্ত্র থেকে স্বেচ্ছায় যে আওয়াজ সৃষ্টি করে তাকে ধ্বনি বলে।



কোন কোন শর্ত পূরণ করলে একটি আওয়াজকে ধ্বনি বলবো?

নিচের প্রতিটি শর্ত পূরণ করলে তবেই একটি আওয়াজকে ধ্বনি বলা যাবে।
১: মনের ভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি হতে হবে। যে কোনো আওয়াজ ধ্বনি নয়।
২: মানুষের বাগ্‌যন্ত্র থেকে সৃষ্টি হতে হবে। অন্য প্রাণীদের আওয়াজ ধ্বনি নয়।
৩: আওয়াজটি মানুষের স্বেচ্ছাকৃত চেষ্টায় সৃষ্টি হতে হবে। নাক ডাকার আওয়াজ ধ্বনি নয়, টুঁটি চেপে ধরলে যে ঘড়ঘড় আওয়াজ সৃষ্টি হয়, তাও ধ্বনি নয়।

ধ্বনি কয় প্রকার

ধ্বনিকে প্রাথমিক ভাবে দুই ভাগে ভাগ করা হয়: বিভাজ্য ধ্বনি ও অবিভাজ্য ধ্বনি (ধ্বনির প্রাথমিক আলোচনা অধ্যায়ে এই বিষয়ে আলোচনা করেছি)।

বিভাজ্য ধ্বনিকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়: স্বরধ্বনিব্যঞ্জনধ্বনি। 

মন্তব্যসমূহ

আর‌ও পড়ে দেখুন

মিল যুক্ত শব্দ | মিল করে শব্দ লেখ

পদ পরিবর্তন | ২৫০+ নির্ভুল পদান্তর

তৎসম শব্দ কাকে বলে | তৎসম শব্দের তালিকা

বিবৃতিমূলক বাক্য কত প্রকার | নির্দেশক বাক্য কত প্রকার

সাধু ও চলিত ভাষার ৭টি বৈশিষ্ট্য ও রূপান্তর | Sadhu o cholit bhasha

তির্যক বিভক্তি কাকে বলে

অভিশ্রুতি কাকে বলে?

কৃৎ প্রত্যয়ের বিস্তারিত আলোচনা | প্রকৃতি প্রত্যয়