পোস্টগুলি

পদ পরিবর্তন | ২৫০+ নির্ভুল পদান্তর

পদ পরিবর্তন | Pad paribartan   সরাসরি পদান্তরের তালিকা দেখুন   শব্দ ও পদ অধ‍্যায়ে আমরা জেনেছি পদ কী । আমরা জানি, বাক‍্যে ব‍্যবহৃত শব্দ বা ধাতুকে পদ বলে। কিন্তু প্রথাগত ভাবে আমরা একটিমাত্র শব্দের‌ই পদ পরিবর্তন করে এসেছি ছোটোবেলা থেকে। আমরা কি তবে ভুল করেছি? না, আমরা ভুল করিনি।  এমনিতে ব্যাকরণের নিয়মে বাক‍্যের মধ‍্যে ব‍্যবহৃত না হ‌ওয়া পর্যন্ত কোনো শব্দের পদ-পরিচয় স্পষ্ট হয় না। অর্থাৎ সেটি  বিশেষ‍্য হবে না বিশেষণ হবে, তা নিশ্চিত জানা যায় না। কিন্তু তা না গেলেও প্রতিটি শব্দের‌ই একটা মোটামুটি পদপরিচয় আছে। যেমন: জল, মাটি, মানুষ, মন, সুখ, জন্ম, বায়ু প্রভৃতি পদগুলি সাধারণত বিশেষ‍্য রূপেই কাজ করে এবং জলীয়, মেটে, মানুষিক, মানসিক, সুখী প্রভৃতি পদগুলি বিশেষণ রূপে ব্যবহৃত হয়।তাই আমরা সাধারণ ভাবে যে পদান্তর করি, তা সমধিক পরিচিত অর্থের ভিত্তিতে করি। পদ পরিবর্তন বলতে বিশেষ্য শব্দের বিশেষণ রূপ এবং বিশেষণ শব্দের বিশেষ্য রূপ গড়ে তোলা বোঝায়। পদান্তর ও বর্গান্তরের পার্থক্য   প্রসঙ্গত একটি কথা বলে রাখি: একটি বিশেষ্য পদ যখন বিশেষণ রূপে বা বিশেষণ পদ বিশেষ্য রূপে ব্যবহৃত হয়, তখন তাকে বর্গান্তর

ব‍্যঞ্জন সন্ধি : ব‍্যঞ্জন সন্ধির উদাহরণ সূত্র ও ব‍্য্যতিক্রম | Byanjan sandhi in Bengali

ব‍্যঞ্জন‌সন্ধির সংজ্ঞা, ধারণা ও সূত্র ব‍্যঞ্জনসন্ধি কাকে বলে? স্বরে ব‍্যঞ্জনে, ব‍্যঞ্জনে স্বরে ও ব‍্যঞ্জনে ব‍্যঞ্জনে যে সন্ধি হয় তাকে ব‍্যঞ্জন‌সন্ধি বলে। ব‍্যঞ্জন সন্ধির সূত্র‌গুলি আলোচনা করার সময় আমরা দেখতে পাবো, সন্ধির সময় আসলে ধ্বনিপরিবর্তন ঘটে।  সূত্র ১: স্বর + ছ্ = ছ্>চ্ছ্ স্বরধ্বনির সাথে ছ্ যুক্ত হলে ছ্ থেকে চ্ছ্ হয় অর্থাৎ, একটি চ্-এর আগম ঘটে। যেমন:  তরু+ছায়া = তরুচ্ছায়া(উ+ছ্) পরি+ছেদ = পরিচ্ছেদ(ই+ছ্) উপ+ছায়া = উপচ্ছায়া(অ+ছ্) পূর্ণ+ছেদ = পূর্ণচ্ছেদ নদী+ছবি = নদীচ্ছবি প্র+ছায়া = প্রচ্ছায়া আ+ছাদন = আচ্ছাদন মতি+ছন্ন = মতিচ্ছন্ন মুখ+ছবি = মুখচ্ছবি রবি+ছবি = রবিচ্ছবি আলোক+ছটা = আলোকচ্ছটা সূত্র ২: ত্/দ্ + চ্/ছ্ = ত্/দ্ > চ্ ত্ বা দ্-এর সাথে চ্ বা ছ্ যুক্ত হলে ত্ বা দ্ চ্-এ রূপান্তরিত হয়। এখানে আসলে সমীভবন হয়। যেমন:  উৎ+চারণ = উচ্চারণ বিপদ্+চিন্তা = বিপচ্চিন্তা উৎ+ছেদ = উচ্ছেদ সূত্র ৩: ত্/দ্ + জ্/ঝ্ = ত্/দ্ > জ্ ত্ বা দ্-এর সাথে জ্ বা ঝ্ যুক্ত হলে ত্ বা দ্ পরিবর্তিত হয়ে জ্ হয়। এটিও সমীভবন। যেমন: বিপদ্+

সন্ধি এবং স্বরসন্ধির সূত্র, উদাহরণ ও ব‍্যতিক্রম

সন্ধির ধারণা ও স্বরসন্ধি কাকে বলে সন্ধির সংজ্ঞা ও ধারণা ' সন্ধি' কথাটির সাধারণ অর্থ হ'ল, মিলন, জোড়, গাঁট বা Joint. ব‍্যাকরণেও সন্ধি বলতে যা বোঝানো হয়, তার সাথে সন্ধি শব্দের সাধারণ অর্থের মিল আছে। আমরা যে সব ধ্বনি উচ্চারণ করি, সেগুলি সাধারণত একা একা উচ্চারিত হয় না। বেশিরভাগ সময় একাধিক ধ্বনি পর পর উচ্চারণ করতে হয়। তবেই আমরা মনের একটি ভাব প্রকাশ করতে পারি। যেমন, "শরৎ চলে এসেছে" কথাটা বলার জন‍্য আমাদের শ্,অ,র্,অ,ৎ,  চ্,অ,ল্,এ, এ,স্,এ,ছ্,এ- এতগুলো ধ্বনি পর পর উচ্চারণ করতে হয়। মজার ব‍্যাপার হলো, এখানে আমরা জানি যে, আমরা ৩টে আলাদা আলাদা পদ উচ্চারণ করছি। কিন্তু আমাদের বাগ্-যন্ত্র অতশত বোঝে না। বাগ্-যন্ত্র তার নিজের নিয়মে শুধু পর পর ধ্বনিগুলি উচ্চারণ করার কাজটি করতে থাকে। তার কাছে পুরো ব্যাপারটা একটা যান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এইরকম যান্ত্রিক ভাবে উচ্চারণ করার সময় পাশাপাশি দুটি শব্দ উচ্চারণ করতে গিয়ে বাগ্-যন্ত্র অনেক সময় একটি শব্দের শেষ ধ্বনির সাথে পরের শব্দের প্রথম ধ্বনিটিকে জুড়ে ফেলে। যেমন : "শরৎ চলে এসেছে" বলতে গিয়ে বাগ্-যন্ত্র বলে ফেলে, "শরচ্চলেএসেছে"

বর্ণ বিশ্লেষণ করার নিয়ম | Barna bislesan Bengali

      বর্ণবিশ্লেষণ কাকে বলে? আমরা কথা বলার সময় পর পর অনেকগুলি ধ্বনি সাজিয়ে এক একটি শব্দ গঠন করি এবং সেই শব্দগুলি পদরূপে বাক‍্য গঠন করে। বর্ণবিশ্লেষণ করা বলতে বোঝায় একটি শব্দের মধ‍্যে কোন কোন ধ্বনি আছে, তা পর পর ভেঙে আলাদা করে দেখানো। যেমন : 'কালো' শব্দটি ভাঙলে আমরা পরপর ৪টি ধ্বনি পাবো-- ক্,আ,ল্,ও। এই ধ্বনিগুলোকে আলাদা করে ভেঙে দেখানোকেই বর্ণবিশ্লেষণ বলে। বর্ণবিশ্লেষণ করার সময় শব্দের ধ্বনিগুলিকে বানান অনুসারে পর পর যুক্ত (+) চিহ্ন দিয়ে লিখতে হয়। যেমন, কালো=ক্+আ+ল্+ও।    আমাদের  SLST Bengali &TET Preparation Guide  সম্পর্কে জানুন বর্ণবিশ্লেষণের নিয়ম ১: বর্ণবিশ্লেষণ সব সময় বানান অনুযায়ী করতে হয়। যেমন : 'কালো' শব্দের পরিবর্তে 'কাল' লিখলেও চলে। উচ্চারণ এক‌ই থাকবে। কিন্তু বর্ণবিশ্লেষণ বদলে যাবে। শেষে 'ও' না হয়ে 'অ' হবে। ২: বর্ণবিশ্লেষণে ৎ এবং আশ্রয়স্থানভাগী ব‍্যঞ্জন ছাড়া অন‍্য সব ব‍্যঞ্জনের তলায় হস্ চিহ্ন (হসন্ত) দেওয়া অপরিহার্য। এটি না দেওয়া একটি মারাত্মক ভুল।  ৩: শেষ ব‍্যঞ্জনে আ-কার, ই-কার ইত্যাদি কোনো চিহ্ন দেওয়

অব‍্যয় পদ কাকে বলে ও শ্রেণিবিভাগ | অব্যয় পদ

ছবি
এই পোস্টে যা আছে অব্যয় পদের সংজ্ঞা ও ধারণা অনন্বয়ী অব্যয় ও তার শ্রেণিবিভাগ পদান্বয়ী অব্যয় ও তার শ্রেণিবিভাগ সমুচ্চয়ী অব্যয় ও তার শ্রেণিবিভাগ ধ্বন্যাত্মক অব্যয় ধ্বন্যাত্মক অব্যয় ও অনুকার শব্দের পার্থক্য SLST Bengali Preparation Guide অব‍্যয়ের সংজ্ঞা ও ধারণা সংস্কৃতে অব‍্যয় বলতে বোঝায়, যে পদের ব‍্যয় বা পরিবর্তন নেই। অর্থাৎ, ক্রিয়ার কাল , কর্তার পুরুষ, লিঙ্গ, বচন পাল্টে গেলেও যে পদের রূপ বদলাবে না, কোনো বিভক্তি‌ও গ্রহণ করবে না, তাকে অব‍্যয় বলে। কিন্তু বাাংলা ব‍্যাকরণে অব‍্যয়ের এই  সংজ্ঞাটি গ্রহণ করার অসুবিধা আছে। কারণ বা‌ংলায় অব‍্যয় রূপে যে পদগুলি গণ‍্য হয় তারা অনেকেই বিভক্তি-যোগে তৈরি হয়, আবার এমন অনেক পদ আছে, যাদের কোনো পরিবর্তন হয় না, তবু তারা অব্যয় নয়। তবু ছোটদের এই সংজ্ঞাটিই শেখানো উচিত।  অব্যয় পদ কাকে বলে অব‍্যয়ের সংজ্ঞায় ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বাক‍্যগত উক্তিকে এবং বাক‍্যস্থ পদগুলির পারস্পরিক সম্বন্ধকে স্থান, কাল, পাত্র ও প্রকার বিষয়ে পরিস্ফুট করে দেয় যে পদগুলি, তাদের অব‍্যয় বলে।  অব‍্যয়ের এই সংজ্ঞাটি থেকে আমরা বলতে পারি, অব‍্য