পোস্টগুলি

দল বিশ্লেষণ, মুক্ত দল ও রুদ্ধ দল | দল কাকে বলে

দলের সংজ্ঞা ও দলের সাধারণ পরিচয় SLST Bengali Preparation Guide 'দল' কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল ফুলের পাপড়ি। একটি ফুল যেমন একাধিক পাপড়ি নিয়ে গড়ে ওঠে তেমনি একটি শব্দও একাধিক দল নিয়ে গড়ে ওঠে। আবার কোনো কোনো ফুলে একটিই পাপড়ি থাকে, তেমনি কোনো কোনো শব্দেও একটিই দল থাকে।  একটি বড়ো শব্দকে আমরা যখন উচ্চারণ করি, তখন গোটা শব্দটি এক ধাক্কায় উচ্চারণ করি না। আমরা শব্দটিকে ভেঙে ভেঙে উচ্চারণ করি। কারণ এক ধাক্কায় আমরা অনেকটা ধ্বনি উচ্চারণ করতে পারি না। আমি যদি বলি 'রবীন্দ্রনাথ', তাহলে আসলে বলতে হবে এইভাবে:  র-বীন্-দ্র-নাথ্ । কিন্তু এমন অনেক ছোটো শব্দ আছে যাদের পুরোটাকে আমরা একটাই ধাক্কা দিয়ে উচ্চারণ করে ফেলি। যেমন: আম, কাঁচ, শোন, দ্যাখ, গাছ, ভূত, পথ, মগ, খাট, ঢাল, চাল, জল, বিষ, ফল, ফুল প্রভৃতি (এই শব্দগুলি একদল শব্দ বা একদলবিশিষ্ট শব্দ)।  পড়ে দেখুন: সমার্থক শব্দ দল কাকে বলে?  মানুষ তার বাগ্‌যন্ত্রের সাহায্যে যতটা পরিমাণ ধ্বনি এক ঝোঁকে বা একক প্রচেষ্টায় উচ্চারণ করতে পারে, তাকে দল বলে। দলের শ্রেণিবিভাগ দলকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়: মুক্ত দ

পদ চেনার উপায়

ছবি
পদ চেনার সহজ উপায় পদ কথার অর্থ হল বাক্যে ব্যবহৃত শব্দ বা ধাতু। বাক্যে ব্যবহারের আগে কোনো ধ্বনিগুচ্ছকেই পদ বলা যায় না। কোনটি কী পদ তা চিনতে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। এই পোস্টে সেই সমস্যার সমাধানের জন্য কয়েকটি সহজ নিয়ম বলবো। এই নিয়মগুলি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে পদ চিনতে আর সমস্যা হবে না। বিশেষ্য পদ চেনার উপায় মনে রাখতে হবে, বিশেষ্য ও সর্বনাম আলাদা পদ নয়, এ দুটি কার্যত এক‌ই জিনিস। বিশেষ্যের পরিবর্তে সর্বনাম ব্যবহার করা যায়। ১: যে কোনো নাম অবশ্যই বিশেষ্য হবে। ২: যা আমরা পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করতে পারি তা বিশেষ্য হবে। ৩: যে পদকে বাক্যের উদ্দেশ্য রূপে ব্যবহার করা যাবে, সেটি বিশেষ্য বা সর্বনাম হবে। সর্বনাম চেনা সহজ, সর্বনাম না হলে অবশ্যই বিশেষ্য হবে। ৪: যে পদকে বাক্যে কোনো না কোনো কারক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে সেটি অবশ্যই বিশেষ্য অথবা সর্বনাম পদ হবে।  ৫: 'তা' ও 'ত্ব' প্রত্যয় যোগে যত পদ গঠিত হয়, যেমন: সততা, সরলতা, ভীরুতা, কাপুরুষতা, ঋজুতা, ঘনত্ব, বিশেষত্ব, মহত্ত্ব, এগুলি সব‌ই বিশেষ্য। ৬: বিশেষ্য পদের সাথে একটি ক্রিয়াপদ যোগ করে

বাচ্য চেনার উপায় | Bachyo chenar niyom

ছবি
■ বাচ‍্য চেনার কৌশল বাচ‍্য চেনার ব‍্যাপারে অনেক ছাত্রছাত্রী সমস‍্যায় পড়ছে। আমার ব্লগে বাচ‍্য নিয়ে আলোচনা করব যথা সময়ে। কিন্তু তার এখনও দেরি আছে। আজ ছাত্রছাত্রীদের জন্য  বাচ‍্য চেনার ১১টি সংক্ষিপ্ত অথচ কার্যকর কৌশল বলছি। বাচ্যের বিস্তারিত আলোচনা করেছি, তার লিংক‌ও নিচে দিলাম।  ১:   ক্রিয়াপদ  যদি কর্তার পুরুষ ধরে হয়, তাহলে অবশ‍্য‌ই কর্তৃবাচ‍্য হবে। মনে রাখবে, জড় পদার্থ‌ও কর্তা হতে পারে। যেমন : সূর্য ওঠে। ২: এককর্মক ক্রিয়ার কর্মে যদি 'কে' বিভক্তি থাকে, তাহলে জানবে সেটি কোনোমতেই কর্মবাচ‍্য বা কর্মকর্তৃবাচ‍্য হবে না। কারণ ওই দুটি বাচ‍্যে কর্মকে কর্তা সাজতে হয় আর কর্তা সাজতে হলে কর্মে শূন্য বিভক্তি‌ দিতে হয়। যেমন: লোকটি প্রহৃত হল। টাকাকড়ি অপহৃত হয়েছে। ব‌ইটি আমার দ্বারা পড়া হয়েছে।  ৩: প্রকৃত কর্তায় দ্বারা/কর্তৃক/দিয়ে অনুসর্গ থাকলে সেটি কর্মবাচ‍্য হ‌ওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। যেমন: কমিটি কর্তৃক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। - কমিটি এখানে আসল কর্তা। ৪: মূল ক্রিয়াটিকে যদি ত/ইত প্রত‍্যয় যোগে বিশেষণে পরিণত করা হয়, (যেমন: পঠিত, ভুক্ত, গৃহীত, বর্জিত, পরিত্যক্ত ইত্যাদ

কারক ও বিভক্তি এবং অনুসর্গ: বিস্তারিত আলোচনা | কারক

ছবি
কারক বিভক্তি         এই অধ্যায়ে যা আছে কারক কাকে বলে বিভক্তি কাকে বলে মৌলিক শব্দবিভক্তি অনুসর্গ কাকে বলে অনুসর্গের প্রকারভেদ অনুসর্গকে কর্মপ্রবচনীয় বলে কেন বিভক্তি ও অনুসর্গের পার্থক্য বাংলা ব্যাকরণে সম্প্রদান বিতর্ক অনুসর্গপ্রধান ও বিভক্তিপ্রধান কারক কর্তৃ কারক ও তার প্রকারভেদ কর্ম কারক ও তার প্রকারভেদ করণ কারক ও তার প্রকারভেদ নিমিত্ত কারক ও তার প্রকারভেদ অপাদান কারক‌ ও তার প্রকারভেদ অধিকরণ কারক ও তার প্রকারভেদ অকারক পদ সম্বন্ধ পদ  সম্বোধন পদ কারক কাকে বলে? কারক কথার অর্থ 'যে করে'। কিন্তু ব্যাকরণে কারকের অর্থ এর চেয়ে ব্যাপক‌। পাণিনি বলেছেন: "ক্রিয়ান্বয়ী কারকম্"। এর অর্থ হল, "ক্রিয়ার সঙ্গে যার সম্পর্ক আছে, সে-ই কারক।" আধুনিক বাংলা ব্যাকরণে কারকের এই ধারণাটির একটুখানি বদল ঘটেছে। (ক্রিয়া বলতে এখানে সমাপিকা ও অসমাপিকা , উভয় ক্রিয়াই বুঝতে হবে।)  কারকের সংজ্ঞা  - ক্রিয়াপদের সাথে বাক্যস্থ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের যে সম্পর্ক, তাকেেই কারক বলে। অর্থাৎ সম্পর্কিত পদটি নয়, সম্পর্কটি হল কারক। মনে রাখতে হবে, বিশেষ্য ও সর্বনাম পদ ছাড়া অন্য পদের কারক হ

সূচিপত্র | Bengali Grammar

অনন্য-বাংলা ব্লগের সমস্ত পোস্টের সূচিপত্র ADVERTISEMENT SLST ZONE special corner for S LST  PDF ZONE বাংলা NET/JRF Guide By Manas Neogi(JRF 2020) বিশেষ পোস্ট বাংলা ব্যাকরণের সেরা কিছু ব‌ই:     ⤌  এই পোস্টে রিভিউ করেছি ব্যাকরণ ও ভাষাতত্ত্বের কয়েকটি সেরা ব‌ইয়ের। ব‌ইগুলির ভালো মন্দ উভয় দিকের নিরপেক্ষ আলোচনা করেছি সংক্ষেপে। পরবর্তী সময়ে আর‌ও নতুন নতুন ব‌ইয়ের সন্ধান দেবো এই পোস্টের মাধ্যমে।  ১:    ধ্বনি ও বর্ণ  👈 এখানে ক্লিক করুন এই অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে ধ্বনি ও বর্ণের সাধারণ পরিচয় ও পার্থক্য। ভাষায় এই দুইয়ের গুরুত্ব কী, তা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ধ্বনি পরিবর্তন    👈 এখানে পাবেন ধ্বনি পরিবর্তনের সব পোস্ট। ২:   স্বরধ্বনি  👈 এখানে ক্লিক করুন এই অধ্যায়ে স্বরধ্বনির উচ্চারণ ও শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করা হয়েছে। ৩:    মৌলিক স্বরধ্বনি  👈 এখানে ক্লিক করুন বাংলা মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি। এই অধ্যায়ে এই সাতটি মৌলিক স্বরের প্রকৃতি অনুসারে ও উচ্চারণ স্থান অনুসারে বর্গীকরণ করা হয়েছে। ৪:    ব‍্যঞ্জন‌ধ্বনির উচ্চারণ  👈 এখানে ক্লিক করুন বিজ্ঞাপন